ওয়েব সিরিজ রিভিউ: মহাভারত মার্ডার্স- নকুল পর্ব এবং অনুশাসন পর্ব ( ৩য় & ৪র্থ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে মহাভারত মার্ডার্স এর তৃতীয় আর চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্ব দুটির নাম হলো "নকুল পর্ব এবং অনুশাসন পর্ব"। গত দুটি পর্বে লাস্ট দেখা গিয়েছিলো দুইজনকে দ্রোপদী আর সহদেব নাম দিয়ে খুন করেছিল। আর আজকে এখানে নকুল এর পালা, এখন দেখা যাক কোথাকার জল কতদূর যেতে লাগে এই দুই পর্বে।
☫কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☫
✔মূল কাহিনী:
নকুল পর্বে দেখা যায় প্রথমে একটি গ্রামের ভিতরে ফ্রিতে একজন ডাক্তার রুগি দেখতে যায় এবং সেখানে কয়েকজন বৃদ্ধ মানুষের চেকাপ করে ওষধ দিয়ে আসে। এরপর সেই প্রকাশের খুনের তদন্ত শুরু হয়। প্রিয়াঙ্কা আর তার সহকর্মী বন্ধু প্রকাশের বিজিনেস পার্টনারকে জেরা করতে লাগে। বিজিনেস পার্টনার একজন মহিলা ছিল। তারপর মহিলাটি ঘাবড়িয়ে যায় কিন্তু কোনো কথার উত্তর ঠিকভাবে দিতে চায় না, প্রিয়াঙ্কা তাদের অফিসের সমস্ত কাজকর্মের যে ল্যাপটপ ব্যবহার হতো সেগুলো দিতে বলে চেক করার জন্য। কিন্তু মহিলাটি না দেওয়ার কথা বলে এবং ব্যাঙ্কের চেকবুক বের করে তাদের বলে যা খুশি এমাউন্ট লিখে নাও। তবে প্রিয়াঙ্কা রাগান্বিত না হয়ে বলে যে আপনি ইচ্ছা করে সন্দেহের তালিকায় ঢুকে পড়ছেন যেটা আপনার জন্য খুবই খারাপ হবে পরবর্তী পর্যায়ে গিয়ে। এরপর শেষমেশ মহিলাটি সব খুলে বলতে লাগে। প্রকাশ মূলত তার এই বিজিনেস পার্টনারের সাথে খুব ভালোভাবেই কাজ করতো কিন্তু হঠাৎ করে সে কোকেনের নেশায় পড়ে যায় আর সেই সাথে এই মহিলার হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তও চুষে খেত। মোটকথা কোকেনের নেশায় একদম উন্মাদ হয়ে যেত এই প্রকাশ আর এই কোকেন সেল করতো তার কাছে সেই ভিকি নামক লোকটা অর্থাৎ যে ফিল্ম বানাতো। ফলে এই কেসেও সে সন্দেহের তালিকায় চলে যায়। তারপর জেরা করে দুটোকেই একসাথে।
জেরা করার পর তারা যা সত্যি ছিল মোটামুটি খুলে বলে মানে ভিকির সাথে প্রকাশের কখন কিভাবে যোগাযোগ হলো আর এইসব কোকেন এর ব্যবসা এইসব নিয়ে। এরপর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে পরে এবং তারা মূলত সন্দেহ কাকে করবে সেটাই বুঝতে পারছে না ঘুরেফিরে বিষয়গুলো সব একজায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে খুনিও নকুল বলে যাকে সাজিয়েছিল তাকে মারার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আছে। এখানে ওই ডক্টরকেই নকুল বানিয়েছিলো তবে ওনার সাথে মন্ত্রী পবিত্র বাবুর একটা রিলেশন আছে যেটা কেউ জানে না। পবিত্র বাবু ডক্টরকে তার হাসপাতাল থেকেই ফোন করছে কিন্তু সে সাধারণত আবার ড্রাইভ করার সময় ফোন সাইলেন্ট করে রাখে। এখানে আবার প্রিয়াঙ্কার হাসব্যান্ড এর কানেক্ট আছে খুনিদের সাথে আর ওইই ওই ডক্টরের উপর নজর রেখেছিলো সবসময়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সে যখন বাইরে রুগি দেখতে যায় তখন ওকে ফ্লো ফ্লো করতে করতে সেই পর্যন্ত পৌঁছিয়ে যায়। আর খুনিকে ফোন করে সজাগও করে দিয়েছিলো। এরপর রোগি দেখে ফেরার পথে বাই রোডে পেরেক রেখে দেয় খুনি যাতে গাড়ির চাকা লিক হয়ে যায় আর খুনি তাকে মারতে পারে। তো খুনির প্ল্যান মতো সেটাই হলো আর নকুল বলে যাকে সাজিয়েছিল তাকে মেরে দিলো।
অনুশাসন পর্ব শুরু হচ্ছে- এখানে ডক্টরকে মেরে ফেলার পরে মোটামুটি নকুলের কিস্সা শেষ করে দিয়েছে। এখানে কেসটা ঠিক প্রথম কেসের দেবিকার মতো গলা কেটে ফেলে দেয় আর পাশে একইভাবে পোস্টার লাগিয়ে দেয়। এরপর মন্ত্রী পবিত্র বাবু সোজা কমিশনারের কাছে চলে যায় এইসব ব্যাপারে কথা বলতে সেখানে প্রিয়াঙ্কাও উপস্থিত ছিল। এই খুনের ব্যাপারে তাদের কাছে জানতে চায় একটু রাগান্বিত সুরে কারণ একটা কেস মিটছে না সাথে আরেকটা মার্ডার হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের আর বেশি কিছু না বলে ইনভেস্টিগেশন করতে বলে। এরপর তারা ফরেনসিক ল্যাবের লোকজন নিয়ে স্পটে চলে যায় আর সেখানে এবং সেখানে তারা জানতে পারে যে রোডের পাশে একটা ধাবা আছে যেখানে সে লোকাল রোগীদের দেখতে আসতো। এই কথা শুনে প্রিয়াঙ্কা সেখানে ইনভেস্টিগেশন এর জন্য যায় কিন্তু ওই এলাকার কিছু লোকজন অর্থাৎ গুন্ডাপান্ডা বলা যায় একপ্রকার। তারা সেখানে গেলে বন্ধুক বের করে তাদের মারতে যায় কিন্তু সেখানে আবার প্রিয়াঙ্কার হাসব্যান্ড এসে শামসুর নামক একজন লোকের সাথে কথা বলে হ্যান্ডেল করে নেয়। তবে এখানে এই শামসুরও এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।
ধাবার ওখান থেকে চলে আসার পরে তারা বিপুল মানে ওই ডক্টরের ফোন রেকর্ড চেক করে কার সাথে কখন বেশি কল আদানপ্রদান হয়েছে। তো এখানে তারা মোটামুটি ভিকির নম্বর এর সাথে বিপুলের কল রেকর্ড পায়। এরপর ভিকিকে ইন্টারোগেশন শুরু করে আবার, কারণ সব কয়টা খুনের সাথে কানেক্টেড আছে সে। এর কারণ হিসেবে জানতে চাইলে সে বলে দেবিকার হাতে যখন ইনফেকশন হয়েছিল তখন তাকে নিয়ে ওই ডক্টরের কাছে গেছিলো দেখাতে । এখানে দেবিকার সাথেও বিপুল এর একটা ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল যেটা ভিকির কাছ থেকে জানতে পারে। এরপর মন্ত্রী প্রদীপ বাবুর বাড়িতে যে আবির বলে লোকটা থাকতো তার কাছে তাদের এসব কাজের একটা ভিডিও ক্লিপ পাঠায় তানিয়া মেয়েটা যেটা একপ্রকার থ্রেডও বলা যায়। এরপর এই ভিডিওটাকে অস্ত্র বানিয়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য তাকে টিকিট বুক করে দিতে বলে এবং লোকটা করেও দাও। এরপর মন্ত্রী সাহেব প্রিয়াঙ্কাকে একটা রেস্টুরেন্টে ডাকে এবং এই খুনগুলোর পিছনে যে একটা রহস্য আছে সেটা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যেটা প্রিয়াঙ্কাকে বলার জন্য ডেকেছিল। যে বিষয়গুলো ফ্লো করলে এই রহস্য পর্যন্ত যাওয়া যাবে সেইটা একপ্রকার সাহায্যই করেছিল। রাস্তায় ড্রাইভ করে আসার সময় মন্ত্রীকেই গুলি করে গুন্ডারা।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই পর্ব দুটিতে দেখা গেলো প্রকাশের খুনের সাথে সবারই একটা না একটা কানেকশন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ করে ভিকি লোকটার। ভিকি সব স্থানেই জড়িত কারণ সে সবারই সাথে কোনো না কোনো খারাপ কাজের ভাগিদার রয়ে গেছে। এখানে দেবীকাও প্রকাশের সাথে যুক্ত ছিল যেমনটা তার পার্টনার ছিল। আর বিপুল নামক যে ডক্টরকে খুন করা হয়েছে সেটা প্রথম থেকেই খুনিরা টার্গেট করে রেখেছিলো যখন থেকে সে গ্রামে রোগী দেখতে যেত। তবে সে ভবিষ্যৎ দেখতে পেতো এইরকম সবার ধারণা কারণ সে যা বলতো সেটাই খেটে যেত। আর তার সামনে কোনো বিপদ আসছে সেটাও নাকি সে আন্দাজ করতে পেরেছিলো যেটা ভিকির সামনে বলেছিলো। আর এখানে সব খুনের সিরিয়ালগুলো মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের মতো সাজিয়েছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যাদের যাদের যেভাবে মারা হয়েছিল ঠিক এখানেও বিষয়টা সেভাবে খুনি সিরিয়াল অনুযায়ী সাজিয়েছে আর সেইভাবেই মারছে। আর এখানে মন্ত্রীর বাড়িতে যে আবির লোকটি আছে সে এই খুনের বিষয়গুলোর সাথে অতোপ্রতোভাবে জড়িত আছে সেটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। এখন এই বিষয়টা প্রিয়াঙ্কাকে বলে গেছে মন্ত্রী, দেখা যাক শেষমেশ প্রিয়াঙ্কা এবং সহকর্মী বন্ধু রহস্যের পর্দা সরাতে পারে কিনা।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৯/১০
✔ট্রেইলার লিঙ্ক:
নকুল এবং অনুশাসন এই পর্ব দুটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো৷ আগের পর্বে অনেক ভালো একটি ফিল পেয়েছি পার্ট দুটি পড়ে। আজকের পার্ট দুটিও খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। ফ্লিম মেকার ভিকি প্রতিটি অন্যায় কাজের সাথেই যুক্ত। জেরা করার মাধ্যমে তার সত্যতা জানা যায়।
এই ওয়েব সিরিজগুলো পড়তে খুব ভালো লাগে। আস্তে আস্তে রস্যের জট ভাঙতে থাকে। পারসোনালি আমি এই টাইপের ওয়েব সিরিজগুলো বেশি পছন্দ করি। সব খুনের সিরিয়ালগুলো মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের মতো সাজিয়েছে। এ জন্যই সম্ভবত সিরিজের নাম মহাভারত মার্ডার্স।
আমি মনে করি, প্রিয়াঙ্কা এবং তার সহকর্মী বন্ধু সব রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে পারবে। খুবই টান টান উত্তেজনা বাকি পর্বের অপেক্ষায় আছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আজকের পর্ব দুটি ব্যাখা করেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ❣️❣️
কাহিনীটি মহাভারতের মতোই সাত পাঁচ প্যাচাল।এই পড়ছি তো ওই ঘুলিয়ে যাচ্ছে।একদম প্যাচাল রহস্যের মতই দাদা।খুনের সঙ্গে সবারই কোনো না কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিন্তু এর মধ্যে যে কেউ একজন খুন করেছে।তাছাড়া আমার মনে হচ্ছে তানিয়া মেয়েটা দেশের বাইরে চলে গেছে যেটা একপ্রকার পালানোর পর্যায়ে পড়ে।হতে পারে তানিয়া এই খুনের সঙ্গে খুব করে জড়িত।এটা জানতে পারবো পরের পর্বে।তাই খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।এই ওয়েবসিরিজটি একটু ব্যতিক্রম,তাই বুঝতে খুবই শক্ত লাগছে।তবুও আপনি সুন্দর করে রিভিউ করেছেন সহজ ভাষায়,ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
দাদা আপনার আজকের ওয়েব সিরিজ রিভিউ: মহাভারত মার্ডার্স- নকুল পর্ব এবং অনুশাসন পর্ব ( ৩য় & ৪র্থ পর্ব )পরে বেশ মজা লাগলো আমার।অনেক আগে এই পর্বগুলো দেখেছিলাম কিন্তু আজ আপনার রিভিউ পড়ে অনেক বেশি মজা পাচ্ছি কেন জানিনা।মনে হচ্ছে ব্যতিক্রম কোন আকর্ষণ আমার ভেতরে কাজ করছে।আসলে প্রতিটা খুনের পেছনে কিছু না কিছু রহস্য থেকে যায় এবং সেই রহস্য উদঘাটন করার জন্যই আবার কাজ করতে হয় এই পর্বের মাধ্যমে এই বিষয়টি বিশেষ লক্ষণীয়।এত চমৎকার করে ওয়েব সিরিজ রিভিউ করার জন্য আপনাকে আবারও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রিয় দাদা। আবারও অপেক্ষায় রইলাম নতুন কিছুর জন্য♥♥
এর আগের পর্বগুলোর মতো এবারের পর্বগুলো পড়েও অনেক ভালো লাগলো। আসলে ওয়েব সিরিজ গুলো পড়ার মাঝে আলাদা রকমের আকর্ষণ কাজ করে। কারণ ওয়েব সিরিজ গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রহস্যে ঘেরা এই ওয়েব সিরিজ গুলো দেখার মাঝে আলাদা রকম অনুভূতি কাজ করে। "নকুল পর্ব" এবং "অনুশাসন" পর্বের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা এবং তার সহকর্মী বন্ধু সকল রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারে কিনা। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই ওয়েব সিরিজ রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।♥️♥️♥️
মহাভারত মার্ডার্স প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব দেখার পরের পর্বগুলো দেখার আগ্রহ ছিল বেশ। আর আজ সেই পর্বের সেই তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব শেয়ার করে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। আসলে এ ধরনের ওয়েভ সিরিজ গুলো একটু দেখলে পরের পর্বগুলো দেখার আগ্রহ থেকে যায়। ইচ্ছে করে সব গুলো একসাথে দেখে ফেলি। আর আজকের কাহিনী তে যা বুঝলাম প্রকাশের খুনের সাথে সত্যিকারার্থে কে জড়িত এখনো ঠুনকো বুঝা যাচ্ছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মতো এই ওয়েভ সিরিজ টি সাজানো হয়েছে এটি একটি মুখ্য বিষয়। পরবর্তীতে বুঝা যাবে প্রিয়াঙ্কা এবং তার সহকর্মী রহস্য উন্মোচন করতে পারে কিনা।অপেক্ষায় রইলাম সেই পর্যন্ত।
আজকে আপনার মহাভারত মার্ডার্স- নকুল পর্ব এবং অনুশাসন পর্বের রিভিউ পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে দেখে যতটা মজা না পাই তার থেকে রিভিউ করে বেশি মজা পায়। আর রিভিউ পড়ার পরে আমি পর্ব গুলো দেখি কারণ আপনার রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লাগে এবং আপনি খুবই সুন্দরভাবে মতামত দিয়ে থাকেন। যাইহোক এই পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং একটি খুনের সাথে অন্য কানেকশন রয়েছে। যার এই পর্বে মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। আসলে খুনের পিছনে অনেক রহস্য থাকে তার পেছনে একটা কারণও থেকে। আর এই কারণগুলো ধরেই খুনের সূত্রপাত বের করতে হয়। যাই হোক আজকের পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং দেখা যাক আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, প্রিয়াঙ্কার শেষমেশ কি ঘটনা ঘটে।
মহাভারত টা আমার দেখা আছে। খুনি বেশ সৌখিন এবং প্যাটার্ন মেইনটেইন করে খুনগুলো করছে। এবং এটা সম্ভবত একটা সিরিয়াল কিলিং থ্রিলার। এবং কুরুক্ষেএের যুদ্ধে যাদের যেভাবে মারা হয়েছিল এখানেও সেভাবেই চলছে ব্যাপার টা গভীর। অন্যদিকে মন্ত্রীর বাড়িতে থাকা আবীর লোকটা খুনের সাথে বেশ ভালোভাবে জড়িয়ে এটা সন্দেহ করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্ব দুইটার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। দারুণ রিভিউ দিয়েছেন দাদা।
দাদা আমি যত আপনার রিভিউর কাহিনী পড়ছি তত মনে হচ্ছে রহস্য ও খুনের ঘটনা কেমন জানি মহাভারতের যুদ্ধের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। একেকবার একেক জনকে খুনি মনে হচ্ছে। শুধু মনে হচ্ছে যত সামনের দিকে যাচ্ছি তত রহস্য গভীর হতে চলেছে আর আমার কাছে খুনি কে হতে পারে সেটা জানার আগ্রহ তত বেড়েই চলেছে। একের পর এক খুন হয়ে যাচ্ছে আবার সবার খুনের ধরণ একই কিন্তু এখনো কাউকে ধরতে পারেনি এটা সত্যিই হতাশা জনক। দাদা আপনার প্রথম পর্ব পড়েও আমি মুভিটি দেখিনি। কারণ আগে আগে দেখে নিলে রিভিউ পড়ার মজাটাই চলে যাবে। তার জন্য চিন্তা করেছি আপনার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে তারপর অবশ্যই আমি এই মুভিটা দেখবো। দেখা যাক প্রিয়াঙ্কা এবং তার সহকর্মী বন্ধুরা মিলে সেই রহস্যের মায়াজাল ভেদ করে খুনিকে সামনে আনতে পারে কিনা। এর পরের পর্বে মনে হচ্ছে আমরা মুখোশ পরা সেই খুনিকে দেখতে পারবো। মহাভারত মার্ডার্স- নকুল পর্ব এবং অনুশাসন পর্ব ( ৩য় & ৪র্থ পর্ব ) শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা অনেস্টলী বলছি এই ওয়েব সিরিজটি আমার কাছে একটুও ভালো লাগছে না। পড়ে কিছুতেই আগাতে পাচ্ছিনা। বিশেষ করে গত পর্বটি কোন কারণে মিস হয়ে যাওয়ায় এ পর্বের কাহিনী কিছুই বুঝতে পারলাম না। এখন আবার প্রথম দুটি পর্বের কাহিনী পড়তে হবে। তবে এমন ডিটেল রিভিউ আমাদের কমিউনিটি তে খুব কম লোকই পোস্ট করে থাকে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত কষ্ট করে সুন্দর একটি রিভিউ লেখার জন্য। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।❤️👍
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ভাবে এত কষ্ট করে দুইটি পর্বের রিভিউ আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ।এই ধরনের ডিটেকটিভ সিরিজগুলো বা ক্রাইম সিরিজ গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে দুটি পর্ব নিখুত ভাবে আমাদের মাঝে রিবিয় দিয়েছেন যেখানে আমরা দেখতে পাই প্রকাশ কোকেন খাওয়ার কারণে কুকিং ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে ভিকি নামক লোক তার মৃত্যুর সাথে জড়িত ।এই ভিকি নামক লোকটি প্রায় সব খুনীর সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত থাকে। তারপর তারা একজন ডক্টর তু মেরে ফেললো সেই সাথে নকল পর্বের সমাপ্তি ঘটে ।
পরবর্তী অনুশাসন পর্ব আপনি খুব সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই মন্ত্রী কে একজন ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে এবং তিনি তার থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা চায় কিন্তু মন্ত্রী বুদ্ধি করে তিনি তার সবকিছু প্রিয়াঙ্কাকে বলে দেন। আর এই ভাবেই খুনের রহস্যের জট খুলতে থাকে। পরিশেষে দেখা গেল মন্ত্রীর বাড়িতে থাকা সেই ছেলেটি যার নাম আবির সেও এই খুন গুলোর সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত।