ওয়েব সিরিজ রিভিউ: মহাভারত মার্ডার্স- Stree pwarbo & Arjun pwarbo ( ৫ম &৬ষ্ঠ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে ওয়েব সিরিজ মহাভারত মার্ডার্স এর পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্ব দুটির নাম হলো "Stree pwarbo & Arjun pwarbo" । আগের পর্ব দুটিতে লাস্ট দেখা গিয়েছিলো যে রাস্তায় ড্রাইভ করে আসার সময় মন্ত্রীকে গুন্ডারা গুলি করে দিয়েছিলো এবং সেখানে ঘটনাটা কি হয়েছিল ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। ফলে আজকে দেখা যাক সেখানে গুলি লাগার পরে কি ঘটনা হলো।
☫কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☫
❦মূল কাহিনী:❦
পর্বের কাহিনীতে দেখা যায় সেই স্পটে যেখানে মন্ত্রী পবিত্র বাবুর উপর গুলি চালায়। আর সাধারণত পিছন দিক থেকে তাদের ফ্লো করতে করতে আসছিলো প্রিয়াঙ্কার আরেক বন্ধু পুলিশ অফিসার, আর এটি তারা দুইজনই জানতো মন্ত্রী বাদে। গুলি চালানোর সাথে সাথে সে পিছন দিক থেকে গুলি করে একজনকে ফেলে দেয় এবং বাকি এক জনকে ধরার জন্য বাইক করে ছোটে কিন্তু হাতের নাগালের বাইরে বেরিয়ে যায়। এখানে আমাদের মনে হয়েছিল যে মন্ত্রীর গায়ে গুলি মেরেছিলো কিন্তু গুলিটা গায়ে না লেগে অন্যদিকে থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর পরেরদিন প্রিয়াঙ্কাকে অফিসে ডাকে এবং তাকে এই মার্ডার্স এর দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করে এবং তার জায়গায় সুস্মিতা নামক আরেকজনকে দায়িত্ব দিয়ে দেয়। এর মধ্যে তাদের কাছে খবর আসে যে মন্ত্রীর সঙ্গে দেবিকা মেয়েটির নাকি একটা যোগসূত্র ছিল প্রথম থেকে কিন্তু মন্ত্রী দেবিকার ছবি দেখে বলেছিলো চিনি না। এখানে ভিতরের কলকাঠি নাড়ছে তার বাড়ির আবির বলে লোকটা। এরপর প্রিয়াঙ্কা অফিস থেকে সোজা বাড়ি এসে দেখে যে তার ছেলের সাথে সেই ভিকি এসে গেম খেলছে। আর তার আসাটাও তার কাছে অস্বাভাবিক লাগে।
ভিকির সাথে প্রিয়াঙ্কার দেখা হলে কারণ জিজ্ঞাসা করে আসার, তখন বলে আমি আসলে ভয়ে ভয়ে এসেছি এখানে আর কিছু কথা জানাতে। মূলত আবির নামক ওই লোকটা এখানে দেবিকার সাথে তাদের একটা যোগসূত্র থাকায় তাকে হুমকি দিতে লাগে। তো সবকিছু খুলে বলার পরেও প্রিয়াঙ্কা তার বন্ধুকে বলতে বলে বাকি বিষয়টা কারণ এখন সে এই কেসের দায়িত্বে নেই। এরপর ওর বন্ধু সেই পুলিশ অফিসার সিধ নামক লোকটা তানিয়া মেয়েটির বাড়ির সামনে দাঁড়ায় কারণ তারা খবর পেয়ে গেছিলো যে বাইরে চলে যাওয়ার প্ল্যান করছে। সেখানে তানিয়া মেয়েটি আসতেই প্রিয়াঙ্কার হাসব্যান্ড গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হয় তাকে রিসিভ করার জন্য কারণ আবির নামক লোকটি তাকে পাঠিয়েছিল গাড়ি নিয়ে। এরপর তারা গাড়িতে উঠে যেতে লাগলে সিধও তাদের পিছু নিতে লাগে কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত তারা বেরিয়ে যায় আর ট্রেন চলে আসায় সিধ গাড়ি নিয়ে আটকে যায়। এরপর তার বন্ধু জয়কে বলে ফোন নম্বর ট্রেস করতে কিন্তু নেটওয়ার্ক এর জন্য সেটিও ঠিকভাবে বলতে পারছে না এক্সাক্টলি তারা গাড়িটা নিয়ে কোথায় গেছে, তবে একটা ফ্যাক্টরিতে গেছে সেটা বুঝতে পেরেছিলো। এরপর তানিয়ার কাছ থেকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের গোপন নথিপত্রের ভিডিও রাখা সেই পেনড্রাইভটা নিয়ে নেয়। এরপর আবিরের কথা মতো প্রিয়াঙ্কার হাসব্যান্ড তাকে ছুরি মেরে গাড়িতে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এইবার অর্জুন পর্বে দেখা যায় মন্ত্রী পবিত্র বাবু হঠাৎ করে রাত কিংবা সন্ধ্যার দিকে প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে চলে যায় আর তার সাথে কিছু বিষয় আলোচনা করতে চায় কিন্তু বাড়িতে তার ছেলে থাকায় সে বাইরে কোথাও মিট করে। সেখানে মন্ত্রী বাবু প্রথমে কিছু বিষয় যেমন তার পরিবারের দিয়ে শুরু করে অর্থাৎ তার বাবা, মা কিভাবে মারা গিয়েছিলো। তার বাবাকে একজন গুলি করে মেরেছিলো সেই কথাটাও তার সামনে তুলে ধরে, এইরকম আরো বিভিন্ন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এরপর নকুলের পরে যে অর্জুনের পর্ব সেইটা তাকে মনে করিয়ে দেয় এবং এই অর্জুন কে হতে পারে সেটাও সে জেনে ফেলেছে। এখানে পুনরায় তার সামনে মহাভারতের বিষয়টি তুলে ধরে, কারণ এখানে কে হতে পারে এইটা যদি মহাভারতের অর্জুনের বিষয়টা স্বরণ করা হয় তাহলে জানা যাবে। তো মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ভাবার পরে ভিকির কথা তোলে এবং ওইই অর্জুন অর্থাৎ নেক্সট টার্গেট।
ভিকি রাতের বেলা হোটেলে বসে বসে মদ্য পান করতে লাগে এবং ওইসময় ডোর নক করে একজন অর্থাৎ খুনি। সে খুলে দেখে তার সামনের দেওয়ালে অর্জুনের ছবি আর সেই মন্ত্রী পবিত্র এর ছবি। এরপর খুনি তাকে প্রথমে প্যারালাইসিস করার ইনজেকশন দিয়ে প্যারালাইসিস করে দেয় এবং পরে খুন করে যেটা খুনের পরেরদিন ফরেনসিক ডাক্তার বলে। এরপর সুস্মিতা আর সীড সেখানে আসে এবং সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলেও পারে না কারণ সার্ভার ডাউন থাকার কারণে সব ফুটেজ মিসিং। এখানে অর্জুনের কিসসা খতম হয়ে যায়। এরপর আবির নামক লোকটা শামসুর নামক লোকটাকে টাকার ব্যাগ দিয়ে বলে পবিত্রের বিরুদ্ধে ইলেক্শন করতে কিন্তু সে সাফ বলে দেয় যে না আমি তার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে পারবো না।
❦ব্যক্তিগত মতামত:
এই দুই পর্বে একটা বিষয় বোঝা গেলো যে আবির নামক লোকটা যাবতীয় সব ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত। প্রথম থেকে সবারই সাথে তাদের যোগসূত্র আছে। আর সব থেকে বড়ো কথা এখানে দেবিকা আর তানিয়ার সাথে বেশি কানেক্টেড সবাই। দেবিকা মেয়েটা তাদের ওখানে ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করতো কিন্তু এই কথাটা যখন মন্ত্রী পবিত্রকে জিজ্ঞাসা করে তখন একটা কথা ঘুরিয়ে দেয় যে এতো ভলেন্টিয়ার কিভাবে মনে রাখবো। প্রথমত এখানে পবিত্র বাবুর উপরে যে গুলি চালানো হয় এটাও একটা প্ল্যান ছিল আর এইটা করেছিল আবির লোকটি। তবে এই গুলিটা তার গায় লাগলো না এতো ধারে কাছ থেকে মারার পরেও ফলে এখানেও সন্দেহ আছে। এখানে এখন মূল বিষয় হলো দুর্যোধন টা কে আর শকুনিটা কে। এখন কাহিনীর বিষয়গুলো এখানে বেশ জমে উঠেছে। মূল কালপিট তো এখানে দুর্যোধন আর শকুনি সেজে যে বসে রয়েছে আর এর সাথে মন্ত্রী, আবির আরো যে কেউ ইনভল্ভ থাকতে পারে। কাহিনীগুলো এখন জমজমাট পর্বে আছে। পরের পর্বে দেখা যাক কি হয় এরপরে।
❦ব্যক্তিগত রেটিং:
৯.২/১০
❦ট্রেইলার লিঙ্ক:
পর্বগুলির কাহিনী যতই গভীর হচ্ছে ততই উত্তেজনা ও কাহিনীর বিষয় জানার জন্য আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাচ্ছে দাদা।আমার কাছে মনে হয় আপনার মতো বিস্তারিত কেউ রিভিউ করে না।আপনি খুব সুন্দর ও সহজ করে রিভিউ দেন যেটি আমার কাছে বেশি ভালো লাগে।কাহিনীটি যত্ন করে পড়লে বোঝা যায় এটি মহাভারতের মতোই শুধু আধুনিক করেছে বিষয়গুলি।যেমন তীর-ধনুকের জায়গায় বন্দুক ,পিস্তল ইত্যাদি অস্ত্র।তাছাড়া প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তানিয়া এই খুনের সঙ্গে খুব করে জড়িত।কিন্তু মোড় অন্য দিকে ঘুরে গেছে যেটা আবির লোকটি।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন।
ওয়েব সিরিজ এর মূল মজা হচ্ছে এই কাহিনিগুলো আস্তে আস্তে আকর্ষনের দিকে ধাবিত হয়। বিশেষ করে মহাভারত মার্ডার্স এর ১-৪ পর্যন্ত পড়া হইছে। মনে হচ্ছে আমিও যেনো সিরিজে ঢুকে পড়ছি। আসলে প্রথম থেকে পড়তে পড়তে এই সিরিজের প্রতি একটা ভালোবাসা চলে আসছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেন এই জন্য পড়তে বেশি ভালো লাগে।
এই দুই পর্ব পড়ে আবির নামে লোকটাকে আমার বেশি দোষী মনে হয়েছে। মন্ত্রীকে গুলি করা হলও মেইন টার্গেট ছিলো পবিত্র বাবু। তার উপর গুলির প্লান করেছিলো আবির নামে লোকটি। অন্যকে মস্ত্রীকে যখন দেবিকার ছবি দেখানো হয় তখন সে বলে তাকে চিনে নে। তখনি কিছুটা খটকা বুঝা যায়। অন্য দিকে সুস্মিতা আর সীড সেখানে আসে এবং সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলেও পারে না। কারণ সার্ভার ডাউন থাকার কারণে সব ফুটেজ মিসিং। কাহিনী পুরো জমে উঠেছে।
দাদা অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। আপনি ওয়েব সিরিজটি পার্ট বাই পার্ট সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। পরবর্তী পার্টের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
ওয়েব সিরিজ দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। গত পর্বগুলোর মতো এবারের পর্বটিও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি এই ওয়েবসিরিজ দেখিনি। তবে আপনার লেখা রিভিউ পড়ে এই ওয়েব সিরিজ সম্পর্কে অনেক সুন্দর ধারণা পেয়েছি। প্রত্যেকটি পর্ব আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি আপনার লিখা ওয়েব সিরিজ রিভিউ যখন পড়ছিলাম তখন চোখের সামনে সেই দৃশ্যগুলো ভেসে উঠছিল। আবির এই গল্পের মাস্টারমাইন্ড এটা বোঝাই যাচ্ছে। তবে এখনো অনেকটা রহস্য রয়ে গেছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে রহস্যের জট খুলে যাবে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ওয়েব সিরিজ রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💗💗
যদি মহাভারত এর পুরো কাহিনী স্মরন করি তবে মূলে ছিল শকুনি মামা। শকুনি মামাই তো তার কুট চাল দিয়ে সব কিছু করায়ত্ব করতে চেয়েছিল। যাই হোক মন্ত্রী কে গুলি করাটাতেও এখন সন্দেহ করছে কারন খুবি কাছ থেকে গুলি করার পরও লাগেনি, ঠিক তেমনি পিছনে ফলো করা প্রিয়াঙ্কার আরেক বন্ধু পুলিশ অফিসার যেটা মন্ত্রী নিজেও জানতো তো তারা গুলি করে একজন কে ফেলে দেয় এবং পরে প্রিয়াঙ্কা কে এই কেস থেকে সরিয়ে দেয়। বিষয় টি একেবারে হ য ব র ল । গোল পাকিয়ে গেলো। তারা এক এক করে টার্গেট করে মেরে ফেলেছে বেশ কিছু লোক কে। এ পর্বেও বেশ কিছু লোক মারা গেল। তো দুর্যোধন আর শকুনি কে এটাই এখন জানার বিষয়। দেখা যাক , আগামী পর্বে নিশ্চই জানতে পারবো। ওয়েব সিরিজ গুলো আমার খুবি ভাল লাগে কিন্তু যেগুলো ফ্রি পাই সেগুলো দেখি ।আমি পেইড গুলো কিনতে চাচ্ছি কিন্তু কেন জানি না মিলাতে পারি না এই হইচই প্লাটফর্ম কে বাংলাদেশ থেকে। যাহোক দাদা ভাল থাকবেন শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।
দাদা আমার আজ কেন জানি মনে হয়েছিল আপনি এই মহাভারত মার্ডার্স ওয়েব সিরিজের পরের পর্ব শেয়ার করবেন।ঠিক তাই দেখলাম।আসলেই দাদা প্রথমে বুঝতেই পারেনি যে আবির নামক লোকটি যাবতীয় ষড়যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত। আসলে এই ধরনের ওয়েব সিরিজে যখন ষড়যন্ত্রের মূল হোতা খুঁজে পাওয়া যায় তখন ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং হয়ে ওঠে। আর এখানে মূল বিষয় হলো দুর্যোধন টা কে আর শকুনি টাকে। আসলে এই ব্যাপারে আমারও খুব জানার আগ্রহ। কাহিনী বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে পরবর্তী আকর্ষণ রয়ে গেল। দাদা পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। আপনাকে ধন্যবাদ এই দুই পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা এর আগের পর্ব গুলো পড়ে আমি মনে করেছিলাম মন্ত্রীমশাই মারা গিয়েছে কিন্তু এই পর্ব পরে বুঝতে পারলাম গুলিটা প্ল্যান করে করা তার জন্য পাশ দিয়ে ঘেঁষে চলে গেছে। আবির লোকটি এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত হতে পারে সেটি প্রথমে একটু মনে হয়েছিল কিন্তু আমার কাছে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে দুর্যোধন টা কে আর শকুনি টা কে । দেবিকা ও তানিয়া নামক মেয়েটির মন্ত্রী মশাইয়ের সাথে জড়িত আছে সেটি প্রথমে আমি বুঝতে পেরেছিলাম। এখনো মন্ত্রী মশাইয়ের সবকিছু সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হয়নি তার জন্য খুনির তালিকা থেকে মন্ত্রী মশাই কেও বাদ দেওয়া যায় না। আমার কাছে প্রিয়ঙ্কাকে মার্ডার্স এর দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার বিষয়টি ভালো লাগেনি। প্রিয়াঙ্কা অনেক তথ্য জেনে গিয়েছিল হয়তো সে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি খুনিদের ধরে ফেলতে পারতো। ঠিক বলেছেন দাদা কাহিনী এখন জমজমাট পর্বে চলে এসেছে যে কোন সময় যে কেউ শকুনি রূপে ধরা পড়তে পারে। দাদা পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
দাদা আজকের পর্ব আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। রিভিউটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। গত পর্ব দেখতে পেলাম মন্ত্রী উপযোগ গুলি চালিয়েছিল এবং অনেকটা আশায় ছিলাম যে কি হবে আগামী পর্বে। তো আজকেন পর্বে পড়ে অনেক ভালো লাগলো, কারণ গুলিটা মন্ত্রীর গায়ে সরাসরি লাগেনি, অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে গেছে। এটা জেনে ভাল লাগলো। তবে এটা জেনে খারাপ লাগলো যে আবির নামক ছেলেটা সকল ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত ছিল, যার কারণে এই ঝড় যন্ত্র গুলো হচ্ছিল।আসলে দাদা আপনি ওয়েব সিরিজ গুলো খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করছেন, আর আপনার রিভিউ পড়ে ওয়েব সিরিজটা দেখতেও বেশি ভালো লাগে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওয়েব সিরিজ গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে।একেনবাবু সিরিজের প্রায় সবগুলোই দেখেছি।
আর প্রিয়াংকা সরকার অভিনীত হ্যালো ওয়েব সিরিজটির একটু দেখেছিলাম।
আপনার রিভিউ করা সিরিজটি আমি এখনো দেখি নাই।স্টোরি ভালোই লাগলো।ইনশাল্লাহ দেখবো।
শুভ কামনা রইলো 🥰
দাদা প্রথমেই বলি আমার এই ধরনের গল্প মিশ্রিত সিরিজ গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনার এই সিরিজের সবগুলো পর্ব আমি পড়েছি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ।আমি যখন পড়তে ছিলাম মনে হচ্ছিল আমার চোখের সামনে ঘটনাগুলো ঘটছে। তবে আমি কিন্তু আবিরকে প্রথম থেকে ধারণা করেছিলাম যে আবির এর ভিতরে কোন ঝামেলা আছে। দেবিকার সাথে তানিয়া নামের মেয়েটা যুক্ত থাকতে পারে তাও একটু আন্দাজ করেছিলাম। দেবিকা মেয়ের সাথে মন্ত্রীমশাই ঘনিষ্ঠতা ছিল এবং তার সকল কাজের খবর মন্ত্রী জানতো। কিন্তু নিজেকে বাঁচানোর জন্য এই ঘটনাগুলো সাথে এড়িয়ে চলার জন্য তিনি দেবিকাকে অস্বীকার করেছেন। আপনার রিভিউগুলো আমার খুবই ভালো লাগে দাদা আপনি খুব সুন্দর খুব দারুণ একটি সিরিজ এর রিভিউ আমাদের মাজেদ পর্ব আকারে উপস্থাপন করেছেন। তবে আমার সবথেকে যে বিষয়টি ভালো লাগে আপনি খুব নিখুঁতভাবে চরিত্রগুলোকে আমাদের মাঝে এমন ভাবে ফুটিয়ে তোলেন যেন মনে হয় আর দেখার দরকার নেই। যাইহোক এত সুন্দর একটি ওয়েব সিরিজ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার ওয়েব সিরিজটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। যখন আমি পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছে আমার চোখের সামনে সব ঘটনাগুলো ভাসছে আপনি এত সুন্দর করে ওয়েব সিরিজটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আবির নামের লোকটা যেসব ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত তা আপনার এই দুই পর্বে পরে বুঝতে পারলাম। আসলে ষড়যন্ত্রের মূল কে সেটা যদি জানা যায় তাহলে ওয়েব সিরিজ গুলো আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। সত্যি ভাইয়া খুব সুন্দর একটি ওয়েব সিরিজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মনে হচ্ছে সামনের পর্বগুলো জমজমাট হয়ে উঠবে। সামনের পর্ব গুলোর অপেক্ষায় রইলাম।