সিম্পিল গাজর এবং বিটকপি দিয়ে তৈরি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা সাধারণভাবে করা, বলা যায় নিরামিষ এর মতো করা। এটি নরমালি গাজর আর বিটকপি দিয়ে করেছিলাম। বিটকপিগুলো এখনকার, তবে কপিগুলো লাল ছিল ভালো ভিতরের দিকে। বিটকপি যদিও এখন গরমের সময়ে তেমন ভালো লাগে না, তবে মাঝে মাঝে এইসব সবজিগুলো দেখলেই খেতে মন চায়, না চাইলেও অনেক সময় কিনে আনি খাওয়ার ইচ্ছা হলে। তবে গাজরটা সবসময় আমার কেনা হয়ে, কারণ গাজরটা আমি শসার সাথে প্রতিদিন সালাদ হিসেবে খাই। গাজর আমার কাছে ভাজার থেকে কাঁচাই অনেক ভালো লাগে, ভাজা তেমন করা হয় না মাঝে মধ্যে ছাড়া, ভাজলে মিষ্টি মিষ্টি লাগে আমার কাছে কেমন যেন। তবে ভাজার থেকে কাঁচা খাওয়ায় যেমন ভালো লাগে, তেমনি আবার উপকারিতাও ভালো পাওয়া যায়। গাজরের মধ্যে থাকা ক্যারোটিন এবং ভিটামিনগুলো অনেক ভালো উপকারে আসে আমাদের। কাঁচা গাজর খাওয়া অনেক স্বাস্থসম্মত। এছাড়া এর পাশাপাশি বিটকপিরও নানান গুনাগুন আছে, যেগুলো বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়। বিটকপি কিন্তু খাওয়ার পাশাপাশি অনেক কিছু উপাদান সামগ্রী তৈরি হয়, যেমন একধরণের জুসও কিন্তু এর থেকে তৈরি হয়, আর এই জুসের থেকে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় শুনেছি। তবে যাইহোক, এইগুলো অনেক স্বাস্থসম্মত খাবারের পাশাপাশি অনেক উপকারী সমৃদ্ধ। এখন এই ভাজি রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম তার ধাপসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো ----
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
❖গাজর তিনটির খোসা হালকা করে ফেলে দিয়ে কেটে কুচি করে নেওয়ার পরে একবার ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর বিটকপি তিনটির থেকে খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে কুচি করে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ তিনটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে কুচি করে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলোও কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖একটি কড়াইতে তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে পেঁয়াজ কুচিটা দিয়ে দিয়েছিলাম সাথে। এরপর সবগুলো ভালো করে নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖ভেজে নেওয়ার পরে তাতে কেটে-ধুয়ে রাখা বিটকপি দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে গাজর কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে লঙ্কাগুলো দিয়ে স্বাদ মতো একটু লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖এরপর সবজির সাথে সবকিছু একবার উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর সেদ্ধ হয়ে আসার জন্য অল্প একটু জল দিয়ে ঢেকে দিয়ে রেখেছিলাম।
❖সেদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনা সরিয়ে নিয়েছিলাম এবং আরো কিছুক্ষন ধরে ধরে নেড়েচেড়ে দিয়েছিলাম ভাজাটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য।
❖ভাজাটা আমার পরিপূর্ণভাবে হয়ে আসলে জ্বাল নিভিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনার মতো আমি ও গাজর খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আসলে গাজর আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাইতো ডাক্তার ও বেশিরভাগ সময় বলে থাকে গাজর খাওয়ার জন্য। আর আমি বেশিরভাগ সময়ই গাজর খাওয়ার চেষ্টা করি, কারণ এটি খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি বিট কপি দিয়ে গাজর তৈরি করেছেন এই রেসিপিটা কিন্তু অনেক বেশি অনেক লেগেছে। আমি তো ভাবছি বাজার থেকে গাজর এবং বিট কফি নিয়ে আসবো এবং এই রেসিপিটা তৈরি করার জন্য বলব। এই খাবারগুলো কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত ও বটে। মজাদার এই রেসিপিটা তৈরি করে মনে হয় খুবই মজা করে খেয়েছিলেন দাদা। সব মিলিয়ে এত সুন্দর করে ধাপে ধাপে সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালোই লেগেছে। দাদা আমি তো চেষ্টা করব এই রেসিপিটা খাওয়ার। কারণ আপনার রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে এটি দেখে আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। সেই সাথে অনেক বেশি লোভও লেগে গিয়েছে এটা না বলে পারলাম না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সিম্পিল গাজর এবং বিটকপি দিয়ে তৈরি রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি পরিবেশন ও অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর এবং মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সিম্পিল গাজর এবং বিটকপি দিয়ে তৈরি রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সিম্পল গাজর এবং বিটকপি দিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন। দাদা আমাদের শরীরের জন্য নিরামিষ তরকারি খুবই উপকারী। আপনি গাজর এবং বিটকপি যেভাবে ছোট ছোট করে কেটেছেন এরপর একত্র করেছেন এটা দেখে মনে ইচ্ছা হচ্ছে কাচা খেয়েনি। তবে এভাবে ভেজে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনি গাজর এবং শসা সালাদ হিসেবে প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকেন এটা আমিও করে থাকি বাড়িতে। যেকোনো কিছুর তরকারির সাথে শসা অথবা গাজর সালাদ হিসেবে খেতে আসলেই ভালো লাগে। আপনি খুব চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এভাবে গাজর এবং বিট কফি দিয়ে রেসিপি তৈরি করে আগে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। তবে আপনার রেসিপির মাধ্যমে দেখে ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে নিতে। আপনি অনেক সিম্পল ভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন যা দেখেই বুঝতে পারছি। আসলেই এটা কিন্তু সত্যি গাজর আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আর বিট কফি ও আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। যদিও গাজর আমার খুবই কম খাওয়া হয় তবে মাঝে মাঝে খেতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু গাজর ভাজা করে আমি কখনোই খেয়ে দেখিনি। খুব সহজেই কিন্তু আপনার রেসিপিটার মাধ্যমে এই রেসিপিটার কথা জানতে পেরেছি। আপনি কিন্তু সব সময় অনেক ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেন, আর আপনার রেসিপি গুলো দেখে নতুন নতুন রেসিপি শিখতে পারি। এই রেসিপিটা দেখেও খুব ভালো লেগেছে দাদা।
দাদা বিটকপি শীতের সময় পাওয়া যায়। তবে আমি পছন্দ করিনা।আসলে অনেককেই কাঁচা খেতে দেখি আর খেলে পর মুখ লাল হয়ে যায়। কেন জানি দেখতে ভালো লাগে না।তবে আপনি কুচি করে গাজরের সাথে ভাজি করে নিলেন।এটা খেতে ভীষণ ভালো লাগবে আশাকরি।আর আপনি এর অনেক গুনের কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। খুব দরকারী সবজি বুঝলাম।স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমাদের আসলে খাওয়া উচিত।অনেক ধন্যবাদ দাদা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
গাজর জীবনে অনেক খেয়েছি কিন্তু কখনো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি। আজ আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে গাজর খাওয়ার একটি প্রক্রিয়া তৈরি করে দেখেছেন যেখানে দেখলাম রেসিপিটা একদম প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে শেষ পর্যন্ত তৈরি করে দেখিয়েছেন। আশা করি আপনার এই রেসিপি ছিল অনেক সুস্বাদু
দাদা গাজর আর বিটকপির সমন্বয়ে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। গাজরের বিষয়ে আপনি যে মতামত গুলো প্রকাশ করেছে সে গুলো আমার সাথে শতভাগ মিলে গেছে। কারন আমিও প্রচুর গাজর খায়। রান্না করার থেকে কাচাঁই বেশি মজা লাগে। এখন অবশ্য গাজরের সিজন না তাই বাজারে তেমন পাওয়া যায় না। বিটকপিও মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। তবে খুব কম খাওয়া হয়। বিটকপি দেওয়ার কারনে কালারটি ম্যাজেন্ডা কালার ধারুন করেছে। ধন্যবাদ দাদা।
বিটকপি আমি কখনোই খাইনি। কেনো জানি খেতে রুচি হয়নি কখনো। তবে গাজর প্রায়ই খাওয়া হয়। আপনার মতো আমারও কাঁচা গাজর খেতে খুব ভালো লাগে দাদা। তবে রান্না করলে খেতে তেমন ভালো লাগে না। যাইহোক রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। গরম গরম রুটি কিংবা ভাতের সাথে এই রেসিপিটা খেতে দারুণ লাগবে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।