শ্রী কৃষ্ণের ছোটবেলার দৃশ্য অঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
সপ্তাহ শেষে আপনাদের সামনে আবার একটি নতুন অঙ্কন নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি শ্রী কৃষ্ণের ছোটবেলার দৃশ্য অঙ্কন করেছি। আজকে একটু তাড়াতাড়িই ঘুমিয়েছিলাম কিন্তু ভোরবেলাই ঘুমটা ভেঙে গেছিলো হঠাৎ করে, তো শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষন ধরে ভাবছিলাম আজকে কি অঙ্কন করা যায় সেটাতো ভাবিনি। এখন সেই ভাবতে ভাবতে ওয়াল এর দিকে চোখ চলে গেলো এবং সেখানে একটা কৃষ্ণের ছবি টানানো ছিল, তখন কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ভাবলাম কিছু মাথায় আসছে না যখন তাহলে এক কাজ করি শ্রী কৃষ্ণের ছোটবেলার দৃশ্য অঙ্কন করার চেষ্টা করি। তখন ব্যাস সব বিষয়গুলো নিয়ে বসে গেলাম। এখানে আসলে আমি যে বিষয়টা ফুটিয়ে তুলেছি সেটি হলো শ্রী কৃষ্ণের ছোটবেলার মাখন চুরি করে খাওয়ার দৃশ্যটা। কতটা কি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি জানিনা কিন্তু চেষ্টা করেছি যতদূর সম্ভব। আশা করি আপনাদের কাছে আজকের এই অঙ্কনটি ভালো লাগবে।
✠উপকরণ:✠
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---
➤প্রথম ধাপে আমি সম্পূর্ণ মুখমন্ডল অঙ্কন করে নিয়েছিলাম। এরপর গলার দিকটা হালকা অঙ্কন করে দুটি হাত অঙ্কন করে দিয়েছিলাম যার মধ্যে একটি দেখিয়েছি যে মাখন তুলে গালে দিতে যাচ্ছে। একটি হাতের বাহুতে পোশাকের মতো দেখতে একটা শেপ দিয়ে রেখেছিলাম। এরপর ঘাড়ের দিক থেকে পিঠের দিকে হালকা টেনে দিয়েছিলাম।
➤দ্বিতীয় ধাপে ঘাড়ের থেকে যে পিঠের দিকে টেনে রেখেছিলাম সেখান থেকে টেনে কোমরের অংশ পর্যন্ত অঙ্কন করে নিয়েছিলাম। এরপর বডির দিকটা অঙ্কন করে নিয়েছিলাম।
➤তৃতীয় ধাপে কোমরের অংশ থেকে টেনে সামনের দিকে পায়ের কিছুটা অংশ অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং সাথে হাঁটুর উপরে ধুতির মতো অংশ আছে এমনটা অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
➤চতুর্থ ধাপে পায়ের কিছু অংশ অঙ্কন করে রাখার থেকে টেনে পায়ের পাতা পর্যন্ত অঙ্কন করে সম্পন্ন করে দিয়েছিলাম। এরপর আরেকটি পা গুটিয়ে নিচের দিকে আছে এমনটা দেখিয়েছিলাম অঙ্কন করে।
➤পঞ্চম ধাপে একটা বাঁশুরি মতো অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর একটি হাড়ি মতো দেখতে অঙ্কন করেছিলাম। এরপর হাড়িতে মাখন মতো আছে এমনটা অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
➤ষষ্ঠ ধাপে অঙ্কনের সব বিষয়গুলোকে আরেকটু গাঢ়ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম। এরপর মাথার দিকে বাকি থাকা জায়গায় চুল অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং পিছন দিকে ছোট করে ময়ূরের পালকের মতো দেখতে অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর আরো একটি মাখনে ভর্তি বড়ো হাড়ি অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
➤সপ্তম ধাপে মাথার দিকে চুলের অংশটা এবং পালকের মতো দেখতে অংশটা কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর সম্পূর্ণ মুখের দিকের অংশটা কালার করে দিয়েছিলাম।
➤অষ্টম ধাপে দুটি হাত এবং বডির দিকে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤নবম ধাপে কোমরের অংশ এবং পায়ের দিকে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ধুতিতে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤দশম ধাপে বাঁশুরি এবং মাখনে ভর্তি হাড়ি দুটিতে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤একাদশ ধাপে শ্রী কৃষ্ণের চারিপাশ দিয়ে রশনি মতো বোঝাতে একটু পেন্সিল এর কালী দিয়ে হালকা করে টেনে দিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শ্রী কৃষ্ণের ছোট বেলার ছবিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে দাদা আপনার আর্ট দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। সারা দিন বাইরে ছিলাম এসেই আপনার আর্ট দেখে মনটা ভরে গেলো। প্রতি বৃহস্পতিবার আপনার আর্ট দেখে খুবই ভালো লাগে। সবাই আগ্রহে থাকে আপনার আর্টের।
আপনি খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে শ্রী কৃষ্ণের আর্ট করেছেন। আর রং করার পর আরো আকর্ষনীয় লাগছে। বিশেষ করে ড্রেসের কালার খুব সুন্দর লাগছে। আমার একটা প্রশ্ন জাগে মনে, সেইটা হচ্ছে, শ্রী কৃষ্ণের গায়ের রং নীল হয় কেন? এটার কোনো বিশেষ কারণ আছে দাদা? তবে যাইহোক, আমার কাছে আজকের আর্ট অসাধারণ লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দাদা। ভালোবাসা অবিরাম। 💕💕
দাদা ,ননীচোরকে একেছেন।দারুণ হয়েছে।তবে মনে হচ্ছে বালক শ্রীকৃষ্ণ ননী চুরি করে খেতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিল।আর মা খুব করে বকা দিয়েছে তাই মন খারাপ হয়ে গেছে।ছবিটিতে এইরকম বিষয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।বালক শ্রীকৃষ্ণ এর চেহারায় প্রকাশ পাচ্ছে মন খারাপের প্রতিচ্ছবি।
আমার কাছে বালক শ্রীকৃষ্ণ খুবই ভালো লাগে।আমার মনে হয় সকল হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে বালক শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত প্রিয়।যার লীলা বড়ই বিচিত্র।আর আপনার অঙ্কন অসাধারণ👌 দাদা,আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।
শ্রীকৃষ্ণের মাখন চুরি করে খাওয়ার দৃশ্য অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন দাদা। দাদা আপনি একদম প্রফেশনাল চিত্রশিল্পীর মতোই এই চিত্রটি অঙ্কন করেছেন। আসলে আপনার চিন্তাধারা এবং দক্ষতা এতোই নিখুঁত যে একটি ছবি দেখেই এত সুন্দর চিত্র অঙ্কন করে ফেলেছেন। সত্যি দাদা আপনার প্রশংসা করার ভাষা আমার নেই। তবে এতটুকুই বলতে চাই আপনি একজন দক্ষ চিত্রশিল্পী। আপনার মনের আবেগ দিয়ে নিখুঁত এই চিত্রকর্ম তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।♥️♥️♥️♥️♥️
দাদা সপ্তাহ শেষে আপনার শ্রী কৃষ্ণের ছোটবেলার দৃশ্য অঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক টি খুবই ভালো লাগলো কারন আপনি সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার খুবই চমৎকার অংকন নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়ে থাকেন আর আমিও অপেক্ষায় থাকি সুন্দর একটি আর্ট দেখার জন্য।
♥♥
শ্রীকৃষ্ণ আর্টের প্রতিটি ধাপ আপনি খুবই সুন্দর চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে।আর রঙের মিশ্রণ টি ছিল খুবই সুন্দর।লাল নীল কমলা সবুজ আর হলুদ রংয়ের বাঁশি।এ যেন চমৎকার রংয়ের কারুকাজ।সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে আপনার শ্রী কৃষ্ণের আর্টটি।অনেক অনেক ধন্যবাদ।♥
মাখন চুরির দায়ে শ্রী কৃষ্ণ কত যে মার খেয়েছে মায়ের হাতে। কত যে নালিশ শুনতে হয়েছে শ্রী কৃষ্ণের দুষ্টমির কারনে। সত্যি শ্রী কৃষ্ণের লীলা বোঝা বড়ই দায়। দারুন চিত্রাংকন করেছেন সব থেকে যেটি চোখে পড়ার মতন সেটি হল শ্রী কৃষ্ণ ঠাকুরের গায়ের নীলাভো রং । সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন শ্রী কৃষ্ণের ছবি টিকে। আমার কাছে খুবি ভাল লেগেছে। ছবিটিকে বাধিয়ে আবারো দেয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখলে দারুন হবে। ভাল থাকবেন দাদা । শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।
শ্রীকৃষ্ণ ছোটবেলা দৃশ্য অংকন অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা । আপনি নিখুঁত হাতে শ্রীকৃষ্ণের চিত্র অংকন সম্পন্ন করেছেন। আপনার প্রতিটি আর্ট আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর চিত্র অংকন আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল
চিন্তা করলেন আর ছবি এঁকে ফেললেন, শুনতে কতইনা সহজ মনে হচ্ছে কিন্তু যারা ড্রইং করতে পারে না তাদের কাছে ব্যাপারটা বেশ কঠিন। আমি রং তুলি কিনে এনে ছবি আঁকা শুরু করেছিলাম কিন্তু মাঠে নামতেই দেখি ব্যাপারটা যেমন ভেবেছিলাম তেমন নয়। শ্রী কৃষ্ণের মাখন চুরি করার দৃশ্য সিনেমায় বেশ কয়েকবার দেখেছি। প্রথমে পেন্সিল দিয়ে স্কেচ করে নেয়া তারপর আস্তে আস্তে সেটাকে রং এ রঞ্জিত করা ছবি আঁকার জন্য দারুন একটা পদ্ধতি। এভাবে চেষ্টা করলে হয়তো আমিও আপনার আঁকা দেখে দেখে একে ফেলতে পারবো। সত্যি বলতে কি চমৎকার আকার দক্ষতা আপনার। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ দাদা👍❤️
আসলে দাদা আপনার প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। আজকে আপনি ঘুম থেকে উঠেই শুয়ে শুয়ে ভাবতে ছিলেন কি পোস্ট করবেন।ভাবতে ভাবতে যখন দেওয়ালে আপনার চোখ পড়ল, তখন আপনি শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার ছবি দেখতে পেলেন এবং তখনই আপনার মাথায় আসলো এই চিত্রটি আপনি অঙ্কন করবেন। সত্যিই যেই ভাবনা চলে আসলো, তখনই আপনি চিত্র অঙ্কন করতে বসে পড়লেন এবং এত সুন্দর ভাবে চিত্র অঙ্কন করেছেন, আপনার দেওয়ালের ছবি সাথে হুবহু আমার মনে হচ্ছে মিলে গেছে। সত্যিই আপনার দক্ষতার যত দেখছি ততোই ভালো লাগছে। বিশেষ করে আপনার চিত্র অংকন গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আজকে খুবই সুন্দর একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন। চিত্র অংকনের উপস্থাপন আমার বেশি ভাল লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, আমাদের মাঝে চিত্রটি শেয়ার করার।
দাদা আপনি সবসময় সব দারুন চিত্রাংকন আমাদের মাঝে উপহার দেন। আর আপনার আইডিয়া কতটা ভালো সেটা আজ বুঝতে পারলাম। ঘুম থেকে উঠে একটি চিত্র দেখেই যে এঁকে ফেলতে পারে তার ভেতরে একটা
প্রতিভা আছে। আপনাদের শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারণা নেই। তবে কোথাও না কোথাও শ্রীকৃষ্ণের ছবি দেখেছি। ছোটবেলার ছবি কখনো দেখিনি। আপনি কি অদ্ভুত সুন্দর ভাবে চুরি করে খাওয়ার দৃশ্য এঁকেছেন। মনে হচ্ছে সে ভয়ে ভয়ে আছে কেউ তাকে দেখে ফেলবে। আর সেটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন আপনার চিত্রাংকনের মাধ্যমে। সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে দাদা অসাধারণ।
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে মাথা ঠান্ডা থাকে আর যদি সারা রাত ভালো ঘুম হয় তাহলে মনও ভালো থাকে। ভোরবেলা আপনি শুয়ে শুয়ে দেয়ালে শ্রী-কৃষ্ণের ছবি দেখে ভাবতে ভাবতে খুব সুন্দর আর্ট করে নিয়েছেন। শ্রী কৃষ্ণের ছোটবেলার মাখন চুরি করে খাওয়ার দৃশ্যটা আমি টিভি সিরিয়ালে দেখেছিলাম। শ্রী কৃষ্ণ সম্পর্কে তেমন বেশি কিছু জানিনা তবে সিরিয়ালে এই কাহিনী দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। দাদা আপনার এই আর্টের মধ্যে সেই দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছোট বাচ্চাদের দেখলে এমনেতেই অনেক ভালো লাগে তার মধ্যে শ্রী কৃষ্ণের গায়ের রং নীল বলে আরো ভালো লাগে।দাদা মাঝে মাঝে জানার জন্য কৌতুহল জাগে শ্রী কৃষ্ণের গায়ের রং নীল কেন? বাঁশুরি এবং মাখনে ভর্তি হাড়ি দুটির কালার একদম সিরিয়ালে যেমন দেখেছি ঠিক ওরকম হয়েছে। দাদা আপনার এই ছবি আগের ছবির সাথে টানিয়ে রাখেন দেখতে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ দাদা।