টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - Icing Conditions ( ত্রয়োদশ পর্ব -সিজন ২)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের ত্রয়োদশ পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্ব রিভিউ দেব। আমি ভেবেছি এই সিজনটা রিভিউ দেওয়ার পরে এই সিরিজটার আর রিভিউ দেব না, কারণ এর এখনো আরো দুটো সিজন আছে এবং পর্ব অনেকগুলো। ফলে এই সিরিজ একটা বিশাল লম্বা কাহিনী নিয়ে তৈরি করা, তাই এই সিরিজের আর রিভিউ দেওয়া সম্ভব না। তবে এই সিরিজটা কিন্তু খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, আপনারা বাকি দুটো সিজন দেখতে চাইলে দেখে নিতে পারেন সময় করে। যাইহোক আজকের এই সিজনের অন্তিম পর্বের নাম হলো "Icing Conditions". আগের পর্বের লাস্টে দেখা গিয়েছিলো যে তিন অপরাধী পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে এসে জ্যাককে কিডন্যাপ করে নেয়। আজকে কি ঘটে দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂

সিরিজটির নাম
ম্যানিফেস্ট
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
Icing Conditions
পরিচালকের নাম
জেফ রেক
অভিনয়
মেলিসা রক্সবার্গ, জোশ ডালাস, জে.আর. রামিরেজ, লুনা ব্লেইস, পারভীন কৌর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩০ জুলাই ২০১৯ ( ইউনাইটেড কিংডম )
সময়
৪২ মিনিট ( ত্রয়োদশ পর্ব -সিজন ২ )
ভাষা
ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


❆মূল কাহিনী:❆


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

শুরুতে দেখা যায় কাহিনীটা যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকে শুরু হয়েছে অর্থাৎ মেলিসা আর জেক তাদের হানিমুনে যাওয়া ক্যানসেল করে ফিরে আবার বাড়িতে চলে আসে এবং এই বিষয়টা জোশ আর এথেনাকে জানায়। এই ঘটনা শোনার পরে জ্যাক এর বাবা, মা তো ভীষণ টেনশনে পড়ে যায় আর ছটপট করার মতো করতে লাগে যেন। মেলিসার কোনো কথাই এথেনা শুনতে চায় না, জ্যাককে ফিরিয়ে এনে দিতেই হবে বলে দাবি করে। কিন্তু অপরাধীরা জ্যাককে নিয়ে কোথায় গেছে বা তাদের গুপ্তস্থান কোথায় সেটা জানা নেই, কারণ তারা শুধু ফোন করে জানিয়েছে বিষয়টা। এদিকে জেক এর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে আসে কারণ জেকের মৃত্যুর তারিখ আগামীকাল ধার্য করা তাই অলিভ এবং মেলিসাও এইটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। এদিকে পারভীন ড্যারিল এর সাথে যোগাযোগ করে 'এলেন' নামক এক মহিলার সাথে দেখা করতে যায় কারণ ওই মহিলাই গভমেন্ট এর একজন সরকারি অফিসার পদে নিযুক্ত, ফলে এই মহিলাই তার মেডিকেল লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেছে। তাই এই বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলতে চায় এবং পারভীন তার কাছে রিকোয়েস্ট করে আর তাড়াহুড়ো লাগায় জেককে বাঁচানোর জন্য, কারণ সে জানে জেকের ডেথ ডেট কালকেই তাই তার শরীরে জেনেটিক মিউটেশন এর পরিবর্তন ঘটানো খুব জরুরি। কিন্তু ওই মহিলাটি পারভীনের কথার গুরুত্ব না দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর মেলিসা রামিরেজ আর আরেকজন অফিসারকে এই কিডন্যাপের বিষয়টা জানায় এবং তারপর তারা দুইজন মেলিসার সাথে জোশের বাড়িতে আসে আর তারা একটা প্ল্যান করে যে অপরাধীদের কথা মতো টাকার ব্যাগ আর আমরা যার যার পসিশন নিয়ে যাবো।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

রামিরেজ এর কথামতো মেলিসা আর জোশ টাকার ব্যাগ নিয়ে আলাদা যায় এবং রামিরেজ আর একজন অফিসার দূরে অন্যজায়গা থেকে দূরবীন দিয়ে তাদের উপর আর অপরাধীদের উপর নজর রাখছে আর ইনফর্মেশনগুলো জোশকে জানাতে থাকে। অপরাধীরাও তাদের নিজেদের মতো একজন আরেকজনের টাসে থাকে। জ্যাককে নিয়ে দুইজন জোশের সামনে আসে এবং অন্য আরেকজনকে অন্যদিকে পাঠিয়ে দেয় তাদের উপরে নজর রাখার জন্য। কিন্তু কিভাবে এদের প্ল্যানটা টের পেয়ে যায় আর বলার সাথে সাথে জ্যাককে নিয়ে আবার পালিয়ে চলে যায় সেখান থেকে। জোশ এইটা নিয়ে মেলিসার উপরে ভীষণ রাগারাগি করে কারণ জোশ এইটা করতে মানা করেছিল। যাইহোক এরপর অপরাধীরা জ্যাককে নিয়ে সম্ভবত একটা জঙ্গল মতো জায়গা বা বরফে আচ্ছন্ন এমন একটা জায়গায় নিয়ে যায়। তবে ওই অপরাধীদের মধ্যে দুই ভাই আছে যার মধ্যে একজনের মন একটু ভালো, কারণ জ্যাক ঠান্ডায় কাঁপতে লাগলে লোকটা নিজের গায়ের জ্যাকেট খুলে তাকে দেয় আর জ্যাক লোকটার কাছে দাবি করে যে আমি বাড়িতে আমার বোনের কাছে একটা মেসেজ দেব যে আমি ঠিক আছি। লোকটাও রাজি হয়ে যায় এবং তাকে ফোনটা দিলে সবকিছু লেখে ঠিক কিন্তু চালাকি করে মেসেজ এর মধ্যে dogu সেন্টেন্স ব্যাহার করে যার অর্থ একটা সংকেত ছিল তাদের জন্য। এদিকে জেক মেলিসাকে বলে আমি দেখতে পেয়েছি জ্যাক কোথায় আছে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

ওই মেসেজ আর জেকের কথা শুনে তারা সেইটা জানার চেষ্টা করে অর্থাৎ dogu কথাটার মানে কি বোঝাতে চাচ্ছে। এরপর সেখানে এই প্লানের সাথে রামিরেজ আর তাদের একজন বিশ্বস্ত অফিসারকে সামিল করে। এরপর যেহেতু তারা ধারণা করেছে এবং খুবই আশাবাদী যে জ্যাক কোনো বরফে আচ্ছন্ন খুবই শীতলতম জায়গায় আছে তাই তারা জ্যাকেট পড়ে সেখানে যাওয়ার চিন্তা করে কিন্তু জেককে যেতে মানা করে কিন্তু জেক বলে আমি তো আর বেশিক্ষন বাঁচবো না তাই সবার সাথে থেকে একটু শেষ সাহায্যটা করতে চাই। এদিকে ড্যারিল পারভীনকে তার কোনো একটা গুপ্ত ল্যাবে নিয়ে আসে এবং পারভীন জেকের বিষয়ে কম্পিউটারে চেক করে দেখে যে জেকের জীবন আর মাত্র ৬ দিন ১২ ঘন্টা আছে। এরপর দেখা যায় যে জোশ, মেলিসা আর জেক গাড়িতে করে সেই স্থানে এর দিকে রওনা দেয় এবং কিছু পথ যাওয়ার পরে রোড বন্ধ পায় অর্থাৎ গাড়িতে করে সামনে আর যাওয়া যাবে না। এরপর তারা হেঁটে যাওয়ার চিন্তা করে কিন্তু জেক শারীরিকভাবে খুব অসুস্থতা বোধ করে তাই তাকে গাড়িতে রেখে যায়। এদিকে বাকি অফিসাররাও জোশের বাড়িতে আসে এবং তাদের হেডও জানেনা তার অফিসাররা কি করছে। এদিকে 'এলেন' নামক সেই মহিলার পিছু পিছু নিতে নিতে পারভীন তার সামনে যায় এবং জেকের মৃত্যুর রহস্যও ওই মহিলা জানতো কিন্তু হঠাৎ করে কথা বলতে বলতে মহিলাটির কাশি শুরু হয় আর কিছুক্ষনের মধ্যে মারা যায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জোশ আর মেলিসা গাড়ির থেকে সামনে হাঁটতে থাকে এবং যেতে যেতে রাত হয়ে যায়। এদিকে জেক হঠাৎ গাড়ির থেকে বেরিয়ে সামনে যেতে লাগে কিন্তু সে এতটাই দুর্বল ছিল যে পড়ে যায় যেতে গিয়ে কিন্তু ওঠার মতো শক্তি সে আর পাচ্ছিলো না। এরপর ফোনের লাইট জ্বালিয়ে দুইজন যেতে লাগলে বদমায়েশ লোকগুলো দেখে ফেলে আর তারা তাড়াহুড়ো লাগিয়ে দেয় সেখান থেকে পালানোর জন্য। আর জ্যাককে মেরে ফেলার চিন্তা করে কিন্তু তার বাকি দুই সাথী মানা করে এটা করতে, কিন্তু একজন শুনতেই চায় না, ফলে তাদের মধ্যে এই নিয়ে আবার ঝামেলা হয়। জ্যাক বিষয়টা শুনতে পায় যে তাকে মেরে ফেলার চিন্তা করছে এরা, তখন জ্যাক সুযোগ বুঝে সেখান থেকে হাতের বাঁধনটা খুলে পালায় এবং বদমায়েশ লোকগুলোও তার পিছু পিছু দৌড়াতে থাকে। আর এদিকে জেক অনেক কষ্ট করে উঠে দাঁড়ায় আর সে জানে যে জ্যাক কোথায় আসতে পারে, তাই সে সোজা সেখানে যেতে লাগে। জ্যাক দৌড়াতে দৌড়াতে একটা লেক বা সমুদ্র যাইহোক সেখানে যায় কিন্তু সেখানে এতটাই ঠান্ডা ছিল যে জল সব বরফ হয়ে এঁটে গেছে কিন্তু বিপদের কোনো শেষ নেই, কারণ বরফ যখন তখন ভেঙে যেতে পারে। তারপরও জ্যাক সেখান দিয়ে দৌড় শুরু করে আর জেকও উল্টোদিক থেকে তার ওখানে আসে। লোকগুলো জ্যাককে ধরে ফেলে এবং সামনে কাউকে এগোতে মানা করে নাহলে জ্যাককে মেরে দেবে। হঠাৎ একটা বিদ্যুৎ চমকানোর মতো বজ্রপাত জাতীয় কিছু হয় আর সাথে সাথে বরফের চাঙ্গে ফাটল ধরে আর একসাথে অনেকে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে সেই ভারে বরফ ভেঙে যায় আর বদমায়েশ লোকগুলো সহ জ্যাক জলের নিচে চলে যায়। জেক সাথে সাথে দৌড়িয়ে এসে সেই বরফের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর জ্যাককে বাঁচায়। কিন্তু জেক এখানে নিজে আবার জলের অনেক গভীরে চলে যায় কারণ ওই লোকগুলোর মধ্যে কেউ একজন তাকে টেনে নিয়ে চলে যায়। যাইহোক পরে জেক উপরে উঠে আসে।


❆ব্যক্তিগত মতামত:❆

এই পর্বের বিষয়টা জ্যাকের কিডন্যাপ হওয়া নিয়ে আর জেকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে হয়েছে। প্রথমবারে জ্যাককে বাঁচিয়ে আনাও তাদের কাছে একটা চাঞ্জ ছিল কিন্তু মেলিসা প্ল্যান করে ওই ব্যাগে টাকা না নিয়ে অন্য কিছু নিয়ে গেছিলো। আর এই বিষয়টা ওদের মধ্যে একজন বুঝে ফেললে বিষয়টা আরো জটিল পর্যায়ে নিয়ে যায়। আর এটা হওয়ারও ছিল কারণ জেক তার কল্পনার মাধ্যমে যেটা দেখেছে সেটা সত্যি হওয়ার ছিল তাই সে আগেপিছে না ভেবে তাদের জানায় আর সেখানে যায়। জ্যাককে তো বাঁচিয়েছিলো কিন্তু জেক একদম বরফে আচ্ছন্ন হয়ে গেছিলো আর এই ঘটনাটা সে বার বার কল্পনার মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছিলো আর সেইটা সত্যও হলো। জেক জলের থেকে উপরে উঠে আসলেও সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর সবাই মনে করেছে সে মারা গেছে কিন্তু ঘটনাটা ঘটলো মিরাক্কেল এর মতো অর্থাৎ হঠাৎ করে একটা তেজ রশ্নি তার উপরে এসে পড়লো এবং সে আবার সুস্থ হয়ে উঠলো। এরপর সবাই বাড়ি চলে আসে কিন্তু জোশ আবার দেখে যে প্লেন ব্লাস্ট হয়ে দুই টুকরো হয়ে যায় আর তার পার্টসপত্র সমুদ্রে গিয়ে পড়ে আর সেটা দেখা যায় যে কিছু স্প্যানিশ মৎসজীবি লোকজন সমুদ্রে যখন জাল ফেলে তখন ৮২৮ প্লেনের একটা পার্টস তাদের জালে ওঠে।


❆ব্যক্তিগত রেটিং:❆
৯.৯/১০


❆সিজন ২ এর ট্রেইলার লিঙ্ক:❆


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

দাদা এই পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, আর এই পর্বের মাধ্যমে অনেক কিছু রহস্য জানতে পারলাম। সত্যিই এই পর্বটি ছিল জ্যাক কিডন্যাপ হওয়ার এবং জেকের মৃত্যু বিষয় নিয়ে।এই পর্ব পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। জ্যাক কিডন্যাপ হয়ে যায়। তখন মেলিসা টাকার বদলে অন্য কিছু ব্যাগের ভিতর দিয়ে দেয়। আর এই বিষয়টি তাদের মধ্যে কেউ জানতে পারে। যার কারণে আরো বিপদ হয়।জ্যাক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।তাই সবাই মনে করেছে সে মারা গেছে। কিন্তু মিরাক্কেল এর মতো ,হঠাৎ করে একটা তেজ রশ্নি তার উপরে এসে পড়লো এবং সে আবার সুস্থ হয়ে উঠলো।তারপর সবাই বাড়ি চলে আসে কিন্তু জোশ আবার দেখে যে প্লেন ব্লাস্ট হয়ে দুই টুকরো হয়ে যায়।রহস্যময় এই সিরিজটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আজকে অনেক কিছু জানতে পারলাম আজকের পর্ব পড়ে, তাই পর্বটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত রহস্যময় একটি সিরিজ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

অবশেষে তাহলে এই সিরিজের রিভিউ শেষ হবে😜,বাকি দুই সিরিজ আমি দেখে আপনাকে জানাবো কি হলো😉😉।এই সিরিজের অনেক গুলো ঘটনা মিরাক্কেল।জ্যাকের মৃত্য এবং কিপন্যাপ নিয়ে ঘটনা বেশ ভালোই লাগলো।পরিচালক মেসিলা আর জেক করে হানিমুমন ও করতে দিল না ক্যানসেল করে দিয়েছে এটা কিছু হইলো😉। জ্যাক কে ধরে নিয়ে গেলো অপরাধীরা,আবার এই দিকে মৃত্যর দিন ধার্য করা ছিলো।রামিরেজ দূর থেকে দূরবীন দিয়ে তাদের লক্ষ্য রাখে।পারভীন জেকের বিষয়ে কম্পিউটারে চেক করে দেখে যে জেকের জীবন আর মাত্র ৬ দিন ১২ ঘন্টা আছে। সব ঝামেলা মনে হচ্ছে একসাথে।যাক তাও শেষে মিরাক্কেল ঘটার কারনে জেক সুস্হ হয়ে উঠলো।জোশ আবার দেখে প্লেন ব্লাস্ট হয়ে সমুদ্রে পরে যায়,জেলেদের জালে ৮২৮ প্লেনের একটা পার্টস উঠে বেশ ইন্টারেস্টিং ঘটনাভালো লাগলো এই সিরিজ পড়ে।ধন্যবাদ

 2 years ago 

দ্বিতীয় সিজনের শেষ পর্বে এসে হাজির হলাম আমরা। এর কাহিনী অনেক বড় এবং প্রতিটি পর্ব আমার কাছে বেশ গোলমেলে লেগেছে, তবে ভালোই উপভোগ করলাম। পরিচালককে ধন্যবাদ দেয়া উচিত সে যথেষ্ট বিচক্ষণ।

জ্যাকের কিডন্যাপ ঘিরে এই পর্ব সাজানো হয়েছে বুঝতে পারলাম। মেলিসা টাকার বদলে অন্য কিছু ঢুকিয়ে নিয়েও বুদ্ধি করে জ্যাককে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিল, তবে বরফে তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সবাইকে চমকে দিয়ে সে জীবিত হয়ে ওঠে। শেষের দিকে জোশ আবার খারাপ একটা স্বপ্ন দেখে ফেলেছে।

যাক দ্বিতীয় সিজন শেষ করলাম দাদা।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার প্রতি পরের রিভিউ দেখলে সিরিয়ালটি আর দেখার প্রয়োজন হয় না। কারণ আপনার রিভিউতেই সিরিয়ালের প্রত্যেকটা জিনিস দেওয়া থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া এভাবে পর্ব ভিত্তিক রিভিউ দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

আজকের পর্বটিতে মূলত জ্যাককে কিডন্যাপের বিষয়েই দেখিয়েছে। তাছাড়া প্রথম বার কিডন্যাপার গুলো কিভাবে তাদের প্লানের বিষয় টের পেয়ে গেল? তা না হলে তো প্রথমবারই বাঁচাতে পারত। জেক কল্পনাতে ওই বরফের জায়গাটি দেখেছিল জন্যই সেখানে গিয়ে জ্যাককে বাঁচাতে পারলো আর নিজেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল। এদিকে পারভিন যে মহিলাটির পেছনে পেছন যাচ্ছিল সেই এলেন নামক মহিলাটি হঠাৎ করে কেন মারা গেল? তাছাড়া পারভীন জেকের শরীরে জেনেটিক মিউটেশন করা ছাড়াই বেঁচে গেল। জ্যাক dogu সংকেত পাঠিয়েছিল জন্যই তারা সেই জায়গাটির সন্ধান পেল। dogu মানে কি ছিল? সবশেষে জোশ কেন বারবার সেই প্লেনের ব্লাস্টের দৃশ্যটি দেখছে। নিশ্চয়ই এখানে কোন একটি বিষয় লুকিয়ে আছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে দেখায় কিনা। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago (edited)

dogu মানে কি ছিল?

dogu মানে একটা জায়গার নাম ছিল dogout বলে একটা নাম। আর এই জায়গাটা একটা বরফে আচ্ছন্ন জায়গা ছিল। সংক্ষেপে বোঝানোর জন্য এইটা সংকেত হিসেবে বলেছিলো।

পরবর্তী পর্বে দেখায় কিনা।

পরবর্তী পর্বে দেখাবে কিন্তু এটা অনেকদূর টানবে। আর এই সিরিজটার আরো দুটো সিজন এবং অনেক পর্ব আছে তাই এই সিরিজটা আমি আর রিভিউ দিতে চাচ্ছি না, নাহলে অনেক সময় লেগে যাবে এ শেষ করতে। আপনি দেখতে চাইলে সময় করে মাঝেমধ্যে দেখতে পারেন সিরিজটির বাকি দুই সিজন, বেশ পপুলার এই সিরিজটি।

 2 years ago 

একটু বড় তো বটেই। কিন্তু ভালোই লাগছিলো পড়তে।

 2 years ago 

টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট এর এই পর্বে জ্যাকের কিডন্যাপ ও মৃত্যু আমাকে শোকাহত করেছে।জ্যাকের কিডন্যাপের ব্যাপারটি খুবই রহস্য জনক।মেলিসা ব্যাগে টাকা না নিয়ে অন্য কিছু কেন নিয়েছিল তা বুঝা মুশকিল।বিষয়টি কেউ জানতে না পারার কারণে বিপদ বেড়ে গেল।এখানে একটি তেজরশ্মির কারণে জ্যাক পানি থেকে উঠে আসার পরেও জ্ঞান না থেকে ও বেচে গেল।আসলেই রহস্য জনক। সবাই বাড়ি চলে আসার পরও জোশ আবার দেখে প্লেন ব্লাস্ট হয়ে দুই টুকরা হয়ে যায়।খুবই ইন্টারেস্টিং লাগলো আজকের পর্ব।

 2 years ago 

দাদা ত্রয়োদশ পর্ব -সিজন ২ এর উল্লেখ যোগ্য বিষয় হলো জেকের মৃত্যুর ঘটনা আবার কাকতালীয় ভাবে বেঁচে যাওয়া। এখন দেখার বিষয় হলো স্প্যানিশ মৎসজীবি লোকজন সমুদ্রে জাল ফেলে ৮২৮ প্লেনের যে পার্টস পেল সেটা দিয়ে কোন তথ্য বের করা যায় কি না। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

অবশেষে এই সিজনের অন্তিম পর্বের দেখা পেলাম দাদা। আসলে আমরা দীর্ঘদিন থেকেই এই টিভি সিরিজটির রিভিউ পড়ে আসছিলাম। যদিও এখনো দেখিনি। তবে মনে হচ্ছে পরবর্তী দুটি পর্ব দেখে নিতে হবে। আজকের পর্বে জ্যাকের কিডন্যাপ হওয়ার বিষয়টি সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দাদা। সবাই হয়তো ভেবেছিল জ্যাক মরে গেছে। কিন্তু মিরাক্কেল হলেও সত্য যে সে আবারো বেঁচে গিয়েছিল। হয়তো অলৌকিক কোন শক্তি তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। বরফে আচ্ছন্ন হয়েও অলৌকিক শক্তির বলেই জ্যাক বেঁচে ফিরেছে। ব্লাস্ট হওয়া ৮২৮ প্লেনের কিছু অংশ স্প্যানিশ মৎসজীবিরা পেয়েছিল এটা জানতে পারলাম। দাদা আপনার শেয়ার করা টিভি সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে ভালো লাগলো। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বগুলো দেখে নেব। এই টিভি সিরিজের পরবর্তী পর্বগুলো বড় হওয়ার কারণে আপনি হয়তো রিভিউ শেয়ার করতে পারবেন না। তবে প্রত্যেকটি পর্ব পড়তে পড়তে কখন যে এই গল্পের গভীরতায় হারিয়ে গিয়েছি বুঝতেই পারিনি। তাই পরবর্তী পর্বগুলো খুব শীঘ্রই দেখে নেয়ার চেষ্টা করব দাদা।

 2 years ago 

এই পর্বটি বেশ জটিল ও রহস্যময়।এই পর্বে জ্যাকের কিডন্যাপ হওয়ার বিষয়টি বেশি ফুটে উঠেছে।ভাগ্যিস বুদ্ধি করে জ্যাক লিখে দিয়েছিল অনেক কিছু।তাছাড়া মেলিসা ব্যাগে টাকা না নিয়ে কি নিয়ে গেছিলো?আর dogu টা কি জায়গার নাম দাদা?
জেকের বারবার দেখা কল্পনা সত্যিকারে ঘটে তার জীবনে মীরাক্কেল হয়ে গেল সেটা বেশ ভালো লেগেছে।তবে 'এলেন' নামক মহিলাটির হঠাৎ কাশতে কাশতে মৃত্যু কেমন রহস্যময়।জোশ বারবার প্লেন ব্লাস্ট হওয়ার ব্যাপার দেখতে পায় যা অন্য কেউ দেখতে পায় না।এটার কতটা সত্যতা আছে তা পরের পর্বে জানা যাবে।আসলেই সিরিজটি অনেকটাই বড়ো।সুন্দর রিভিউ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 67441.24
ETH 3492.03
USDT 1.00
SBD 2.81