বুমরাহ পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানদের লাস্ট মোমেন্টে ভালোই ফাঁসান ফাঁসিয়ে দিলো
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানের ম্যাচ ছিল। আর এই ম্যাচ মানে একটা জমজমাট ম্যাচ। এই ম্যাচ হলে এক প্রকার গ্যালারি ফাঁকা থাকে না সে যে দেশেই খেলা হোক না কেন। ইন্ডিয়া, পাকিস্তান ম্যাচ মানেই এক হুঙ্কার, এক গভীর প্রতিদন্দ্বিতা। তবে গতকাল ম্যাচটা খুবই লড়াই সম্পন্ন একটি ম্যাচ হয়েছে। পাকিস্তান যদিও গতকাল টসে জিতেছিল এবং তারা ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল। এই নিউ ইয়র্ক এর পিচে রান তোলার থেকে চেজিং খুবই কঠিন একটা বিষয়। তা সে যে টিমই হোক না কেন, এই পিচের কাছে সবাই ঘায়েল হয়ে যাচ্ছে। তবে ইন্ডিয়া গতকাল ব্যাটিং করতে এসে ওপেনেই ভেঙে পড়ে। রোহিতও আউট হয়ে যায় আবার পরোক্ষনে কোহলিও আউট হয়ে যায়। রোহিতের বিষয়টা আলাদা, কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোহলি একটা আলাদা আন্দাজ নিয়ে খেলা করে থাকে।
এক্ষেত্রে কোহলি মার শুরু করেছিল ঠিকই, কিন্তু ওর আবেগ আর বেশিক্ষন টিকতে দেয়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করতে গেলে খুব গর্জিয়ে ওঠে কোহলি, কিন্তু এই পিচে ধৌর্য নিয়ে না খেললে তার আউট অবসম্ভাবী হয়ে ওঠে। যে বলে বাউন্ডারি মারলো, পরের বলে কেন শর্ট মারতে গেলো বুঝলাম না, কারণ যেখানে দেখছে বল লেন্থ হার্ড হচ্ছে এই পিচে। তবে ঋষভ পন্থ কিন্তু এসে ভালো ব্যাকআপ দিয়েছিলো। একাই বলতে গেলে অনেক্ষন কন্ট্রোলে রেখেছিলো পুরো বিষয়টা। এই পিচে যদিও বেশিক্ষন টিকে থাকা কারো পক্ষেই সম্ভব না, তাও মোটামুটি অ্যাভারেজ একটা রান করে দিয়েছিলো অক্ষর প্যাটেল এর সাথে পার্টনারশীপ জুটি হিসেবে। প্রথম ১০ ওভারে মোটামুটি রান ভালোই ছিল ৮০ অ্যাভারেজ, কিন্তু ১৪ ওভারের পর থেকে সব ঝিমিয়ে গিয়েছিলো একদম, কারণ এক টানা আউট হয়েছে সবাই।
রান মোটামুটি ১৪০ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেই রান ১১৯ এ কষ্টমষ্ট করে হয়। কেউ দাঁড়াতেই পারেনি এসে, আর ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের এতো দ্রুত আউট হতে দেখাই যায় না, যেটা এই পিচে করিয়ে দেখালো। এই পিচে ১৪০ রান চেজ করা ভীষণ ভীষণ কঠিন, তার পরেও ১২০ রান একটা রিস্ক থেকেই গিয়েছিলো। পাকিস্তান প্রথম থেকেই ভালোই চাপ সৃষ্টি করে রেখেছিলো অর্থাৎ ভালোই রান করছিলো। প্রথম ৫ জন তো হাবি হয়ে গিয়েছিলো। তবে সব থেকে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে, প্রথম ১০ ওভারে রান মোটামুটি ভালোই তুলেছিল এবং সেই সাথে উইকেট তো ২ টোর বেশি পড়েইনি। আর তার উপর শিবম ডুবে রিজওয়ান এর একটা সহজ ক্যাচ মিস করে বসে। তবে কিলার বলার বুমরাহ এসেই ম্যাচের রং বদলে দিলো এক প্রকার। আমি ওকে নাম দিয়েছি কিলার বলার, আসলে ও বোলিং করতে আসলেই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যেন একটা আতঙ্ক কাজ করে, লেন্থ দুর্দান্ত, ছাড়লেই বিপদ।
লাস্টের দিকে এসে মারাত্মক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, ১৪ ওভারের পরে বুমরাহ এসে উইকেট নিলো আর ওখানেই ম্যাচের অবনতি শুরু হলো পাকিস্তানের, ভালোই ফাঁসিয়েছিলো। তবে রিজওয়ান এর যদি ক্লিন বোল্ড না করতো তাহলে ম্যাচ হাতের থেকে বেরিয়ে যেত ইন্ডিয়ার। লাস্টের দিকে ওদের ওভাবে ফাঁসিয়ে দেবে এটা বুঝতেই পারেনি। তবে ঋষভ পন্থ অসাধারণ কিপিং করেছিল, মানতেই হবে। আর এমনিতেও আজ পর্যন্ত যতবার টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে সামনাসামনি হয়েছে, তার মধ্যে ১ বার জিতেছে পাকিস্তান আর বাকি সব ইন্ডিয়ার ঝুলিতে। আমেরিকার সাথেই জিততে পারেনি, তা ইন্ডিয়ার বোলারদের মোকাবেলা করবে কিভাবে। লাস্টের ৩-৪ ওভারে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আর উত্তেজনা কাজ করে ওটাই বেশ ইন্টারেষ্টিং একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভারত পাকিস্তান ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা তবে রীতিমতো দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে যখন ব্যবধানটা বাড়তে শুরু করল তখন আর বুঝতে বাকি রইল না ভারত জয় লাভ করবে। তারপরও শেষ ওভারে একটু ভয় ধরে গিয়েছিল।
বৃষ্টি হওয়ার কারণে কালকে খেলাটাতে রানের সংখ্যা অনেক কম হয়ে গিয়েছে। প্রাণের পরিমাণ কম হলেও খেলাটা অনেক জমজমাট হয়েছিল। বুমরাহ অনেক সুন্দর বল করেছে যার কারণে ভারত খুব সহজেই খেলাটা জয়লাভ করলো।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের অবস্থা খারাপ দেখেই বুঝেছিলাম রান যত কমই হোক এই ম্যাচটা বেশ জমজমাট হবে। কেউই সহজে জিতবে না। এবং হলো তাই। বুমরাহ এর প্রশংসা করতেই হয়। বলতে গেলে সে একাই পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ভারতের অসাধারণ একটা জয় তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সাথে।
দাদা নিউইয়র্কের পিচ আসলেই মারাত্মক। রান বের করাটা খুবই ডিফিকাল্ট। আমি ভেবেছিলাম আমাদের মিরপুর স্টেডিয়ামের পিচ ই শুধু এমন। কিন্তু নিউইয়র্কের পিচ তো দেখছি আমাদের মিরপুরের পিচের চেয়েও মারাত্মক। যাইহোক বুমরাহ নিঃসন্দেহে সারা বিশ্বের সেরা পেসারদের মধ্যে একজন। ভারত শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচে জয়লাভ করেছে, এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। বাংলাদেশ এই পিচে মাত্র ৪ রানে ম্যাচ হারলো সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।