DL টেস্ট দেওয়ার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago (edited)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি ভিন্ন টপিক এর পোস্ট শেয়ার করবো। ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে কথা বলবো। এটা আসলে আমার নিজের অভিজ্ঞতা বা অনুভূতির কথা বলবো। গত ৫ তারিখে ছিল আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর টেস্ট এক্সাম অর্থাৎ মেইনটা। এর আগে সাধারণত লার্নার লাইসেন্স বের করতে হয় আর তার এক মাস বাদে গিয়ে ফাইনাল টেস্ট এর জন্য এপলাই করতে হয়। আর আমার এই বাইকটাও নতুন, আর নতুন বাইকেই লাইসেন্স এক্সাম দিলাম। নতুন বাইকে একটা আলাদা মজার ব্যাপার আছে। আর ;লাইসেন্স এক্সাম সবসময় নিজের বাইকেই দেওয়া ভালো, কারণ এক বাইকে হাত সেট থাকলে অন্য বাইকে সেটা একটু সমস্যা তৈরি হয়। তো যাইহোক, এই মেইনটা আসলে অনেক ঝামেলার একটা বিষয়, লার্নার যেমন RTO তে গিয়ে ফর্ম জমা দেওয়ার পরে একটা সিগন্যাল এর এক্সাম হয়, ৬-৭ টা ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারলে পাস হয়ে যায়, যেটা অনেকটা ইজি একটা ব্যাপার।

আগে যেমন লার্নার লাইসেন্স পাস করার পরেও সেটা হাতে পেতে কয়েকদিন টাইম লাগতো আর সেটা আবার তাদের কম্পিউটার এ বসে দিতে হতো। এখন সিস্টেমটা অনেক ভালো করেছে,নিজের ফোনে বা ল্যাপটপে দেওয়া যায় আর সাথে সাথে লাইসেন্স এপ্রুভ করে দেয় পাস হলেই। আমি সাবমিট করার সাথে সাথে পেয়ে গিয়েছিলাম। এই ৫ তারিখের টায় ঝামেলা হলো, আবার নতুন করে ভেরিফিকেশন হবে, ছবি তুলবে। লাইন দিয়ে দিয়ে এইসব করা ঝামেলার একটা বিষয়। আর ওইদিন ঠিক করে আরো বেশি পাবলিক এর এক্সাম ছিল যেন, গিয়ে দেখি সে প্রায় ৫০ জনের পরে লাইন। ওখানেই কেটে গেলো আড়াই ঘন্টা। তারপর এইখানে কাজ মিটিয়ে চলে গেলাম ১২ টা-সাড়ে ১২ টার মধ্যে গ্রাউন্ডে অর্থাৎ যেখানে টেস্ট বা এক্সামটা হবে। আমি ছিলাম মারাত্মক নার্ভাস ওইদিন, কি হবে না হবে এই চিন্তায় যেন আমার অবস্থা খারাপ পুরো।

একেতো সারাদিন না খাওয়া, তারপর ওই চিন্তায় যেন আমার আরো সমস্যা তৈরি হতে লাগলো। এইরকম চিন্তায় মনে হয় আমি কোনো পরীক্ষায় করেনি , মনে হচ্ছিলো যেন বিনা পাসপোর্টে বোর্ডার পার হতে যাচ্ছি হা হা। আসলে আমাদের RTO তে অনেকটা সহজ অন্যান্য RTO এর থেকে, কিন্তু তাও নতুন নতুন একটা চিন্তা কাজ করে। আর তারপর আশেপাশের লোকজন আরো চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে যে, অনেক ছোট জায়গা দিয়ে টার্ন নিতে হবে, এইটা শুনে শুনে আরো নার্ভাস হয়ে যাচ্ছি। কারণ আমার বাইক বড়ো আর ভারী, শেষে ওই ছোট জায়গা দিয়ে টার্ন নিতে গিয়ে পা পড়ে যায় কিনা সেই চিন্তায় মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো যেন। আসলেই ছোট জায়গা, তবে বাইরে যেভাবে বলাবলি করছিলো অতটাও না, মোটামুটি স্পেচ আছে। তবে বুলেট নিয়ে একটা ঝামেলা থাকে।

পরে ভাবছিলাম ছোট একটা ভাড়া নেবো কিনা, তাও সাহস নিয়ে চলে গেলাম, যা হয় হবে। তবে আমি আগে যাইনি, প্রায় ২০ জনের পরে তারপর গিয়েছিলাম আর ওইদিন ৬০ জনের উপরে ছিল। পাশের থেকে মনে হচ্ছিলো পেরে যাবো, কিন্তু সোজাসুজি দেখে অতটা সহজ মনে হচ্ছিলো না। আর আমি নার্ভাসে হ্যান্ড সিগন্যাল দিতে প্রায় ভুলে গিয়েছিলাম টার্নিং এর সময়ে হা হা। এর পরে বাইক সাইট করে অফিসারের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, কিন্তু মজার একটা ঘটনা ঘটেছে এখানে। উনি আমাকে দেখেই বুঝে গিয়েছে যে, এতো নার্ভাস, আমাকে লেফট হ্যান্ড সিগন্যাল ৪ বার ধরেছে।

যখনি বলছি তখনি মাথা নাড়াচ্ছে, ওনার ওই মাথা নাড়ানো দেখে আমি নিজেই কনফিউশনে পড়ে যাচ্ছি। ওখানে ভুল বললেই ফেইল করে দিতো নিশ্চিত। আমি একই রকমই দেখিয়ে গিয়েছি যতবার ধরেছে, কারণ ওটাই সঠিক, একটু ঝালালো আর কি হা হা। এখন অনেক ফাস্ট কাজ করছে, গতকালই মেসেজ দিয়ে দিলো DL নম্বর ইস্যুড হয়ে গিয়েছে। আমাদের এই RTO তে ভিডিও বা ফটো কোনোটাই তুলতে দেয় না, এইজন্য বেশি ভিতরে তুলতে পারেনি, নাহলে একটা ভিডিও করার ইচ্ছা ছিল।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনদত্তপুকুর
তারিখ০৫.০২.২০২৪


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 5 months ago 

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য টেস্ট পরীক্ষা দেয়ার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন দাদা। যারা বাইক বা গাড়ী চালায়, তাদের জন্য এই লাইসেন্সটা খুব জরুরি এবং দরকারী। আপনি বাইক চালোনায় প্রাক্টিক্যাল টেস্টে, নার্ভাস থাকার পরেও ভালো ভাবে উতরে গেছেন যেনে ভাল লাগলো।এজন্য আপনাকে অভিনন্দন। পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 5 months ago 

আসলেই দাদা বড় এবং ভারী বাইক নিয়ে ছোট জায়গায় টার্নিং করা খুব কঠিন। তবে বাহিরে থেকে পাবলিক অনেক কিছুই বলে। কিন্তু বাস্তবে দেখার পর সেই ধারণা পাল্টে যায়। আসলে পাবলিকের কাজ হচ্ছে বাড়িয়ে বলা। যাইহোক এতো নার্ভাস থাকার পরেও সবকিছু ঠিকঠাক মতো হয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। এটা ঠিক নতুন নতুন কোনো কিছু করতে গেলে আমরা নার্ভাস হয়ে যাই অনেক সময়। আমি যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিলাম, তো প্রথম দিলাম লিখিত পরীক্ষা, তারপর গ্রাউন্ডে এবং তারপর একেবারে মেইন রাস্তায়। মেইন রাস্তায় প্রাইভেট কার ৫ কিলোমিটার চালাতে দিয়েছিল। প্রথম প্রথম অনেক ভয় পেয়েছিলাম। পরে প্রাইভেট কার ড্রাইভ করতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমি সেখানে সর্বমোট ৪ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়েছিলাম। যাইহোক ইন্ডিয়াতে তাহলে তো এখন বেশ তাড়াতাড়ি ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে এখনো অনেক সময় লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। এতো চমৎকার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

দাদা আগে বলেন আপনি ওয়েট কমালেন কি করে? আমার ওয়েট তো দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কয়েকদিন পর দরজা দিয়ে বের হবো না😜😜। যাই হোক দাদা আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দেওয়াটা সত্যি অনেক কঠিন। আমাদের এখানে তো টাকা ছাড়া কিছু হতেই চায় না। লার্নার লাইসেন্স দিয়ে অনেকে গাড়ি চালায়। আর ফাইনাল পরীক্ষা দিতে গেলে অনেকগুলো টাকা দিতে হয়। যারা নিজে নিজে পরীক্ষায় পাশ করে তাদের খরচ একটু কম হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দালাল চক্র মোটামুটি ভালোই টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে এটা ঠিক দাদা সবার সামনে গাড়ি চালানো আর সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে করাটা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার। তাই তো আপনিও নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন। আমার মনে হয় অনেক দক্ষ চালকও এখানে গিয়ে ভয় পেয়ে যাবে। DL নম্বর ইস্যু হয়ে গিয়েছে জেনে ভালো লাগলো দাদা। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 5 months ago 

দাদা আগে বলেন আপনি ওয়েট কমালেন কি করে? আমার ওয়েট তো দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কয়েকদিন পর দরজা দিয়ে বের হবো না😜😜

😂কঠোর ব্যায়াম করতে হবে, দৌড়াতে হবে এক টানা ১৫-২০ মিনিট, তাহলে সব ক্যালোরি ক্ষয় হয়ে যাবে।

 5 months ago 

নতুন বাইকে চড়ে, একদম পুরাই নায়কের মত লাগছে ভাই। যাক তাও শেষমেষ লাইসেন্সটা হাতে পেয়েছেন এটাই কিন্তু অনেক বেশি। শুভেচ্ছা রইলো ভাই আপনার জন্য, এখন শুধু ট্যুর হবে।

 5 months ago 

ড্রাইভিং করা বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এসবের বিষয়ে আমার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তবে বাইক চালাতে পারি। এক চাচাতো ভাইয়ের বাইক নিয়ে শিখে ফেলেছিলাম। তবে অনেক দিন যাবৎ চালানো হয় না। তবে কিছুদিন আগে আমাদের দেশে সরকারি একটি সার্কোলার হয়েছিল ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার জন্য। যাবো যাবো করে আর যাওয়া হয়নি। প্রথম প্রথম যে কোন কাজে ভয় কাজ করে। আর মানুষ তো,তিলকে তাল তারপর কুমড়ো বানাতে ভুল করে না। শুধু শুধু আপনাকে নার্ভাস করে দিলো। তবে আপনার ভিতরে সাহস আর চেষ্টা ছিল। যারফলে আপনি পেরেছেন। আপনাদের দেশের নিয়ম কানুন ও আমাদের দেশ থেকে অনেক ভালো। আমাদের দেশে এখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে গেলে দুই তিন জোড়ো জুতা ক্ষয় করতে হয়। মানে দালাল বেশি। সব জাগায় ঘুষে কাজ হয় বেশি। ঐ দিক দিয়ে আপনারাদের দেশের নিয়ম অনেক ভালো। যায়হোক আশা করি ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেলেও পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবো। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57062.81
ETH 3068.42
USDT 1.00
SBD 2.43