সুপার-৪ এর প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়লো

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


স্ক্রিনশর্ট: astro cricket

আজকে আপনাদের সাথে একটি খেলাধুলা পোস্ট শেয়ার করবো। খেলাটা আপনারা কালকে হয়তো অনেকেই দেখেছেন, যেহেতু সুপার ৪ এর প্রথম খেলা হয়েছে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের মধ্যে। খেলাটা পাকিস্তানে হয়েছে, আর এটি আসলে বহু বছর বাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হলো পাক দের মাঠে । যাইহোক বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মোটামুটি একটু চেঞ্জ আনার দরকার ছিল এখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে। কারণ পাকিস্তান বর্তমানে এখন বোলিং এবং ব্যাটিং এর দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী, সেখানে এতো কম অভিজ্ঞ প্লেয়ার দিয়ে খেলানো খুবই একটা রিস্কের বিষয় ছিল। যেহেতু গত ম্যাচে একটা ধামাকা করেছে আফগানদের বিপক্ষে, যেখানে বিশাল একটা রান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু একটা বিষয় বোঝার যে, আফগান আর পাক টিম দুইটার মধ্যে অনেক ফারাক আছে সেটা ইন্ডিয়ার সাথে খেলার সময়ে বোঝা গেছে। বাংলাদেশ আজকে এতো হতাশাজনক খেলেছে প্রথম থেকে, সেটা আসলে ভাবা যায়নি, মাত্র ৪০+ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়া মানে একটা খুবই চাপের সৃষ্টি পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের কাছে।


স্ক্রিনশর্ট: astro cricket

যদিও এতে ওপেনারদের কিছুই করার ছিল না, কারণ পাক বোলাদের লেন্থ এর স্পিন এতো সুন্দর ছিল, বিশেষ করে লেন্থ ছিল বেশি ফাস্ট বলে, সেক্ষেত্রে টিকে থাকা তাদের জন্য খুবই দুষ্কর একটা পরিস্থিতি। ওপেনে সবসময়ের জন্য স্ট্রং প্লেয়ার না রাখলে রান কখনোই বেশি করা সম্ভব না, কারণ রান করাটা অনেকটা ওপেনার ব্যাটসম্যানের উপর নির্ভর করে, ভীত যদি নরম থাকে তাহলে বেশি দূর যাওয়ার আগেই সেটা ভেঙে যাবে এটাই স্বাভাবিক। ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে আসলে শাকিব আর মুশফিক এর উপর একটা বিশাল বড়ো দায়িত্ব এসে পড়ে বলতে গেলে, কারণ এই দুইজনেই শেষ ভালো ব্যাটসম্যান আর যথেষ্ট অভিজ্ঞ সম্পন্ন প্লেয়ার হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তাদের অভিজ্ঞতার জোরে পার্টনারশিপ মোটামুটি ১০০-এ পৌঁছায়, কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশত শাকিব আউট হয়ে যাওয়ায় ভিতটা আরো নড়বড়ে হয়ে যায়, কারণ ওই সময় উভয় দিক থেকে রান না করলে রান বেশিদূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব না, যদিও ওভার এখনো অনেকটা বাকি ছিল, সেই হিসেবে ধরে ধরে একটু খেললে ২০০+ রান করার একটা সম্ভাবনা ছিল বলে মনে করেছিলাম। ম্যাক্সিমাম ক্যাচ আউট হয়েছে, একটাই কারণ ৬ মারার আশায়।


স্ক্রিনশর্ট: astro cricket

বাংলাদেশের প্লেয়ারদের একটা বিষয় হলো, কোনো বাউন্ডারি মারার পরে তারা বড্ডো ইমোশনাল হয়ে পড়ে আর তাড়াহুড়ো করে বসে, যার কারণে যে বল মারার না সেটাও ৬ মারতে চলে যায়, আর এর ফলেই ম্যাচে ভরাডুবি নেমে আসে । অপরপক্ষে পাকিস্তানের কাছে আসলে এই রান তেমন কিছুই যেন মনে হয়নি, সহজেই বের করে ফেলেছিলো রান। পাকিস্তানের আসলে সবাই ভালো ব্যাটসম্যান ওপেনার থেকে, আউট করাটাও খুবই কঠিন বাবর, রিজওয়ান এদের। বাংলাদেশের ভাগ্যটাও কালকে কোনকিছুতে দেয়নি, একটা রিভিউ কাজে আসেনি। যদিও আউট থাকলেও কোনো বল আউট সাইটে আবার কোনো বল স্ট্যাম্প মিস।


স্ক্রিনশর্ট: astro cricket

তবে বোলিং এর দিক থেকে কয়েকজন অনেক ভালো বল করেছে, কিন্তু ফিল্ডিং-এ খুবই গাভিলতি দেখা গিয়েছে। ফিল্ডিং সেটাপ টা আসলে আমার একদমই পছন্দ হয়নি কালকের ম্যাচে, ম্যাক্সিমাম সময়ে বাউন্ডারিতে ঠিকঠাক প্লেয়ার রাখেনি, ফলে গ্যাপ শর্টের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে তারা। যাইহোক, বাংলাদেশের আরো একটা সুযোগ আছে শ্রীলঙ্কার সাথে, যদিও শ্রীলঙ্কাও অতটা শক্তিশালী টিম না বর্তমানে, তাও নিজেদের মাঠে একটা জোর থাকে। বাংলাদেশের যদি এই ম্যাচ জিততে হয় তাহলে আমার মতে তাদের টিমে পরিবর্তন আনা লাগবে, বিশেষ করে ব্যাটিং পজিশন এর দিক থেকে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

ক্রিকেট খেলায় যদি প্রথম শুরুতেই পরপর চারটা উইকেট পড়ে যায় তাহলে ওই দলের ভিত নষ্ট হয়ে যায়। ওখান থেকে আশা করা যায় বেশি রান হওয়ার কথা নয়। সাকিব এবং মুশফিকের ব্যাটিং এ লাস্ট পর্যন্ত 194 রান করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এ রান করতে পাকিস্তানকে যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচটা জিতে নেয়।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আসলে দাদা বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচটি আমি প্রথম থেকেই বেশ ভালোভাবে দেখেছিলাম। প্রথম ওভারে যখন জিরো রান হলো এবং দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে যখন মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হয়ে গেল তখন মনটা বেশ খারাপ হয়েছিল। তারপরও যদি বাংলাদেশ আর কিছু রান করতে পারত তাহলে হয়তো খেলাটা আরো ভালো পর্যায়ে যেত। তবে মুশফিকের ব্যাটিং আমার সেই দিন বেশ ভালো লেগেছিল। শেষ পর্যন্ত খেলায় পাকিস্তান জয় লাভ করেছিল। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি খেলা রিভিউ করার জন্য।

 11 months ago 

বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড কি করছে আমার মাথায় আসেনা বিষয়গুলো। তারা এনামুল হক বিজয়কে দলের সাথে নিয়ে গেল কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা ম্যাচেও খেলতে নামালো না। তাদের ব্যাটিং এতটাই দুর্বল খেলছে তারপরও এনামুল হক বিজয়কে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। যাই হোক এই ধরনের খেলা আমার কাছে সন্তোষজনক মনে হয় না।

 11 months ago 

দাদা আপনার বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচের রিভিউটা পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিজ্ঞ কিছু প্লেয়ার কে নামানো উচিত ছিল। এখনকার প্লেয়ার গুলো একেবারেই অনভিজ্ঞ এদের দ্বারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলানো টা একেবারেই অযৌক্তিক হয়েছে। মুশফিক সাকিব ভালো একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল ।তাদের আউটের পরে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে গেল ।আসলে ভিত নরম হলে তার ফলাফল খুব একটা ভালো হয় না এটাই প্রমাণিত হলো। আর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আপনি ঠিকই বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা একটা ছয় মারার পরে প্রতিটা বলে ছয় মারতে চায়। এই বাজে ইমোশনের কারণে তারা আরো বেশি আউট হয় ।যাই হোক বেশ ভালো ছিল আপনার লেখাগুলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

দাদা আমাদের দেশে বাংলাতে একটি প্রবাদ আছে সারা গায়ে ব্যাথা হলে ঐষুধ দিবে কোন জাগায়। আমাদের দেশের ক্রিকেটের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সব জাগায় সমস্যা। এখানেও চাচা খালুদের উপর নির্ভর করে খেলতে যায়। টিম ম্যানেজমেন্ট কি গাঞ্চা খেয়ে টিম নির্বাচন করে কিছু বুঝি না। ভালো ম্যান রেখে কিছু ফাউল ম্যানকে ক্রিকেট খেলতে পাঠায়। আর বাংলাদেশের নির্ভর করার মত কোন ব্যাটসম্যান নাই। দুই এক জন থাকলেও তারা আবার বিভিন্ন সমস্যার কারনে খেলতে পারে না। এত গুলো নতুন মানুষের উপর নির্ভর করলে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। ধন্যবাদ দাদা।

 11 months ago 

স্পোর্টস নিয়ে লিখা এই পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। যদিও এই পোস্ট কয়েকদিন আগে শেয়ার করেছিলেন। তবে ব্যস্ততার কারণে সেভাবে পড়া হয়ে ওঠেনি। আসলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের খেলা দেখার সুযোগ হয়নি। তবে এই রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে আরো বেশি ভালো হতে পারতো এই ম্যাচটা। সত্যি দাদা বাংলাদেশ যদি ভালো করতে চায় তাহলে তাদের ব্যাটিং পজিশন আরো ভালো করতে হবে এবং এই বিষয়ে আবারও ভাবতে হবে। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা হয়তো অনেক সময় খামখেয়ালি করে ফেলে। ছয় মারার পর আবারো ছয় মারার টার্গেট নিয়ে যখন এগিয়ে যায় তখনই সব এলোমেলো হয়ে যায়। আর কিছু অনভিজ্ঞ প্লেয়ার যখন খেলতে নামে তখনই ভয়ের আশঙ্কা আরো বেড়ে যায়। তবে আমার কাছে মনে হয় সবকিছু বিবেচনা করে এরপর ম্যাচ শুরু করা উচিত। আর বাংলাদেশ টিমের প্লেয়ারদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত। এই পোস্ট অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59887.64
ETH 2670.13
USDT 1.00
SBD 2.47