এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ৩৫ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই তারিখের আলোকচিত্রগুলি কি কি দেখে নেওয়া যাক তাহলে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলি কালী পুজোর সময়ে তোলা। এখানে আগের তারিখ ভৌতিক একটা প্যান্ডেলের ছবি শেয়ার করেছিলাম আর ওই প্যান্ডেলের ভিতরে গড়ানো এই প্রতিমা। এটা তারা অনেক ছোটোভাবেই করেছিল। কিন্তু প্যান্ডেলের ভিতরে মোটামুটি কারুকার্যগুলো দারুন লেগেছিলো আমার কাছে। প্রতিমার উপরে কাপড়ের মাধ্যমে তৈরিকৃত ডিজাইনটা দারুন ছিল আসলে। তবে এই ডিজাইনটা আরো ভালো ফুটেছে সাদা লাইটিং ইফেক্টটা দেওয়ার জন্য। এরপরে আরেকটা ডলের মতো দেখতে পাচ্ছেন, এটার আসলে মুখের দিকে তাকালে ভয়ঙ্কর লাগবে, তবে তৈরিকৃত ডিজাইনটা দারুন লেগেছিলো। এরপর দুটি পাখির দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন, প্যান্ডেলের গায়ে সাজানো ছিল। তবে এই পাখিগুলোর ডিজাইন অসাধারণ ছিল, বিষয়গুলোকে ভালো সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছিল।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম গ্রামের দিকে। ওই যে যে জায়গাটার কথা একভাবে বলে থাকি, সেটা হলো খড়িবাড়ি। পড়ন্ত বিকালের দৃশ্যটা দেখতে দারুন লাগে আর এটা শীতকালের দিকে বেশি ভালো লাগে। গায়ে লাগাতেও যেমন ভালো লাগে, তেমনি চারিদিকে একটা ঝলমলে ব্যাপার থাকে। লেকের পাশে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্যগুলো দেখার মজাই আলাদা। বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিলো আর সেই ভালো লাগা থেকে ফটোটা তুলে নিয়েছিলাম।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: খড়িবাড়ি
তারিখ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ছবিগুলো রাজা চন্দ্রকেতুর রাজবাড়ীর বাকি অবশিষ্ট অংশ। এই অংশগুলো অনেক প্রাচীন, যদিও এই বিষয়গুলো আগের পোস্টগুলোতে বলেছিলাম। এখানে মাঝখানে উপরে যে অংশটা দেখতে পাচ্ছেন, ওটা আসলে সিঁড়ি দিয়ে যাওয়ার পথ, তবে ওখানে একজনের কাছে শুনেছিলাম যে, ওটা নাকি যেখানে রাজার কার্যালয় ছিল সেখানে যাওয়ার পথ ছিল আর তার পরেই গুপ্ত একটা পথ ছিল। যদিও এখন আর সেটা দেখা যাবে না, আর ওখানে বেশি একটা গভীরতাও নেই, অল্প একটু দেখা যায় সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাওয়ার পথ।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: বেড়াচাঁপা
তারিখ: ০১ মার্চ ২০২৪
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ছবিগুলো একটা রেস্টুরেন্ট থেকে তুলেছিলাম। একদিন সবাই বারবিকিউ নেশনে গিয়েছিলাম আর সেখানে খাওয়াদাওয়ার সময়ে কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম। বারবিকিউ নেশনে তেমন যদিও আর যাওয়া হয় না, মাঝে মাঝে ছাড়া। বাড়ির পাশেরটায় মোটামুটি একটু যাওয়া পড়ে ইচ্ছা হলে। তবে বারবিকিউ নেশনে খাওয়াদাওয়ার মজা আছে, যতখুশি খাওয়া যায়। আমার সব থেকে প্রিয় হলো চিকেন উইংসটা, আমি গেলে শুধু এই একটার উপরেই চাপ সৃষ্টি করে দেই তাদের হা হা।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম কলকাতার সব থেকে বড়ো পার্ক 'ইকো পার্ক' থেকে। এখানে যে পাখিগুলোর দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন, এইগুলো ফ্লেমিংগো পাখি। এই পাখিগুলোর সৌন্দর্য অসাধারণ, মনকে আকৃষ্ট করে নেয় এদের গলার উচ্চতা আর ঠোঁটের গঠন দেখলে। এইগুলো এখানে স্ট্যাচু হিসেবে তৈরি করেছে, তবে এখানে বিষয়টা বেশ সৌন্দর্যমন্ডিত লাগছে দেখতে। বেশ বড়ো সড়ো করে একটা সৌন্দর্যময় দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে। এরপরে একটা আলোকচিত্র তুলেছিলাম যে, হাঁটার পথে দেখছিলাম একটা প্রজাপতি ফুলের থেকে মধু আহরণ করছে, বিষয়টা আমার কাছে বেশ ইন্টারেষ্টিং লেগেছিলো।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১০ মে ২০২৪
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় খুব ভালো লাগে আমার কাছে দেখতে। আজকে আপনি অনেক বেশি সুন্দর করে এলোমেলোভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আর আমাদের সবার মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। কালী পূজার সময়ও অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন, সেগুলো শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার তোলা এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে সবাই মুগ্ধ হবে একেবারে। আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনাও শেয়ার করেছেন। এটা দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
দাদা আজ এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখতে ভালো লেগেছে আমার কাছে।ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় তোলা এই ফটোগ্রাফি গুলো। ইকো পার্কের ফটোগ্রাফি ভীষণ ভালো লেগেছে। আর রেস্টুরেন্টে গেলে একেক জন মানুষের একেক রকমের খাবারের চাহিদা থাকে।আপনার চিকেন উইংস ভালো লাগে আর তাই সেই আইটেমটাই বেশী নিয়ে থাকেন।প্রতিটি ফটোগ্রাফি ও তার বর্ননা পড়ে দারুন লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা বরাবরের মতো আজকেও দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো সবসময়ই দারুণ হয়। প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। তবে কালী পূজার সময় তোলা ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা, খড়িবাড়ি, বর্তির বিল, এই জায়গাগুলোর নাম একদম মুখস্ত হয়ে গিয়েছে আমার। প্রকৃতির ছবিগুলো বেশ ভালই ছিল, তাছাড়া পূজা প্যান্ডেলের আলোকসজ্জা ছিল অনেকটা চোখে লাগার মত। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম ছবিগুলো।