মাত্র ৩ রানের সুপার ওভার!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইন্ডিয়া আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে তৃতীয় টি২০ ম্যাচ খেলা হয়েছিল। তবে গতকালকের খেলাটা একটু ভিন্ন ধরণের ছিল। ভিন্ন বলতে ম্যাচটা টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছিল। এমনিতেই গতকাল বৃষ্টির কারণে অনেক কিছুতে সমস্যা হয়েছে। এর আগের ম্যাচেও এই বৃষ্টির কারণে খেলাটা মোটেও জমেনি। খেলাটা প্রথম দিকে যদিও ভালো হয়েছিল ওইদিন, কারণ শ্রীলঙ্কা মোটামুটি ভালোই একটা স্কোর তুলেছিল, কিন্তু শেষমেশ dls মেথডে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। যদিও এটাতে ইন্ডিয়ার সুবিধাই হয়েছিল। রান আর ওভার কেটে একদম বাজে অবস্থা। ৮ ওভারে ৮২ না ৮৩ যেন ছিল, একদম নিমিষেই তুলে দিয়েছিলো ইন্ডিয়া।
তবে এই ম্যাচে ভীষণ কন্টেস্ট হয়েছে। এই তৃতীয় টি২০ ম্যাচে এইবার শ্রীলঙ্কা আগে টসে জিতে ইন্ডিয়াকে পাঠিয়েছিল ব্যাটে। যদিও অনেক দেরিতে শুরু হয় বৃষ্টি বিঘ্নিত কারণে। কিন্তু অবস্থা খুবই করুন ছিল ইন্ডিয়ার ব্যাটসম্যানদের, আমি ভেবেছিলাম হয়তো ওভার কেটে দিয়েছে তাই এই রান। কিন্তু পরে দেখলাম বিষয়টা তা নয়, কিন্তু ৪ ওভারে ২ উইকেট ২৪ রান দেখে ভাবনায় ছিলাম যে, আজকে মনে হয় গেলো। কারণ রান রেট ক্রমশ নিম্নমুখী ছিল তাদের। যাইস্বল ঠিক আগের ম্যাচের মতো lbw হয়, ওর আসলে এগিয়ে গিয়ে মারতে গেলেই একটা সমস্যা হয়ে যায়, দ্রুত দাগে পা নিয়ে যেতে পারে না। আগের ম্যাচে খেললেও এই ম্যাচে ১০ রানে আউট। স্যামসন শূন্য, এইরকম পরপর আরো কয়েকজন বাজে ব্যাটিং করে যায়। যদিও এটাতে তাদের অনেকটা কিছু বলা যায় না, কারণ বৃষ্টি হয়ে মাঠের অবস্থা খারাপ। মাঠ একদিকে ভিজে থাকলে বল বাউন্ডারি যেতেই সমস্যা হয়ে যায়, মানে খুবই স্লো অবস্থা হয়ে যায়। আর পিচের অবস্থাও খারাপ, পরপর ৩ টা ম্যাচে, যেন পিচে মাটিগুলো ঝরঝরে অবস্থা হয়ে গেছে হা হা।
বল করলেই পড়ে আরেকদিকে অ্যাঙ্গেল নিচ্ছে। খেলেছে মাত্র ৩ জন বলতে গেলে, এমনিতেও রানের অবস্থা দেখে ভেবেছিলাম টেনেটুনে ১২০ অব্দি যেতে পারে। গিল একটু খেলছিল ধরে ধরে, কিন্তু স্টাম্পিং আউট হয়। রিয়ান পরাগ সব থেকে ভালো খেলছে নতুন প্লেয়ার হিসেবে , যেমন বোলিং-এ আবার তেমন ব্যাটিং-এ। তবে শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটন সুন্দর মেরে ধরে ১৩৭ অব্দি নিয়ে গেছিলো, এতে তুলনামূলক খারাপ হয়নি পিচ এবং ফিল্ড কন্ডিশন হিসেবে। এতে শ্রীলঙ্কা শুরুটা আবার বেশ ভালোই করেছিল। আসলে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং শক্তি কিন্তু মাত্র ৪ জন। এই ৪ জন মেইনলি যদি ধরতে পারে বা সেট হয়ে যায় একবার তাহলে ম্যাচ সহজে বের করতে পারে। এই ৪ জনকে মোটামুটি টাইড দিতে পারলে আর লাগে না, ম্যাচ সহজেই বের করতে পারবে যেকোনো টিম। এই রানটা করাও কঠিন ছিল, কিন্তু কুশল মেন্ডিস আর কুশল প্রেরেরা খেলে দেওয়ায় মোটামুটি ম্যাচটা ফিফটি-ফিফটি পর্যায়ে চলে আসে।
আর শ্রীলঙ্কার উইকেট রিঙ্কু বলতে গেলে একদম সঠিক সময়ে একজন সেট ব্যাটসম্যানকে আউট করে, যার ফলে ম্যাচটা অন্য রূপ নেয়, নাহলে ওই কানাঘোষা করতে করতে ম্যাচ বের করে ফেলতো। সবথেকে কঠিন পরিস্থিতিতে বল করেছে সূর্যকমার যাদব। কারণ যেখানে ৬ বলে ৬ লাগবে, সেটাকে আটকানো এক কোথায় অসম্ভব, কিন্তু এসেই কামাল করে দিলো। পরপর ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ অনেকটা রিলাক্স মুডে নিয়ে আসে আসলে। কিন্তু একটা ভুল করে সে, কারণ যখন ২ রান নিচ্ছিলো, তখন তার পাশেই স্টাম্পিংটা করলে এই সুপার ওভারে যেত না। পরে দুই বলে দুই-দুই করে ৪ রান নিয়েই এই অবস্থা হলো। কিন্তু তার থেকে আরো মজার বিষয় হয়েছে সুপার ওভারে। শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করতে এসে পরে বিপদে, আসলে ৩ রান করে মাত্র, আর এতে ৩ জনের বেশি আসার নিয়ম নেই। এখন এই ৩ রান আসলে কি আর খেলবে, বিষয়টা একটু হাস্যকর হয়ে গেলো আবার মজারও হলো। এটা ইন্ডিয়া এসে ১ বলেই ৪ মেরে জিতে গেলো। খেলাটা সব দিক থেকে বেশ ভালো উপভোগযোগ্য ছিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর করে আপনি আজকেও একটা খেলা বিষয়ক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। ইন্ডিয়া আর শ্রীলংকার মধ্যে হওয়া তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রিভিউ টা দারুন ছিল। অনেক সুন্দর করে আপনি পুরো রিভিউটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। টান টান উত্তেজনার সাথে এরকম খেলা শেষ হলে বেশি সুন্দর লাগে সেগুলো। বুঝতে পারছি এই ম্যাচটা অনেক ভালো উপভোগ করেছিলেন। আমি নিজেও ভালোই উপভোগ করলাম আপনার রিভিউর মাধ্যমে। বৃষ্টির কারণে মাঠের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ ছিল বুঝতে পারতেছি। তবুও তারা ভালোভাবে খেলার জন্য চেষ্টা করেছে। তিন রানের বিষয়টা আসলেই অনেক হাস্যকর। তবে ইন্ডিয়ার কথাটা শুনে অনেক ভালো লেগেছে। ইন্ডিয়া এক বলে চার মেরে জিতে গিয়েছে বিষয়টা দারুন ছিল। অনেক সুন্দর করে পুরো ম্যাচটার রিভিউ শেয়ার করলেন। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা আপনার পরবর্তী খেলা বিষয়ক পোষ্টের জন্য।
এমন টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে সুপার ওভারে শ্রীলংকা মাত্র ৪ রানের টার্গেট দিয়েছে, এটা জেনে সত্যিই হাসি পাচ্ছে। কারণ সাধারণত সুপার ওভারে এমনটা হতে দেখা যায় না। সূর্যকুমার যাদব লাস্ট ওভারে এককথায় দুর্দান্ত বোলিং করেছে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ বেশ উপভোগ করলাম দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি ইন্ডিয়া বনাম শ্রীলংকার খেলাটি শুরু থেকে লাস্ট অব্দি দেখি নাই। মাঝামাঝি অবস্থায় খেলাটা দেখছিলাম বেশ ভালো লাগছিলো।তবে আমি কখনো ভাবি নাই যে এই ম্যাচটি সুপার ওভারে যাবে। তবে সূর্যকুমার যাদব যদি তার স্থান থেকে স্টাপিং আউট করত তাহলে ম্যাচটি সুপার ওভারে যেত না।যাইহোক তারপরেও ইন্ডিয়া জিতে গেছে এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ভাবে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।