টিভি সিরিজ রিভিউ: দ্যা ইমপারফেক্টস-কিউর অল ( পর্ব ৭ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'দ্যা ইমপারফেক্টস' টিভি সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "কিউর অল"। আগের পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে ইতালিয়া রিকিকে ধরে নিয়ে গেছিলো আর রুইজ, আবি এদের সবাইকে তার পরিবর্তে ছেড়ে দিয়েছিলো। আজকে এই পর্বে দেখবো কি হতে চলেছে।
ꕥকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:ꕥ
❂মূল কাহিনী:❂
এই পর্বের শুরুতে দেখা যায় অন্য একটা মনস্টার অর্থাৎ রুইজ এর মতো অন্য একজন নেকড়ের রূপ ধারণ করে। একদিন জেফ নামক একটা ছেলে আর তার বন্ধু মারিসা নামক একজনের উপর হামলা করে। জেফকে তো গলায় কামড় বসিয়ে মেরেই ফেলে আর তার বন্ধু মারিসার উপর হামলা করলেও শুধু মুখে নখের গভীর ক্ষত করে দেয়। তবে কোন ব্যক্তি এই নেকড়ের মতো রূপ ধারণ করেছে সেটা এখনো বোঝা যায়নি কারণ তার চেহারা সবসময়ের জন্য ঢাকা, হয়তো এটাও সারকোভের এক্সপেরিমেন্ট এর শিকার হয়ে বসে আছে। যাইহোক এরপর রুইজ, আবি আর টিল্ডা রিকিকে ছাড়িয়ে আনা যায় কিভাবে সেটার উপরে আলোচনা করতে লাগে আর তার মধ্যে এই ঘটনার বিষয় তাদের কানে চলে আসে আর সাথে সাথে সেখানে সেই স্পটে চলে যায়। যদিও সেখানে পুলিশ সিল করে দিয়েছে, তারপরেও টিল্ডা সেখানে চলে যায় কিন্তু সেই লোকটা তাদের উপর নজর রাখতে থাকে সবসময় অর্থাৎ তারা কে কোথায় কখন যাচ্ছে। বাকি দুইজন বাড়ি চলে গেলেও আবি পরে একা একা হসপিটালে চলে যায় যেখানে মারিসা নামক মেয়েটিকে ভর্তি করিয়েছে। তবে সে ভয়ে এমন অবস্থা যেন অন্য জগতে চলে গেছে তার মাইন্ড, কারো সাথে কথা বলার অবস্থায় নেই। আর রিকিকে যে ফ্লাক্স নামক এজেন্ট হিসেবে যারা ধরে নিয়ে গেছিলো তারা তাদের একটি ল্যাবে নিয়ে আটকে রাখে এবং সেখানেই তার এক্সপেরিমেন্ট, রিসার্স যা খুশি তাই করতে বলে কিন্তু সেটা শুধু তাদের জন্য।
এখানে যে প্রথমে বলেছিলাম যে রুইজ এর মতো দেখতে আরেকজন নেকড়ের রূপ ধারণ করেছে এটা আসলে তাদের তিনজনের একটা ধারণা ছিল, কিন্তু এই দৈত্যের মতো দেখতে লোকটা মানুষের মতোই কিন্তু তার চেহারা খুবই ভয়ানক দেখতে আর নক জংলী পশুদের মতো লম্বা লম্বা। রুইজ আর ডার্সি যখন বাড়ির থেকে বের হয় তখন এই দৈত্যের মতো লোকটাও তাদের ফ্লো করছিলো কিন্তু ডার্সিকে একা পেয়ে তার উপর হামলা করে দেয় আর তাকে মেরে ফেলতে চায় কিন্তু রুইজ নেকড়ের রূপ ধারণ করে তার উপর হামলা করলেও পেরে উঠিনি, তার নক দিয়ে রুইজ এর পেটে ক্ষত করে দেয়। এরপর তাকে ল্যাবে নিয়ে আসে আর সারকোভ সেলাই দিয়ে দেয়। এই দৈত্যটা সেখান থেকে চলে গিয়ে PJ এর উপর হামলা করে দেয়। সাইমন নামক একটি লোকও তার সাথে ছিল কিন্তু সে কোনোরকমে বেঁচে গেলেও PJ-কে বাঁচাতে পারেনি, তাকে মেরে ফেলে। পরবর্তীতে এই খবর পেয়ে টিল্ডা আর আবি মর্গে যায় আর তার হাতে যে আঁচড় দিয়েছিলো সেখান থেকে সেম্পেল নিয়ে আবি চেক করতে যায় যে এই দৈত্যের শরীরে কি ধরণের সাইড ইফেক্ট আছে ।
আবি বেশ অনেক্ষন ধরে সেই সেম্পেল নিয়ে টেস্ট করে এবং তার শরীরে যে সাইড ইফেক্ট পেয়েছিলো সেটা নিউরোটক্সিন এর যা খুবই ভয়ানক প্রভাব বিস্তার করে। এটার প্রভাবে অনেকে নিজের কন্ট্রোল এর বাইরে চলে যায় ফলে যে কাউকে মেরে ফেলতে পারে। আর সারকোভ এদিকে একা একা তাদের ডিএনএ টেস্ট করতে থাকে আর চিকিৎসা খুঁজতে থাকে যে কিভাবে ঠিক করা যায়। তবে যেহেতু টিল্ডা এবং রুইজ এর কাছের লোকজনের উপরে হামলা করেছে তাই আবির ধারণা ছিল যে সে এইবার তার পরিবারের উপর হামলা করবে, তাই আবি আর রুইজ দুইজনেই চলে যায় আর সারা রাত ধরে পাহারা দিতে লাগে বাড়ির সামনে। তারা ইচ্ছা করলেও নিজেদের বাড়িতে বাবা মায়ের কাছে যেতে পারে না একটা কারণে তাদের এই সাইড ইফেক্ট এর ভয়ে, কারণ তারা যেকোনো মুহূর্তে কন্ট্রোল হারিয়ে ভুল কিছু করে ফেলতে পারে। যাইহোক সকাল হতেই টিল্ডা ল্যাবের থেকে খবর দেয় যে সারকোভ তাদের ঠিক করার উপায় পেয়ে গেছে আর এইটা শুনে খুব খুশি তারা দুইজন আর সাথে সাথে আবি হান্নাকে ফোন করে এই খবরটা জানায় কিন্তু সেই লোকটা হান্নার কাছেও পৌঁছিয়ে যায়। তাকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে চলে যায় তার আস্তানায়। এই লোকটিও শুনে ফেলেছিলো এই চিকিৎসার বিষয়ে তাই সেও ঠিক হতে চায়। হান্নাকে যেখানে ধরে নিয়ে গেছিলো সেখানে দৈত্যটা হান্নার ফোন দিয়ে কল করে সেই মেডিসিন নিয়ে আসতে বলে।
আবি টিল্ডাকে ফোন করে সেই ইনজেকশন নিয়ে আসে আর তারা একসাথে সেই আস্তানায় যায় আর সেই দৈত্যটা তার শরীরে সেই ইনজেকশন দিতে বলে। আবি তার শরীরে সেই ইনজেকশন দিয়েও দেয়। ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথে প্রভাব পড়া শুরু করে এবং কিছুক্ষনের জন্য বেহুশ হয়ে যায়। হুশে আসার পরে দেখে সে মানুষে পরিণত হয়ে গেছে অর্থাৎ সারকভের এই চিকিৎসা কাজে দিয়েছে যার প্রমান পেয়েছে। তবে হান্নাকে ভীষণ খারাপ ভাবে ঘায়েল করে অর্থাৎ একটা মোটা পাইপ তার শরীরের আরপাড় করে দেয় কিন্তু তার সাইড ইফেক্ট এর জন্য সে বেঁচে যায়। এরপর তার চিকিৎসার জন্য ল্যাবে নিয়ে আসে। তবে যে মনস্টার হিসেবে এতজনকে মেরেছে তাকে ঠিক করলেও টিল্ডা তার উপর সবার মৃত্যুর একটা প্রতিশোধ নিতে চায় আর টিল্ডা তার সাথে ফোনে কথা বলার সময় এতো জোরে চিৎকার করে যে তার নাক, কান দিয়ে রক্ত বের হয়ে মারা যায়। আর এদিকে তাকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই এজেন্ট জিম স্পনসন আসে কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়ে যায়।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
এই যে মনস্টার রূপে সবাইকে মেরে যাচ্ছিলো এও একজন ডাক্তার nate ল্যাং নামে পরিচিত ছিল। তবে তার পিছনে সারকভের হাত থাকলেও তাকে ব্যবহার করেছিল এই জিম স্পনসন এজেন্টরা। এইরকম অনেক মনস্টার এখনো আছে বলে তাদের ধারণা, কারণ অনেকের সাথে তারা এই এক্সপেরিমেন্ট করেছিল আর সবার শরীরে এক একজনের বিপদজনক সাইড ইফেক্ট দেখা দেওয়ার ফলে অনেকে রুইজ এর থেকেও বিপদজনক হয়ে উঠেছে যেটা তাদের নিজেদের কোনো কন্ট্রোলে নেই। নিউরোটক্সিন এর ফলেও এই প্রভাবটা অনেক ক্ষতি করে থাকে। এখন সবার এই সাইড ইফেক্ট এর চিকিৎসা হিসেবে সবার উপরে প্রয়োগ করবে। পরবর্তী পর্বে দেখা যাক কি হয়।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৮/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
দ্যা ইমপারফেক্টস-কিউর অল ৭তম পর্খুব পড়ে ভালো লাগলো, এই পর্বটি অসাধারণ ছিল। মনস্টার রূপে যাদের কে মেরে ছিলো সে ডাক্তার nate ল্যাং ছিল। তবে সে একা ছিলো না।তার পিছনে সারকভের হাত ছিলো, তাকে শুধু ব্যবহার করেছিল জিম স্পনসন এজেন্টরা।তারা অনেকের সাথে এই এক্সপেরিমেন্ট করেছিল। যার কারণে বিপদজনক সাইড ইফেক্ট দেখা দেয়। আগামী পর্বের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পকরবো বাকিটা,তবে সাইড ইফেক্ট এর চিকিৎসা হিসেবে সবার উপরে প্রয়োগ করবে।জানিনা সবার উপরে প্রয়োগ করলে বিষয়টি আবার কি হবে,এটি আরো রহস্যময়। দেখা যাক আগামী পর্বে কি হয়। তাই আগামী পর্বের একজন অপেক্ষা রইলাম দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দ্যা ইমপারফেক্টস' টিভি সিরিজটির সপ্তম পর্বটা পড়ে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম। বিশেষ করে এটা জানতে পারলাম যে রুইজ এর মত অন্য একটা মনস্টার যেটা কিনা নেকড়ে রূপ নিয়েছে। এও দেখছি সার্কোভের এক্সপেরিমেন্ট এর শিকার। কিন্তু এর পেছনে সার্কোভ থাকলেও দেখছি এদেরকে চালাচ্ছে জিম স্পনসন এজেন্টরা। আর এই সাইড এফেক্ট দেখছি দিন দিন আরো বেশি ইন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। বিশেষ করে রুইজ থেকেও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। আসলে সাইড ইফেক্ট গুলো এতটা ভয়ংকর এই বিষয়গুলো অনেক ভয় পেয়েছি। সাইড ইফেক্টার প্রভাব হিসেবে এর চিকিৎসা বের করতে পারলে কি হবে এটা জানার অপেক্ষায় রইলাম। পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই আরো আকর্ষণীয় কিছু থাকবে।
সারকোভের এক্সপেরিমেন্টের শিকার দেখছি প্রায় অনেকজন হয়েছে। বিশেষ করে এর সাইড এফেক্ট দেখছি দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন তো দেখছি আরো একজন একেবারে রুইজের মত নেকড়ে রূপ নিয়েছে। আর সেটা কিনা রুইজের থেকেও অনেক বেশি ভয়ংকর। আবার দেখছি অনেককে মেরেও ফেলছে। সত্যিই এই বিষয়টা চিন্তা করলে খুবই ভয় লাগতেছে। কিন্তু এর তো একটা সমাধান বের করা উচিত। এই বিষয়টার সমাধান নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্বে বের করতে পারবে। এইজন্য পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আজকের পর্ব টা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। এই টিভি সিরিজটা যত বেশি পড়ছি ততই রহস্য সম্পর্কে জানতে পারছি। এখানে দেখছি অন্য আরেকটা নেকড়ে রুপ নিয়ে নিল। সে আসলে কে এই বিষয়টাও বুঝতে পারছিলাম না। তবে এটা বুঝতে পেরেছি যে এটা মূলত সারকোভের এক্সপেরিমেন্ট এর শিকার হয়েছে। দেখছি যতজন এক্সপেরিমেন্ট এর শিকার হচ্ছে ততই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এ তো দেখছি রুইজ থেকেও অনেক বেশি ভয়ংকর। অবশ্য এটা সারকোভের এক্সপেরিমেন্ট এর জন্য হলেও এর জন্য দায়ী এজেন্টরা। আর এই জন্য তো অনেক জনকে মারা যেতে হল। এত নিশ্চয়ই একটা সমাধান পাওয়া যাবে। নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্বে এর সমাধান দেখতে পাব। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
দাদা আপনার রিভিউ করা সিরিজটির রহস্য তো দেখছি দিনে দিনে বেরেই চলেছে। অবশ্য যত রহস্য বাড়বে ততই যেন সিরিজটি দেখতে ভাল লাগবে। আর সিরিজটিরও আপনি বেশ সুন্দর করে রিভেউ করে নিচেছন। আমার কাছে কিন্তু সিরিজের প্রতিটি চরিত্র রহস্যময় মনে হয়।
দাদা আপনার শেয়ার করা টিভি সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।রুইজ এর মত অন্য একজন ব্যক্তি এই নেকড়ের মতো রূপ ধারণ করেছে এটা সত্যি অনেক ভয়ংকর ব্যাপার। তবে এই নেকড়ে অনেক বেশি ভয়ংকর মনে হচ্ছে। ভয়ংকর এই মনস্টার যে কিনা সবার জন্যই বিপদ ডেকে আনছে। রুইজের থেকেও এই মনস্টার আরো বেশি শক্তিশালী এবং আরো বেশি ভয়ংকর। nate ল্যাং নামের একজন ডাক্তার এই মনস্টার রূপ ধারণ করেছে এটা সত্যিই খুবই ভয়ের বিষয়। আসলে এর পেছনে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। জিম স্পনসন এজেন্টরা এর জন্য দায়ী। তারা হয়তো বড়সড়ও কোন প্ল্যান করার জন্যই এটা করেছে এবং ভয়ংকর মনস্টার তৈরি করার চেষ্টা করেছে। আর এই সাইড ইফেক্ট এর চিকিৎসা কিংবা প্রতিকার পদ্ধতি আবিষ্কার করা যাবে কিনা এটা হয়তো আগামী পর্বেই জানতে পারবো দাদা। টিভি সিরিজের এবারের পর্বটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
@winkles স্যার আপনি কেমন আছেন আমার নাম মিঃ ড্যানিয়েল আমি আপনার কমিউনিটিতে একজন সেরা সদস্য হিসেবে যোগ দিতে চাই কমিউনিটিতে যোগদানের জন্য আমার কি করা উচিত। একজন ছাত্র হিসাবে আমি সম্প্রদায়ের একজন প্রশাসক হিসাবে আপনার র্যাঙ্ককে সম্মান করি। প্লিজ গাইড এবং আমাকে সাহায্য করুন আমি এই ধরনের কাজের জন্য কৃতজ্ঞ থাকব আপনার সেরা সম্মান @mrdani12
@mrdani12, আমাদের এই কমিউনিটি শুধুমাত্র বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য। আপনি আমাদের অন্য দুটি কমিউনিটিতে পোস্ট করতে পারেন। যেমনঃ ট্রন ফ্যান ক্লাব & বিউটি অফ ক্রিয়েটিভিটি।
সপ্তম পর্বে এসে দেখলাম এই যে মনস্টার রূপে সবাইকে মেরে যাচ্ছিলো এও একজন ডাক্তার nate ল্যাং নামে পরিচিত ছিল। তবে তার পিছনে সারকভের হাত থাকলেও তাকে ব্যবহার করেছিল এই জিম স্পনসন এজেন্টরা। এইরকম অনেক মনস্টার এখনো আছে বলে তাদের ধারণা, কারণ অনেকের সাথে তারা এই এক্সপেরিমেন্ট করেছিল আর সবার শরীরে এক একজনের বিপদজনক সাইড ইফেক্ট দেখা দেওয়ার ফলে অনেকে রুইজ এর থেকেও বিপদজনক হয়ে উঠেছে যেটা তাদের নিজেদের কোনো কন্ট্রোলে নেই। পরের পর্বে দেখা যাক কিভাবে কন্ট্রোল করে। ধন্যবাদ দাদা।