ওলের ডাঁটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের সুস্বাদু রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগlast month
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা করেছিলাম ওলের ডাঁটা দিয়ে আর সাথে নাইলোটিকা মাছ। নাইলোটিকা মাছ অনেক সুস্বাদু আর প্রিয় আমার। তবে এই মাছটা আমার কাছে অনেক প্রিয় ভাজার ক্ষেত্রে। এই মাছগুলো যেহেতু সাইজে অনেকটা বড়ো হয়ে থাকে, তাই এই মাছগুলো গোটা গোটা ভাজা মতো করে খেতে অনেক টেস্টি লাগে। এই নাইলোটিকা মাছগুলো আমি কিনেছিলাম আড়তের থেকে, আমাদের এখানে একটি গ্রামের বড়ো আড়ত আছে। একপ্রকার বলা যায় যে, আমাদের শহরের আড়তের থেকেও অনেক বড়ো আর মাছের দামও তুলনামূলক কম।

একবারে ৫-৬ কিলো কিনে নিয়ে এসেছিলাম, তবে এই মাছগুলো আমি বেশিরভাগ ভাজা বা বারবিকিউ করে খেয়েছি। কারণ এক মাছ এতো যদি একভাবে খাওয়া হয়, তাহলে আর রুচি থাকবে না মাছের প্রতি হা হা। তবে এই মাছগুলো যেকোনো তরকারির সাথে কিন্তু অনেক মজাদার হয়ে থাকে। ওলের ডাঁটা দিয়ে রান্না করেছিলাম, খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। ওলের ডাঁটা আমার তেমন একটা খাওয়া হয় না ঠিকই, কিন্তু এইসব মাছের ক্ষেত্রে একটুআদ্দুক খাওয়া হয়। এই মাছগুলোর ক্ষেত্রে তরকারি হিসেবে এটা ভালো। তাছাড়া ওলের ডাঁটা খাওয়া ভালো একপ্রকার। যাইহোক, এই তরকারিটা কিভাবে তৈরি করেছিলাম তার ধাপসমূহ নিচের দিকে তুলে ধরবো।


☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬

დউপকরণ
পরিমাণდ
নাইলোটিকা মাছ
১ টি
ওলের ডাঁটা
১ টি বড়ো সাইজ
গোল আলু
৩ টি
পেঁয়াজ
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
১১ টি
গোটা জিরা
২ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৪.৫ চামচ
হলুদ
৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো
২ চামচ


নাইলোটিকা মাছ, ওলের ডাঁটা, গোল আলু, পেঁয়াজ


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❦এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


➤ওলের ডাঁটা থেকে খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নেওয়ার পরে পিস পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে কুচি করে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤নাইলোটিকা মাছের পিসগুলো ধুয়ে তাতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর প্রত্যেক মাছের গায়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করার পরে মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে সব তুলে রেখেছিলাম।

➤এরপর আলুগুলো একইভাবে ভালো করে ভাজা করে তুলে রেখেছিলাম।

➤কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নেওয়ার পরে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সেটাও ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে একেবারে ওলের ডাঁটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলুর পিস এবং পরে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কা দিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে সব একসাথে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম সব সবজি।

➤সেদ্ধ কিছু আলু তরকারির থেকে তুলে নিয়ে গলিয়ে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তরকারিতে ভেজে রাখা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে গলিয়ে রাখা আলুটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর অল্প জিরা গুঁড়ো দিয়ে সব একসাথে ভালো করে মিক্স করে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

➤তরকারির ঝোল ঘন হয়ে আসলে আমি জ্বাল নিভিয়ে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং তাতে আরেকটু জিরা গুঁড়ো দিয়ে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

উলের ডাটার রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি, এটা আমার কাছে অনেকটাই ইউনিক। ভাজি করা মাছগুলো অনেক লোভনীয় ছিল দাদা। ভিন্নধর্মী রেসিপির সাথে নাইলোটিকা মাছের সংমিশ্রণ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

নাইলোটিকা মাছের খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার সুন্দর এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে বেশ ভালো লাগলো। নাইলোটিকা বলতে তেলাপিয়া মাছ কেই বুঝায়। অসাধারণ হয়েছে আপনার এই সুন্দর রেসিপি তৈরি করা। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আপনার উপস্থাপনাটা। বেশি দারুণভাবে অনেকগুলো ফটো একসাথে সাজিয়ে দেখান আপনি। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু ছিল আপনার রেসিপি।

 last month 

ঠিক বলেছেন দাদা এক ধরনের মাছ বেশি খেলে আবার মাছের প্রতি অরুচি ধরে যায়। শুধু মাছের ক্ষেত্রে না নয় প্রতিটা খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খেলে সে খাবার আর কখনো খেতে ইচ্ছে করে না।৫-৬ কেজি হলে, আপনি তো তাহলে অনেকগুলো মাছ কিনে এনেছেন। এই মাছগুলো কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি নাইলোটিকা মাছ ওলের ডাটা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন। আপনার রেসিপির কালার খুব সুন্দর এসেছে আর দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপির কালার সুন্দর হলে খেতেও খুব ভালো লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ দাদা মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

নাইলোটিকা মাছ ভাজি কিংবা বারবিকিউ করে খেতে আসলেই দারুণ লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে খেয়ে থাকি। যাইহোক ওলের ডাঁটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। আমিও সেদিন ৩.৫ কেজি নাইলোটিকা মাছ কিনেছিলাম। তবে মাছগুলো সাইজে বেশ বড় ছিলো। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

অও,নাইলোটিকা মাছ আপনার মত আমারও খুবই প্রিয় দাদা।বিশেষ করে নাইলোটিকা মাছের মাথা খেতে বেশ মজা লাগে।তবে এই বছর ওলের ডাটা এখনো খাওয়া হয় নি।আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে।ধন্যবাদ দাদা।

 last month 

ভাইতো দেখছি আমার মতো নাইলোটিকা ভাজার ভক্ত, হি হি হি। ছুটির দিনগুলো আমার টার্গেট থাকে একটা নাইলোটিকা ভাজা খাওয়া। অবশ্য আপনি রান্নাটাও ভালো করেন, যেমনটা আজকেও করেছেন। ধন্যবাদ

 last month 

😂আর আমার অল টাইম টার্গেট থাকে ভাজা খাওয়ার।

 last month 

ওলের ডাঁটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখতে পেয়ে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে দাদা। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটা পরিবেশন করলেন। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

সত্যি ই দাদা একই মাছ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে খেতে পারলে ভালো লাগে।নয়তো এক রকম রান্না করলে অরুচি ধরে যায়।আপনি ওলের ডাঁটা দিয়ে আর আলু দিয়ে চমৎকার ভাবে মাছের রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। মাছ ভেজে নিয়ে রান্না করলে অনেক বেশী সুস্বাদু হয় খেতে।আপনি তো সব কিছুতেই পারফেক্ট।👌 আপনার উপস্থাপনা ও দারুন।রেসিপিটি লোভনীয় হয়েছে দাদা।প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।ভালো থাকবেন দাদা।অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।

 last month 

ওলের ডাঁটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এত মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64724.35
ETH 3436.21
USDT 1.00
SBD 2.55