অযোধ্যার রাম মন্দির ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি আর্ট পোস্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের আর্টটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের এবং ভিন্ন চিন্তাধারা থেকে করার চেষ্টা করেছি। তবে এই আর্টটি আমি অনেকদিন ধরে করবো করবো করে ভেবেও রেখেছিলাম। এই আর্টটি হলো 'অযোধ্যার রামমন্দির"। তবে এই আর্টটি কিভাবে করবো সেটাই ভাবছিলাম অর্থাৎ একেবারে কমপ্লিট করবো না কাজ চলছে এমন একটা প্রতিচ্ছবি তুলে ধরবো। এটা সম্পূর্ণ করাটাও একটা কঠিন বিষয়, কারণ রাম মন্দির এর ভিতরে অনেক কিছু কারুকার্য আছে যেগুলো করতে গেলে অনেকদিন সময় লাগবে। এইটা করতেও আমার অনেকদিন সময় লেগেছে, তেমন একটা বেশি টাইম দিয়ে করা হয়নি, এইজন্য একটু লেট্ হয়েছে। অযোধ্যায় একটু আগে রাম মন্দির এর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং তাও সেটি সঞ্জীবনী যোগে করেছে, চারিদিকে বেশ সাজিয়েছেও দেখলাম খবরে।
শহরটা যেন বিভিন্ন প্রান্তের লোকজনে ভরে গিয়েছে দেখার জন্য, প্রচুর লোকজন এসেছে আজকে অযোধ্যায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে। পুরো দেশ আজকে একটা ইতিহাসে সাক্ষী হিসেবে থেকে গেলো, বহু বছরের প্রচেষ্টায় আজ এই সফলতা এসেছে। এটাতে অনেক কর্মজীবী মানুষের সুবিধা হবে, কারণ এখানে কাজের অনেক সুযোগ সুবিধাও পাবে সবাই। রাম মন্দিরটা বিশাল বড়ো করেছে। যাইহোক, এইগুলো টিভিতে দেখা আর সামনের থেকে দেখার মধ্যে অনেক পার্থক্য, সেই অনুভূতিটা আসে না। এখান থেকে অনেকটা দূর, ইচ্ছা থাকলেও যাওয়া সম্ভব না, যেতে প্রায় ৩-৪ দিন লেগে যাবে ট্রেনে। যাইহোক, এই অংকনটিতে আমি আসলে কিভাবে তৈরি হচ্ছে তার একটা প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আর এই রাম মন্দির তৈরির পিছনে প্রধান ভূমিকা পালন করছে তার ভক্ত হনুমান। এইরকম একটা দৃশ্য আর্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাইহোক, আশা করি এই অঙ্কনটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
![]() |
---|
❂উপকরণ:❂
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---
![]() |
---|
➤প্রথম ধাপে, ছোট হনুমানের চিত্র পুরোপুরিভাবে এঁকে নিয়েছিলাম এবং দুই হাত দিয়ে বড়ো একটি পাথর ধরে আছে সেটি এঁকেছিলাম এবং তাতে রাম লিখে দিয়েছিলাম। এরপর ক্রেন টাইপের কিছু এঁকে দিয়েছিলাম অর্থাৎ যেটাতে করে পাথর বহন করে করে কার্যস্থলে নিয়ে যাবে।
![]() |
---|
➤দ্বিতীয় ধাপে, রাম মন্দিরের চিত্র এঁকে দিয়েছিলাম এবং সেটিতে কাজ চলছে এমন বোঝাতে বাঁশের মতো এঁকে দিয়েছিলাম অর্থাৎ যেমনটা তৈরি করার সময় আমরা দেখে থাকি।
![]() |
---|
➤তৃতীয় ধাপে, মার্কার পেন দিয়ে কালী করে গাঢ় করে দিয়েছিলাম এবং কালার পেন দিয়ে পরে পাথরের গায়ে লেখা রাম শব্দটিকে কালার করে দিয়েছিলাম আর সেই সাথে হনুমানের কপালে একটা তিলক মতো এঁকে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
➤চতুর্থ ধাপে, মোম রং দিয়ে মন্দিরের উপরের থেকে কিছু অংশ কালার করে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
➤পঞ্চম ধাপে, মন্দিরের নিচের দিকে বাকি অংশটা কালার করে দিয়েছিলাম এবং পাথর বহনকারী সেইসব জিনিসে কালার করে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
➤ষষ্ঠ ধাপে, ছোট হনুমানজির মুখমন্ডল, বডি, ধুতি এবং লেজের দিকে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর পাথরগুলিকে কালার করে অঙ্কনের সমাপ্তি ঘটিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জয় শ্রী রাম ৷ দাদা আপনি একজন দক্ষতা সম্পুর্ন আর্ট ম্যান ৷ তার বাস্তব উদাহরণ এই রাম মন্দিরের অকংনটি ৷ যা হোক হনুমান হলো রামের একমাত্র ভক্ত ছিলো যে কি না শ্রী রামের জন্য প্রান পযন্ত ত্যাগ করতে পারেন ৷ আর এই জন্য তো হনুমান তার বুক চিরে দেখিয়েছে ৷ তবে দাদা আপনার রাম মন্দির অকংনটি সত্যি দেখার মতো ছিলো ৷
দাদা আপনি আজকেও আমাদের মাঝে একটা সুন্দর আর্ট শেয়ার করেছেন দেখে, আমার কাছে এটা দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই ধরনের আর্ট গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটা আর্ট করেছেন যেটা মুগ্ধ হওয়ার মত ছিল। অযোধ্যার রাম মন্দির এর আর্ট করেছেন, দেখে মনে হচ্ছে একেবারে বাস্তবিক। নিশ্চয়ই আপনার এই আর্ট করতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়েছে দাদা। মন্দিরটা অনেক নিখুঁতভাবে অঙ্কন করা হয়েছে। এই ধরনের আর্ট গুলো যত দেখি আমার কাছে ততই অনেক বেশি ভালো লাগে। তেমনি আপনার এই আর্টটা আমি যত দেখছিলাম ততই ভালো লাগছিল। পুরোটা কিভাবে অঙ্কন করেছেন এটার উপস্থাপনাটা অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। যেটা দেখে যে কেউ চাইলে এই আর্ট অঙ্কন করে নিতে পারবে। দাদা আশা করছি আপনি পরবর্তীতে ও এরকম সুন্দর আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।
দাদা আপনি বরাবরের মতো আজকেও চমৎকার একটি আর্ট শেয়ার করেছেন। আপনার আর্ট গুলো দেখে বরাবরই আমি ভীষণ মুগ্ধ হয়ে যাই দাদা। আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। যাইহোক অযোধ্যার রাম মন্দির এতটাই সুন্দর হয়েছে যে,প্রশংসা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খুবই নিখুঁতভাবে সম্পূর্ণ আর্টটি করেছেন দাদা। আর্টটি দেখে একেবারে বাস্তবিক মনে হচ্ছে। হ্যাঁ দাদা টিভিতে দেখা এবং সামনাসামনি দেখার মধ্যে অবশ্যই অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় চাইলেও যাওয়ার সুযোগ হয় না। যেহেতু আপনার বাসা থেকে সেখানে ট্রেনে করে যেতে ৩/৪ দিন লেগে যাবে, তাহলে তো অনেক দূর। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও, এতো সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কয়েক দিন ধরে অযোধ্যার রামমন্দিরের ভিডিও দারুন দেখছি ৷ ফেচবুকে ঢুকলেই সামনে চলে আসছে এই ভিডিও গুলো ৷ দেখতেও ভীষণ ভালো লাগছে ৷ কখনো সৌভাগ্য হবে কি না জানিনা , এই মন্দির দর্শনের ৷ তবে এভাবে দর্শন করতে পেরেও ভীষণ ভালো লাগছে ৷ তবে আজ আপনার আর্ট দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা ৷ দারুণ এঁকেছেন ৷ অযোধ্যার রামমন্দির আসলেই ভীষণ বড় এবং অনেক সুন্দর ৷ আপনি আপনার আর্টের মাঝেও ছোট ছোট ডিজাইন গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ৷ যেটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ৷ আর যার জন্য আর্টটাও দারুণ ভাবে ফুটে ওঠেছে ৷ সামনে হনুমানজির রাম নামে পাথর নিয়ে অবস্থার করাটা যেনো ছবির পরিপূর্ণতা ছিলো ৷
অনেকদিন ধরেই ভাবছিলেন অযোদ্ধার রাম মন্দির এঁকে শেয়ার করবেন। এরপর দাদা এঁকেও ফেললেন।আমি আপনার আর্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আপনি একজন দক্ষ আর্টিস্ট এক কথায় বলতে পারি।আপনি আঁকার পরে দারুন লেগেছিল।আর কালার করার পর আরো বেশী জীবন্ত হয়ে উঠলো।আপনার আর্ট নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই।আপনি যেকোনো আর্ট চমৎকার আঁকেন। আর সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন রঙের ছোঁয়ায় ।আমার কাছে আপনার সব ধরনের আর্ট খুবই ভালো লাগে।এভাবেই প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর আর্টগুলো শেয়ার করবেন আশাকরি। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর এই আর্টটি শেয়ার করার জন্য আমাদের মাঝে।
দাদা আপনার আর্ট গুলো আমি প্রতিনিয়তই অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি সব সময় এত সুন্দর আর্ট করেন যে, একেবারে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকার মত হয়ে থাকে। অনেক নিখুঁতভাবে অঙ্কন করেছেন দেখছি এটা। এই মন্দিরের কাজ এখনো চলমান রয়েছে, এটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন আপনি অনেক সুন্দর করে। বুঝতেই পারতেছি মন্দিরের কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। মন্দিরের কাজগুলো অনেক বেশি নিখুঁত ছিল দাদা। এই ধরনের আর্ট করতে সময় এবং ধৈর্য দুটোর অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। আর এগুলোকে কাজে লাগিয়ে যদি আর্টগুলো সুন্দরভাবে করা হয়, তাহলেই শেষে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। অযোধ্যার রাম মন্দির অংকন করেছেন আপনি এত নিখুঁত ভাবে। আর সম্পূর্ণটা সুন্দর করেই তুলে ধরা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। দাদা আপনি এই আর্ট টা যেমন সুন্দর করে করেছেন, তেমনি সম্পূর্ণটার কালার কম্বিনেশনটাও অনেক সুন্দর ভাবে সিলেক্ট করে করেছেন। কালার কম্বিনেশনটা সুন্দর হওয়ার কারণে আরো বেশি সুন্দর লাগতেছে। সব মিলিয়ে দাদা সম্পূর্ণটা অসম্ভব সুন্দর ছিল।
দাদা আপনার চিন্তাধারা আর শৈল্পিক দক্ষতা দুটোই আমাকে মুগ্ধ করেছে। সত্যি দাদা এরকম চিন্তাধারা আপনার মাথাতেই আসা সম্ভব। একটি মন্দিরের প্রতিচ্ছবি এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। আর কোন কিছু মনের মাঝে এলে আমরা হয়তো সেটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনার মত করে এত সুন্দর করে কখনো চিন্তাও করতে পারি না দাদা। অযোধ্যার রাম মন্দির দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছে। এই কাজটি করতে অনেকটা সময় লেগেছে বোঝাই যাচ্ছে। আসলে কিছু কিছু মন্দির আছে যেগুলোর কারুকার্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে। আর এই মন্দিরটি তেমনটাই বুঝতে পারছি দাদা। যেহেতু অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে আশা করছি এই মন্দিরটির প্রতি সবার অনেক আকর্ষণ আছে। আপনি সেই মন্দিরের প্রতিচ্ছবি নিজের মতো করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে দাদা। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। দারুন একটি চিত্রকর্ম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
আসলেই দাদা,বহুছরের স্বপ্ন বহু পরিশ্রমের পর স্বার্থক হয়েছে বলতে হয়।আপনি একদম সময় উপযোগী পোষ্ট করেছেন।আর্টটি বেশ সুন্দর ও অসাধারণ হয়েছে।আর এটা করতে সময় লেগেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, আপনার আর্টের প্রশংসা করতে হয় বরাবরই।নিখুঁত হয়েছে আর হনুমান জি বেশ কিউট দেখতে লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে।