সবজি দিয়ে সয়াবিন বড়ির তরকারি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা গতকাল করেছিলাম। এই রেসিপিটা কয়েক প্রকার সবজি দিয়ে সয়াবিন বড়ির একটা নিরামিষ রেসিপি তৈরি করেছিলাম। শিম, পটল, কুমড়ো, আলু এবং বরবটি দিয়ে সয়াবিন বড়ির তরকারি খেতে বেশ ভালো লেগেছিলো। এমনি সয়াবিন বড়ি নরমালি শুধু আলু দিয়ে রান্না করা হয়, এই তারিখ সবজিগুলো দিয়েও খেতে ভালো লেগেছিলো। আলু দিয়ে আর মশলা দিয়ে যদি সয়াবিন বড়ি কষা কষা রান্না করা হয় তাহলে কিছুটা মাংসের মতো লাগে, বাড়িতে মাঝে মাঝে মা রান্না করে খেতে বেশ ভালো লাগে। আর এই সবজিগুলো ভাজা করে খেতেও অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে শিম আর বরবটি এই দুটি সবজি সকালের খাবার হিসেবে ভাজা বা ভর্তা করে খেতে দারুন লাগে আমার কাছে। আর কুমড়ো সব কিছুতেই দারুন টেস্ট,যেকোনো ভাবেই কুমড়ো খেতে ভালো লাগে। যাইহোক এখন এই সবজি দিয়ে সয়াবিন বড়ির নিরামিষ রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
ꕥপ্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:ꕥ
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☫প্রস্তুত প্রণালী:☫
➤সয়াবিন বড়িগুলো প্রথমে কিছুক্ষন জলে ভিজিয়ে রেখে পরে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর আলু দুটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং কেটে পিচ পিচ করে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤শিমগুলো কেটে নিয়ে পরে জল দিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর কুমড়োটির খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤পটলগুলোর খোসা সব ভালো করে ছালিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর সব কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤বরবটিগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলোকে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤একটি প্যানে তেল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তেলটা গরম হলে তাতে সয়াবিন বড়ি দিয়ে দিয়েছিলাম। সয়াবিন বড়িগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤বড়ি ভাজা হয়ে গেলে তাতে আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর লাল মতো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤আলু ভাজা হয়ে গেলে প্যানে আরেকটু তেল দিয়ে পটলের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পটল ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে কেটে রাখা শিম দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤শিম ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে কুমড়োর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤কুমড়ো ভাজা হয়ে গেলে বরবটি ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤সব সবজি ভেজে নেওয়ার পরে কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে গোটা জিরা দিয়ে লঙ্কার সাথে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤জিরা এবং শুকনো লঙ্কা ভাজা হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা পটল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা বরবটি দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤বরবটি দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা শিম দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা কুমড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤কুমড়ো দেওয়া হয়ে গেলে তাতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে স্বাদ মতো লবন , হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤মশলাগুলো সব সবজির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পরে তাতে জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছু সময় ধরে ফুটিয়ে সব ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
➤কিছু সেদ্ধ আলু একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম এবং পরে ভালো করে গলিয়ে নিয়েছিলাম আলুগুলো।
➤আলু গলানোর পরে তরকারিতে ভেজে রাখা সয়াবিন বড়ি দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে গলিয়ে রাখা আলু দিয়ে দিয়েছিলাম। আলুটা তরকারির সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে দেওয়ার পরে আরো কিছু সময় দেরি করেছিলাম তরকারিটা পুরোপুরি হয়ে আসার জন্য।
➤তরকারি আমার ভালোভাবে হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সয়াবিন দিয়ে সবজি তরকারির রেসিপি টি অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে।আপনি প্রতিটি সবজি সুন্দর করে ভেজে নিয়েছেন।সয়াবিন দিয়ে এরকম সবজি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি রেসিপি টি এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।এতে করে সহজেই শিখে নিতে পারব রেসিপি টি। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা সবজি দিয়ে সয়াবিন বড়ির তরকারিটা ভীষণ লোভনীয় দেখাচ্ছে। আমিও সয়াবিন বড়ি খেতে ভীষণ পছন্দ করি, আর সত্যি বলতে আলু দিয়েই বেশি খাওয়া হয়। আপনি তো বেশ কিছু সবজি দিয়ে তরকারিটা রান্না করেছেন আর সুস্বাদু হয়েছে খাবারটি নিঃসন্দেহে বলা যায়। যাক আমার কাছে তরকারিটা বেশ ইউনিক লেগেছে। আমিও দেখি এভাবে রান্না করে দেখবো। রান্নার পরিবেশনের জায়গাটা ভীষণ সুন্দর ছিল।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
এই নিরামিষ রেসিপি আমার কিন্তু বেশ ভালই লাগে। এটি এত বেশি ভালো আগে বাড়িতে সয়াবিন বড়ির তরকারি রান্না হলে বলতাম মাংস রান্না হচ্ছে ।সয়াবিন বড়ি রান্না করার ক্ষেত্রে দেখলাম আপনি এর মধ্যে কিছু সবজিও দিয়েছেন। সবজিগুলো ব্যবহার করার কারণে রেসিপিটি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আরো বেশি পুষ্টিকর হয়ে যায়। আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি খুব সুন্দর করে রান্না করার পাশাপাশি অনেক গুছিয়ে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন যা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
আমি গত এক বছর আগে সয়াবিন খেয়েছিলাম।প্রথমে ভেবেছিলাম মাংস পরে জানতে পারলাম মাংস না সয়াবিন।মসলা দিয়ে ভালো করে রান্না করলে একেবারে মাংসের মতই লাগে। তবে কখনো এভাবে সবজি দিয়ে খাওয়া হয়নি।প্রতিটি ধাপ আপনি বেশ সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আলু গলিয়ে দিলে তরকারির ঝোল টা গাঢ় হয় খেতে ভালো লাগে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
দাদা আজকের রেসিপিটা একেবারে নতুন। আপনার নিকট সয়াবিন বড়ির রেসিপি প্রথম দেখলাম। আজকে শিম, পটল, কুমড়ো, আলু এবং বরবটি দিয়ে সয়াবিন বড়ির তরকারি রান্না করলেন। অনেক গুলো সবজি এক সাথে দিলেন। আপনার রেসিপির একটা বৈশিষ্ট হলো আপনি সব কিছু ভাজি করে তরকারি রান্না করেন। আজকেও পাঁচ প্রকার সবজি আলাদা আলাদ ভাবে ভাজি করে রান্না করেছেন। যা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ দাদা।
এই সময় পটল দেখে তো অবাক লাগছে দাদা। এই সময়ে বাজারে পটল পাওয়া যায় বলে মনে হচ্ছে না। তবে যাই হোক বিভিন্ন প্রকারের সবজির মিশ্রণে তৈরি করা রেসিপি কিন্তু দারুণ ছিল। সয়াবিন বড়ি আসলে আমার সেভাবে খাওয়া হয়নি। একদিন সয়াবিন বড়ি খাওয়ার আগ্রহে অনেক মজা করে রান্না করতে গিয়েছিলাম। অবশেষে দেখি লবণ দিতে ভুলে গেছি🤭। এরপর আর কখনোই খাওয়া হয়নি। একদিন এভাবে বিভিন্ন প্রকারের সবজি দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখব। আপনার রন্ধন প্রণালীর সম্পূর্ণ পদ্ধতি ভালোভাবে শিখে নিলাম দাদা। অবশ্যই খুব শীঘ্রই রান্না করে খেয়ে দেখব। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এইগুলো পুরানো পটল, সিজনের পটল না। বাজারে পুরানো অনেক সবজিই ওঠে এখন।
এই ভুলটা মনের ভুলে অনেক সময় হয়েই যায়। তবে লবন কম হলেও এটা পরে মিক্স করে সামঞ্জস্যতা আনা যায় তরকারিতে।
দাদা আশাকরি খুব ভাল আছেন। আজ আপনি আনকমন একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভাল লাগলো। সয়াবিন বড়ি আসলে কখনও খাওয়া হয়নি আমার। আপনি বিভিন্ন সবজি দিয়ে সয়াবিন বড়ি রান্না করলেন। দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে। আপনি ধাপে ধাপে খুব সুন্দরভাবে রান্নার প্রসেসগুলো তুলে ধরেছেন, দেখে খুব ভাল লাগলো। আপনি সব আলাদা আলাদা ভেজে রান্না করলেন।আসলে ভাজা হলে সবকিছুর টেস্ট বহুগুন বেড়ে যায়। মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা সবজি দিয়ে সয়াবিন বড়ি তরকারি আমি কখনো দেখিনি এবং খাইওনি।তবে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছি এইভাবে রান্না করে খেতে নাকি খুব সুস্বাদু লাগে। যেহেতু এই রেসিপি আমি কখনো দেখিনি সেহেতু রেসিপিটা আমার কাছে একেবারে ইউনিক লাগছে।আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে রানা প্রসেসিং গুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এ জীবনে বোধহয় আর এই সয়াবিন বড়ির টেস্ট পাওয়া হলো না!আমার কেনো জানি সেসব ই বেশি খেতে ইচ্ছে করে যেসব চট্টগ্রাম এ পাওয়া যায়না,যেমন এই সয়াবিন বড়ি।
ইন্ডিয়ায় এসে এক বস্তা সয়াবিন বড়ি কিনে নিয়ে যাও তাহলে পারবে হা হা।
দাদা নমস্কার
শীতকাল মানেই হলো নানা রকম সবজি ৷ আর তাই খাওয়া দাওয়া বেশ ভালোই হয়ে থাকে ৷ দাদা আপনি আলু ,শিম,কুমড়ো ,বরবটি বেশ সুন্দর সুস্বাদু সয়াবিন বড়ির তরকারি রেসিপি করেছেন ৷ যার প্রতিটি ধাপ আমি বেশ মনযোগ সহকারে দেখলাম ৷অনেক ভালো লাগলো দাদা সুন্দর রেসিপি টি দেখে ৷