ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ১: পর্ব ১০ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির দশম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "এ ম্যাটার অফ চয়েস"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, পৃথ্বীকে তার লোকেই অর্থাৎ সেই সাইকো লোকটা মেরে অজ্ঞান করে ফেলে। আজকে এই পর্বে কি ঘটতে চলেছে দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❁মূল কাহিনী:❁
তো এখানে কাহিনী যেটা ঘটে যে, পৃথ্বীকে তো ওইদিকে তাদের বাড়িতে মেরেধরে বেঁধে রাখে সাইকো লোকটা, এমনকি সবাইকেই বেঁধে রাখে। আর এদিকে মীরা যে মিশিওনারীতে আসে, সেখানে যে মহিলা চিকিৎসাধীন ছিল সে পরিচয়টা জানতে পারে মিরা। এখন এদিকে ওই সাইকো লোকটা তো তাদের সবাইকেই একসাথে একটা মারার প্ল্যান করে অর্থাৎ গ্যাসের সিলিন্ডার অন করে দেয় যাতে সমস্ত ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে যায় আর সে বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে, কিন্তু তাদের টিমে যে মেয়েটা ছিল সে বিষয়টা বেশিদূর গড়াতে না দিয়ে ওই সাইকোটাকে গুলি করে দেয়, যদিও মেয়েটা তাকে ভালোবাসতো, কিন্তু বিষয়টা অনেকদূর গড়ানোর আগে সে থামানোর এই একটা পথই পেয়েছিলো। এখন পৃথ্বীর কাছে মোর ফোন করে বিষয়গুলো বলে, মানে ওই মহিলাটা ছিল পৃথ্বীর ওয়াইফ। আর ওখানেই গোপনে চিকিৎসা করাতে লাগে দীর্ঘদিন ধরে। তবে মিরা যদিও কিছু করতো না একজন ডাক্তার হয়ে, কিন্তু মীরা তার পরিবারকে বাঁচানোর জন্য তাদের বলে যেন বাড়ি ছেড়ে দেয়।
আর পৃথ্বীর সাথে আরো একটা ছেলে ছিল, যেটা তার শালা হয় সম্পর্কে, আসলে তার বোনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বদলা নিতে সেও পৃথ্বীর সাথে যোগ দেয়। তবে পৃথ্বী এই বিষয়টা আসলে আর দেখলো বেশিদূর না টেনে সমাপ্ত করাই ভালো। তাই সে মীরার পরিবারের সবাইকেই ছেড়ে দেয়। তবে এখানে পৃথ্বী যার কোথায় এই কাজ করতে এসেছিলো, তার উপরে আরো একজন আছে সেই মোটামুটি সবকিছুর কলকাঠি নাড়তে থাকে। এখন পৃথ্বীর টিমে যে মেয়েটি ছিল, তার আবার এর সাথে ভালো খাতির ছিল, ফলে ফোন করে সবকিছু বলে দেয় অর্থাৎ পৃথ্বী তাদের সবাইকেই যে ছেড়ে দিয়েছে। এখন সে রেগে গিয়ে পৃথ্বীর বাবাকেই টার্গেট করে আর তাকেই মেরে ফেলে পৃথ্বীর খোঁজ না বলায়। পৃথ্বী তাদের তো ছেড়ে দিয়ে যায় মীরা যেখানে বলে।
কিন্তু ওই মেয়েটা টাকার ব্যাগ নিয়ে ভেগে যায় ওই ফাঁকে। এখন মূল বিষয় হলো, পৃথ্বীর ওয়াইফ এর যে সমস্যা তাতে তার অন্যজনের বন ট্রন্সফার না করলে বাঁচানো সম্ভব না। এইবার পরেরদিন পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর অপারেশন এর ডেট, তবে তার আগে এমন কিছু ঘটনা তার চোখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে অর্থাৎ কেন বা কি কারণে পৃথ্বীর মুখ্যমন্ত্রীর উপরে এতো রাগ বা কেন তাকে মেরে ফেলতে চায়। একটা ভিডিও দেখার পরে সবকিছুই মীরার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। এখন অপারেশনে পৃথ্বী যে মেডিসিন ব্যবহার করতে বলেছিলো অর্থাৎ যার ফলে অর্গান ড্যামেজ হয়ে যাবে আর যার ফলে তার মৃত্যু হয়ে যাবে। আর মীরা সেটাই করেছিল, কারণ তারও মনে হয়নি যে, তার মতো মানুষের বেঁচে থাকার দরকার আছে।
❁ব্যক্তিগত মতামত:❁
এখানে আসলে এই সিজনে সবগুলো পর্বে বোঝা গেলো যে, পৃথ্বীর ওয়াইফ এর এই সমস্যার পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ছিল এবং সেটা খুবই জঘন্য আর সেটা আপনারা অনুমান করতে পারছেন নিশ্চই, তাই আর বললাম না। আর এই ফুটেজ আসলে মীরার চোখে যখন পড়ে, তখন সে ডিএনএ চেক করে এবং বিষয়গুলো আরো ভালোভাবে বুঝতে পারে। তবে অপারেশন টেবিলে যে, মুখ্যমন্ত্রী মরে গিয়েছে, সেটা দেখাচ্ছিল, কারণ তার পালস, হার্টবিট সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো আর তাকে বাইরে বেরও করেছিল মৃত অবস্থায়। তবে এটা একটা সাজানো ছিল, ওটা আসলে কিছুক্ষনের জন্য একটা দেখিয়েছিলো মরা মতো অবস্থা। এইরকম ঔষধ আছে যেটা দিলে মানুষ কিছুক্ষনের জন্য মৃত অবস্থায় চলে যায়। তবে পরে আবার ইনজেকশন দিয়ে ঠিক করে দিয়েছিলো আর তাকে সেই মিশিওনারীতে নিয়ে যায়, যেখানে পৃথ্বীর ওয়াইফ ছিল। এরপরে আসলে কাহিনী যেটা হবে সেটা পরের সিজনে দেখা যাবে, নাহলে এখন বলে দিলে ইন্টারেষ্টিং থাকবে না বিষয়টাতে।
❁ব্যক্তিগত রেটিং:❁
৯/১০
❁ট্রেইলার লিঙ্ক:❁
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
দাদা আপনি অনেক বেশি সুন্দর করে 'হোস্টেজেস'ওয়েব সিরিজটার দশম পর্বের রিভিউটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর দেখছি এই পর্বের নাম ছিল "এ ম্যাটার অফ চয়েস"। এই পর্বে তো দেখছি অনেক বড় একটা রহস্য সামনে এসেছে দাদা। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ছিল এসব কিছুর পেছনে, এটা তো ভাবতেই অনেক জঘন্য লাগতেছে। আসলে দাদা এ ধরনের মানুষগুলোর জন্যই এগুলো হয়ে থাকে। বিষয়গুলো সত্যি অনেক জঘন্য। আবার দেখছি মরার বিষয়টা সাজানো ছিল। এখন তো দেখছি পৃথ্বীর ওয়াইফ যেখানে ছিল তাকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরে কি হবে, এটা জানার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ জন্মেছে দাদা। অপেক্ষায় থাকলাম কিন্তু পরবর্তী পর্বের রিভিউটার জন্য। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো ভালোভাবে সবকিছু জেনে নিতে পারবো। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্ব টা।
অনেক বেশি সুন্দর হয় দাদা আপনার ওয়েব সিরিজ গুলোর রিভিউ। এই ওয়েব সিরিজটার রিভিউ যতই পড়তেছি আমার কাছে কিন্তু ততই ভালো লাগতেছে দাদা। এই ওয়েব সিরিজটার রিভিউগুলো আস্তে আস্তে পড়ার কারণে এখন অনেক কিছুই জানতে পারতেছি। বিশেষ করে রহস্য গুলোর বিষয়ে। পৃথ্বীর ওয়াইফ এর এই সকল সমস্যার পেছনে যে মুখ্যমন্ত্রী ছিল এটা তো একেবারে বিশ্বাসই করতে পারতেছে না। আসলে এই সমস্ত বিষয়ে কথা বলতেও অনেক বেশি খারাপ লাগে দাদা। এগুলো সত্যি অনেক বেশি জঘন্য কাজের মধ্যে পড়ে। এখন পরের কাহিনী কি হবে এটা দেখা ছাড়া তো আর শান্তি হবে না। অধীর অপেক্ষায় থাকলাম দাদা এই কাহিনীটা সম্পূর্ণভাবে জানার জন্য।
এই পর্বের রিভিউ পড়ে আসলেই খুব ভালো লাগলো। কারণ সবকিছু একেবারে ক্লিয়ার হয়ে গেলো। মুখ্যমন্ত্রী তো দেখছি খুবই বাজে প্রকৃতির লোক। এমন লোকের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। মুখ্যমন্ত্রীকে মিশিওনারীতে পৃথ্বীর ওয়াইফ এর সামনে নিয়ে যাওয়াতে খুব ভালো হয়েছে। মীরা সত্যিই বুদ্ধিমতী একজন মহিলা। তবে পৃথ্বীও দেখছি খুব ভালো। কারণ পৃথ্বী যা করেছে পরিস্থিতির শিকার হয়েই করেছে। তবে সেই লোকটা পৃথ্বীর খোঁজ না পেয়ে পৃথ্বীর বাবাকে মেরে ফেলেছে, এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।