ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ডার্ক ওয়েব- শেরিংস লিঙ্ক ( পঞ্চম পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'ডার্ক ওয়েব' সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "শেরিংস লিঙ্ক"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম সাহেব আর সম্পূর্ণা দার্জেলিং এর উদ্দেশ্যে শেরিং এর খোঁজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। আজকে তারপরের থেকে দেখবো ঘটনাটা কোনদিকে মোড় নেয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
ডার্ক ওয়েব
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
শেরিংস লিঙ্ক
পরিচালকের নাম
সায়ন্তন ঘোষাল
অভিনয়
সাহেব ভট্টাচার্য , সম্পূর্ণা লাহিড়ী ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৪ আগস্ট ২০১৮ ( ইন্ডিয়া )
সময়
১৪ মিনিট ( পঞ্চম পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সাহেব আর সম্পূর্ণা ট্রেন ছাড়া যাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলে আর সাহেব তার বৌদি এবং ভাতিজাকে সম্পুর্নাদের বাড়িতে রেখে যায়। কারণ যেহেতু তাদের বাড়িও তারা চিনে গেছে আর সবকিছু ট্র্যাকিং করছে তাই বাড়িতে থাকাটাও তাদের জন্য লাইফ রিস্ক হয়ে যেতে পারে। সাহেব আর সম্পূর্ণা মোটামুটি তারা দার্জেলিং পৌঁছিয়ে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে নেয় যতদিন থাকবে ততদিনের জন্য। তারা সাধারণত ওই পশুপতি ভবনের আশেপাশে কোথাও কোনো গেস্ট হাউস এ থাকার চিন্তা করে, কারণ অনেকদিন লাগতেও পারে তাদের এই শেরিং এর ঝামেলা মেটাতে। সাদেককে যে খুন করেছিল সে আবার তাদের ফ্লো করতে করতে দার্জেলিং পর্যন্ত পৌঁছিয়েও গিয়েছে সাথে আরো কিছু সঙ্গী ছদ্দবেশে অর্থাৎ দার্জেলিং এর লোকেদের মতো সাজগোজ আর ভাষা ব্যবহার করে চলছে যাতে তাদের না চিনতে পারে। আর তারা সুযোগ খুঁজছে কখন শেরিং এর দেখা পাবে, আর সেই সাথে সাথে তাকেও মেরে দেবে যাতে এই জটলা আরো জড়িয়ে যায় তাদের সামনে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সাহেব আর সম্পূর্ণা প্রথমে পশুপতি ভবনের কাছে গিয়ে বেশ কিছু লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে যে পশুপতি ভবনে শেরিং বলে একজন কাজ করে সে আছে কিনা। কিন্তু তারা একটাই সাফ শব্দে জানিয়ে দেয় যে এখানে এইরকম নামে কেউ থাকে না, আর এইসব লোকজন ছিল ছদ্দবেশে। এরপর তারা দুইজন সিদ্ধান্ত নেয় যে এইভাবে জিজ্ঞাসা করে পারা যাবেনা, তাই ভবনের ভিতরে গিয়েই খোঁজ নিতে হবে। এরপর তারা দুইজন ভিতরে যাওয়ার পরে একজন কর্মরত লোককে জিজ্ঞাসা করে এখানে শেরিং এর সাথে দেখা করতে চাই, কিন্তু লোকটাও তাকে চেনে না আর এইরকম নামে কেউ এখানে কাজ করে না। আর না জানারও কথা তার, কারণ সে নতুন জয়েন করেছে সেখানে। এরপর তারা সেখানকার ইনচার্জ এর সাথে দেখা করতে চায় এই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য, কিন্তু সেটাতেও তাদের পারমিশন দেওয়া হচ্ছিলো না। না শুনলে পরে কলকাতার নিউজ চ্যানেল থেকে এসেছে বললে ভিতরে ইনচার্জ এর সাথে দেখা করতে দেয়। সেখানকার ইনচার্জ শেরিং-কে চিনতো আর তার সাথেও সেখানে কাজ করেছে বলে জানায়।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সম্পূর্ণা সরাসরি কিছু বলেনি যে তারা শেরিং এর সাথে তাদের কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে এসেছে, সে তার অফিসের বসের নাম করে বলে যে শেরিং যেসব বই ছিল সেগুলোর উপরে আমরা একটা ডকুমেন্টারি করতে চাই আর সেইজন্য তার সাথে দেখা করা প্রয়োজন ছিল। আর শেরিং এর সাথে যোগাযোগ করারও কোনো মাধ্যম নেই, কারণ উনি দুইদিনের নোটিশ দেওয়ার সাথে সাথে কাজ ছেড়ে চলে যায় আর যে ফোন নম্বর আছে সেটা ডিএক্টিভেটেড হয়ে আছে। এরপর তারা পরেরদিন থেকে বইগুলোর উপরে ডকুমেন্টারি কাজ শুরু করবে বলে বেরিয়ে আসে। তারা দুইজন বাইরে চলে আসার পরে প্রথমে যে লোকটার কাছে শেরিং এর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল সে লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের দেখছিলো কোথায় কখন কিভাবে যাচ্ছে আর সাহেব সেটা একটা গাড়ির লুকিং গ্লাসে দেখে ফেলে। এরপর গাড়ির ড্রাইভার আর সাহেব মিলে লোকটাকে ধরে ফেলে। এরপর আলী নামের যে লোকটার গাড়িতে এসেছিলো সেই গাড়িতে একটা কাগজে ধুমকি ভরা কথা লিখে চলে যায় একজন যে এখান থেকে না চলে গেলে মারা পড়ে যাবে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

যে লোকটাকে তারা ধরেছিলো তাকে একটা ফাঁকা জাগায় নিয়ে গিয়ে শেরিং এর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, কারণ এই লোকটা শেরিং এর বিষয়ে জানে অর্থাৎ সে এখন কোথায় আছে সেটা সেই বলতে পারবে। আর যে খুনিটা এসেছিলো সে ফোন করে এখানকার কথাগুলো সেখানে পাচার করতে থাকে। এরপর তাদের ড্রাইভার আলী তাদের থাকার জন্য একটা পরিচিত জায়গায় নিয়ে যায় আর যে লোকটাকে ধরেছিলো তার কাছে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করতে থাকে বারবার যে শেরিং কোথায় আছে, কিন্তু লোকটা বলতে চায় না, তাদের চেনে না বলে। এরপর অনেক অনুনয়বিনয় করার পরে কিছুটা বলতে রাজি হয়। আর সাহেব তার দাদার ছবি লোকটাকে দেখালে চিনতে পারে কারণ তাকে শেরিং এর বাড়িতে একবার দেখেছিলো। আর শেরিং এর সাথে তার দাদার কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছিল তারা অনেক আগের থেকে পরিচিত। আর তার দাদা একটা সমস্যা নিয়েই তার সাথে আলোচনা করতে এসেছিলো বলে জানায়।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

শেরিং এর বিষয়ে লোকটা অনেক কিছু জানতো, কারণ শেরিং যখন পশুপতি ভবনে কাজ করতো তখন তিনি তার বাড়িতে কাজ করতো অর্থাৎ সবকিছু দেখাশোনা করতো। আর সে জানিয়েছিল সাহেবকে যে তার দাদা একদিন রাতে পালিয়ে আসার মতো শেরিং এর কাছে আসে আর তার কাছে সাহায্য চায় যে তোমার মতো এক্সপার্ট ছাড়া এই সমস্যা সমাধান করতে পারবে না, কারণ অনেক মানুষ বিপদের মুখে আছে। তাই ক্রিমিনালরা যদি তাদের কাজে আরো সামনে এগিয়ে যায় তাহলে অনেক বড়ো সমস্যা হয়ে যাবে। এরপর ইন্দ্র সেখান থেকে চলে যায় আর সেই রাতেই শেরিংও সেখান থেকে চলে যায় আর তার বাড়িতে যে কাজ করতো অর্থাৎ সাহেব যাকে ধরেছিলো তাকে বলেও গিয়েছিলো যেন তার সাথে কোনো যোগাযোগ না করে, কারণ এতে দুইজনেরই বিপদ হতে পারে। এরপর তাদের মধ্যে অনেকদিন কোনো যোগাযোগ নেই। তবে শেরিং এর সাথে তার লিংকড আছে সেটা স্পষ্ট সবার কাছে, সাথে ক্রিমিনালদের কাছেও খবর পৌঁছিয়ে গেছে। এখন তার সাথে লিংকড আছে বিধায় তার সূত্র ধরে ক্রিমিনালরাও তাকে ধরার চেষ্টা করবে, পরের পর্বে এই বিষয়টা দেখা যাক কি হয়।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৯.৭/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ডার্ক ওয়েব- শেরিংস লিঙ্ক আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। এই ওয়েব সিরিজটি বেশ দুর্দান্ত। আমি কিছু অংশ দেখেছি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ওয়েব সিরিজের সংলাপ এবং দৃশ্যপট খুবই অসাধারণ। এত সুন্দর ওয়েব সিরিজের আজকের পর্ব আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

ডার্ক ওয়েব- শেরিংস লিঙ্ক এর পঞ্চম পর্ব অসাধারণ রিভিউ দিয়েছেন। সিরিজটি দেখিনি। আপনার রিভিউ আর ট্রেইলার দেখে সিরিজটি দেখার আগ্রহ হলো।আশাকরি খুব শীঘ্রই সিরিজটি দেখবো। ডার্ক ওয়েব- শেরিংস লিঙ্ক এর ৫ম পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

প্রিয় দাদা অনেক সুন্দর একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ করেছেন আপনি।ডার্ক ওয়েব- শেরিংস লিঙ্ক এর রিভিউটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। এই ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্বে শেরিং ভূমিকাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দাদা পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

দাদা আমি এর আগে আপনার রিভিউ করে এই ওয়েব সিরিজটির দুই একটি পর্ব পড়েছি।।দুর্দান্ত রিভিউ লেখেন দাদা আপনি। সম্পূর্ণ ওয়েব সিরিজটিকে আপনি নিজের মতো করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। আমার কিন্তু এ ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে।

 last year 

'ডার্ক ওয়েব' সিরিজটির পঞ্চম পর্বের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। দেখতে দেখতে পাঁচটি পর্ব আমরা পড়ে ফেললাম। এবারের পঞ্চম পর্বটিও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে এক একটি পর্ব যেন একেক রকমের। ধীরে ধীরে রহস্যের জট খুলছে। শেরিং নামক লোকটি সত্যিই অনেক কিছু জানতো। তাই শেরিং এর কাছে সবাই সাহায্যের জন্য আসে। অন্যদিকে ইন্দ্র সেখান থেকে চলে যায়। আর সেই রাতেই শেরিংও সেখান থেকে চলে যায়। দেখা যাক ধীরে ধীরে আরো কি হয়। শেষ পর্যন্ত ক্রিমিনালরা ধরা পড়ে কিনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা। পরবর্তী পর্বের জন্য অধিক আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম। সুন্দরভাবে এই পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.33
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67633.45
ETH 3775.76
USDT 1.00
SBD 3.70