গলদা চিংড়ি দিয়ে মজাদার দই-পটল রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা করেছিলাম পটল দিয়ে, এখন যদিও পটল অতটা ভালো লাগে না সাধারণ তরকারি করলে। তবে অন্য কিছু স্পেশাল ভাবে তৈরি করতে পারলে খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে। যদিও এই রেসিপিতে আমি গলদা চিংড়ি দিয়েছিলাম।এই তারিখ এই দুটি জিনিসই অনেকদিন বাদে খেলাম অর্থাৎ গলদা চিংড়ি আর পটল। এই রেসিপিটা করেছিলাম দই পটল হিসেবে, দই পটলের রেসিপিটা আমার কাছে অনেক প্রিয় আর তাতে গলদা চিংড়ি থাকলে খেতে আরো বেশি টেস্টি লাগে। তবে পটল আমার কাছে আরো দুটি পদ্ধতিতে অনেক ভালো লাগে, বিশেষ করে এই ভাজা আর ভর্তা করে খেতে। ভর্তাটা যদিও তেমন না করা হলেও আমি ভাজাটা প্রায় সময় করি বাড়িতে যখন সিজনের সময় পটল থাকে।

পটলের এই রেসিপিটা কোনো মাছ ছাড়াও অনেক ভালো লাগে সেইভাবে রান্না করতে পারলে, তবে সেগুলোতে ডাল এইসব দেওয়া লাগে। আমিষের থেকে নিরামিষ তরকারি করতে অনেক ঝামেলা মনে হয় আমার কাছে, কারণ এতে অনেককিছু অ্যাড করতে হয় ভালো স্বাদ আনার জন্য। পটল একটা ভালো সবজি আর এতে অনেক বেনিফিটও পাওয়া যায়, যেমন- এটি আমাদের রক্তের কোলেস্টরল ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া আরো নানাবিধ উপকারী খনিজ, ভিটামিন আছে যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো কার্যকারী। যাইহোক, রেসিপিটা সব মিলিয়ে অনেক মজাদার ছিল খেতে। এখন রেসিপিটার প্রস্তুত প্রণালীর দিকে চলে যাবো।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

✦উপকরণ
পরিমাণ✦
গলদা চিংড়ি
৩০০ গ্রাম
পটল
১০ পিস
আলু
২ টি
পেঁয়াজ
২ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৫ টি
শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো
১ চামচ
টক দই
পরিমাণমতো
গোটা জিরা
২ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
২ চামচ


গলদা চিংড়ি, পটল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, টক দই, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


დএখন রেসিপিটা তৈরির ধাপসমূহ নিচের দিকে তুলে ধরবো---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


➤পটলগুলো থেকে প্রথমে সব ভালোভাবে খোসা ছালিয়ে কেটে পিস পিস করে নিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিস করে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে কুচি মতো করে নিয়েছিলাম এবং সাথে রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছালিয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤ধুয়ে রাখা গলদা চিংড়িতে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে একবারে মিক্স করে কড়াইতে গরম তেলে ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব ভালো করে ভাজা হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।

➤এরপর কড়াইতে আলুগুলোর পিস দিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤একইভাবে আলু ভাজার পরে পটলের পিসগুলো ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে একটি শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে জিরা গুঁড়ো দিয়ে সব একসাথে মিক্স করে ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে ভেজে রাখা পটলের পিস এবং আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে ভেজে রাখা গলদা চিংড়ির পিস দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤চিংড়ি দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ঢেকে কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

➤সবজিগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনা তুলে মিডিয়াম আঁচে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে টক দইটা ফাটিয়ে নিয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ৫-৭ মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

➤দই-পটল রেসিপিটা ভালোভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 6 months ago 

আমার কাছে গলদা চিংড়ি যেমন খেতে খুব ভালো লাগে, তেমনি দই পটল খেতেও অনেক বেশি ভালো লাগে দাদা। দাদা গলদা চিংড়ি খাওয়া হয়েছে আলাদা ভাবে। এবং কি দই পটল খাওয়া হয়েছে বিভিন্নভাবে রান্না করা। একসাথে কখনো গলদা চিংড়ি এবং দই পটল রান্না আমার খাওয়া হয়নি। পটলের উপকারিতা যে এত বেশি এটা আগে কিন্তু আমার জানা ছিল না দাদা। তবে আমার মনে হচ্ছে আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। যারা এই রেসিপিটা আগে কখনো খায়নি। তারা কিন্তু আপনার উপস্থাপনা দেখে এটা তৈরি করে খেয়ে নিতে পারবে। সত্যি দাদা আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে, এবং কি জিভে জল চলে এসেছে। কারণ দুটোই আমার খুব পছন্দের। আর একসাথে রান্না করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আপনি চিংড়ি এবং পটলের সাথে আলুও ব্যবহার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা, মজাদার এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

চিংড়ি মাছ আমার খুব পছন্দের যাই দিয়ে রান্না করা হোক না কেন। তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে এভাবে দই পটল তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 6 months ago 

চিংড়ি মাছ আর পটলের সাথে টক দইয়ের সমন্বয়ের রেসিপি তৈরি করেছেন একদম ইউনিক মনে হয়েছে সেই সাথে টেস্ট মনে হয় ইউনিক আসবে। দেখে তো বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে সম্ভব হলে একটু টেস্ট করে দেখতাম যেহেতু উনিক রেসিপি তাই আগ্রহ টা একটু বেশি।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

গলদা চিংড়ি আমি প্রায় রান্না করি তবে আপনার মতো দই -পটলের রেসিপি কখনো করিনি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে ভাইয়া এমন রেসিপি খেতে অনেক মজার। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করব।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আরে বাহ্। দাদা তো দেখছি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। গলদা চিংড়ি দিয়ে যে এমন সু স্বাদু করে পটল রান্না করে খাওয়া যায় সেটা তো আপনার রেসিপিটি না দেখলে একেবারে জানতামই না। বেশ সুন্দর করে রেসিপিটির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দাদা। এমন সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আজ চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা।রেসিপির নামটি পড়েই লোভ লেগে গেলো।কারন রেসিপির মধ্যে চিংড়ি মাছ আছে।আর সাথে দই।কখনও আসলে এভাবে করা হয়নি রেসিপি।পটল ভাজা,ভর্তা যদিও আমার ভীষণ পছন্দ। তবে এভাবে দই-পটল করে খাওয়া হয়নি। আপনার শেয়ার করা রেসিপি দেখেই তো লোভ লেগে গেলো।আপনি রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ দাদা মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

দাদা পটল আমার খুব পছন্দের একটি সবজি এবং গরমের দিন পটল খেতে দারুণ লাগে। বাজারে এখন পটল পাওয়া গেলেও, খেতে ততটা ভালো লাগে না। পটল ভর্তা এবং ভাজা আমার ভীষণ পছন্দ। পটল ভাজা খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং গরম গরম ভাতের সাথে পটল ভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক দই পটল রেসিপিটা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে দাদা। এই রেসিপিটা আমার কখনো খাওয়া হয়নি। সাথে গলদা চিংড়ি দেওয়াতে, রেসিপির স্বাদ মনে হচ্ছে অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। দাদা আমি নিরামিষ রেসিপি তৈরি করলে কখনোই তেমন স্বাদ হয় না,তার চেয়ে আমিষের তরকারি তৈরি করলে বেশি সুস্বাদু হয়। নিরামিষ রেসিপি তৈরি করতে বেশ ঝামেলা লাগে আমার। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

বাহ্ ! বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা ৷ রেসিপির নাম শুনেই তো খাবারের প্রতি লোভ লেগে যাচ্ছে ৷ গলদা চিংড়ি , টক দই সাথে পটল দিয়ে আরো সব উপকরণ মিশিয়ে বেশ মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ আপনার এই রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর এবং লোভনীয় হয়েছে ৷ খেতেও যে ভীষণ ভালো হয়েছে তা রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর এবং মজাদার একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

অও,দাদা গলদা চিংড়ি আর পটল দুটোই আমার খুবই প্রিয়।আর দুটোই খুবই টেস্টি, এটা আপনি ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন।নাম পড়েই লোভ লেগে গেল।আর ঠিকই বলেছেন আপনি নিরামিষ তরকারিতে স্বাদ আনতে অনেক কিছু যুক্ত করতে হয়।তাছাড়া মাছ ছাড়াও দই পটল খেতে খুবই মজার।আপনার রেসিপিটি এককথায় অসাধারণ👌,ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60696.91
ETH 2593.10
USDT 1.00
SBD 2.56