ওয়েব সিরিজ রিভিউ : সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর- বন্ধু হলাম এবং ত্রাণ না পরিত্রান ( পর্ব ৫ম এবং ৬ষ্ঠ )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর ওয়েব সিরিজটির শেষ নামিয়ে দেবো। আজকে শেষ দুই পর্ব হলো " বন্ধু হলাম" এবং "ত্রাণ না পরিত্রান"। আগের দুটি পর্বে শেষের দিকে দেখা গিয়েছিলো যে পঞ্চায়েত অফিসে তাদের খারাপ কাজের কথাগুলো কেউ একজন লুকিয়ে শুনছিলো আর সাথে ভিডিও করছিলো কিন্তু তারা সেটি দেখে ফেললে সে পালিয়ে যায়। এখানে কাহিনীটি রহস্যময় থেকে গেছে, আজকে সেই রহস্যগুলো সব উদ্ঘাটন হবে। তাহলে সবাই সাথে থাকুন আর দেখতে থাকুন বিষয়টা।


স্ক্রীনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজের নাম
সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর
প্লাটফর্মের নাম
hoichoi
সিজন
পর্ব
বন্ধু হলাম এবং ত্রাণ না পরিত্রান (পর্ব ৫ম এবং ৬ষ্ঠ)
পরিচালকের নাম
কোরোক মুর্মু
অভিনয়
ঋদ্ধি সেন, উষশী রায়, রূপাঞ্জনা মিত্র, শঙ্কর দেবনাথ ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১১ মার্চ ২০২২ ( ভারত )
সময়
৫০ মিনিট ( অন্তর্ভুক্ত ৫ম এবং ৬ষ্ঠ )
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ভারত


❦মূল কাহিনী:❦


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

পঞ্চম পর্বে দেখা যায় ঋদ্ধি, হাফিজ আর তার সহকারী নতুন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলো অর্থাৎ সামনে এই বিষয়গুলোকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এর মধ্যে কলকাতা থেকে হাফিজ এর কাছে ফোন আসে একটা লোকের, যে লোকটা ঋদ্ধিকে এখানে বিধবা পল্লীতে পাঠিয়েছিল কাজের জন্য। যাইহোক এখন এখানে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা কলকাতায় তার কাছে পৌঁছে যায় আর রাগান্বিত হয়ে হাফিজকে বলে যে ঋদ্ধিকে ফিরে আসতে বল, ওর চাকরি আর নেই। হাফিজ তার কথামতো সব গুছিয়ে নৌকা ডাকতে বলে কিন্তু ঋদ্ধি বলে চাকরি নেই তার মানে নিজের ইচ্ছা মতো আমি এখন চলতে পারবো তাই যাওয়া আর না যাওয়ার ব্যাপারটা আমার উপরে। তাই ঋদ্ধি সেখান থেকে অপমান মাথায় নিয়ে চলে যেতে চায় না বরং তার মতো করে কাজ করতে চায়। এরপর এখন যে গোপনে ভিডিওটি করেছিল সে আর কেউ না, সে ছিল উষশী। সে লুকিয়ে ভিডিওটি করে এনে ঘরের মধ্যে চালিয়ে দেখছিলো কিন্তু তার মা মাখন আর পঞ্চায়েত এর দিদিমণিদের ভয়ে সেই ফোনটি জ্বলন্ত উনোনের ভিতর দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এরপর ঋদ্ধি উষশীর সাথে দেখা করতে আসে এবং একটি ঘাটে দাঁড়িয়ে তারা কথা বলতে লাগে এবং তারা বন্ধু হতে চায় আর একসাথে মিলে কাজ করতে চায়।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

ঋদ্ধি আর উষশী দুইজন তাদের কথা মতো বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় আর একটা সুন্দরী বাহিনী গড়ে তোলার প্রথম পদক্ষেপ উষশীকে দিয়েই শুরু করতে চায়। এরপর হাফিজ সহ তারা তাদের মতো একটা প্ল্যান সাজাতে লাগে কাজের শুরুটা কিভাবে করা যায় সেইটা নিয়ে। এরপর উষশী পুষ্প নামক মেয়েটির কাছে যায় আর সুকুমারকে যে মন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাবে সেইটা বলার জন্য। আর এই কথা তার সামনে বলতেই রেগে যায় আর একটা থাপ্পড় মেরে বসে উষশীকে। কারণ সুকুমারের কাছে ঋদ্ধিকে পাঠিয়েছিল বলে তারা সুকুমারকেও এইবার মেরে ফেলবে তাই, এখানে পুষ্প মেয়েটি বিধবা হয়েও সুকুমারকে একটু পছন্দ করতো। যাইহোক এরপর মাখন নামক সেই শয়তানটা রাতের দিকে উষশীর বাড়িতে যায় কারণ তার একটু সন্দেহ হয় যে ভিডিওটি উষশী করেছে। বাড়িতে গিয়ে উষশীকে পায় না তাই তার মার কাছে ফোনের কথা বললে বলে দেয় যে বেচে দিয়েছে। এরপর মাখন বাইরে বেরিয়ে একটা চটি দেখতে পায় ঠিক যেমনটা দৌড়ে পালানোর সময় ফেলে এসেছিলো। এইটা দেখে মাখনের সন্দেহ সত্যি হয় আর বাইরে থেকে তাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় শয়তানটা।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

ষষ্ঠ পর্ব শুরু হচ্ছে-এখানে উষশীর ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পরে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায় এই খবরটা সবাই জানে। আর এই খবরটা ঋদ্ধির এসিস্টেন্ট তাকে দিলে ঋদ্ধি একেবারে হতাশ আর পাগলের মতো আচরণ করতে লাগে একপ্রকার। তবে সময়মতো পুষ্প নামক মেয়েটি ওখানে এন্ট্রি নেয় আর তাদের বলে যে মাখন ওর মেক মেরে ফেলবে কিন্তু উষশীকে কখনো মারবে না, উষশী এখন মাখনের একটা গোপন আস্তানায় আছে। পুষ্প মেয়েটি সব জানতো আর সেই জায়গার নামটাও তাদের বলে দিয়েছিলো। এরপর ঋদ্ধি হাফিজ এর জন্য দেরি না করেই সাইকেল চেপে সেই আস্তানায় চলে যায় আর সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে লাগে কিন্তু তার মধ্যে মাখন চলে আসে আবার। মাখন এসেছিলো মূলত বিধবাদের শাড়ি নিতে। যাইহোক এসে উষশীকে যে রুমে আটকিয়ে রেখেছিলো সেই রুম খুললে ঋদ্ধি লুকিয়ে দেখে নেয় আর মাখন চলে গেলে ঋদ্ধি উষশী আর সুকুমারকে সেখান থেকে নিয়ে মন্ত্রীর সামনে নিয়ে যেতে চায় কারণ মন্ত্রী গ্রামে এসেছিলো। কিন্তু কিভাবে পাহারাদারদের চোখে ধুলো দিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটা ভেবে পাচ্ছিলো না।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

ওখানে রুমের ভিতরে অনেক কিছু ভাবনার পরে তারা বাইরে দেখতে পায় কিছু লোক বাঘের গায়ের কালার এর মতো পোশাক আর মুখোশ পরে যাচ্ছিলো তখন ঋদ্ধি আর সুকুমারও তাদের ড্রেজ পরে পঞ্চায়েত অফিসের ওখানে এসেছিলো যেখানে মন্ত্রী এসেছিলো। এরপর অনেক কিছু করে ভিতরে প্রবেশ করে এবং ঋদ্ধি মন্ত্রীর দিকে একটি কাগজ ছুড়ে দেয় যেটাতে সবকিছু লেখা আছে। কিন্তু তাও তাদের কথা ওরা বিশ্বাস করতে চায় না। এরপর উষশী লুকিয়ে যে ভিডিওটি করেছিল সেটি লাইভ সবার সামনে চালিয়ে দেয় বাইরের থেকে হাফিজ আর ঋদ্ধির সেই ভুবন দা। এরপর সব মহিলা গুলো সবার মুখে একটা করে জুতো ছুড়ে মেরে দেয়। এরপর সবাই মন্ত্রীর সামনে হাত জোড় করে বলে যে এরা সব শয়তান তাই এদের কাছ থেকে আমরা ত্রাণ চাই না, পরিত্রান চাই। এরপর তাদের জোর প্রতিবাদে মন্ত্রী তাদের সবাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় আর ঋদ্ধিকে সম্মানিত করে। এই খবরটা টিভিতে দেখে ঋদ্ধির বাবা খুব খুশি হয়। এরপর শেষ পর্যায়ে দেখা যায় ঋদ্ধি ভলেন্টিয়ার হয়ে সব বিধবাদের নাম লিখছে আর সেই হিসেবে ভাতাও দিচ্ছে। তার এসিস্টেন্ট এসে খবর দেয় উষশী এখান থেকে চলে যাচ্ছে তাই দ্রুত সে ঘাটে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে আর সাঁতরে উষশীর কাছে যেতে লাগে।


❦ব্যক্তিগত মতামত:❦

এই কাহিনীতে ঋদ্ধি সব জায়গা থেকে হেরে গেলেও সে নিজের মনের কাছে হেরে যেতে চাইনি, বরং সেটিকে সে আরো দৃঢ় ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এখানে সে চাকরি হারিয়েও গ্রামের বিধবাদের উন্নয়নের কথা ভেবে আর শয়তান লোকগুলোর হাত থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য তার সহকর্মী হাফিজের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছে বন্ধুর মতো। এখানে মাখন উষশীর ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলেও তার মা এবং তাকে মরতে দেইনি, গোপন আস্তানায় আটকে রেখেছিলো। আর তারা গ্রামে মন্ত্রী আশা নিয়েও একটা মিথ্যে প্রচার করেছিল যে বাঘ বেরিয়েছে যাতে মন্ত্রী বেশিক্ষন এখানে না থাকতে পারে। কিন্তু তাদের এই বুদ্ধি কাজে আসলো না, শেষমেশ ফাঁস হয়ে গেলো। তারা গ্রামে হ্যারিটেজ ভিলেজ প্রকল্প চালু করেছিল যাতে সেখানে বাইরের লোকজন এনে ফুর্তি করতে পারে। আর তাদের আরো একটি লক্ষ্য ছিল যে বিধবা মেয়েদের নিয়ে নোংরা কাজে এবং পাচারের কাজে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু ঋদ্ধির আপ্রাণ চেষ্টার পরে তাদের পরিত্রান দিতে সক্ষম হয় আর তার স্বপ্নের প্রকল্প সুন্দরী বাহিনীও গড়ে তুলতে সক্ষম হয় শেষপর্যন্ত। এই ছিল এই ওয়েব সিরিজটির সর্বশেষ কাহিনী, আশা করি আপনাদের কাছে সবগুলো ভালো লেগেছে।


❦ব্যক্তিগত রেটিং:❦
৯.৫/১০


❦ট্রেইলার লিঙ্ক:❦


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 
সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর সত্যি একটা শিক্ষামূলক ওয়েব সিরিজ। এই ওয়েব সিরিজ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে কোনো কাজে নিজের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস থাকলে সে কাজে সফল হওয়া যায়। এই গল্পে ঋদ্ধি তা প্রমাণ করেছে। সে চাকরি হারনোর পরও একমাত্র গ্রামের বিধুবাদের উন্নয়ন ও শয়তানদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য কাজ করে গেছেন।
বিশেষ করে হাজিজ নামে লোকটাকে আমার প্রথম থেকেই ভালো মনে হয়েছে। তারা দুইজনই অনেক বড় দায়িত্ব পালন করেছে বিধুবাদের রক্ষা করতে। শেষ পর্যন্ত ঋদ্ধি তার কাজে সফল হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগছে। ওয়েব সিরিজের প্রতিটি পার্টই খুব সাজানো গুছানো ছিলো। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি ৯.৫ রেটিং দিয়েছেন, আমিও এমনই রেটিং দিতাম।
দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই অসাধারণ ওয়েব সিরিজটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি সামনে আরো সুন্দর সুন্দর ওয়েব সিরিজ আমাদের উপহার দিবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। 💞❣️
 2 years ago 

ভাইয়া এই ওয়েব সিরিজটি খুবই শিক্ষামূলক ছিল‌। এই ওয়েব সিরিজটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। মানুষ সব জায়গায় হেরে গেলেও নিজের মনোবল যদি ঠিক থাকে তাহলে একদিন সে সফল হবে। এই ওয়েব সিরিজের নায়ক ঋদ্ধি হচ্ছে তার প্রমাণ। ঋদ্ধি তার চাকরি হারানোর পরেও তার মনোবল ও আত্মবিশ্বাস থাকার কারণে গ্রামের বিধবা মহিলাদের কে নিউ নিয়ে যে উন্নয়নের কথা ভেবে শয়তান লোকদের কাছ থেকে তাদেরকে রক্ষা করার কাজ চালিয়ে গিয়েছে। এবং শেষ পর্যন্ত সে তার কাজে সফল হয়েছে। তার স্বপ্নের প্রকল্প সুন্দরবন বাহিনী গড়ে তুলতে পেরেছে। আসলে মানুষের ইচ্ছা থাকলে সবকিছুই করতে পারে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি শিক্ষামূলক ওয়েব সিরিজ আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

 2 years ago 

এই গল্পে ঋদ্ধি সব জায়গা থেকে হেরে গেলেও সে নিজের মনোবলের কাছে হেরে যেতে চাইনি। বরং সেটিকে সে আরো দৃঢ় ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। সে তার দৃঢ় মনোবল নিয়ে চাকরি হারিয়েও গ্রামের বিধবাদের উন্নয়নের কথা ভেবে আর শয়তান লোকগুলোর হাত থেকে তাদের রক্ষা করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে।আসলে বিবেকবান এবং মনুষ্যত্ববোধের মানুষগুলো ঠিক এমনই হয়। হাজারো বাধাকে উপেক্ষা করে তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করে।বারবার হোঁচট খেয়ে পড়ে কেউ আবার উঠে দাঁড়ায়।আবারো হাঁটার দৌড় আবার চেষ্টা করে।এরা সহজে হাল ছাড়ে না।আর সাথে যদি থাকে হাফিজের মত বন্ধু তবে তো কথাই নেই।তাদের দুই বন্ধুর যে উদ্যোগ বিধবাদের নিয়ে তা আমার মনকে নাড়া দিয়েছে।

প্রিয় দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই অসাধারণ ওয়েব সিরিজটি,,, খুবই চমৎকার ভাবে এবং অসাধারণ ভাবে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার জন্য এবং খুবই সুন্দর করে আপনার ব্যক্তিগত অভিমত দেয়ার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।ভালো থাকবেন সবসময়।♥♥

 2 years ago 

দাদা আপনার শেয়ার করা ওয়েব সিরিজ রিভিউয়ের শেষ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শুরুটা যেমন আকর্ষণীয় ছিল শেষটাও অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। আসলে এই ওয়েব সিরিজ গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। শেষ পর্যন্ত ঋদ্ধি নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছে এবং বিধবাদের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ইচ্ছাশক্তি মানুষকে সফলতা অর্জন করতে সহায়তা করে। ঋদ্ধির মনে ইচ্ছা শক্তি ছিল বলেই সে সফল হয়েছে। এই ওয়েব সিরিজ রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করছি আবার কোনো নতুন ওয়েব সিরিজ রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন এবং আমাদেরকে পড়ার সুযোগ দিবেন দাদা। অনেক সুন্দর ভাবে ওয়েব সিরিজ রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💓💓

 2 years ago (edited)

আসলে সত্যের জয় একদিন হবেই এই ওয়েবসিরিজের মাধ্যমেও সেটাই প্রমাণিত হলো। প্রথমে ভেবেছিলাম ঋদ্ধি হয়তো বাস্তবতার কাছে হার মেনে ফিরে যাবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি চলে যাওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনভাবে নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখতে অশুভের বিরুদ্ধে চেষ্টা চালিয়ে গেল এবং বিজয়ী হল। এমনটাই আসলে হওয়া উচিত ছিল। ধন্যবাদ 6 পর্বের এই ওয়েব সিরিজটির কাহিনী সুন্দরভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন দাদা।❤️

 2 years ago 

অবশেষে এই ওয়েব সিরিজের শেষ পর্বে চলে আসলাম। এই ওয়েব সিরিজ এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানা গেল। সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই ব্যাপারটি ঋদ্ধি সব জায়গায় হেরে গেলেও নিজের মনকে কখনো সে ভেঙ্গে যেতে দেয়নি। সে সকল কাজে সচেষ্ট ছিল তাই চাকরি হারিয়ে ও গ্রামের বিধবা মহিলাদের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে গিয়েছে।গ্রামের খারাপ লোকদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল গ্রামের বিধবা মহিলাদের দিয়ে খারাপ কাজ করানো। কিন্তু ঋদ্ধি সেটা কোনভাবেই হতে দেয়নি।ঋদ্ধির এই অবিচল থাকার ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা এত চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

দাদা আমি সাধারনত ওয়েব সিরিজ কম দেখি তবে আপনার এই ওয়েব সিরিজ পরবর্তী পড়ে খুব ভালো লাগলো তবে বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ওয়েব সিরিজ গুলো ভালোই চলছে। তবে আমি ফেলুদা, ব্যোমকেশ। আপনার এই সিরিজের আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি তবে আমি খুব দ্রুতই সবগুলো পর্ব করব। আপনার এই রিভিউতে ঋদ্ধি তার জীবনের প্রতিটি ধাপে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছিল। জায়গায় সে হারিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে এসে সবারই সফলতার মুখ দেখে।এই ক্ষেতে সে সফল হয়েছে। ঋদ্ধি তা চাকুরী হারিয়ে মানবতার সেবা থেকে সরে আসেনি । শয়তান মানুষগুলো যারা গরীব অসহায়দের চুষে খায় তাদের হাত থেকে বিধবা মানুষ গুলোকে বাঁচানোর চেষ্টায় ছিল। অবশেষে । যাই হোক দিন শেষে সকল শয়তানগুলো জেলে নিয়েছে ।দারুন এন্ডিং ছিল এই ওয়েব সিরিজের। এত সুন্দর ভাবে রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago (edited)

সুন্দরবনের বিদ‍্যাসাগর এই সিরিজটার প্রথম কয়েকটা পর্ব আমি দেখেছিলাম। কিন্তু এরপর আমার হইচই প‍্যাকেজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং পরে আর প‍্যাকেজ কেনা হয় নাই। প্রথমে দেখেছিলাম খারাপ রেজাল্ট করার জন্য ঋদ্ধি বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এবং সেই ঘটনা এতোদূর এগিয়ে গেছে। সত্যিকারের বিদ‍্যাসাগরের মতো সেও বিধবা নারীদের জন্য লড়াই করছে। আপনার রিভিউ টা পড়ে অনেক ভালো লাগল। আবার দ্রুতই দেখা শুরু করব।

 2 years ago 

দাদা আপনার ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে, তাই আপনার ওয়েব সিরিজের রিভিউ পরে অনেক ভালো লেগেছে তাই আমিও দেখেছি, শেষ পর্বে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে রিভিউ করলেন। দাদা ইচ্ছাশক্তি থাকলে আসলেই মানুষ অনেক কিছু জয় করতে পারে। ঋদ্ধির যেমন ইচ্ছা শক্তির কারণে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে এবং সে বিধবা মহিলাদের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছে। আসলে মানুষের ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে, কোন কিছু করার জন্য যদি ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে সে খুব সহজেই জয় করতে পারবে।

 2 years ago (edited)

দাদা শেষ টা ভালই ছিল । আপনার মতামতই ঠিক যে ঋদি সবার কাছে হেরে গেলেও নিজের মনের কাছে হারেনি বরং নিজের মনের শক্তি দিয়ে মোবাবেলা করে সত্যকে সামনে এনেছে। আর একটি বিষয় রহস্য ছিল গত পর্বে যে ভিডিও কে করছিল সেটা জানতে পারলাম আর ফেলে আসা জুতোটার কারনেই উষশীর ঘরে আগুন লাগালো ওরা। কারন ওরা টের পেয়েছিল ভিডিও কে করেছিল।তবে বাঘের পোশাক পরে ভয় দেখানোর বিষয় টি ভালই ছিল কারন বাঘ এসেছে শুনলে মন্ত্রী সাহেব তাড়াতাড়ি গ্রাম ছাড়বে।সব মিলিয়ে ওয়েব সিরিজ টি দারুন। আমিও আপনার মতই রেটিং দেবো । মূলত কাহিনী টি পরে বেশ মজা পেয়েছি । তবে দেখতে পারলে আরো বেশী মজা পেতাম। আশাকরি দেখে নেবো ওয়েব সিরিজ টি। ভাল থাকবেন দাদা । শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেনে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 59634.42
ETH 3191.92
USDT 1.00
SBD 2.45