আলু এবং কাঁচ কলা দিয়ে কম ঝোলে তৈরি ইলিশ মাছের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি ছোট একটা ইলিশের তরকারি রান্না করেছি। ছোট ছোট এই ইলিশ মাছ মোটামুটি আমাদের বাড়িতে প্রায় থাকে। কখনো নিজেরা কিনি তো আবার মামাদের বাড়ির থেকে মাছ কিনতে বললে ইলিশই চলে আসে। এই ইলিশগুলো আমাদের দিঘার ইলিশ, এই ইলিশের স্বাদ আছে ভালো। আজকে আমাদের বাড়িতে এমনিতে শুধু ইলিশ খাওয়া চলছে। সকাল থেকে বৃষ্টি পড়ছে, ফলে আবহাওয়াটা বেশ ভালো ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে। আর এতে করে বাড়িতে মাসি এসেছে আর খিচুড়ি বানানোর প্রিপারেশন চলছে। খিচুড়ি দিয়ে ইলিশ মাছ ভাজাও খাওয়া হবে আজকে, খিচুড়ির সাথে ইলিশ মাছ ভাজা খেতে কিন্তু বেশ দারুন লাগে। অনেকদিন পরে খিচুড়ির সাথে ইলিশ মাছ ভাজা খাবো, আমার শুনে আর তর সইছে না এই বৃষ্টির মধ্যে হা হা। যাইহোক এদিকে আমি সকাল সকাল তৈরি করে উঠেছি কাঁচ কলা আর আলু দিয়ে ইলিশের তরকারি। আজকে একদম কম ঝোলে তৈরি করেছি, এর আগে আমি কাঁচ কলা দিয়ে এতো কম ঝোলে রান্না করে খাইনি, যদিও আমি ঝোল একটু বেশি পছন্দ করি কিন্তু মাঝেমধ্যে একটু কম ঝোলেরও খেয়ে থাকি। কম ঝোলেও তরকারি বেশ স্বাদের হয়, আমার কাছে আবার বেশি ঝোলের আঁটানো তরকারিটাও বেশি ভালো লাগে। রাতে কোনো তরকারি খাওয়ার পরে তরকারি বেশি থেকে গেলে আমি ওটাকে সকালে আঁটিয়ে খাই, বরং ওটাই বেশি টেস্ট লাগে আমার কাছে। যাইহোক এখন মূল বিষয়ের দিকে চলে যাই।
☻প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☻
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---
☫প্রস্তুত প্রণালী:☫
❖ইলিশ মাছটিকে প্রথমে ভালো করে কেটে-ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি কাঁচ কলাটির খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেটে পিচ পিচ করে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে পিচ করে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖কেটে-ধুয়ে রাখা ইলিশ মাছটির পিচে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖একটি প্যানে অল্প তেল দিয়ে ইলিশের সব পিচগুলোকে ভালোভাবে ভাজা করে তুলে নিয়েছিলাম।
❖অন্য আরেকটি কড়াইতেও অল্প তেল দিয়ে ছোট করে কেটে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং লাল মতো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভাজা হয়ে গেলে কাঁচ কলার পিচগুলোকেও ভালো করে ভাজা করে তুলে নিয়েছিলাম।
❖সব ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পরিমাণমতো গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖জিরাটা একটু ভাজা হয়ে আসলে তাতে ভেজে রাখা কলার পিচ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে লাল করে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖আলু দেওয়ার পরে তাতে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে স্বাদ মতো ২ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে নেড়েচেড়ে ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপর জ্বাল দিয়ে ভালোভাবে আলু আর কলার পিচগুলো সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
❖সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরে তাতে ভাজা ইলিশ মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য বেশ খানিক্ষন ফুল আঁচে দিয়ে রেখেছিলাম।
❖বেশি জ্বাল দিয়ে ঝোলটা একেবারে কমিয়ে নিয়ে এসেছিলাম এবং চুলাটি অফ করে তাতে ১ চামচ জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রোদ ঝলমল দিনে বৃষ্টির গল্প শুনে বেশ ভালই লাগলো দাদা। বৃষ্টি ভেজা দিনে খিচুড়ি খেতে ভালো লাগে। আর সাথে যদি ইলিশ মাছ ভাজা হয় তাহলে তো একেবারে জমে যায়। আসলে এত লোভনীয় খাবারের কথা শুনলে খেতে ইচ্ছে করে দাদা। আপনি তো আর দাওয়াত দিবেন না। একা একাই খেয়ে নিবেন 🤪🤪। তবে কাঁচা কলা দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি সব সময় সেরা। কথায় আছে কাঁচা কলার সাথে নাকি ইলিশ মাছের বেশ বন্ধুত্ব রয়েছে। দুজন মিলে মিশে একেবারে দারুন এক খাবার তৈরি করে। সাথে আবার আলু দিয়েছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে ভালই হয়েছে। মাঝে মাঝে তরকারিতে ঝোল কম হলেও খেতে ভালোই লাগে। দারুন ছিল দাদা আপনার এই রেসিপি।
সকাল সকাল বৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে আবহাওয়া ঠান্ডা। আর এর মধ্যে আপনার মাসি এসেছে এবং বাড়িতে খিচুড়ি রান্নার পিপারেশন চলছে। সত্যিই এরকম আবহাওয়ার মধ্যে খিচুড়ির কথা শুনলেই যেন খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খুবই মজা লাগে। তারপরে ইলিশ মাছের ভাজি হবে। সত্যিই জিভে জল চলে আসলো। আর আপনি কাঁচকলা ও আলু দিয়ে সুস্বাদু ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। দাদা আজকে জমিয়ে খাওয়া হবে। রেসিপিটা দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ছোট ইলিশ মাছ আমাদের এদিকে মোটামুটি সবসময়ই পাওয়া যায়। আমিও বাজার থেকে এই ছোট আকারের ইলিশ মাছ বেশি কিনে থাকি। সবথেকে বড় বিষয় হলো এগুলো দামে কম আর স্বাদে বড় ইলিশের থেকেও বেশ ভালো। দাদা রাতের তরকারি সকালে ঝোল শুকিয়ে খেতে দারুন লাগে, এই কাজটা আমার বাসায় হয়। কাঁচা কলা আর আলু দিয়ে দারুন একটা তরকারি তৈরি করেছেন আর এটা নিঃসন্দেহে সুস্বাদু হয়েছে খেতে।
কাঁচা কলা আমি যতবার ঝোল শুকিয়ে খেয়েছি ততবার একটা অন্যরকম স্বাদ পেয়েছি। আপনার তরকারিটা কিন্তু লোভনীয় হয়েছে মানতেই হবে।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
আমি এই পদ্ধতিটা মিস করিনা, যতটুকুই থাকুক না কেন আমি আঁটিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলি, খুব টেস্ট লাগে।
খিচুড়ি দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল আহা অসাধারণ ৷ তার সাতে আবার বৃষ্টি আবহাওয়া বেশ চমৎকার ৷ সত্যি ভাই খিচুড়ি দিয়ে ইলিশ মাছ অনেক দিন আগে খেয়েছিলাম ৷ কি যে স্বাদ ছিল ৷ যেটা আপনার রেসিপি দেখে মনে পরছে ৷
আপনি আলু কাচা কলা দিয়ে ছোট ইলিশ মাছের. হালকা ঝোল করেছেন ৷
সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে ৷ না জানি কতটা টেস্টি হয়েছে ৷
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি ইলিশ ভাজা একদম জমে যাবে দাদা। ইলিশ মাছ ভাজা খেতে খুবই ভালো লাগে কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি খেতে পারি না😔 কাঁচ কলা আর ইলিশ মাছ একদম পারফেক্ট জুটি। দাদা আপনি সব সময় প্রতিটি রেসিপি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন, আজকের রেসিপি টিও খুব সুন্দর হয়েছে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে এটা কোন ছেলে মানুষের হাতে রান্না করা মাছের ঝোল। তরকারিতে একটু ঝোল কম হলে খেতে ভালই লাগে,খুব বেশি ঝোল হয়ে গেলে মাছের স্বাদটা চলে যায়। কম ঝোলে রান্না করা ইলিশ মাছের রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে দাদা।
ইলিশ মাছের রেসিপি বরাবরই আমি খুবই পছন্দ করি তবে আজকের রেসিপি টা একটু স্পেশাল কেননা ইলিশ মাছটি হচ্ছে আপনাদের দিঘার ইলিশ। ইলিশ হচ্ছে আমাদের জাতীয় মাছ আর আমি ব্যক্তিগতভাবে ইলিশ মাছ অনেক ভালোবাসি আপনার শেয়ার করা ইলিশ মাছের রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে দাদা 😋, বিশেষ করে আলু এবং কাঁচকলা ব্যবহার করাতে বেশ জমেছে রেসিপিটা। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য 🥰🥰
বৃষ্টির দিনে ইলিশ মাছ দিয়ে খিচুড়ি।আহা অমৃত।আবার কাচা কলা দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল।স্বর্গীয় সুধা।গরম ভাতের সাথে খেতে অমৃতের থেকে কম কিছু না।অনেক ধন্যবাদ দাদা অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাদা, ঠিক বলেছেন খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা বেশ দারুন লাগে।দাদা,আপনার লেখাটা যখন পড়েছিলাম খিচুড়ি আর ইলিশ মাছের ভাজার কথা পড়ে একদম জিভে জল এসে যাচ্ছিল।দাদা,আপনিতো খুব সহজে ইলিশ মাছ পেয়ে যাচ্ছেন দেখছি।দাদা, ইলিশ মাছ দিয়ে কলা আলু দিয়ে আমি কখনো খায় নি। তবে আপনার রান্না করার ইলিশ মাছ দিয়ে আলু কলার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে,আর এই রেসিপিটি তৈরি করা প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ দাদা,এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
দাদা আপনার পোস্ট নিয়মিত দেখে আমার একটা জিনিস মনে হয়েছে যে আপনার পছন্দের সবজি কাঁচা কলা আর পেঁপে। আপনি বেশিরভাগ মাছ এই দুই সবজি দিয়ে রান্না করেন। ইলিশ খিচুড়ির কথা শুনে আপনার তর সইছে না এখন তো আমার নিজেরও তর সইছে না। কালকেই রান্না করে খেতে হবে। আমার কাছে তো কম ঝোলের তরকারি বেশি ভালো লাগে বেশি ঝোলের তরকারি থেকে। আজকে দাদা আলু চটকে ঝোলে মেশাননি দেখছি । এই ব্যাপারটি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এতে তরকারির স্বাদ আরো বেড়ে যায়। আজকের রেসিপিটি অন্যরকম সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়ই। দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে।
হুম ঠিক বলেছেন, আমাদের বাড়িতে এই দুইটা সবজি বেশি থাকে। এই দুইটা সবজি আমার খুব পছন্দের, তবে আরো একটা আছে কচুরমুখী। কচুরমুখীও আমার প্রিয়।
তাড়াতাড়ি রান্না করে খেয়ে ফেলুন, আমিতো খেয়ে হজম করে ফেলেছি 😀।