সামান্য অসাবধানতার কারণে ঘটে যেতে পারে অনেক বড়ো বিপদ

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। আসলে আমাদের বর্তমান সমাজে যে বিষয়টা এখন বেশি লক্ষ্য করা যায়, সেটা হলো যুব সমাজ বিভিন্ন নেশার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। শুধু যুব সমাজ বললে ভুল হবে, কারণ এখন বয়স্করাও কম না, তারাও সমান তালে নেশায় মগ্ন হয়ে থাকে। তবে নেশার ক্ষেত্রে যে জিনিসটা বেশি দেখা যায় সেটা হলো সিগারেট, বিড়ি এইসবের প্রতি বেশি অভ্যস্ত মানুষজন। আজকাল বাইরে বেরোলেই সবার মধ্যে, বিশেষ করে স্টুডেন্টসদের মধ্যে এটা লক্ষ্য করা যায় যে, মুখ দিয়ে টানছে আর নাক দিয়ে ধোঁয়া বের করছে হা হা। আসলে এই বিষয়টা এখন সবার মধ্যেই ছড়িয়ে গিয়েছে। মানে এই নেশাটা তাদের কাছে একটা অমৃতের মতো হয়ে গিয়েছে, না খেলে মাথা ঠিক থাকে না এমন একটা ব্যাপার।

কিন্তু এই ধূমপান করতে করতে মানুষের অনেক সময় হুশ থাকে না, কারণ বিড়ি বা সিগারেটটা যখন টানছে তখন যে আগুনটা বের হয় সেটা অনেক সময় তারা যেখানে সেখানে না দেখেই ঝেড়ে ফেলে। এতে অনেক রকমের বিপদ হতে পারে। কারণ যেকোনো জায়গায় দাহ্য পদার্থ থাকতে পারে আর তাতে ধরলে কি অবস্থা হবে সেটা তো আর বলার উপেক্ষা রাখে না। আমি মাঝে মাঝে এইসব দেখে ভাবি যে, আসলে তারা কি টানে আর এতে কি সুখটা পায়! আমি আজ অব্দি বুঝতে পারলাম না যে, এতে কি স্বাদ আছে, শুধু আশেপাশের ধোঁয়াগুলো নিজের নাকমুখ দিয়ে ভিতরে চলে গেলো হা হা। যাইহোক, আসলে একটা এই বিষয়ে নিউজ দেখছিলাম, যেটা আসলে আমাদের রাজ্যের বাইরেই ঘটেছে। বিষয়টা কিছুটা আশ্চর্যজনক বলা যায়।

কারণ একজন লোক এর সাধারণত একটা রঙের দোকান ছিল, এখন সে ব্যক্তি প্রতিদিনের মতো সকালে দরজা খুলে তার সেই প্রিয় অমৃত নেশা বিড়ি খেতে বাইরে গিয়ে এক মহা বিপদ ঘটিয়ে ফেলে। আসলে ওই যে বললাম, বিড়ি খেতে খেতে অনেক সময় হুশ থাকে না আসলে কোথায় কি ফেলাচ্ছে। এখন ওই ব্যক্তি আসলে তার দোকানের থেকে সামনের একটি দোকান থেকে বিড়ি বা সিগারেট যাইহোক একটা খাওয়ার জন্য। এখন ওই ব্যক্তি নাকি বিড়ি ধরিয়ে দেশলাই এর কাঠি জ্বলন্ত অবস্থায় নিচে ছুড়ে ফেলে। আর এটাই সবাই ভুল করে, কারণ না দেখেই সেখানে বা না নিভিয়ে যেখানে সেখানে ছুড়ে ফেলে। সাবধানতা নেই কোনো, এইজন্য কোথায় বলে যে, সামান্য অসাবধানতা অনেক বড়ো বিপদ ডেকে আনতে পারে।

এই ব্যক্তিই সেটাই ঘটিয়েছে। কারণ যেখানে ওই দেশলাই এর কাঠি ফেলিয়েছিলো, সেখানে ছিল কোনো দাহ্য পদার্থ আর তাতেই দাউ দাউ করে আগুন ধরে ওঠে। নিজের দোকানটাও পুড়ালো, সাথে সাথে আশেপাশে আরো কয়েকটা দোকানপাটও পুড়িয়ে শেষ করে ফেললো। আশেপাশে বাইকের তেলের ট্যাঙ্কগুলোও ছাড় পায়নি, সবগুলোই বাস্ট হলো আর সেই সাথে সমস্ত জায়গায় ধোঁয়ায় অন্ধকার একটা অবস্থা যা পরিস্থিতি দেখলাম। সামান্য একটা ভুলের জন্য কি ভয়ানক বিপদ হয়ে যেতে পারে সেটা এই ঘটনা না দেখলে অনুভব হবে না। এইরকম একটা ঘটনা আমার সাথেও ছোটবেলায় হয়েছিল, সেটা পরে কোনো একদিন শেয়ার করবো। এইসব নেশা মানুষের যেমন ক্ষতি করছে চরমভাবে আবার এইসবের ফলে যেকোনো দুর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। আর এইসব দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে। শুধু এই না এইসব করে এক্সিডেন্ট করেও মরছে প্রতিদিন, কিন্তু তাও মানুষের এইসব নেশার থেকে মুক্তি নেই, বিষ পান করেই চলেছে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

আসলেই সামান্য কিছু থেকেই বড় কিছুর উৎপত্তি হয়।তেমনি এখন বিড়ি ও সিগারেট নাকি সুখের টান বলে গণ্য করা হয়☺️☺️.যাইহোক এটা সবদিক থেকেই ক্ষতিকর।আপনি সুন্দর বার্তা দিয়েছেন লেখার মধ্যে।আসলে আগুনের ভয়াবহতা খুবই তীব্র তাই সাবধানে থাকা উচিত।ধন্যবাদ দাদা।

 yesterday 

আমি আজ অব্দি বুঝতে পারলাম না যে, এতে কি স্বাদ আছে, শুধু আশেপাশের ধোঁয়াগুলো নিজের নাকমুখ দিয়ে ভিতরে চলে গেলো হা হা।

আসলেই দাদা সিগারেট বা বিড়ির মধ্যে কি মজা আছে, সেটা আমিও এই পর্যন্ত বুঝতে পারলাম না😂। যাইহোক এমন অসতর্কতার কারণে কিন্তু এই ধরনের ঘটনা অনেক সময়ই ঘটে। ছোটবেলায় আমাদের এখানেও এমনভাবে আগুন লেগেছিল যে,পরবর্তীতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। সিগারেট খাওয়ার সময় তাদের হুঁশ থাকে না বিধায়, মূলত এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 60913.22
ETH 2643.10
USDT 1.00
SBD 2.58