দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দিতে একদিন
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
মাসখানিক হতে চলেছে প্রায়, একদিন দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলাম। এটা আসলে হঠাৎ করেই প্ল্যানটা হয়েছিল যাওয়ার। তবে কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম বাইকটা নিয়ে যাবো আর সাথে বাইকটাকেও পুজো দিয়ে নিয়ে আসবো। যদিও বাইক কেনার পরেরদিনই একবার পুজো দিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। যাইহোক, এই প্ল্যান অনুযায়ী রবিবারে একদিন ঠিক করি যে সকালে যাবো, তাহলে পুজো দেওয়ার পরে গঙ্গা ঘাটে বসে কিছুটা সময়ও অতিবাহিত করা যাবে। তাই সকালে ৭ টার দিকে বেরিয়ে পড়েছিলাম বাইক নিয়ে। বাড়ির থেকে বাইকে করে বেশিক্ষন লাগে না, মাত্র ২৩ কিলোমিটার আর বাইকে ৩০-৪০ মিনিটের মতোই লাগে। আর ওইদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে, ফলে রাস্তায় যানজটও তেমন একটা থাকে না। রোড একদম ফাঁকা ছিল যাওয়ার সময়, ফলে টেনে গিয়েছিলাম আর যে সময়টা লাগে তার আগেই পৌঁছিয়ে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপর সেখানে বাইকটা পার্কিং করে পুজো দেওয়ার জন্য পুজোর ডালা কিনতে গিয়েছিলাম। মন্দিরের চত্বরে প্রায় ওখানে অনেক দোকান সারিবদ্ধভাবে আছে যেখান থেকে পুজোর ডালা বিক্রি করে থাকে। তো আমি একটি দোকানে জুতো, হেলমেট আর ফোন রেখে প্রসাদ কিনে নিয়েছিলাম। বিভিন্ন দামের ডালা পাওয়া যায়, আমি ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এরপর খালি পায়ে গঙ্গা ঘাটে গিয়ে পা ধুয়ে আর মাথায় গঙ্গা জল দিয়ে পুজো দেওয়ার জন্য মন্দিরের ভিতরে লাইন দিয়েছিলাম। এখানে অনেকগুলো স্থান আছে পুজো দেওয়ার জন্য। আর প্রায় ১০-১৫০ জনের পরে গিয়ে লাইন দিতে হয়।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এখানে প্রচুর লোকজন আসে পুজো দিতে আর এটা প্রায় ধরতে গেলে অলটাইম এইরকম ভিড় থাকে। আর রবিবারে ছুটির দিনে পুজো দিতে তুলনামূলক একটু বেশিই আসে, কারণ যারা অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকে তারা সারা সপ্তাহে আসতে পারে না। তো ওইদিন আবার রৌদ্রের তাপও ছিল ভীষণ, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাও অনেক চাপের। আর মন্দিরের ভিতরটা অনেক বড়ো, পরে ঘুরে ঘুরে একটা লাইনে দেখলাম কম, তাই ওটাতেই দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। তাও ৩০ মিনিটের মতো লেগে গিয়েছিলো প্রায়। অবশেষে মন্দিরে গিয়ে পুরোহিত মশাইয়ের কাছে পুজোর ডালা দিয়ে আর গোত্র বলে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপর পুজো দিয়ে সেটা দিয়ে দিয়েছিলো। এরপর কিছুক্ষন উপরে শিবলিঙ্গ গুলো প্রতিটা কক্ষে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম, বেশ ভালোই লাগছিলো। এরপর বাইরের দিকে চলে এসেছিলাম এবং ভাবলাম কিছুক্ষন গঙ্গার ঘাটে গিয়ে বসি, সকালে ভালো লাগে এখানে আসলে। কিন্তু ঠিক করে ওইদিনই সব গেট বন্ধ করে রেখেছিলো। আমি আসলে প্রায় আড়াই-তিন বছর যাইনা, কারণ এর আগে লাস্ট যখন গিয়েছিলাম তখন এই গেট সিস্টেম ছিল না, খোলাই ছিল একদম। এখন অনেক কিছু পরিবর্তন করে ফেলেছে দেখলাম।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
যাইহোক, কি আর করার, এরপরে সেখান থেকে আবার বাইকটা বের করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। সকালে ওখানে ভেবেছিলাম কচুরি এইসব খেয়ে নেবো, কারণ সকাল থেকে প্রায় না খাওয়া অবস্থায়। এরপর বাড়ির দিকে আসার সময়ে মাইকেল নগর ধাবায় ভাবলাম খেয়ে নেই কিছু। সেখানে কয়েকটা নান পরোটা আর এক দুই প্লেট চিকেন ভর্তা নিয়েছিলাম। মাইকেল নগরে এই চিকেন ভর্তা খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। আমি পরে আরো এক প্লেট নিয়েছিলাম, এইগুলো নান পরোটা বা বাটার পরোটা দিয়ে খেতে দারুন লাগে। যাইহোক, এরপরে বাড়ির দিকে চলে এসেছিলাম খেয়েদেয়ে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | কলকাতা |
তারিখ | ১০ মার্চ ২০২৪ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই যে মশাই, মায়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে আমিষ না খেলেও তো হতো! মন্দিরে পুজো দেওয়ার দিন আমিষ খাওয়া আমার ভালো লাগে না কেন যেন। যাই হোক, বাইক তাহলে ভালোই দৌড়চ্ছে দেখি 👌 বেশ বেশ। এবার থেকে আরো দৌড়বে। দক্ষিণেশ্বর মায়ের মন্দিরে অনেকদিন ধরেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। বড় দাদার সাথে গিয়েই সেই ইচ্ছাটা অবশ্য পূরণ হয়েছে আমার। আমাদের লাক টা বেশ ভাল ছিল, দুপুরের দিকে খুব একটা ভিড় পাই নি। বেশ সময় নিয়ে মায়ের দর্শন করতে পেরেছিলাম। আহা কি যে তৃপ্তি 🙏🙏। মা আমাদের সবার মঙ্গল করুক এই প্রার্থনাই করি।
আরে ভাই খিদে এমন লেগেছিল যে, যা পেয়েছি তাই খেয়েছি। পুজোর পরে খেলে সমস্যা হয় না।
পুজোর ডালাটি ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। ১০-১৫০ জনের পর লাইন দিতে হয়েছিল আপনার ।মাইকেল নগরের চিকেন ভর্তা খেতে আপনার অনেক ভালো লাগে। খেতে ভালো লেগেছিল বলে পরে আরো এক প্লেট নিয়েছিলাম আপনি ।ধন্যবাদ দাদা দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রবিবারে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে বিধায়, রাস্তা ফাঁকা পেয়ে তো দেখছি একেবারে অল্প সময়েই দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছিলেন দাদা। রাস্তা ফাঁকা হলে কি হবে দাদা,মন্দিরে তো দেখছি প্রচুর মানুষ ছিলো। যাইহোক বেশ লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে, শেষ পর্যন্ত পূজা দিতে পেরেছিলেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। দিনদিন সবকিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক দিন পর যেকোনো জায়গায় হঠাৎ করে গেলে, সেসব পরিবর্তন গুলো চোখে পড়ে। দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দির তো খুব সুন্দর। তাছাড়া গঙ্গা ঘাটের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। বাসায় ফেরার পথে বেশ মজাদার খাবারও খেয়েছেন তাহলে। সবমিলিয়ে সময়টা বেশ ভালোই কাটিয়েছেন সেদিন। সম্পূর্ণ পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তার মানে দাদা ছোট্ট একটা বাইক ট্যুর হয়ে গেল , দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া কে কেন্দ্র করে। দারুণ উপভোগ করলাম ব্লগটি।
চিকেন ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি দাদা। তবে মনে হচ্ছে পরোটা কিংবা নান রুটি দিয়ে এই চিকেন ভর্তা খেতে দারুন লেগেছিল। যেহেতু বাইকের পুজো দিতে গিয়েছেন সেই সুযোগে নিজেও বেশ ভালোভাবে পুজো দিয়ে আসার সুযোগ হয়েছে। সত্যি কথা বলতে সব জায়গাতেই ভিড়ের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই তো সময় নিয়ে যেতে হয়। আর বেশ ভালোভাবেই তখন পুজো দিয়ে আসা যায়। দাদা আপনি পুজো দিতে গিয়েছেন ও সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।