রেসিপি: কচুরমুখী দিয়ে নাইলোটিকা মাছের তরকারি ।। বাঙালি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা সুস্বাদু মাছের রেসিপি ভাগ করে নেবো। আজকে আমি নাইলোটিকা মাছের তরকারি রান্না করেছি। আর এই নাইলোটিকা মাছটি আজকে আমি কচুরমুখী দিয়ে রান্না করেছি। নাইলোটিকা মাছ অনেকদিন বাদে খেলাম বলতে গেলে। এই নাইলোটিকা মাছটি আর তেলাপিয়া মাছ একই প্রজাতির। তবে নাইলোটিকা মাছ তেলাপিয়ার থেকে একটু বড়ো হয়ে থাকে। নাইলোটিকা মাছকে আবার নীল তেলাপিয়াও বলে। নাইলোটিকা মাছের স্বাদ অনেক, গোটা গোটা ভাজা করে খাওয়ার মজাই আলাদা এই মাছের। আর কচুরমুখী দিয়ে তরকারি করলে আরেকটা দারুন মজাদার খাবারে পরিণত হয়। যাইহোক, এখন আমি রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWMCv6MsvA8MCtpLGgZcpAkmXzwUMDzqqiiw7MR51t4V8/Untitled.png)
❆প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❆
❧এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
➤নাইলোটিকা মাছগুলোকে প্রথমে আমি ভালো করে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কচুরমুখীগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কেটে নিয়েছিলাম।
➤রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কোয়াগুলো আলাদা আলাদা করে নিয়েছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা নাইলোটিকা মাছের পিচে লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤মাছ ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর কচুর মুখীগুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দিয়ে রসুন ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে একেবারে ভাজা কচুরমুখী আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। তাতে পরিমান অনুযায়ী লবন এবং হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤উপাদানগুলো সব একসাথে মিক্স করে নিয়েছিলাম। এরপর জল গরম করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল কড়াইতে দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জলটা কিছুক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম কচুরমুখীগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য। এরপর তাতে ভাজা নাইলোটিকা মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। তরকারিটা ভালোভাবে তৈরি হয়ে আসার জন্য ৯ মিনিটের মতো দেরি করেছিলাম।
➤কচুরমুখী দিয়ে নাইলোটিকা মাছের সুস্বাদু একটা তরকারি তৈরি হয়ে গেলে তাতে আমি জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। আর এখন এই দারুন মজাদার রেসিপিটা পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
এই মাছটি আমার অনেক পছন্দের তবে কখুনো কচুর মুখি দিয়ে খাওয়া হয়নি দাদা অনেক সুন্দর সুস্বাদু একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন দাদা।ধাপ গুলোও সুন্দর ভাবে গুছিয়ে করছেন।
এই মাছ কচুরমুখি দিয়েও অনেক টেস্ট লাগে খেতে। আপনি বাড়িতে কচুরমুখি দিয়ে এই মাছ খেয়ে দেখবেন, দারুন মজাদার খেতে।
এটা তেলাপিয়া না, তেলাপিয়ার মতো দেখতে কিন্তু এইগুলোকে নাইলোটিকা মাছ বলে। আপনাদের ওদিকেও একই বলে থাকে। হ্যা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। আপনিও বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন।
দাদা,নাইলোটিকা মাছ শুনে ভাবলাম আজকে দাদা আবার কোন মাছ নিয়ে এলো। পরে পড়ে দেখি হায় এতো তেলাপিয়া মাছ বা এর প্রজাতির। কচুরমুখী দিয়ে এই মাছ রান্না করে খেলে খুব ভালো লাগে। রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে দাদা।
হ্যা, এটা ওরই প্রজাতির। তবে এইগুলো সাইজে বড়ো হয়, আর খেতেও ভীষণ টেস্টি। কচুরমুখি তরকারি হিসেবে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
আসলে তেলাপিয়া মাছের দুটো জাত রয়েছে, একটু লম্বাটে যেটা সেটাকে তেলাপিয়া বলা হয় আর একটু গোল আকৃতির লালচে রং এর টাকে নাইলোটিকা বলা হয়, অনেকেই এটা জানেন না। যাইহোক, আমার কাছে দুটোই স্বাদের লাগে।
আর আপনার রেসিপির কথা কি বলবো, শীতের মাঝেও আপনি বেশ সুন্দর সাঁতার কাটেন হা হা হা হা। তবে রান্নাটা দারুণ হয়েছে এটা বলতেই হবে। ধনবাদ
এই মাছগুলো আসলেই ভীষণ মজা হয় খেতে। আমি তো এই নাইলোটিকা মাছ বার্বেকিউ করেও খেয়েছি। ভীষণ মজা খেতে।
😄। আপনিও সাঁতার কাটুণ তাহলে😁।
ভাইয়া নাইলোটিকা মাছের নাম টি আমি এই প্রথম শুনলাম। খুবই মজার একটি নাম। আপনার রেসিপিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। কচুর মুখি দিয়ে রান্না করলে খেতে নিশ্চয়ই দারুন হবে। তরকারির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।আপনার প্রতিটা ধাপ ছিল চমৎকার ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তবে যেমন নামটা শুনতে মজার তেমনি খেতেও মজার। হ্যা কচুরমুখি দিয়ে তরকারিগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।
হ্যা খেতে অসাধারন স্বাদ হয়েছিলো। আর এই মাছগুলো আমিও ভাজা খাই, ভাজা খেতে দারুন টেস্ট লাগে। কচুরমুখি দিয়ে ভীষণ ভালো লাগে, আপনি বাড়িতে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
জি দাদা অবশ্যই কখনো ট্রাই করে দেখবো।
নাইলোটিকা মাছ এর নাম আমি প্রথম শুনলাম কিন্তু আপনি যখন বললেন নীল তেলাপিয়া তারপর বুঝতে পারলাম। এই মাছ আমারও খেতে ভালো লাগে।আর কচুরমুখি দিয়ে করলে খেতে সুস্বাদু হবেই। আপনি যেমন এখানে গোটা রসুন দিয়েছেন আমরা তেমন বেটে রান্না করি।সব মিলিয়ে দারুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। তার সাথেখুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।শুভকামনা রইল দাদা।
হ্য, নাইলোটিকা আরো একধরনের আছে এইজন্য অনেকের বুঝতে অসুবিধা হয় এই জায়গায়। এই মাছের স্বাদ খুব। আমি সব তরকারিতে গোটা রসুন দিয়ে দেই। আর কচুরমুখি দিয়ে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।
দাদা আপনি কচুরমুখী দিয়ে নাইলোটিকা মাছের তরকারি রান্না করেছেন দারুন হয়েছে। এই মাছটিকে বেশির ভাগ আমরা তেলাপিয়া মাছ বলে থাকি এর দুইটি জাত রয়েছে। অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরি করে খাবো ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
হ্যা, এই মাছটির দুটি প্রজাতি। নাইলোটিকা মাছটি তেলাপিয়ার থেকে একটু সাইজে বড়ো হয়। আপনি শিখে নিয়েছেন, এখন বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, খুব টেস্টি লাগবে খেতে।
দাদা, আপনি খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। নাইলোটিকা মাছের সাথে আবার কচুরমুখি একদম জমে যায়। কচুর মুখি মূলত সব মাছের জন্য মাজার হয়। তরকারিতে একটা নাশা নাশা ভাব চলে আসে। আর আপনি প্রতিটি স্টেপ খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা ।
হ্যা, নাইলোটিকা মাছের সাথে তরকারি হিসেবে কচুরমুখি অসাধারন লাগে। মাছের সাথে কচুরমুখি আমার অনেক ভাল লাগে।
কচুরমুখী আমার অনেক ভালো লাগে।আমার অনেক প্রিয়। আমি ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করে খাই। আপনার রেসিপিটাও অনেক ভালো লাগছে।ধন্যবাদ দাদা,আপনাকে।
আমার কাছেও কচুরমুখি অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় মাছের সাথে কচুরমুখি দেই, দারুন লাগে আমার কাছে খেতে।