ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কেরালা ক্রাইম ফাইলস ( পর্ব ৩ )

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'কেরালা ক্রাইম ফাইলস' এর তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ডিটেকশন"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, সিজুকে ধরার জন্য তাকে একটি দোকানের সামনে সিসি ক্যামেরা থেকে দেখার চেষ্টা করে, কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। এরপরে ঘটনাটা কি হয় সেটা দেখবো।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
কেরালা ক্রাইম ফাইলস
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
ডিটেকশন
পরিচালকের নাম
আহম্মদ খবীর
অভিনয়
দেবকী রাজেন্দ্রন, অস্বতী মনোহরন, নিকিতা তেরেসা ম্যাথিউ, শ্রীজিৎ মহাদেবন, নাভাস ভাল্লিকুন্নু, হরিশঙ্কর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৩ জুন ২০২৩( ইউনাইটেড স্টেট )
সময়
২৯ মিনিট ( তৃতীয় পর্ব )
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

তো এরপর তারা সেই সিসি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত যেটুকু ছবি দেখতে পেয়েছিলো সেটার একটা কপি প্রিন্ট করে নেয়, যদিও সেটা পিছন দিক থেকে। শুধু তার পোশাক ছাড়া আর কিছুই বাজার পথ ছিল না। এখন এই সিজুর একটা চোখে সমস্যা আছে বলে শরৎ তাদের জানায়। সেই হিসেবে এখন অফিসার মনোজ তার বড়ো অফিসারের কাছে নিয়ে দেখায় আর এইসব দেখে তিনিও বলেন যে, এখানে এই সিজুকে এইভাবে চেনার তো কোনো উপায় নেই। কিন্তু যে চিত্রটা এঁকেছিল সেটাও সঠিক না। এখন তিনি তাদের একটা পরামর্শ দেন যে, ও লজ ছাড়া লোকালে আর যত লজ আছে সবগুলোতে খোঁজ নিতে, কারণ এইসব লোক যখন কোনো বাজে কাজে লিপ্ত থাকে, তখন তারা বিভিন্ন লজে এইভাবে রুম বুকিং করে থাকে। এখন সেই হিসেবে মনোজ সহ বাকি অফিসার মিলে একটা লজে গিয়ে সেখানকার রেজেস্ট্রেশন খাতা চেক করে আর সেখানে ললিতা নামের একটি মহিলার স্বাক্ষর দেখে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

যদিও মনোজ এই ললিতার সাথে আগে কথা বলে সবকিছু শুনে নেয়। আর স্বপ্না তাদের বাড়িতেই ভাড়া থাকতো। সেই হিসেবে তাকে চেনে, আর এই ললিতার সাথেও সিজু নামের ব্যক্তিটা অসভ্যতামি করেছিল, ফলে সে এই সিজুকে ভালোমতো চেনে। এরপরে ওই লজে যায় যেখানে ললিতাকে নিয়ে গিয়েছিলো। এরপর সেই রুমে ঢুকে সবকিছু চেক করে, কিন্তু সেটা সেই সাথে সাথেই সাফ করে ফেলে তারা। এখন ওই লজের বাইরে মনোজ কিছু মদের বোতল আর কিছু বিল পায় যেগুলো দুইদিন আগের। এই বিল নিয়ে সেই দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে। এরপর সেখান থেকে এড্ড্রেস জোগাড় করে সিজুর বাড়িতেই চলে যায়। কিন্তু তার ওয়াইফ বলে সে বাড়িতে নেই। সে মূলত আবার একজন ইউনিয়ন মন্ত্রী পরিষদের লোক, ফলে কোনো একটা মিছিলে চলে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

মনোজ যদিও সেটা বুঝতে পারে আর সেখানে চলেও যায়। এরপর সমস্ত প্রমান তার কাছে চলে আসলে ওখান থেকেই সবার সামনে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু সে কোনমতেই স্বীকার করতে রাজি না, আর সে ললিতা, স্বপ্না এদের কাউকেই চেনে না। এখন স্বীকার তো কোনোমতেই করাতে পারে না, আর এদিকে নেতাগোতা সবাই তাকে ছাড়ানোর জন্য থানায় এসে ঝামেলা শুরু করেছে। এদিকে তাদের বড়ো অফিসার তো মনোজের উপর খোঁচে যায়, কারণ তাকে উপরমহল থেকে চাপ দিচ্ছে। আর এমনিতেও মনোজ তাকে ইনফর্ম না করেই গ্রেফতার করে। যদিও এইসব প্রমান ছাড়া তার বিরুদ্ধে আর তেমন কোনো প্রমান ছিল না। তারপরেও প্রদীপ নামের এক কনস্টেবল বুদ্ধি দেয় যে, তাকে যদি অন্যান্য কোনো কেস-এ ফাঁসিয়ে দেওয়া যায় সেকশন অনুযায়ী, তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না। এখন এই কথা মতো তারা ললিতাকে ডাকে আর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলে। আর এরই উপর নির্ভর করে তাকে আটকিয়ে দেয়।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

এখানে আরো একটা সমস্যা আছে কি, এই যে সিজুকে তুলে নিয়ে এসেছিলো। এখন তার ওয়াইফ যে মনোজকে বলেছিলো এইসব ঘটনার দিন বাইরে ছিল। এখন সে যেহেতু একজন ইউনিয়ন এর সদস্য সেই হিসেবে সে গিয়েছিলো একটা মিটিং আর তার প্রমান স্বরূপও সেটা নিউজে ছাপানো হয়েছে। এইবার এই ঘটনাটা আসলে এখানে অনেকটা ধোঁয়াশার মতো আছে। এখন শরৎ বলেছিলো এই সিজুর একটা চোখে সমস্যা আছে, কিন্তু বাকিরা অর্থাৎ ললিতা এরা সঠিক সেটা বলতে পারছিলো না। এখন শরৎ এর কথা মতো যদি সিজুর একটা চোখে সমস্যা থাকে, তাহলে এই যে সিজুকে তুলে নিয়ে এসেছে তার চোখ দুটোই ভালো। তবে এই ঘটনা দেখে আমার কাছেও একটা বিষয় মনে হয়েছে যে, আসলে তারা যে সিজুকে গ্রেফতার করেছে, প্রকৃত অর্থে সে আসল সিজু না। এখন এটা পরে বোঝা যাবে ধাপে ধাপে।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৮/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

যেহেতু সিজু নামের লোকটা ললিতার সাথে অসভ্যতামি করেছিল,তাহলে তো ললিতার খুব ভালোভাবেই সিজুকে চেনার কথা। আমার তো মনে হচ্ছে মনোজ অন্য কাউকে সিজু মনে করে গ্রেফতার করেছে এবং ললিতার লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত আটকাতে সক্ষম হয়েছে। তবে যেহেতু লোকটা ইউনিয়ন মন্ত্রী পরিষদের লোক,তাহলে মনে হয় না বেশিদিন আটকে রাখতে পারবে। আর লোকটা যদি সিজু না হয়ে থাকে, তাহলে তাকে আটকে রেখে তো কোনো লাভ নেই। যাইহোক দারুণভাবে এই পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন দাদা। বেশ ভালো লাগলো এই পর্বের রিভিউ পড়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64599.25
ETH 3467.96
USDT 1.00
SBD 2.55