কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( পর্ব ১৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। প্রায় শেষের পথে চলে এসেছে। গত পর্বে বেশ কিছু আলোকচিত্র আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছিলাম আর আজকেও আপনাদের সাথে যে আলোকচিত্রগুলি শেয়ার করবো, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই প্যান্ডেলটিতে গিয়েছিলাম অনেক রাতের দিকে। এটিও বসুনগরের দিকে তৈরি করেছিল। আর এই প্যান্ডেলটি দেখে অনেকটা মনে হবে যেন ছোট একটা খাঁচার মতো করেছে, যেভাবে তৈরি করে নিয়ে গিয়েছিলো তাতে দেখে এইগুলো লোহার বেড়াজাল মতোই দেখতে লাগছে, তবে এইগুলো সেইরকম কিছুই না। বিভিন্ন রঙের দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে রেখেছে আর দেখতেও এই কারণে সৌন্দর্যপূর্ণ লাগছিলো। নিচের অবস্থানটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, কিছু ডিজাইনকৃত কাপড় দিয়ে টেনে দিয়েছে, এটা দেখে অনেকটা মনে হচ্ছে যে, মাটির দেওয়ালে যেমন আমরা বিভিন্ন নকশা অনেক ক্ষেত্রে দেখতে পাই, ওইরকমটা প্রায়। আর এই কারণেই দেখতে অনেকটা ভালো লাগছিলো।
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপর প্যান্ডেলের ভিতরে যেতেই আরেকটা বিষয় দেখতে পেলাম যে, উপরে একটা মাটির হাড়ি ঝুলানো ছিল আর এই হারির মধ্যে বড়ো বড়ো বাল্ব দেওয়া আছে জেতার জন্য দেখতে অনেক ভালো লাগছিলো রাতের আঁধারে। এইরকম আরো অনেকগুলোই সাইডে ঝুলানো ছিল, তবে এইটা মাঝখানে উপরে একটাই ঝুলিয়ে রেখেছিলো, ফলে দেখতে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করছিলো। প্যান্ডেলের ভিতরে এইরকম দৃশ্যগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে, তবে এইখানে যদি সারিবদ্ধভাবে আরো কিছু দিয়ে দিতো তাহলে লাইটিংটা আরো ভালো ইফেক্ট পড়তো।
![]() |
---|
Photo by @winkles
মণ্ডপের দিকে যেতেই সামনে আরো একটা দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন চোখে পড়েছিল, এখানে যে লেখাটা দেখতে পাচ্ছেন, এটা সংস্কৃতিক ভাষায় একটা মন্ত্র লেখা আছে, চন্ডি পাঠের। সব থেকে ভালো করেছে উপরে যে ত্রিশূলের মতো ডিজাইনটা সাজিয়েছিল, ত্রিশূলের দুই পাশে অর্থাৎ মাঝ বরাবর দুটি চোখের ডিজাইন ফুটিয়ে তুলেছিল আর পাশেই একটা চন্দ্র এর ডিজাইন করে দিয়েছিলো। এছাড়া পাশে বিভিন্ন কালারের আরো ডিজাইন তুলে ধরেছিলো, যেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। মোটামুটি ছোটখাটোর মধ্যে সাজিয়েছে বেশ ভালোই।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপরে পাশে আরো বেশ কিছু সাজানো জিনিসপত্র দেখেছিলাম, যেমন এখানে দুটি পাত্রে দেখতে পাচ্ছেন ধান এর চারা লাগানো আছে, এইগুলো কিন্তু অরিজিনালই ছিল। এছাড়া নানা ধরণের নকশা এখানে ফুটিয়ে তুলেছিল, যেটা এই দুটি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। এরপর আরো এক সাইডে বিভিন্ন সাইজের বেশ কিছু মেটে পাত্রের মতো দেখেছিলাম, যদিও এইগুলো হাড়ির মতো দেখতে ছিল। এছাড়া আরো নানাধরণের বৃত্তাকার, ত্রিভুজাকার চতুর্ভূজ এর মতো দেখতে ডিজাইনগুলো ঝুলিয়ে রেখেছিলো। এইগুলো একপ্রকার বেশ সৌন্দর্যপূর্ণ ডিজাইন ছিল।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
যাইহোক, এরপর মায়ের মণ্ডপের দিকে চলে গিয়েছিলাম মাকে দর্শন করার জন্য। মায়ের মূর্তিগুলো বেশ ভালো ছিল আর মায়ের টানা টানা দৃষ্টি সহ একটা রাগী যে ভাবমূর্তিটা দেখা যায় সেটা বেশ ফুটিয়ে তুলেছিল কারুকার্যের মাধ্যমে দেখলাম। তবে ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইনটা যদি আরেকটু ভালো করতো, তাহলে বেশ ভালো ফুটতো বিষয়টা। এখানে বিষয়টা মোটামুটি সিম্পিল এর মাধ্যমে শেষ করার চেষ্টা করেছিল যা দেখলাম। যাইহোক, এই ছিল এই পর্বের ছোট একটি প্যান্ডেলের কিছু আলোকচিত্র।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম |
তারিখ | ১৪ নভেম্বর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই দাদা এই প্যান্ডেলটি তো দেখছি একেবারে খাঁচার মতো তৈরি করেছে। বিভিন্ন রঙের দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে তৈরি করেছে বলে, দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। তাছাড়া প্যান্ডেলের ভিতরের অংশটাও চমৎকারভাবে সাজিয়েছে। ত্রিশূলের মতো ডিজাইনটা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে চোখ দুটি একেবারে নিখুঁতভাবে তৈরি করেছে। তাছাড়া চন্দ্রটি দেখতেও দারুণ লাগছে। হাঁড়ি গুলোর মধ্যে চমৎকার ডিজাইন করেছে দেখা যাচ্ছে। সবকিছু অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খুবই নিখুঁতভাবে তৈরি করেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকারভাবে ক্যাপচার করছেন দাদা। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
কালীপুজোর আলোকচিত্রের ১৬ তম পর্ব বেশ ভালো লাগলো দাদা। মন্দিরের ভেতরের কারুকার্য আর নকশাগুলো সত্যিই দেখার মত ছিল। আর যে কারিগর মায়ের মূর্তি নির্মাণ করেছে সে বেশ দক্ষ। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনি দেখছি বসুনগরের পূজা মন্ডপে দারুন একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। পূজা মন্ডপের একটু ভেতরে ঢুকেই মাঝখানে হাঁড়ির ভেতরে লাইট লাগানোর দৃশ্যটি অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল সাথে শুরুতেই দড়ি দিয়ে বানানো যে দৃশ্যটি তৈরি করেছিল সেটিও অনেক বেশি ভালো লেগেছে আর দুটি পাথরের মধ্যে যে রেখেছিল সেই বিষয়টিও বেশ ভালো লেগেছে। সব মিলে দাদা আপনার আজকের পোস্টটি মোটামুটি ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ পূজা মন্ডপের সুন্দর কিছু দৃশ্য আমাদের দেখার শুরু করে দেওয়ার জন্য।
এখন পর্যন্ত যতগুলো কালী পুজো প্যান্ডেলের ছবি দেখেছি, তার ভিতরে দাদা এবারের প্যান্ডেলের ডেকোরেশনটা একটু আলাদা ছিল, বলতে গেলে বেশ ভালই উপভোগ করলাম ছবিগুলো।
দাদা আপনি আজকে কালী পুজোর ১৬ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। দাদা দেখছি এই প্যান্ডেলটাও বসুনগরের দিকে করেছিল। আমার কাছে প্যান্ডেলের আলোকচিত্র গুলো দেখে তো খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ডেকোরেশন টা করেছে অনেক বেশি সুন্দর ভাবে। অন্য সবগুলো প্যান্ডেলের থেকে আমার কাছে এই প্যান্ডেলটা সবথেকে বেশি অন্যরকম লেগেছে দাদা। এটা ভিন্ন রকম একটা থিম এবং চিন্তাভাবনা থেকে করা হয়েছে। এক পাশে থাকা পাত্র গুলোকে দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লাগছিল। ছোট বড় করে অনেক সুন্দর করে পাত্র গুলো তৈরি করা হয়েছে। মূর্তিটাকেও সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আর মূর্তির পেছনে এবং উপরে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দেখছি। খাঁচার মতো করে পুরোটাকে তুলে ধরা হয়েছে। দাদা আপনার কালীপুজোর ১৬ তম পর্বের মাধ্যমে আরেকটা স্থানের প্যান্ডেলের আলোকচিত্র এবং সৌন্দর্য দেখে নিলাম। যা দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ১৬ তম পর্বটা অন্য গুলোর মত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
দাদা কালী পূজার সবগুলো পর্ব আমার না দেখা হলেও, বেশ কয়েকটা পর্ব আমি দেখেছি। অনেক সুন্দর করে আপনি ১৬ তম পর্বটা শেয়ার করেছেন। বসুনগরের দিকের আরেকটা প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখেছি আপনার এই পর্বের মাধ্যমে। দাদা আপনি প্রথম থেকেই সুন্দর করে এই প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি করেছেন। মন্ডপের দিকে যাওয়ার সময় যে ডিজাইনটা চোখে পড়েছিল, আপনি সেটার অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। এই ডিজাইনটা কিন্তু সত্যি একেবারে চোখ ধাঁধানো লাগতেছে। এমনকি খুবই ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছে খালি চোখে দেখতে আরো বেশি ভালো লেগেছিল এটা। আমার থেকে সব থেকে ভিন্ন রকমের একটা প্যান্ডেল ছিল এটা দাদা। এরকম প্যান্ডেলা আমি কখনোই কোথাও দেখিনি। আলপনার মত করে অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইন ও করেছে, যেগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছিল দাদা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা, এই প্যান্ডেলের আলোচিত্র গুলো শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার প্রত্যেকটা পোস্ট আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি সবসময় সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আর কালীপুজোর পোস্ট ও অনেক সুন্দর করে শেয়ার করতেছেন প্রথম থেকেই। আজকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম যে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হয়েছি দাদা। আজকে আপনি কালীপুজোর ১৬ নম্বর পর্ব সবার মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। রঙিন দৌড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে রেখেছে। যার কারনে এটা দেখতে আসলেই সৌন্দর্যপূর্ণ হয়েছে। আর দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছিল। এত সুন্দর করে পুরো ডিজাইন টা করা হয়েছে যে, মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকার মতই হয়েছে একেবারে। আমি বেশ ভালোই উপভোগ করেছি দাদা আপনার আজকের এই কালীপুজোর পোস্টটি। প্যান্ডেলের দৃশ্যের পাশাপাশি মণ্ডপের দেশে ও সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের মায়ের মূর্তির ফটোগ্রাফিটা সুন্দর লাগছিল। এই প্যান্ডেলের ডেকোরেশনটা সত্যিই একেবারে ইউনিক ছিল। আর সুন্দর করে শেয়ার করেছেন আর মুহূর্তটা ভালো লেগেছে।