ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে দ্রুতগামী ম্যাচ উইন মুম্বাইয়ের
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আইপিএল মুম্বাই আর ব্যাঙ্গালুরু এর মধ্যে ম্যাচ ছিল। এই ম্যাচটা তাদের উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে শুধু এইটা বললে ভুল হবে, এখন যে কয়টা ম্যাচ বাকি আছে তাতে সবগুলোই গুরুত্ব দিয়ে খেলা লাগবে। কারণ তাদের উভয়রই পয়েন্ট তালিকা খুবই খারাপ পজিশন। সব থেকে বেশি খারাপ ব্যাঙ্গালুরুর। এই খেলাটাও মুম্বাইয়ের পিচে খেলা হয়েছে। মুম্বাই প্রথম দিকে খারাপ করলেও এখন কয়েকটা ম্যাচে দেখলাম বেশ ভালোই খেলছে আর ম্যাচ উইনও হচ্ছে। যাইহোক, গতকাল টসে জিতেও মুম্বাই পরে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে মুম্বাই এই পিচ সম্পর্কে ভালোই জানে, শুধু মুম্বাই কেন ব্যাঙ্গালুরুও জানে, বিশেষ করে কোহলি। এখানে তারাও জিতলে আগে বোলিং নিতো।
কারণ একটাই যে, এই পিচে রান চেজ দ্রুত করা যায়। আর মুম্বাইয়ের পিচগুলো একটু শর্ট আসলে। সে যাইহোক, এই ম্যাচে কোহলি একটু মাতব্বরি করতে গিয়েছিলো মনে হলো আমার হা হা। কারণ যে অনডাউন এর প্লেয়ার সে ওপেনে গিয়ে কি করছে আসলে। যার যার যে পজিশন সে সেই পজিশন ছাড়া কিন্তু তেমন ভালো খেলতে পারে না ম্যাক্সিমাম টাইম। যদিও দুই একবার হয়ে যায়, কিন্তু এটাই ভুল সিদ্ধান্ত হয়। যেমন এখন দীনেশ কার্তিকের কথা বলি এই ব্যাপারে, তাহলে কিন্তু তার যে পজিশন সেই পজিশন-এ খুবই সুন্দর খেলে। লাস্টে আসে আর ফিনিশার ব্যাটসম্যান হিসেবে দারুন খেলে।
এটাই বলার অর্থ যে, যে ব্যাটসম্যান যে পজিশনে ভালো খেলে সেইভাবে সেটআপ করলে ভালো হয় সেই টিমের জন্য। যাইহোক, প্রথম থেকেই ব্যাঙ্গালুরুর অবস্থা বেহাল ছিল, কারণ কোহলি তো এসেই আউট হয়ে গেলো। তারপর পরে জ্যাক্সও আউট হয়ে গেলো এসে । এতে একটা ভালোই চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিলো বলতে গেলে। তবে রজত এখানে একটু ঠেক্কাল দেওয়ার মতো কাজ করেছিল, ডু প্লেসির সাথে একটা মোটামুটি পার্টনারশীপ গড়ে যেটা এই ভরা ডুবির হাত থেকে বাঁচায়। আর এর পরেই কার্তিকের শুরু হয়। এ না থাকলে ১৫০ রানের বেশি হতো না। এসেই ভালোই শর্ট দেওয়া শুরু করে। কিছু কিছু শর্ট দেয় যেগুলো ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।
বেশ ভালো দ্রুতগামীর সাথে হাফ সেঞ্চুরিও করে সে। মোটামুটি তার ব্যাটিং দেখে আর রানের যে পজিশন ছিল তাতে এনালাইসিস করে ভেবেছিলাম যে ১৮০ এইরকম হবে। কিন্তু লাস্ট ২ ওভারে মারলো আরো বেধড়ক, উঠে উঠে ৬ আর ৪ গিয়েছে, যার ফলে রান ১৯৬ তে গিয়ে দাঁড়ায়। তবে ২০০ হয়ে যাওয়ার কথা হিসেবে, কিন্তু যে স্ট্রাইকে ছিল সে মারতেই পারেনি লাস্টের ২-৩ টি বল। যাইহোক, সবথেকে মজা এসেছে মুম্বাইয়ের ব্যাটিং আপ দেখে। কি মার টা না মারলো সবাই মিলে। ৬ ওভারে ৮০ রান ক্রস করে গেলো। সাথে কিষানও যেমন বাউন্ডারি মারছে সেইরকম রোহিতও। তবে কিষান সব থেকে ভালো খেলে গিয়েছে এখানে। এক তো পাওয়ারপ্লে ওভারে হাফ সেঞ্চুরি করেছে আর সেই সাথে খুব কম বল খেলে ৬০+ রান করে আউট হয়।
সবথেকে বেধড়ক পিটিয়েছে সূর্যকুমার, যেন বাচ্চাদের বল খেলছে, যে বল করে সেই বলেই বাউন্ডারি। এই ম্যাচে সবথেকে তেজ ফিফটি করে সে মাত্র ১৭ বলে। আমি তো ভেবেই নিয়েছিলাম ১৬ ওভারে ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু তার আগেই শেষ হয়ে গেলো। হার্দিকও এসে ৬ বলে ২১ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দিয়েছিলো। মোটামুটি যে কয়জন ব্যাটে এসেছিলো, সবাই বাউন্ডারি মেরে দিয়ে গিয়েছে বলে বলে। অসাধারণ ব্যাটিং ছিল গতকালকের ম্যাচে। তবে একটা বিষয় কি, এখানে ব্যাঙ্গালুরুর সমস্যা আছে অনেক। কারণ তাদের মোটামুটি ব্যাটিং লাইন ঠিক থাকলেও বোলিং আর ফিল্ডিং খুবই খারাপ আছে। এর আগেও কয়েকটি ম্যাচে ২০০ এবং ২৫০ রানের স্কোর করেও জিততে পারেনি, শুধু এই খারাপ বোলিং এবং ফিল্ডিং এর কারণে। তা নাহলে এতো রান করে কে না জেতার আশা করে। এইরকম মার খাচ্ছে প্রত্যেক বোলাররা, ঠিকভাবে সেটিং করতে পারছে না যা মনে হচ্ছে। যাইহোক, এইরকম কয়েকটা ম্যাচ খেললে মুম্বাই এর পয়েন্ট যে মাইনাস আছে সেটা কাটাতে পারবে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা কোহলির থেকে আজ এমন পারফরম্যান্স আমি নিজেও আশা করিনি। সত্যি বলতে কোহলি যে ওপেন করবে এটা আমারও চিন্তার বাইরে ছিল। যাইহোক ভালো একটা রান তো সংগ্রহ করল। কিন্তু এতে কোন লাভ হলো না। মুম্বাইয়ের মাঠে মুম্বাই যেন হেসে খেলে জিতল। অতোগুলো রান ১৫ ওভারে চেজ করে ফেলল। যেটা সত্যি প্রশংসনীয়। মুম্বাই মোটামুটি ব্যাক করছে। কিন্তু আরসিবির ব্যাক করার কোন লক্ষণই দেখছি না আমি।।
যেকোনো দলের ব্যাটিং যতই ভালো হোক না কেনো, ফিল্ডিং এবং বোলিং ভালো না হলে ম্যাচ জেতা যায় না। যাইহোক কোহলি ওপেনিংয়ে না নেমে,ওয়ান ডাউনে নামলেই ভালো হতো। বেঙ্গালুরর এবারের অবস্থা তেমন ভালো না। মনে হয় প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে যাবে। যদিও এই ম্যাচে ডু প্লেসি রান পেয়েছে, তবে এবারের আইপিএল টুর্নামেন্টে তার ব্যাটিং ততোটা ভালো হচ্ছে না। কিন্তু দিনেশ কার্তিকের ব্যাটিং বেশ উপভোগ করছি। মাঝেমাঝে অবাক হয়ে যাই তার ব্যাটিং দেখে। যাইহোক মুম্বাই খুব সহজেই এই ম্যাচটি জিততে সক্ষম হয়। সূর্য কুমার যাদবের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল হাইলাইটস দেখছি। এই ধরনের ব্যাটিং দেখলে মন ভরে যায়। আশা করি সামনেও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস টিমের কাছ থেকে আমরা ভালো পারফরম্যান্স দেখবো। আপনি এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে শেয়ার করেছেন দাদা। বেশ ভালো লাগলো রিভিউ পড়ে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।