কার্ফু মাছের ডিমের সাথে আলু-বেগুনের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি মাছের ডিমের তৈরি পিঠে দিয়ে আলু আর বেগুনের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছি। যে মাছের ডিমটা আমি এখানে ব্যবহার করেছি সেটি হলো কার্ফু মাছের। আমি একদিন বলেছিলাম যে ডিমওয়ালা মাছের দুই রকম সুবিধা যার মধ্যে আমি ডিমটাকে আলাদা করে রেখে দিয়েছিলাম অন্য কিছু করার জন্য। আমি মূলত খাদ্য খাবারের কোনোকিছুই বাদ দিইনা, কিছু না কিছু করে খেয়ে ফেলি। একটা কার্ফু মাছের অনেকটা ডিম হয়ে থাকে আর এই মাছের ডিমগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে এটি শুধু পিঠা মতো তৈরি করে যদি খাওয়া যায় তাহলেও অনেক ভালো লাগে। আর আমি এটি আলু আর বেগুনের সাথে তৈরি করেছিলাম ফলে খেতেও অনেক মজাদার হয়েছিল। মাছের ডিম একপ্রকার ভালো কারণ এ যেকোনো খাবার তৈরি করে খাওয়া যায়। তাছাড়া মাছের ডিমে অনেক পুষ্টিগুণ থাকে যা আমাদের শরীরের জন্যও দরকার । মাছের ডিম যারা প্রায় প্রতিনিয়ত খায় তাদের এনিমিয়ার সমস্যাটা হয় না কারণ এটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের বৃদ্ধির দিকেও সঠিক রাখে। যাইহোক এই মাছের ডিম্ দিয়ে তৈরি আলু-বেগুনের তরকারিটা খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল, আপনারাও এই পদ্ধতিতে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। এখন আমি রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
✔এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---
➤আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে পিচ পিচ করে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আমি বেগুনটি ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছিলাম এবং ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤কাঁচা লঙ্কাগুলো সব কেটে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম।
➤মাছের ডিমে পরিমাণমতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে বেসন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছের ডিমের সাথে সব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
➤একটি কড়াইতে খুব অল্প তেল দিয়ে গরম করার পরে মাছের ডিমগুলোর ছোট ছোট পিঠা মতো তৈরি করে সব ভেজে নিয়েছিলাম।
➤বেগুনের পিচগুলো সব ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর আলুর পিচগুলোও ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে পরিমাণমতো পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤পাঁচফোড়নের সাথে সাথে পেঁয়াজও ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤আলু দেওয়ার পরে তাতে ভাজা বেগুনের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন, হলুদ আর তাতে কাঁচা লঙ্কাগুলো ধুয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤সব উপাদানগুলো একে অন্যের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
➤তরকারিটা বেশ খানিক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম সিদ্ধ মতো হয়ে আসার জন্য। এরপর সিদ্ধ হয়ে আসলে আমি তাতে ভেজে রাখা মাছের ডিমের পিঠাগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤পিঠাগুলো দেওয়ার পরে আরো ৮ মিনিটের মতো ফুল আঁচে দিয়ে রেখেছিলাম তরকারিটা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে আশা পর্যন্ত।
➤তরকারি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে আসলে আমি আঁচ নিভিয়ে দিয়ে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছের ডিম সহ তরকারি একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম পরিবেশনের জন্য।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনি কার্ফু মাছের ডিমের সাথে আলু-বেগুনের রেসিপি করেছেন। ডিমের রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় হইছে। ডিমগুলো টুকরো টুকরো দেখতে বেশি ভালো লাগছে। কামুর দিলেই একটা আলাদা মজা। আলু বেশুন দেওয়াতে তরকারির লুকটা অনেক সুন্দর লাগছে। রেসিপি তৈরির লাস্টের দিকে জিরের গুড়ো ছিটিয়ে দেওয়াতে তরকারির স্বাদের পরিমান বেড়ে গেছে। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা।
দাদা,কার্ফু মাছকে আমরা জাপানি রুই নামে চিনি। মাছের ডিম আমার খুবই প্রিয়।আর এই মাছের প্রচুর পরিমানে ডিম হয়ে থাকে।ডিম দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি করা যায়।দাদা আমিও এভাবে মাছের ডিমের পিঠা বানিয়ে খাই খুবই ভালো লাগে, আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।আলু ও বেগুন দিয়ে ডিমের রেসিপি খুবই ভালো জমে।
দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই নতুন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।রেসিপিটা অনেক লোভনীয় হয়েছে।আমি অনেক মাছ না খেলেও মাছের ডিম খাই ঠিকমতো।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।
দাদা আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম। সত্যি কথা বলতে কিছুদিন আগে আমি ডক্টর দেখিয়েছি। তখন ডক্টর বলেছেন আমার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম আছে। আজকে যেহেতু এই তথ্যটি জানতে পারলাম তাই অবশ্যই চেষ্টা করব মাঝে মাঝেই মাছের ডিম খাওয়ার জন্য। আলু বেগুনের সাথে মাছের ডিম খেতে মনে হয় ভালই লাগবে। দাদা আপনি আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতায় লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন এজন্য জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
কার্ফু মাছের ডিমের সাথে আলু-বেগুনের রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন দাদা। আসলে ডিমওয়ালা মাছ খেতে আমিও খুবই পছন্দ করি। আর বড় ডিমওয়ালা মাছ গুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগে,কারণ এই মাছ ডিম ও পাওয়া যায়, আবার ডিম গুলো রেখে পরবর্তীতে রেসিপি তৈরি করা যায়। যাই হোক আজকে আপনার মাছের ডিমসহ রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন মাছের ডিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। যার কারণে অ্যানিমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে মাছের ডিম খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দাদা আজকে আপনার রেসিপিটি কিন্তু আমার অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দরভাবে পরিবেশন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যে কোন মাছের ডিম ভাজি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি
আপনি কারফু মাছের ডিম দিয়ে খুব সুন্দর করে আলু বেগুন দিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন যেটা খেতে তো অনেক মজা দায়ক। তাছাড়া আপনি পিঠা তৈরির মতো ডিম ভাজি করে খেতে পছন্দ করেন যেন ভালো লাগলো দাদা।
দাদা আপনি একদিন বলেছিলেন যে মাছ ওয়ালা ডিমের সুবিধা। মাছও খাওয়া যায় ডিমও খাওয়া যায়। সেদিন থেকেই আপনার মাছের ডিমের রেসিপি অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে সেই রেসিপিটি দেখতে পেলাম। সবাই তো মাছের ডিম ভাজি করে খেয়ে ফেলে। আপনি তো একেবারে ইউনিক ভাবে মাছের ডিমটি রান্না করেছেন। মাছের ডিম গুলো বেসন দিয়ে যেভাবে ভাজি করেছেন ওভাবেই তো মনে হয় খাওয়া যাবে। তারপরে আপনি আবার বেগুন আলু দিয়ে এত চমৎকার ভাবে রান্না করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এরপরের বার কোন মাছের ডিম পেলে এভাবে রান্না করে দেখব। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হবে।
আপনি আজকে রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা এরকম ভাবে রেসিপি করে খাওয়া হয়নি। মাছের ডিম সব সময়ই পিয়াজ মরিচ দিয়ে ভুনা করে খেয়েছি। তবে আপনার আজকের তৈরি করা আলু বেগুন দিয়ে কার্ফু মাছের ডিমের তরকারি দেখে সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর অনেক ইউনিক লাগলো সত্যি বলছি আমি এটা অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে খেয়ে থাকবেন। কেননা আপনার রেসেপি অনেক লোভনীয় লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমি তো শুধুমাত্র মাছের ডিম পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে ভাজি করেই খেতে জানি আর কোনভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। মাছের ডিমের যে আবার পিঠা তৈরি করা হয় সেটা আপনার থেকে জেনে নিলাম । হ্যাঁ আগের একটি পোস্টে বলেছিলেন আপনার মাছের ডিম অনেক পছন্দ এবং এটি আপনি বিভিন্নভাবে রান্না করে খেয়ে থাকেন ।আমি তো মনে করতাম যে মাছের ডিমের আবার কিসের পুষ্টি মাছের ডিমের যে আবার এত পুষ্টিও আছে আবার মাছের ডিম খেলে এনিমিয়ার সমস্যা দূর হয় রক্তশূন্যতার চলে যায় এগুলো তো জানা ছিল না ।তাহলে তো মাছের ডিম খারাপ লাগলেও খেতে হবে পুষ্টির জন্য। আলু বেগুন দিয়ে মাছের ডিম কোনদিন রান্না করা হয়নি।আপনি প্রতিদিনই নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে যান যেটা আমাদের জন্য খুবই কাজে লাগে। বেসন দিয়ে খুব সুন্দর করে মাছের ডিমের পিঠা তৈরি করেছেন এটা মনে হয় এমনিতেও খাওয়া যায় দেখে তো তাই মনে হচ্ছে ।একেবারে ভিন্ন ধর্মী একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখতে পেলাম সত্যি আমার কাছে দারুন লেগেছে রেসিপিটি। ইউনিক একটি রেসিপি আমি অবশ্যই একদিন এভাবে ট্রাই করে খাব।
মাছের ডিম আমার অসম্বব পছন্দ। সেটা যে মাছের ই হোক না কেনো। কিন্তু এইভাবে করে কখনো খাওয়া হয়নি। সবসময় সাধারণভাবেই রান্না করে কিংবা ভাজি করে খাওয়া হয়েছে। সত্যিই বিভিন্ন ধরনের রেসিপি দেখে অনেক কিছু শিখতে পারি ভাইয়া।
মাছের ডিম অনেক সু-স্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। সহজলভ্য মাছের ডিমের মাঝে কার্ফু মাছ আবার সবার সেরা। ছোট ছোট মাছেও অনেক বেশি ডিম পাওয়া যায়।
আমি সাধারণত এই মাছের ডিম ভেজে অথবা পিঠা বানিয়ে খেতে পছন্দ করি। তবে দাদা আপনার আজকের রেসিপি মাছের ডিমের সাথে বেগুন আলুর স্বাদটাও আশাকরছি ভালছিল।
ধন্যবাদ দাদা।