ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কারাগার ( সিজন ২: পর্ব ৫ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা মাদার"। গত পর্বে ডেভিড তার বাবাকে খুঁজে পেয়েছিলো বা তার ব্যাপারে জানা গিয়েছিলো। আজকে এই পর্বে ঘটনাটা কি হয় সেটা দেখা যাবে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
মূলত একটি পর্বে বলেছিলাম যে, ডেভিড আর আলফ্রেড অনেক আগে অর্থাৎ ডেভিড যখন কানাডা থেকে এসেছিলো তখন তার মা সুফিয়া খাতুনকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। আর একটি গ্রামে খুঁজতে গিয়েছিলো, কিন্তু আসলে ওখান থেকে চলে যায়নি, মূলত একটি লোক বলেছিলো যে বাড়িতে থাকতো, কিন্তু এখন থাকেনা সেখানে। কিন্তু তার খালা সেখানে থাকতো। তাই ডেভিড আর আলফ্রেড একবার সেখানে গিয়েছিলো আর তাকে দেখেও বুঝতে পারেনি, কারণ অনেক ছোটবেলায় যে দেখেছিলো। তবে আলফ্রেড ডেভিডের খালাকে বুঝিয়ে বলে যে, ৭২ সালের দিকে তার মা তাদের মিশনারিতে রেখে গিয়েছিলো আর এখন সে তার মার্ খোঁজে এসেছে, কিন্তু তার মায়ের অবস্থা তেমন ভালো না, কারণ সে একপ্রকার পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে। তো এরপরে মূল কাহিনীতে যেখানে শুরু হয় মানে মাহা যে ডেভিডের সাথে জেলে কথা বলতে গিয়েছিলো আর সে কখন এই জায়গা থেকে বের হবে সেটা জানার জন্য, কিন্তু ডেভিড বলে যে সময়টা পরে জানিয়ে দেবে।
কিন্তু সুড়ঙ্গ নিচ দিয়ে খুলতে হবে। তবে মোস্তাক আর তার বন্ধু ওখানে যাচ্ছিলো আসলে কি কথা বলছিলো সেটা শোনার জন্য। আর তখনি মাহা বেরিয়ে আসে এবং সেখান থেকে ওয়াশরুমের বাহানা করে বিষয়টা এড়িয়ে চলে যেতে চাইছিলো, কিন্তু তাকে না বলে যেতেই দেবে না। ফলে বাধ্য হয়ে বলে দেয় আতাউরকে ভালো করে খুঁজতে, কারণ তারা যেটা জানে অর্থাৎ আতাউর বাইরের দেশে আছে এটা মিথ্যা কথা, কিন্তু সে দেশেই আছে। এরপর মোস্তাক আর তার বন্ধু আতাউরকে খুঁজতে তার বাড়িতেই চলে যায়, কিন্তু গিয়ে দেখে তালা মারা। ওরা আসলে ওই রাতেই বাড়ি ছেড়ে সবাই অন্যত্র পালিয়ে যায় আর এটা সেখানে থাকা একটা লোকের মুখ থেকে জানতে পারে।
এরপর ডেভিডের বাবা মানে সেই লোকটা তার সাথে কথা বলতে যায়, আসলে কিভাবে বের করবে সেই বিষয়ে। লোকটার এখনো বিশ্বাস হতে চায় না যে, সে সুড়ঙ্গ দিয়ে এখানে এসেছে। এখন যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে পরেরদিন বিকালে সেখান থেকে বেরিয়ে যাবে তার বাবাকে নিয়ে বলে জানায়। এখন মেইন বিষয় হলো, সুড়ঙ্গ বাইরের থেকে না খোলা পর্যন্ত সেলের তালা খুলে বের হতে হবে আর তার জন্য দরকার খোলার জিনিস। কিন্তু ওই লোকটা একটা চশমা দেয় অর্থাৎ ওর বাড দিয়ে তালা খোলার চেষ্টা করে। কিন্তু ডেভিড ব্যার্থ হয় খুলতে। এদিকে মাহাও আলফ্রেড এর কাছে গিয়ে ডেভিডের কথাগুলো জানায়, কিন্তু আলফ্রেড তাকে বলে আসতে বলে যেন সে একাই বেরিয়ে আসে, কারণ তার মা আর নেই। ও আসলে তার বাবাকে বের করতে চেয়েছিলো তার মায়ের সামনে আনার জন্য, কিন্তু সেই মিশনটাই শেষ হয়ে যায়।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
গত পর্বের মতো এই পর্বেও তার মায়ের খোঁজ এর বিষয়ে কাহিনীটা ছিল। তবে আফসোস যে সে তার মায়ের সাথে তারা বাবাকে দেখা করাতে পারেনি। কিন্তু ডেভিড যে মিশনে নেমেছিল তার বাবাকে সেখান থেকে বের করার, সেটা সে যেকোনো মূল্যেই করবে। আর ডেভিড নিজেও মাহার মুখ দিয়ে বলিয়ে দেয় মোস্তাক সাহেবের কাছে যে, সে নিজের ইচ্ছায় সেখান থেকে কিছুদিন বাদে বেরিয়ে যাবে। আসলে এতে কিন্তু তাদের কোনো লাভ নেই, বরং ভালো, কারণ ডেভিড যে জেলের ভিতরে আছে, এটা একমাত্র জেলার আর কয়েকজন ছাড়া কেউ জানে না, তাই জেলের থেকে যখন কয়েদি ট্রান্সফার করা হবে, তখন এই ঝামেলায় আর পড়তে হবে না। কিন্তু জেলারের এখন মূল বিষয় হলো এই আতাউরকে খুঁজে বের করা। আর এখানে আলফ্রেড মাহাকে একটা চিঠি বা কাগজে লিখে দেয় যে আতাউর কোন ঠিকানায় আছে এই মুহূর্তে আর সেটা জেলার সাহেবের কাছে দিতে বলে। এখন এইটা দেখার বিষয় যে, ডেভিড তার বাবাকে কিভাবে বের করে নিয়ে যাচ্ছে বা জেলের তালা খুলতে পারছে কিনা সেই পদ্ধতিতে আবার জেলার আতাউরকে ধরতে পারছে কিনা।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৯/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো যে,ডেভিডের মা আর জীবিত নেই। এতে করে ডেভিডের মিশনটা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। ডেভিড যদি তার বাবার সাথে মায়ের দেখা করাতে পারতো,তাহলে ভীষণ ভালো লাগতো। ডেভিডের মা বাবা খুব খুশি হতো। এখন তো আর কিছুই করার নেই ডেভিডের। তবে ডেভিড অবশ্যই তার বাবাকে জেল থেকে বের করতে সক্ষম হবে। ডেভিড জেল থেকে বের হয়ে গেলে মোস্তাকদের জন্যই ভালো। পরবর্তীতে জবাবদিহি করার কোনো ঝামেলা থাকবে না। কিন্তু আতাউরকে তো অনেক দিন ধরেই খুঁজছে জেলাররা। কিন্তু কোনো ভাবেই ধরতে পারছে না। এই পর্বের রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে, ২/১ পর্বের মধ্যেই এই ওয়েব সিরিজটি শেষ হয়ে যাবে। যাইহোক এই পর্বের রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডেভিড যে জন্য তার বাবাকে বের করতে গিয়েছিল কিন্তু তার মারা যায়। মাহার উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিতে হয়। ঐ সময় সে আতাউরের কথা বলে ঘটনা টা একেবারে এড়িয়ে যায়। অন্যদিকে ঐ লোকটা অর্থাৎ ডেভিডের বাবাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছে হ্যা সুড়ঙ্গ দিয়ে তাকে বাইরে নিয়ে যাবে। অসাধারণ একটা জায়গাই এসে থেমেছে সিরিজ টা। দারুণ রিভিউ দিয়েছেন দাদা।
'কারাগার' ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের পঞ্চম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে পারলাম দাদা। এই ওয়েব সিরিজটি সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবারের পর্বে ডেভিল তার মাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। আর তার মাকে খুঁজে বের করার বিষয়গুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় তার মা আর এই পৃথিবীতে নেই। তাই তো ডেভিল তার বাবার সাথে তার মাকে দেখা করানোর মিশনটা সাকসেস করতে পারলো না। এটা সত্যিই অনেক কষ্টের বিষয়। তবে আশা করছি ডেভিড তার বাবাকে জেল থেকে বের করতে পারবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে কারাগার ওয়েব সিরিজটার আরেকটা পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সিজন 2 এর পঞ্চম পর্বের রিভিউটা অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। আর দেখছি এই পর্বটার নাম ছিল "দ্যা মাদার"। গত পর্বে তো দেখেছিলাম ডেভিড নিজের মায়ের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছে। আর এই পর্বে ও ওরকম টা দেখলাম। আমি তো ভাবতেছি ডেবিট কি নিজের বাবাকে বের করতে পারবে নাকি পারবে না। বের করতে পারলেই ভালো, কারণ তার অনেক চেষ্টা এটার উপর। অনেক প্ল্যান করে সে এই পর্যন্ত এসেছে। সে যদি তার প্ল্যানে সাকসেস হয় তাহলে তো অনেক ভালো। ডেভিডের মা-বাবা দুজনেই কিন্তু অনেক বেশি খুশি হত যদি সে তাদের দুজনের দেখা করাতো। তবে এখন দেখা করাতে না পারলে কি হয়েছে, আশা করছি জেল থেকে বের করার পর ভালোভাবে দেখা করাতে পারবে। এখন পরবর্তীতে এটাই দেখতে হবে যে, জেলার আতাউরকে ধরতে পারবে নাকি পারবে না। আশা করছি পরবর্তী পর্বে এসব কিছু ক্লিয়ার হবে। পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বের রিভিউটা আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
দাদা কারাগার ওয়েব সিরিজটার প্রত্যেকটা প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ যত পড়তেছি, ততই আমার কাছে খুব ভালো লাগতেছে। দেখতে দেখতে সিজন এক শেষ হওয়ার পর এখন সিজন 2 এর পাঁচটা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। ডেভিডের মাকে সে খুঁজে পেয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাহলে পেয়েছে সে তার মাকে। তবে বাবার সাথে মায়ের দেখা করাতে পারেনি। আর সে তার বাবাকে কিরকম ভাবে বের করবে এটাই তো বুঝতে পারছি না। সে অনেক বড় একটা মিশনে নেমেছে। এখন মোশনটা সাকসেস হলেই হয়। আতাউর কে খুঁজে বের করাই জেলারের সব থেকে মূল মিশন। আর তাকে কি শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাবে নাকি পাবেনা। আর ডেভিড কি তার বাবাকে বের করতে পারবে?? এই সব কিছু আস্তে আস্তে দেখতে পাবো আমরা। দাদা এখন কিন্তু মূল কাহিনীটাই থেকে গিয়েছে মানে তার বাবাকে বের করার বিষয়টা। ধন্যবাদ দাদা, এই ওয়েব সিরিজটার সবগুলো পর্ব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।