পমফ্রেট মাছের সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি পমফ্রেট মাছের রেসিপি তৈরি করেছি। পমফ্রেট মাছ খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। এই মাছগুলো সামুদ্রিক হওয়ায় খেয়েও উপকারিতা পাওয়া যায়। পমফ্রেট মাছ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাজা করেই খাওয়া হয়ে থাকে। পমফ্রেট মাছের তন্দুরি, পাতুরি এইসব করে খেলে মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ লাগে। বড়ো পমফ্রেট মাছগুলো দেখতেও যেমন ভালো লাগে, তেমনি খেতেও ভালো লাগে। আমি বড়ো পমফ্রেট একবারই খেয়েছিলাম খেতে ভালোই লাগে। আমি সাধারণত পমফ্রেট মাছ বাজার থেকে ছোটগুলোই কিনি, কারণ ওজনে বেশি উঠলে খাওয়াও যাবে এক থেকে দুইদিন একটু বেশি এই আর কি । তবে ছোট - মাঝারি পমফ্রেট মাছগুলো ভাজা খেতেও কিন্তু দারুন লাগে, মাছ অল্প কিছু এক্সট্রা থেকে গেলে আমি পেঁয়াজ দিয়ে একটু কড়া মতো ভাজা করে খাই। আমাদের এখানে দিঘায় গেলে বড়ো বড়ো পমফ্রেট মাছের ভাজা খাওয়া যায়, যাবো যাবো ভাবি কিন্তু ঝামেলা আর পিছন ছাড়ে না, একটা না একটা লেগেই থাকে বাড়ির দিকে। যাইহোক আজকে সকাল থেকে মনটাই খারাপ হয়ে রয়েছে, রাউটারটা আর নষ্ট হওয়ার সময় পায়নি, অন করলাম আর চলতে চলতে কি যে হলো আর কানেক্টই হচ্ছে না রিসেট মারার পরে। একটু আগেই একটা অর্ডারে বসিয়ে দিয়েছি, কালকে আসবে। ওয়াইফাই ছাড়া কাজ করাই যায় না। ফোনের ইন্টারনেট কানেকশন লাগিয়ে তাই এই পোস্টটা অনেক্ষন বাদে করছি। যাইহোক আলু বেগুন দিয়ে এই পমফ্রেট মাছের তরকারিটা করেছিলাম এবং খেতেও ভালো মজাদার হয়েছিল। আলু, বেগুন দিয়ে এই মাছের তরকারিটা গরম ভাতের সাথে বেশ জমে ভালো। যাইহোক এখন এই রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
დপ্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:დ
❣এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম--
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
➤পমফ্রেট মাছগুলো ভালো করে কেটে নিতে হবে এবং জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর বেগুনটিকে কেটে পিচ পিচ করে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে ছোট ছোট পিচ করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। পেঁয়াজ দুটির খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেটে কুচি করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলো সব কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤ধুয়ে রাখা পমফ্রেট মাছগুলোতে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤একটি প্যানে অল্প তেল দেওয়ার পরে মাছগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤অন্য একটি কড়াইতে একই সাথে তেল দিয়ে আলুগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤আলু ভাজার পরে বেগুনের পিচগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ কুচি ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম এবং পরে কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জিরা হালকা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে বেগুনের ভাজা পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤বেগুনের ভাজা পিচ দেওয়ার পরে তাতে ভাজা পেঁয়াজ এর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ৩ চামচ করে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। সব মশলা ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤মিক্স করার পরে কড়াইতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ফুল আঁচে দিয়ে খানিক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।
➤ফুটিয়ে আলুগুলো ভালোমতো সিদ্ধ হয়ে আসলে হাতা দিয়ে কিছু আলুর পিচ তরকারির থেকে তুলে নিয়েছিলাম এবং চেপে ভালো করে গলিয়ে আঠালো মতো করে নিয়েছিলাম।
➤আলু গলানোর পরে তরকারিতে ভাজা পমফ্রেট মাছের পিচগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। কিছুক্ষন পরে তরকারিতে গলানো আলুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি ঘন হয়ে পরিপূর্ণভাবে হয়ে আসার জন্য কিছুক্ষন দেরি করেছিলাম।
➤তরকারিটা ভালোমতো হয়ে আসলে আঁচ নিভিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। তরকারিটা পরিবেশন করার জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি কথা বলতে আমরা অনেকটা ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে আমাদের খুবই অসুবিধা হয়। বিশেষ করে আপনি সবসময় ব্যস্ত সময় পার করেন এবং নিজের কাজগুলো গুছিয়ে করেন তাই আপনার জন্য পুরো ব্যাপারটি আরও বেশি দুঃখজনক হয়েছে। আশা করছি আপনার অর্ডারকৃত পণ্যটি হাতে পেলেই আপনার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। পমফ্রেট মাছ কোনদিন খাইনি। তবে আমার মনে হচ্ছে এই মাছ বাজারে দেখেছিলাম। কিন্তু নাম জানা ছিল না। আজকে জানতে পারলাম দাদা। মনে হচ্ছে এই মাছগুলো ফ্রাই করে খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে যে কোন মাছ আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। মাছ সুন্দরভাবে ভেজে আলু বেগুন দিয়ে রান্না করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছা করছে দাদা। দারুন ছিল আজকের রেসিপি। আপনার রন্ধন প্রণালীর নিপুনতা আমাদের সকলের মাঝে প্রদর্শন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
প্রিয় দাদা ওয়াইফাই ছাড়া বর্তমানে অনলাইনের কাজ করা সত্যিই অনেক কষ্টকর।পমফ্রেট মাছ আমি কখনো খাইনি। প্রিয় দাদা,পমফ্রেট মাছের সাথে সবজি রান্নার প্রক্রিয়াটি আপনি অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপিটি পড়ে মনে হচ্ছে তরকারিটা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদ এবং মজাদার ছিল।
দাদা আপনি খুবই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে আজকে শেয়ার করলেন। পমফ্রেট মাছের রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আলু বেগুন দিয়ে এই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে সামুদ্রিক মাছ হওয়ার কারণে বেশি মজাদার লাগবে দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
দাদা আজকে আপনি সমুদ্রিক পমফ্রেট মাছের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আলু বেগুন দিয়ে মজাদার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে আমি কখনো এই মাছের রেসিপি খাইনি। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। তবে এই পমফ্রেট মাছ ফ্রাই করে খেলে মজা লাগবে, আসলে তান্দুরি রেসিপিও তৈরি করা যায়। আর এটি অনেক সুস্বাদু হয়। যাইহোক আপনি আলু বেগুন দিয়ে মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন আর আজকে আপনার রাডার নষ্ট হয়ে গেছিল। আসলেই নেটের কিছু নষ্ট হলে খুবই খারাপ লাগে। ওয়াইফাই ব্যবহার না করলে মোবাইল নেট দিয়ে কাজ হয় না। যাই হোক তার পরেও আপনি অর্ডার করেছেন, কালকে আসবে জেনে ভালো লাগলো। আজকে আপনি মোবাইলে ডাটা দিয়ে পোস্টটা করেছেন। আপনার পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে আছে এই মজাদার সামুদ্রিক মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রাউটার নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে তো বিশাল বিপদে পড়া। কারণ রাউটার ছাড়া চলা খুবই মুশকিল। মোবাইলের ইন্টারনেট দিয়ে কাজ করে পোষায় না। যাইহোক আজকের দিনটা কষ্ট করলে কালকে হয়তো নতুন টা দিয়ে কাজ করতে পারবেন ।
সামুদ্রিক মাছের উপকারিতা অনেক বেশি। আবার খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। পমফ্রেট মাছ আমার খুবই পছন্দের। এই মাছগুলো বড় সাইজের গুলো স্বাদ একটু বেশি, কিন্তু আমার কাছে ছোট সাইজগুলা ভালো লাগে। কারণ এগুলো রান্না করতে সুবিধা। আস্ত রান্না করে ফেলা যায় । বড় সাইজের হলে আস্ত রান্না করতে একটু ঝামেলা হয়। নাড়াচাড়া করতে কষ্ট হয়। এই পমফ্রেট গুলো মুচমুচে করে ভেজে খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এভাবে আলু বেগুন দিয়ে কখনো রান্না করে খাইনি। সবসময় ভুনা অথবা ভাজা খেয়েছি। এই মোটা মোটা সাইজের ১৩ টি কাঁচামরিচ দিয়েছেন ঝাল হয়ে গিয়েছিল না দাদা? যাইহোক ঝাল ঝাল হলেই তো খেতে বেশি মজা লাগে। অবশেষে মাছগুলো একেবারে আস্ত আছে দেখে ভালো লাগলো। আমার তো ভেঙে যায় মাছ। খেতে যে সুস্বাদু হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সত্যি দাদা রাউটারটা ছাড়া মোবাইল ডাটা দিয়ে কাজ করা কষ্ট কর। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে পমফ্রেট মাছে রান্না অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি কাচা জিরা দেওয়াতে স্বাদ অনেক বাড়ে। পমফ্রেট মাছ বড় গুলো স্বাদ বেশি হলেও ছোটগুলো অনেক মজা। আপনি অনেক কাঁচামরিচ দিয়েছেন। মনে হচ্ছে ঝালটা বেশি হয়েছে। এধরণের রেসিপিতে ঝাল বেশি হলে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
দাদা আলু বেগুন দিয়ে পমফ্রেট মাছের দারুণ রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ আসলে ছোট মাছ খেতেও একটু বেশি স্বাদের হয় ৷ কড়া করে মাছ ভাজি আমারও বেশ ভালো লাগে ৷তবে সবজি দিয়ে রান্না করলেও মন্দ হয় না ৷ জিভে জল আসার মতো একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ আর ঝামেলা জীবনে লেগে থাকবেই একদিন সময় করে দিঘায় গিয়ে বড়ো বড়ো পমফ্রেট মাছের ভাজা খেযে আসিয়েন ৷ অসময়ে রাউটার নষ্ট হয়েছে জেনে খারাপ লাগলো ৷ ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি রেসিপি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
দাদা,এটা খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়।তাছাড়া এইসব ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো হঠাৎ করেই খারাপ হয়ে মন বিগড়ে দেয়।একদিন ইন্টারনেট না থাকলে তো মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায়।
পমফ্রেট মাছ দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও অনেক সুন্দর।অনেকে আবার এই মাছকে সামুদ্রিক চাঁদা মাছ ও বলে থাকে।সত্যিই দাদা এই মাছের পাতুরি মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ।দাদা আপনার এই বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে যে আপনি ছোট সাইজের পমফ্রেট মাছ কেনেন।ফলে অনেক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি তৃপ্তি করে বেশিদিন ধরে খাওয়া ও যায়।যেকোনো মাছ কড়া করে ভাজি খেতে আমার ও খুব ভালো লাগে।আলু ও বেগুন দিয়ে আপনার পমফ্রেট মাছের রেসিপিটা অনেক সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।সামুদ্রিক মাছ মানেই পুষ্টিকর, ধন্যবাদ দাদা।
দাদা সব সময় আপনার তৈরি করা সব রেসিপি আমার কাছে ভিষণ ভালো লাগে। আজকে তো সামুদ্রিক পমফ্রেট মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন।সাথে আবার আমার খুব পছন্দের সবজি দুটি। দাদা আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর রেসিপির সুন্দর রং টা যদি সম্ভব হতো তাহলে টেস্ট করে দেখতাম।
দাদা আমিও মাঝে মাঝে এভাবে মাছ ভেজে খাই অনেক ভালো লাগে।
ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইল।🙏
রাউটার নষ্ট হলে আসলেই সমস্যা। মোবাইল নেটওয়ারকে কাজ করে আরাম পাওয়া যায়না। যাইহোক এই রুপচাদা মাছগুলো আমার খুবই পছন্দের কিন্তু দাম এত বেশি আর আমাদের এদিকে পাওয়া যায়না বললেই চলে। তবে রেসিপিটা কিন্তু জিভে জল আনার মত হয়েছে দাদা। ধন্যবাদ।