পুঁইশাক আর তেলাপিয়া মাছের মজাদার তরকারি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে পুঁইশাক আর তেলাপিয়া মাছ দিয়ে একটা তরকারি তৈরি করেছিলাম। আর পুঁইশাক তরকারিতে আছে মানেই সেটি খেতে অনেক সুস্বাদু হতেই হবে। পুঁইশাকের ঘ্রানেই তরকারিটা খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে সবসময়। আজকে মূলত এই পুঁইশাক দিয়ে রান্না করার কথা ছিল অন্য মাছ কিন্তু হলো আরেকটা। আসলে গতকাল বাজারের দিকে গিয়েছিলাম যে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় কিনা, কারণ অনেকদিন ইলিশ খাওয়া হয় না আর কালকে ইলিশ খাবো খাবো করছিলো মনটা, তাই চলে গিয়েছিলাম মাছ বাজারে। কিন্তু ইলিশ মাছ থাকলেও তার দাম শুনে চোখ দুটো বড়ো বড়ো হয়ে গেলো, কারণ সাথে করে নিয়েই গেছি টোটাল হাজারখানি টাকা, এখন যদি সেই মাছটার দামই বলে হাজার টাকার উপরে তাহলে কেমনটা হয়। এরপর দেখলাম এই যদি এখন কিনতে যাই তাহলে আর কিছুই কেনা হবে না, সাথে বাড়ি গেলে এতো দাম দিয়ে মাছ কেনার জন্য ফ্রি একটা বকুনি খাবো হা হা। তার থেকে হাতের কাছে কম দামে যেটা পেলাম সেটাই কিছুটা কিনে নিয়ে আসলাম অর্থাৎ তেলাপিয়া মাছ কিনেছিলাম শেষমেশ। আসলে আজকে জামাইষষ্ঠী তো এইজন্য মাছ, মাংস, ফল যাই বলুন না কেন গতকাল দাম গেছে আকাশ ছোঁয়া। কবে যে আমিও জামাইষষ্ঠী খেতে যাবো তাই চিন্তা করছি , তাহলে সব ফ্রি পাবো হা হা। যাইহোক, আপাতত এখন ফ্রি না খেয়ে এই মজাদার রেসিপিটির মূল প্রস্তুতি প্রণালীর দিকে চলে যাই।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
❦এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম--
☬প্রস্তুত প্রণালী:☬
❖সব গোল আলুগুলোর প্রথমে খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কেটে মাঝারি থেকে ছোট এইরকম পিস করে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম।
❖পুঁইশাকের ডাঁটাগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কুচি করে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছালিয়ে রেখেছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলো পরে একেবারে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖তেলাপিয়া মাছের পিসগুলোতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছের সব পিসগুলোতে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖প্যানটি চুলায় বসিয়ে দেওয়ার পরে তাতে সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে তেলাপিয়া মাছের পিসগুলো বসিয়ে দিয়েছিলাম। মাছের সব পিস ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
❖মাছ ভাজার সময় ওই একই সাথে পাশের চুলায় আরেকটি কড়াই বসিয়ে দিয়ে তাতে অল্প তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে আলুগুলো তুলে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভাজার পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ-রসুন ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ-রসুন ভাজার পরে কড়াইতে আরেকটু সরিষার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর জিরা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖আলু দেওয়ার পরে পুঁইশাকের ডাঁটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভেজে রাখা পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ অনুযায়ী লবন, হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মশলাগুলো সব উপাদানের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖মশলা মিক্স করার পরে জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছু সময় ধরে ফুটিয়ে সব ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
❖আলুর পিস এবং পুঁইশাকের ডাঁটা ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে তরকারির থেকে কিছু আলুর পিস তুলে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলুর পিস তোলার পর পরই তাতে ভেজে রাখা তেলাপিয়া মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছুক্ষন ফুটিয়ে নেওয়ার পরে তাতে গলিয়ে রাখা আলু দিয়েছিলাম এবং তরকারিতে মিশিয়ে অল্প করে জিরার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।
❖তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসলে পরে নামিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে আরেকটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে তরকারিটা পরিবেশনের জন্য কিছুটা তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে যদি একটা শ্বশুরবাড়ি থাকতো তাহলে আর এই দিন দেখতে হতো না দাদা😅😅। জামাইষষ্ঠীর দাওয়াতে খাওয়ার জন্য ইলিশ মাছের সাথে আরো অনেক কিছুই থাকতো। জামাইষষ্ঠীর খাওয়া দাওয়া করার জন্য হলেও তাড়াতাড়ি বিয়েটা করে ফেলুন দাদা😅😅। আমরাও তো তাহলে একটু বিয়ের দাওয়াত খেতে পারি। সত্যি দাদা ইলিশ মাছের দাম অনেক বেশি। এখন প্রত্যেকটি মাছের দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে মাছের বাজার। পুঁইশাক আমার খুবই প্রিয়। ইলিশ মাছ দিয়ে পুঁইশাক রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে অন্য কোন মাছ দিয়ে রান্না করলেও খেতে বেশ মজার হয়। পুঁইশাক আর তেলাপিয়া মাছের দারুণ একটি রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
বাহ্ অসাধারণ একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পুঁইশাক আর তেলাপিয়া মাছ দিয়ে রান্না,এতো সুন্দর একটা রান্না দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রেসিপি দেখে আমার জিবে জল চলে আসতেছে ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
দাদা জামাইষষ্ঠী খাওয়ার জন্য তো বিয়েটা করা জরুরী। তাই আর দেরি না করে বিয়েটা করে ফেলুন। তাহলে পরের বছর জামাইষষ্ঠী খেতে যেতে পারবেন 😂। যাইহোক দাদা পুঁইশাক আমার খুব পছন্দ। তবে ইলিশ মাছ এবং চিংড়ি মাছ দিয়ে পুঁইশাক রান্না করে অনেক খেয়েছি। খেতে দারুণ লাগে। তবে তেলাপিয়া মাছ দিয়ে পুঁইশাক রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনার রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। ইলিশ মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি হওয়ায়, পুঁইশাক দিয়ে তেলাপিয়া মাছ রান্নার বুদ্ধিটা বেশ ভালো হয়েছে দাদা। রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা জামাইষষ্ঠী খাওয়ার জন্য তো শ্বশুরবাড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিয়ে করতে হবে তাড়াতাড়ি। বিয়ে করে ফেলেন তাহলে পরবর্তী বছরে শুধু ইলিশ মাছ না ইলিশ মাছের সাথে আরো অনেক কিছুই পাবেন জামাইষষ্ঠীতে। ফ্রিতে সবকিছু খেতে পারবেন কোন চিন্তা ছাড়া। যেহেতু জামাইষষ্ঠী তাই সবকিছুর দাম একটু বেশি বেড়ে গিয়েছে দুই-তিন দিনের জন্য। আপনি ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে তেলাপিয়া মাছ কিনে নিয়ে এসেছেন শেষ পর্যন্ত। ইলিশ মাছের দাম শুনে আপনার চোখ দুটো বড়ো বড়ো হয়ে গিয়েছিল। পুঁইশাক দিয়ে তেলাপিয়া মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আসলে পুঁইশাক খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। পুঁইশাক দিয়ে এভাবে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে খুবই ভালো লাগে খেতে আর যদি হয় তেলাপিয়া মাছের তাহলে তো কোন কথাই নেই। আপনার রেসিপিগুলো সব সময় খুবই মজাদার হয় দেখেই বুঝতে পারি। এরকম মজাদার এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লেগেছে ভীষণ আপনার উপস্থাপনা দেখে যে কেউ তৈরি করতে পারবে।
পুঁইশাক এবং তেলাপিয়া মাছ দুটোই আমার খুবই খাবার। প্রিয় দাদা, আপনি খুবই চমৎকারভাবে তেলাপিয়া মাছের সাথে পুঁইশাকের দুর্দান্ত একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। প্রিয় দাদা, আপনার এই রেসিপি তৈরির ক্ষেত্রে তেলাপিয়া মাছগুলো প্রথমে ভেজে নেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা আপনার তো দেখছি জামাইষষ্ঠী খাওয়ার অনেক ইচ্ছা। বিয়েটা তাড়াতাড়ি করে ফেললে জামাইষষ্ঠী খেতে পারবেন আপনি। আর সেই জামাইষষ্ঠীতে শুধু ইলিশ মাছ না আরও অনেক রকমের খাবার থাকবে যেগুলো আপনি ফ্রিতে পেয়ে যাবেন এবং সেখানে নিশ্চিন্তে বসে কব্জি ডুবিয়ে খেতে পারবেন। তখন আর কষ্ট করে নিজে বাজারে গিয়ে কেনা লাগবে না। আপনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তখন আপনার জন্য অনেক আয়োজন করবে। যাইহোক দাদা আপনি কিন্তু বেশ লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন আজকে। পুঁইশাক আর তেলাপিয়া মাছ একসাথে রান্না করে আগে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। আপনার রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে তাই ভাবছি এই রেসিপিটা তৈরি তো করতেই হবে। আপনার উপস্থাপনা দেখে তৈরি করার পদ্ধতি শিখে নিলাম। খুবই মজাদার হয়েছিল মনে হচ্ছে। টেস্ট তো করাই লাগে।
দাদা আমাদের দেশে জিনিষ পত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। আপনাদের দিকে তো জামাইষষ্ঠীর জন্য জিনিষ পত্রের দাম বাড়িয়েছে আর আমাদের দিকে সব সময় দাম থাকে। আমাদের দেশের মন্ত্রি এমপিরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে রাখে। যায়হোক এসব কথা বলে লাভ নেই। আজকে আপনার পুঁইশাকের সাথে তেলাপিয়া মাছের রেসিপিটা দারুন হয়েছে। পুইঁশাক আমার খুব প্রিয় একটি সবজি। পুইঁশাক শুধু ভাজি করে দিলেও আমি দুই প্লেট ভাত খেতে পারবো। ধন্যবাদ দাদা।
সত্যি কথা দাদা খেতে মন চায় অনেক কিছুই কিন্তু খেতে গেলে এক জিনিসেই পকেট ফাঁকা হয়ে যায়। জামাই হলে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মজার মজার খাওয়া যাবে।দোয়া করি আপনি খুব দ্রুত জামাই হয়ে যান।🥰
আজকের রেসিপির কথা কি আর বলবো, পুঁই শাক আমার খুব পছন্দ।ইলিশ মাছ আর চিংড়ি মাছ দিয়েই পুঁই শাক খেয়েছি। অন্য কোন মাছ দিয়ে কখনও খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপি দেখে খুব লোভনীয় লাগছে।খেতেও বেশ মজার হয়েছে সন্দেহ নেই।দারুন স্বাদের রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।আপনার জন্য রইলো অনেক শুভকামনা।
জামাইষষ্ঠীর সময় যেকোনো জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায় এটা ঠিক।তবে দাদা আপনি পুঁইশাক দিয়ে ইলিশ মাছ খাবেন ভেবেছিলেন সেটা আর হলো না।আসলেই ইলিশ মাছের দাম সারাবছরই বেশি থাকে।যাইহোক পুঁইশাক ও আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছের রেসিপিটি ও দারুণ হয়েছে।👌পুইশাকের ডাটা খেতে বেশ মজার, ধন্যবাদ দাদা।