এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ২৪ )

এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম পড়ন্ত বিকেলের সময়ে। এটা শীতের টাইমে তুলেছিলাম। আমাদের এখানে যে খড়িবাড়ি নামক জায়গা আছে, ওখানে পরিবেশটা মোটামুটি বেশ ভালো। মাঝেমধ্যে একটু রিলাক্স এর জন্য প্রায় মানুষ ওখানে যায়। আমি গাড়ি কেনার পরে ওখানে এই একবারই গিয়েছিলাম। সব থেকে ভালো লাগে, ঘেরের পাশে ফাঁকা জায়গায় নিরিবিলি সময় কাটাতে। আর যদি সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তে বিষয়টা দেখা যায়, তাহলে আরো সুন্দর লাগে। জলের উপরে তার আবরণ কত সুন্দর লাগছে, আমার কাছেই এখনো দেখে অন্যরকম একটা ভালো লাগার ফিল হচ্ছে।

এই আলোকচিত্রটা গতদিন তুলেছিলাম। এটি আমাদের এই বছরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গিফট, যেটা মোটামুটি অনেকের জন্যই বরাদ্ধ করা হয়েছে। আমি এইটা হাতে পাওয়ার পরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিলো। আর মগ এর ডিজাইনটাও আমার কাছে অসাধারণ লেগেছিলো। যদিও এটাকে কাস্টমাইজ করতে চেয়েছিলাম কালারের দিক থেকে, কিন্তু কালার আর পাওয়া যায়নি সাদা ছাড়া। কিন্তু সাদার উপরে বিভিন্ন টাইপের কালার দিলেও ভালো লাগে। যাইহোক, মুহূর্তটা বেশ সুন্দর ছিল।

এই আলোকচিত্রগুলো তুলেছিলাম দূর্গা পুজোর সময়ে, যার স্মৃতি এখনো গ্যালারিতে ভর্তি বলা যায়। প্রথমত একটি গেটের আলোকচিত্র তুলেছিলাম, এই গেটের ডেকোরেশনটা অসাধারণ ছিল, দেখতেও খুবই আকর্ষণীয় বলা যায়। এইগুলো তৈরি করার পরে যতটা না সুন্দর দেখায়, তার থেকে বেশি সৌন্দর্যে ভরে ওঠে লাইটিং দিলে। লাইটিংগুলো খুবই সুন্দর এই গেটের, সাধারণত এটি একটি মন্দিরের অংশবিশেষকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপরে কিছু মূর্তির ছবি তুলেছিলাম, কার্তিক, গণেশ, স্বরস্বতী, মা লক্ষ্মী। মূর্তিগুলো দেখতে খুবই ভালো ছিল। এছাড়া উপরে কাপড় দিয়ে তৈরি করা একটা সুন্দর ঝাড়বাতির মতো দেখতে, এটির মাঝখানের ডিজাইনটা অসাধারণ ছিল।

এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম বারবিকিউ নেশন থেকে। এটি মোটামুটি অনেকদিন আগে একবার গিয়েছিলাম সবাই মিলে। তখন আবার আমি ডায়েটে ছিলাম, খাবার দেখেই বুঝতে পারছেন হা হা। আমি প্রায় তরমুজ নিয়ে বসেছিলাম, আর তার সাথে মাঝে একটু একধরণের ডেসার্ট নিয়েছিলাম, কিন্তু এটার নাম কি মনে নেই। তরমুজ খেতে বেশ লাগছিলো, এক একবারে থালি সাবাড় করে নিয়ে আসছিলাম হা হা। তবে এইটা আসলে ওই সময়ে বেশ মজার একটা ব্যাপার ছিল, কারণ যতবারই দিচ্ছে, সাথে সাথে সাফ হয়ে যাচ্ছে হা হা।

এই আলোকচিত্র তুলেছিলাম একটি গ্রামের সাইট থেকে। তখন মোটামুটি হালকা শীত মতোই ছিল, আর মাঠের দিকে বেশ মনোরম একটা পরিবেশ ছিল। হালকা বৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশটা বেশ ভালো ফুরফুরে ছিল। অনেকদিন পরে মাঠ দেখলে মনের ভিতরে যেমনটা হয় আরকি, শহরে তো এইরকম ধানের মাঠ প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। তারপর বিভিন্ন ধরণের সবজি ক্ষেত দেখে আরো ভালো লেগেছিলো, এখানে বলতে গেলে সবধরণের সবজির চাষ হয়ে থাকে। আর এখান থেকে কিনতে পারলে ভালোই হয়, যদিও দামের দিক থেকে তেমন একটা তফাৎ না পাওয়া গেলেও টাটকা পাওয়া যায়, এটাই অনেক।