রিভিউ: দ্যা বিহার চ্যাপ্টার

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি সম্পূর্ণ সিরিজের রিভিউ দেব। এটি সাধারণত আমাদের বিহার রাজ্যকে উল্লেখিত করে তৈরি, তাই এটির নাম "দ্যা বিহার চ্যাপ্টার"। ভীষণ ভালো একটি সিরিজ। প্রথমে ভেবেছিলাম যে এটার রিভিউ দেব না, কিন্তু এটি আমার কাছে সম্পূর্ণ দেখার পরে এতটাই ভালো লেগেছে যে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
দ্যা বিহার চ্যাপ্টার
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
পর্ব
১-৭( সম্পূর্ণ পর্ব )
পরিচালকের নাম
ভাব ধুলিয়া
লেখকের নাম
নিরাজ পান্ডে
অভিনয়
অবিনাশ তিওয়ারি, অভিমন্যু সিং, রবি কিষান, আশুতোষ রানা, নিকিতা দত্ত ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৫ নভেম্বর ২০২২( ইন্ডিয়া )
সময়
৩৫৭ মিনিট ( ১-৭ পর্ব )
মূল ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

এই বিহার চ্যাপ্টার এর কাহিনীটা মূলত একটা গ্রাম থেকেই শুরু হয় যেখানে কুখ্যাত ক্রিমিনালদের আড্ডা বলা যায়। সেখানে মূলত প্রথমে বিহার থানার ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জন এর হাতে কেসটা পড়ে চন্দন নামক এক বড়ো ক্রিমিনালকে ধরা বা তাকে ইনকাউন্টারে মেরে দেওয়া। তখন আবার সেখানে বড়ো নেতাদের মধ্যে ইলেক্শন এর রেজাল্টও ঘোষণা করার মুহূর্ত এসে যায় আর তাদের সাথেই এই চন্দন এর ওঠাবসা থাকে। তাই তারা ক্ষমতার জোরে বিহারের সেখানে জিতে যায় আর সাথে সাথে রঞ্জনকে ফোন করে চলে আসতে বলে, যেখানে মাত্র আর কিছু সময় ছিল তাকে ধরার জন্য আর সামনাসামনি ছিল যেটা ইন্সপেক্টর রঞ্জন এর জন্য একটা অপমানজনক ছিল। যাইহোক, পরবর্তীতে তাকে বদলি করে দেওয়া হয় অন্য থানায় অর্থাৎ শেখপুরা নামক একটি গ্রামের দিকে। যাইহোক, আর রঞ্জনের সেই স্থানে একজন আইপিএস অফিসার অমিত লোধা নামক একজনকে নিয়ে আসে আর সে সদ্য রাজস্থান থেকে তার ট্রেইনিং শেষ করে বিহারে পোস্টিং পায়। সেখানে এসে প্রথমে প্রধান অফিসার মুক্তেশ্বর নামক একজনের সাথে দেখা করে আর তাকে প্রথমে একটি কাজের জন্য পাঠিয়ে দেয় সল্ভ করার জন্য। আসলে তখন বিহারের একটি গ্রামের কিছু দাবি আদায় করার জন্য দিল্লিগামী একটি ট্রেইন আটকিয়ে দেয় আর সেটাকে ছাড়াতে অমিত যায়। কিন্তু তার কথা কেউ শুনতে চায় না কারণ আগের অনেক অফিসাররা এইরকম বলে চলে যায় আর তাদের কথা শোনে না।


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

তাই এইবার আর কোনো উপায় না দেখে অমিত বলে আমাকেই আটকিয়ে রাখুন আর ট্রেইন ছেড়ে দিন। এরপর তারা সেটাই করলো আর তার সাথে একজন কনস্টেবল অজিতকে পাঠিয়ে দেয় এই খবরটা দেওয়ার জন্য কিন্তু রাত বেড়েই যায় আর কেউ আসে না, সেখানের একজন বৃদ্ধ লোক তাকে ছেড়ে দেয় কারণ তার ওয়াইফ বাড়িতে যেহেতু একা আছে তাই তাকে আটকিয়ে রেখে লাভ নেই। কিন্তু অমিত গ্রামের সবার সাথে পরবর্তীতে কথা বলে বলে তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে লাগলো আর সমাধান করতে লাগলো। অমিত বিহারে কিছুদিন থাকার পরে একটা বিষয় বুঝতে পেরেছিলো যে এখানে চলতে গেলে আর সমস্যা সমাধান করতে গেলে বিহারি স্টাইলে চলতে হবে। এইভাবে বেশ কয়েক বছর ভালো কাজ করতে লাগে বিহারে তার থানার অন্তর্গত সব জায়গায়। এইবার এই চন্দন এর একটু ব্যাকগ্যারে আসি অর্থাৎ তার এই ক্রিমিনাল হওয়ার পিছনের ঘটনা। এ আসলে একজন অজপাড়া গায়ের এবং পড়াশুনা কিছুই জানে না আর রাজনীতির বিষয়তো এক অক্ষরও না। যাইহোক, প্রথমে একজনের আন্ডারে ট্র্যাক ড্রাইভারের মতো সাধারণ কাজ করতো, আর বেশি টাকা ইনকামের লোভ তার মনে বাসা বাধে। সে নেশার বিভিন্ন তরল জিনিস ট্রাকে করে করে ক্রিমিনালদের কাছে বিক্রি করতো।


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

একদিন রঞ্জন বুঝতে পেরে রাতে ফোর্স নিয়ে চলে আসে আর চন্দনকে ধরার জন্য তার পিছনে যায় কিন্তু সে ওই মুহূর্তে জীবনের প্রথম বন্দুক হাতে করে দেখলো যে একটা কনস্টেবল ভয়ে পালিয়ে গেলো আর তার এইখান থেকে ধীরে ধীরে সাহস বাড়তে থাকলো, আর যার আন্ডারে কাজ করতো তাকেই গুলি করে দেয়। এরপর রবি নামক একজনের সাথে পরিচয় হয় এবং তারা রাজনীতিবাদ এক কোথায়। তাদের সাথে মিলে যায় এবং ধীরে ধীরে রাজনীতির বিষয়েও জ্ঞান অর্জন করে ফেলে। যাইহোক, এরপর রবি আর চন্দন সবাই মিলে একটা সভায় তাদের বিরোধী দলদের উপর হঠাৎ হামলা করে সবাইকে মেরে ফেলে। আর সামনেই ইলেক্শন, ফলে এই ভুল বড়োসড়ো তাদের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। পুলিশ অর্থাৎ অমিত লোধা রবিকে গ্রেফতার করে আর তাকে বিভিন্ন ধরণের কেস দিয়ে দেয়। আর উকিল এর পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ওখান থেকে বেরোনোর একটাই পথ ছিল যদি এতগুলো খুনের দায় কেউ নিজের উপরে নেয়। চন্দনকে নিতে বলে আর সে রাজি হয়ে যায়, কারণ জিতে গেলে তাকে আবার তারা ছাড়িয়ে নেবে। যাইহোক এরপর চন্দন আর রবি সবাইকে একটা জেলের ভিতরে রেখে দেয়। এরপর চন্দনের সাথে দিলীপ নামের একজনের সাথে পরিচয় হয়ে যায় আর সেও তার সাথে হাত মিলায়, আর চন্দন বুঝে গিয়েছিলো যে এ একবার বেরিয়ে গেলে আমাকে ছাড়াতে আসবে না।


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

এরপর চন্দন রবীকেই স্নানের সময় দম বন্ধ করে মেরে দেয়। এরপর চন্দন আর দিলীপ দুইজনেই প্ল্যান করে জেল ভেঙে পালানোর আর তাদের সাথে আরেকটা নেতাও জড়িত। জেলের ভিতরে বুদ্ধি করে দিলীপ গ্যাসের পাইপ খুলে দিয়ে আসে আর রাঁধুনি যখন সিগারেট ধরাতে যায় তখন সাথে সাথে বুম অর্থাৎ সেখান থেকে পালানোর পথ পেয়ে যায় আর সেখানে বহু কনস্টেবল, কয়েদি এবং জেলারও মারা যায়। যাইহোক এই ছিল চন্দনের ধীরে ধীরে বিহারের কুখ্যাত ক্রিমিনাল হয়ে ওঠার কাহিনী। এরপর সেখান থেকে গা ঢাকা দিয়ে শেখপুরাতে চলে যায় যেখানে পোস্টিং হিসেবে রঞ্জন ছিল। চন্দন এর এক সাথীকে রঞ্জন মেরে দিলে রেগে গিয়ে রাতের বেলা মানিকপুরে গ্রাম পুরো শশান ঘাট করে দেয়, ছোট ছোট বাচ্চাদেরকেও ছাড়েনি, খুবই ভয়ানক নৃশংস হত্যাকান্ড ছিল মানিকপুর গ্রামের অবস্থা। এরপর রঞ্জনকে সাসপেন্ড করে দেয় কারণ যেহেতু এটি তার থানার আন্ডারে ছিল। আর অমিত লোধাকে শেখপুরাতে ট্রান্সফার করে পাঠিয়ে দেয় চন্দনকে ধরার জন্য। আর সেখানেই রঞ্জনের সাথে পরিচয় হয় আর সবাই মিলে সাহায্য সহযোগিতা করে ধরার চেষ্টা করে। প্রথমত তারা ফোন ট্রাপ করে সবার কথাবার্তা আর গতিবিধি সম্বন্ধে জানতে থাকে।


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

এইভাবে কিছুদিন চলার পরে দিলীপকে ধরে ফেলে। কিন্তু চন্দন খুবই চালাক প্রকৃতির কখন কোথায় থাকে সেটা বুঝে উঠতে পারে না। আর চন্দন মাঝে বুঝেও যায় যে তার ফোন ট্যাপ করে সবকিছুই শুনছে তাই সেও একটা উল্টো চাল দেয়, অর্থাৎ অমিতকে ফোন করে ভুল জায়গায় পাঠিয়ে অন্য জায়গায় গণ হত্যা চালায় যেখানে আবার ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। এরপর অমিত ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস এর মধ্যে চন্দনকে ধরার কথা দেয় মিডিয়ার সামনে আর সেই হিসেবে অমিত ফোন ট্যাপ এর মাধ্যমে অন্যরকম প্ল্যান করে, কারণ চন্দন এমন একটা জায়গায় গা ঢাকা দেয় যেখানকার ফোন নম্বরের লোকেশন কখনো ফারাক্কা দেখায় আবার কখনো শেখপুরা দেখায়। এরপর সবাইকে আলাদা আলাদা ভাবে পাঠিয়ে দেয় আর দেখতে লাগে কোন এরিয়ায় এমন লোকেশন পাওয়া যায়। অবশেষে সেই এরিয়া পেয়ে গেলে তারা সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে খুঁজতে লাগে এবং খুঁজতে খুঁজতে তাকে পেয়ে যায় আর অমিত তাকে গ্রেফতারও করে ফেলে অনেক কষ্টে। এরপর তাকে জেলে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাকে কোর্টে তুললেও মানিকপুরা গ্রামবাসীরা যারা যারা লিখিত বয়ান দিয়েছিলো জজ এর সামনে সেগুলো সব অস্বীকার করে হঠাৎ করে,কারণ চন্দন এর দলের আরো একজন চন্দ্রশেখর সবাইকে ভয় দেখায়, বয়ান না চেঞ্জ করলে সবাইকে মেরে দেবে। এরপর এই চন্দ্রশেখর একটা চরম ভুল করে অর্থাৎ অমিত এর ওয়াইফ আর ছেলে যখন মন্দিরে পুজো দিতে যায় তখন সেখানে বোমা মারে কিন্তু অজিত থাকায় তার ছেলের কিছু হয়নি কিন্তু অজিত মারা যায়। আর এখানেই সবাই বুঝতে পারে যে চন্দন ছাড়া পেয়ে গেলে এইভাবে আবার সবাইকে মেরে ফেলবে তাই পরেরদিন সবাই বয়ান চেঞ্জ করে এমনকি দিলীপও শেষপর্যন্ত তার ছেলের ভবিষৎ এর দিকে তাকিয়ে সব স্বীকার করে নেয়। এতে চন্দনের ফাঁসির অর্ডার দেয় এবং দিলীপকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জেলে রাখার অর্ডার দেয়।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এই বিহার চ্যাপ্টার এর কাহিনীটা আসলে না দেখলে বোঝা যাবে না। কারণ এটিতে অনেক কিছু বোঝার যেমন আছে তেমনি ইমোশন এর ব্যাপারটাও জড়িয়ে আছে। এই কাহিনী বিহারের একটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা, বিহারের সবচেয়ে বিপদজনক অপরাধীকে কিভাবে ধরা হয়েছিল আইপিএস অমিত লোধার দ্বারা, সেই বিষয়টাই এই বিহার চ্যাপ্টার কাহিনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছে। যাইহোক, এখানে চন্দনকে ফাঁসির অর্ডার শুনিয়ে দিলেও সে স্বীকার করেনি, আর একজন অপরাধী যতক্ষণ তার দোষ স্বীকার না করছে ততক্ষন সে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও আপিল করতে পারে বেলের জন্য। কিন্তু তাকে মানানোটাও অমিত লোধার জন্য খুবই জরুরি ছিল, কারণ তাকে ছাড়া মানে বিহার আবার অশান্ত ভূমিতে পরিণত হওয়া। তাই তাকে মানানোর জন্য তার মেয়ের সাহায্য নেয়, কারণ চন্দন তার মেয়েকে খুবই ভালোবাসতো আর তার জন্য সে সবকিছুই করতে পারে। অমিত তার মেয়ের ছবি দেখালে শেষ পর্যন্ত চন্দন তার অপরাধ স্বীকার করে নেয়।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৯.৮/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠




শুভেচ্ছান্তে,
@winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

দাদা আপনি আজকে একটি সম্পূর্ণ সিরিজের রিভিউ দিয়েছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে সত্য ঘটনা অবলম্বনে করা সিরিজ গুলো দেখতে ভালই লাগে। আমারও রিভিউটা পরে মনে হচ্ছে যদি সরাসরি দেখি তাহলে মনে হয় বেশি ভালো লাগবে। এখানে তো দেখছি অনেক বড় একজন অপরাধী চন্দনকে ধরার জন্য পুলিশ ইন্সপেক্টর অমিত চেষ্টা করে যাচ্ছিল। তাই জন্য গ্রামের সবাইকে জিজ্ঞেস করে সকল তথ্যগুলো বের করছিল। এমনকি চন্দনকে শেষ পর্যন্ত ধরে ফেলার পরেও সে কোনোভাবেই দোষ স্বীকার করতে রাজি নয়। কারণ সুপ্রিমকোর্টে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলেও যদি দোষী দোষ স্বীকার না করে তাহলে আপিল করতে পারবে। কিন্তু অন্যদিকে দেখছি অমিত চন্দনের মেয়েকে দিয়ে সবকিছু স্বীকার করানোর জন্য চাইল। আসলে চন্দন তার নিজের মেয়েকে খুবই ভালোবাসে তাই জন্য শেষ পর্যন্ত সবকিছু স্বীকার করতে বাধ্য হল। পুরোটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দাদা আপনি আজকে একটা সম্পূর্ণ সিরিজের রিভিউ শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার সম্পূর্ণ ওয়েব সিরিজটা পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম দাদা। আর আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়তে পেরে খুব ভালো লাগে। চন্দনের ফাঁসির অর্ডার সরিয়ে দেওয়ার পরেও সে এটা মেনে নেয়নি। আর যেহেতু সে এই বিষয়টা মেনে নিচ্ছে না তাই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আপিল করতে পারে বেলের জন্য। আর তাকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে বিহার আবার অশান্ত ভূমিতে পরিণত হবে। সেজন্য তাকে মানানোর জন্য তার মেয়ের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। সেই যেহেতু তার মেয়েকে অনেক বেশি ভালোবাসতো এবং মেয়ের জন্য সব কিছুই করতে পারতো সেজন্য মেয়ের ছবি দেখানোর পরে শেষ পর্যন্ত চন্দন তার অপরাধ স্বীকার করেছিল। সব মিলিয়ে সম্পূর্ণটা পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো দাদা। আপনার পরবর্তী ওয়েব সিরিজটি দেখার জন্য আমি অধিক আগ্রহে থাকলাম এখন।

 last year 

দাদা আপনি প্রতি সপ্তাহে আমাদের মাঝে ওয়েব সিরিজ শেয়ার করে থাকেন। যেগুলোর মাধ্যমে ওয়েব সিরিজ না দেখেই রিভিউ পড়ে সব কিছুই জানা যায়। কোর্ড থেকে চন্দনের ফাঁসির অর্ডার এসেছিল কারণ সে অপরাধ করেছে। কিন্তু এই বিষয়টা চন্দন একেবারেই মেনে নিতে চাচ্ছিল না। চন্দনের ফাঁসি ছিল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সে যদি ছাড়া পেয়ে যায় তাহলে বিহার আবার অশান্ত ভূমিতে পরিণত হবে। আর সেজন্যই অমিত তাকে মানানোর অনেক চেষ্টা করেছে। চন্দন যদি ছাড়া পেয়ে যায় তাহলে আবারও সবাইকে একে একে মেরে ফেলবে। চন্দন তার মেয়েকে অনেক বেশি ভালোবাসতো এবং তার জন্য সবকিছুই করতে পারতো সে। সেজন্যই অমিত তার মেয়ের সাহায্য নেয় অর্থাৎ চন্দনের মেয়ের। যখন অমিত চন্দনের মেয়ের ছবি দেখায় তখন সে সবকিছু মেনে নেয়। শেষ পর্যন্ত চন্দন তার অপরাধ স্বীকার করে নেয়। সম্পূর্ন ওয়েব সিরিজটি শেয়ার করেছেন আজকে, যার কারণে সম্পূর্ণটা একসাথে পড়ে ভালো লেগেছে। আপনার ওয়েব সিরিজ গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে দাদা।

 last year 

বিহার রাজ্যকে উল্লেখ করে তৈরি করা দ্যা বিহার চ্যাপ্টার সিরিজের সম্পূর্ণ রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এধরনের সিরিজ গুলো সম্পূর্ণরূপে না দেখলে এর সঠিক রূপ সহজে বোঝা যায় না। তবে চন্দন যে একজন খারাপ প্রকৃতির মানুষ ছিল সেটা সঠিকভাবে বোঝা গেছে। আর শেষ পর্যন্ত চন্দনের ফাঁসির অর্ডার দেওয়াটাও দারুন একটি সিদ্ধান্ত ছিল। দুর্দান্ত একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

দাদা যদিও এই রিভিউটা আগে করবেন বলে না ঠিক করলেও, ভালো লেগেছে বলে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। বিশেষ করে দেখছি এটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। এরকম অনেক মুভি রয়েছে যেগুলো সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হয়। এখানে তো দেখছি বিহার থানার ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জন দেখছি, অপরাধী চন্দনের পেছনে পড়েছে তাকে ধরার জন্য। কিন্তু চন্দন‌ দেখছি কোনভাবেই নিজের অপরাধ স্বীকার করছিল না। কিন্তু তাই জন্য দেখছি চন্দনের মেয়ের সাহায্য নিয়েছে ইন্সপেক্টর। আসলে চন্দন নিজের মেয়েকে খুবই ভালোবাসে তাই জন্য সবকিছু স্বীকার করে নিল শেষ পর্যন্ত। আসলেই দাদা এখন আমার মনে হচ্ছে রিভিউটা দেখে যদি সরাসরি দেখি তাহলেই ভালো লাগবে।

 last year 

দাদা ওয়েব সিরিজ গুলোর রিভিউ কিন্তু আপনি বেশ সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেন। আজকের ওয়েব সিরিজটিও আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো করেই বুঝতে পারলাম। যদিও সিরিজটি আমার দেখা হয়নি। আসলে ওয়েব সিরিজটিতে চন্দনের বিষয়টি আমার খুব কষ্ট লেগেছে। অসাধারন দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 88194.12
ETH 3339.93
USDT 1.00
SBD 3.00