ঝিঙে এবং পটল দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। রেসিপিটা গতকাল রাতের দিকে করেছিলাম। গতকাল টেংরা মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। তবে এই টেংরা মাছগুলো একটু ছোট ছোট ছিল। টেংরা মাছ ছোট হলে খাওয়ার আরেকটা সুবিধা হলো মুচমুচে ভাজা করে খাওয়া যায়, ভাজা করে খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে কালকে রাতে খেতে গিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল যে টেংরা মাছের কাঁটা গলায় বেধে গিয়েছিলো, আমি যেকোনো মাছ এর কাঁটা খুব কম বেছে খাই কিন্তু বাধলেও জল খেলে আবার ছাড়িয়ে যায় কিন্তু কালকে ছাড়াচ্ছিলো না যেন, খচ খচ করছিলো গলায় বড্ড। এখনো ছাড়িয়েছে কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না, কেমন যেন অনুভব হচ্ছে এখনো বেধে আছে। টেংরা মাছগুলো ছোট ছোট ছিল তো, এইজন্য এরে আর পাত্তা দেইনি, গোটা গালে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম হা হা। যাইহোক দেখি কতদূর কি হয়, খেতে খেতে ছাড়ায় কিনা। যাইহোক এই টেংরা মাছের তরকারিটা পটল আর ঝিঙে দিয়ে তৈরি করেছিলাম। যাইহোক এই রেসিপিটার এখন মূল বিষয়ের দিকে চলে যাবো।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

✔উপকরণ
পরিমাণ✔
টেংরা মাছ
৫০০ গ্রাম
আলু
৪ টি
পটল
৬ টি
ঝিঙে
২ টি
পেঁয়াজ
১ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
পরিমাণমতো
পাঁচফোড়ন
২ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


আলু, পটল, ঝিঙে, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


დএখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


☫প্রস্তুত প্রণালী:☫


➤টেংরা মাছগুলো অনেক আগে বাজার থেকে কাটিয়ে নিয়ে আসা ছিল এবং আমি রান্নার সময় একবার লবন মাখিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম যাতে নালা ভাবটা না থাকে। এরপর পটলগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤ঝিঙেগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে ছোট করে কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ এবং রসুনের খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে পেঁয়াজ কেটে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤টেংরা মাছগুলোতে ২ চামচ লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে মাছের সব অংশে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤একটি প্যানে সরিষার তেল দিয়ে টেংরা মাছগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছ ভালো করে ভেজে নিয়ে তুলে রেখেছিলাম।

➤অন্য কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলো ভালোমতো ভাজা করে নিয়েছিলাম।

➤আলু ভেজে নেওয়ার পরে পটলের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পটল ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤পটল ভেজে তুলে নেওয়ার পরে ঝিঙে দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤প্যানে মাছ ভাজার পরে যে তেল ছিল তাতে পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সেটি ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤সবজিগুলো সব ভাজার পরে কড়াইতে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং হালকা একটু ভাজা করার মতো করে নিয়েছিলাম।

➤ভাজা হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা ঝিঙে সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে লঙ্কাগুলো।

➤লঙ্কা দেওয়ার পরে সবজিতে লবন, হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়ো স্বাদ অনুযায়ী দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব সবজির সাথে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।

➤মেশানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সবজিগুলো বেশ কিছুসময় ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম সেদ্ধ হয়ে আসার জন্য।

➤সেদ্ধ হয়ে গেলে আমি তরকারির থেকে কিছু সেদ্ধ আলুর পিচ তুলে নিয়ে ভালোভাবে গলিয়ে সফ্ট করে নিয়েছিলাম।

➤আলুগুলো যখন তুলে নিয়েছিলাম তখন তরকারিতে ভেজে রাখা টেংরা মাছ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ-রসুন দেওয়ার পরে তরকারিটা অল্প কিছুক্ষন ফুটিয়ে নেওয়ার পরে তাতে আলু গলিয়ে রাখাটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পরে কিছুটা জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য কিছুক্ষন দেরি করেছিলাম।

➤তরকারির ঝোলটা ঘন হয়ে আসলে এবং সাথে কমে আসলে আমি চুলা অফ করে দিয়েছিলাম। তরকারির দমটা বসে যাওয়ার পরে তাতে আরেকটু জিরা গুঁড়ো দিয়ে একটি পাত্রে পরিবেশনের জন্য অল্প করে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

দাদা টেংরা মাছ ছোট হলেও টেংরা মাছের মধ্যে অন্যরকম একটি স্বাদ আছে । আর এই স্বাদটি টোটালি অন্য মাছ থেকে আলাদা। মাছ খাওয়ার সময় একটি প্রবলেম হল মাছের কাঁটা গলায় লেগে যাওয়া। এ ব্যাপারটি খুবই মারাত্মক। গলার মধ্যে কাটা লাগার পর যতক্ষণ পর্যন্ত গলা থেকে কাটা না সরে ততক্ষণ পর্যন্ত কেমন যেন লাগে। আপনার গলায় টেংরা মাছের কাঁটা লেগেছিল, শুনে একটু হাসি পেল, হি হি হি। দাদা আমরা আগে গলার মধ্যে মাছের কাটা লাগলে খালি ভাত খেতাম তাহলে কাটা চলে যেত,হা হা হা। ধন্যবাদ দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

এটা ঠিক বলেছেন ভাজা করে খেতে কিন্তু ভালোই লাগে। কিন্তু মাছগুলো ছোট ছিল বলে আপনার কাঁটা গলায় বেধে গিয়েছিলো, এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তবে এখনো আছে তাহলে যদি এটা পরে ক্ষতি করে। আশা করছি নিশ্চয়ই আপনার কাঁটা তাড়াতাড়ি চলে যাবে। এমনিতে বড় টেংরা মাছ হলে কাটায় অসুবিধা হতো না। তবে ঝিঙে এবং পটল দিয়ে এইভাবে আমার কখনো রান্না করা হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে ভাজা করে রান্না করেছেন বলে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তাছাড়া সাথে আলু দিয়েছেন বলে নিশ্চয়ই আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপিগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।

 last year 

দাদা ছোট মাছ খেতে কিন্তু একটু সাবধানতা অবলম্বন করে খেতে হয় ।নইলে কাটা বিধলে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে আমি যতটুকু জানি গলায় কাটা আটকিলে শুকনো মুড়ি খেলে চলে যায়। আপনিও খেয়ে দেখতে পারেন আশা করি কাঁটা চলে যাবে। কাটার ভয়ে মাছ না খেলে চলবে না। এমনিতেই টেংরা মাছ আমার প্রিয় তাই আমি সবসময় খাওয়ার চেষ্টা করি। ঝিঙ্গে এবং পটল দিয়ে আপনি টেংরা মাছের তরকারি রান্না করেছেন। টেংরা মাছ দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে তা খেতে যে কি মজা বলে বোঝানো যাবে না। আর ঝিঙ্গে সবজি আমার ভীষণ পছন্দ। আর আপনি একটু ভিন্ন ভাবে রান্না করেছেন রান্নার প্রায় শেষের দিকে আলু গলানো দিলেন। তাই খুব ভালোই লেগেছে রেসিপিটি দেখে।

 last year (edited)

ওরে বাবা মাছের কাটা বাধলে তো অনেক কষ্ট। আপনি তো দেখছি এখনো পর্যন্ত সহ্য করে আছেন। আসলে টেংরা মাছগুলো ছোট এই জন্যই মনে হয় কাঁটা আটকে গেল। যাইহোক তাড়াতাড়ি নিশ্চয়ই সেরে যাবে। তবে ঝিঙে, পটল এখনো পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। কারণ সবেমাত্র গরমের দিন আসতেছে। এখন অবশ্য বাজারে ঝিঙে, পটল পাওয়া যাবে। আমি এমনিতে টেংরা মাছ কম খেয়ে থাকি। কিন্তু এমনিতে ঠিক বলেছেন ভাজা করে খেতে বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া এইভাবে বিভিন্ন সবজি দিয়ে রান্না করলে কিন্তু ভীষণ সুস্বাদু লাগে। বিশেষ করে আমি কিন্তু সবজি খেতে পছন্দ করি। তাছাড়া আপনি সব ধরনের রেসিপির সাথে আলু ব্যবহার করেন এই জন্য ভালো লাগে। আমি নিজেও আলু পছন্দ করি। আজকের রেসিপি টা দেখেও মনে হচ্ছে অনেক বেশি অসাধারণ হয়েছে।

 last year 

এরকম ছোট টেংরা গুলো চচ্চড়ি খেতে ভালো লাগে। তাছাড়া টেংরা মাছের কাঁটাগুলো তো একটু শক্ত থাকে। দাদা সেই শক্ত কাটাই খেয়ে ফেলেছেন। কাঁটা বেশ ভালই বিধেছে মনে হচ্ছে। এক কাজ করতে পারেন দাদা একটা লেবু রস করে একবারে খেয়ে ফেলেন এতে কাটা নরম হয়ে নেমে যায়। তা না হলে অস্বস্তি ভাবটা রয়ে যাবে। গলায় কাটা বিধলে খুবই খারাপ লাগে। আপনার ঝিঙে দেখে মনে হল যে গরমকালে সবজি বাজারে উঠে গিয়েছে। আলু, পটল এবং ঝিঙে দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল বেশ সুস্বাদু ভাবেই রান্না করেছেন মনে হচ্ছে। কালার বেশ লোভনীয় লাগছে। কিন্তু আমরার গলার কাঁটা বিধার কথা মনে পড়ে কেমন যেন একটু লাগছে। কাটা নামলো কিনা জানাবেন। ধন্যবাদ।

 last year 

এক কাজ করতে পারেন দাদা একটা লেবু রস করে একবারে খেয়ে ফেলেন এতে কাটা নরম হয়ে নেমে যায়।

শুকনো ভাত দলা করে আর জল খেয়েছিলাম রাতে ছাড়িয়ে গিয়েছিলো, কিন্তু যেটা পরে বুঝলাম গলায় কাঁটা সোজা গিয়ে ফুটে গিয়েছিলো এইজন্য খচ খচ করছিলো বারবার।

 last year 

ঝিঙে এবং পটল দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি রান্না দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা। আসলে এরকম ছোট মাছগুলো খুবই সাবধানতার মাধ্যমে খেতে হয়। কাটা গলায় বাধার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে। ছোট মাছ হওয়ার কারণে আপনার গলায় কাটা বেঁধে গিয়েছিল এটা জেনে সত্যি ভীষণ খারাপ লেগেছে আমার কাছে। এমনিতে কিন্তু মনে হচ্ছে বেশ মজা করেই খেয়েছেন। বড়কাটা গলায় বাধলেও এত বেশি কষ্ট হয় না ছোট কাঁটাগুলো গলায় বাধলে যেরকম কষ্ট হয়। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এই রেসিপিটা আমার খুবই পছন্দের। পছন্দের রেসিপি পোস্ট দেখলে কার কাছেই না ভালো লাগবে। বলতে হয় এক কথায় অসাধারণ ছিল। কালার কম্বিনেশন ও জাস্ট অসাধারণ ছিল।

 last year 

আশাকরি খুব তারাতাড়ি আপনি গলার কাটা থেকে মুক্ত হবেন। আপনি প্রায় সব গরমের তরকারি দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করলেন। মাছে পাচফোড়ন দিয়ে কখনও মাছ রান্না করা হয় না। আপনার কাছে থেকে শিখে নিলাম। বেশ হয়েছে দেখতে আপনার রেসিপিটি। আনেক ধন্যবাদ দাদা রেসিপিটি শেয়ার করার জনয।

 last year 

ঝিঙে এবং পটল দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপির কালার খুব সুন্দর হয়েছে দাদা। টেংরা মাছ আমার খুবই পছন্দ। যেকোনো সবজি দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করলে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। আপনি সবজিগুলো ভেজে রান্না করেন, সেজন্য মনে হচ্ছে খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। যাইহোক এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

টেংরা মাছ দেখি আপনার উপর প্রতিশোধ নিয়ে নিয়েছে দাদা। আপনি টেংরা মাছগুলো খেয়ে নিয়েছেন আর টেংরা মাছ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কাটা ফুটিয়ে গিয়েছে🤭। গলায় কাটা বাঁধলে খুবই কষ্ট হয়। মনে হয় যেন কত বড় কাটা আটকে আছে। আসলে ছোট কাটাগুলোও মনে হয় অনেক বড়। আর ভীষণ অস্বস্তিকর লাগে। হয়তো ধীরে ধীরে কাটা চলে যাবে। তবে গলায় কিছুটা ব্যথা থেকেই যাবে। হয়তো দু একদিন লাগবে ঠিক হতে। ঝিঙে এবং পটল দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি দারুন হয়েছে দাদা। এ বছর এখনো ঝিঙে খাওয়া হয়নি। গরম পরতে শুরু করলেই তখন ঝিঙে বাজারে পাওয়া যায়। শীতকালীন সবজি অনেকটা ফুরিয়ে এসেছে। এখন গরমের সবজি পাওয়ার পালা। ছোট ছোট টেংরা মাছগুলো খেতে আমার কাছে ভালই লাগে। ভাজা করে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সবজি দিয়ে রান্না করে খেতেও ভালো লাগে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর আপনার গলার কাঁটা যেন দ্রুত চলে যায় এই প্রার্থনা করছি দাদা।🤲🤲

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.12
JST 0.034
BTC 62877.62
ETH 3140.75
USDT 1.00
SBD 3.89