প্রাকৃতিক কিছু আলোকচিত্র

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে প্রাকৃতিক কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। এই আলোকচিত্রের মধ্যে আছে কিছু ফুল এবং উদ্ভিদের আলোকচিত্র। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের সেইসব আলোকচিত্রগুলি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি আমাদের সবারই প্রায় পরিচিত একটি ফুল। এই ফুলগুলোকে সাধারণত কাঠ মালতি বলে জেনে থাকি। কাঠ মালতি ফুলগুলো কিন্তু প্রজাতি হিসেবে আমরা প্রায় যেকোনো জায়গায় সাদা ফুলই দেখতে পাই। তবে এই ফুলগুলোর কিন্তু আবার একধরণের প্রজাতি আছে যেগুলো লাল বা হলুদ কালারেরও দেখতে হতে পারে। তবে এইধরণের প্রজাতির কালারগুলো দেখা যায় জংলী উদ্ভিদগুলোতে। এই ফুলগুলো জংলী হিসেবেও পরিচিত, তাই এটার নাম হিসেবে জংলী টগর খুবই প্রসিদ্ধ একটি নাম এবং ইন্টারেষ্টিংও । যাইহোক এই সাদা কালারের ফুলগুলো সাধারণত বেশি দেখা যায় কোনো বাগান বাড়িতে বা বোটানিক্যাল গার্ডেনে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে লাগানো হয়ে থাকে। আমি এই ফুলগুলোও তুলেছিলাম একটি কলেজের উদ্যান থেকে আর এইগুলো লাগানো উদ্ভিদের ফুল। এই ফুলগুলো পূজার সময়েও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফুলের উদ্ভিদগুলোও মাঝারি আকারের এবং ঘন পাতায় পরিবেষ্টিত চিরসবুজ একটি উদ্ভিদ।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি একটি উদ্ভিদের। আর এই উদ্ভিদটিও আমাদের অনেকের কাছে পরিচিত একটি উদ্ভিদ, কারণ যেকোনো পার্কে গেলেই এই উদ্ভিদগুলো দেখতে পাওয়া যায়। এইগুলো সাধারণত থুজা নামক প্রজাতির একটি উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে, এইগুলো সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন বিশেষ বিশেষ স্থানে লাগানো হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদগুলো ঝোপের মতো দেখতে লাগে এবং খাড়া চিরহরিৎ একটি উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদগুলো অনেকটা বড়ো হতে পারে, তবে সাধারণত বেশিরভাগ ভ্রমণ স্থানে এই উদ্ভিদগুলোকে ছেটে, পরিচর্যার মাধ্যমে একটা সুন্দর পরিমার্জিত লুকে রাখা হয়। এইগুলো প্রজাতি ভেদে ছোট-বড়ো বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। যেমন কিছু ছোট প্রজাতি আছে যেগুলো বাড়িতে টবে করেও কিন্তু লাগানো যায়, এতে সৌন্দর্যটাও ভালো বৃদ্ধি পায় বাড়িতে। এই উদ্ভিদগুলোকেও আমি একটি উদ্যান থেকে তুলেছিলাম। এই উদ্ভিদের পাতাগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগে, চিরসবুজ ঘন পাতাগুলো যেন গাছটিকে পরিবেষ্টিত করে রেখেছে।

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি একটি সবজি গাছের ফুল। আর এটা হলো ঢেঁড়শ বা ভেন্ডির ফুল। এই ঢেঁড়শ এর ফুলগুলো এখনো সেভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে পারেনি। এইগুলো আমাদের একটি গ্রামের বাড়িতে লাগানো ঢেঁড়শ গাছের থেকে ছবিটা তুলেছিলাম। এই ফুলগুলো যখন পরিপূর্ণভাবে প্রস্ফুটিত হয়, তখন দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। ফুলের পাপড়িগুলো বিভিন্ন কালারের দেখতে হতে পারে, বিশেষ করে সাদাও হতে দেখা যায় আবার হলুদ বর্ণেরও হয়। তবে যাই হোক না কেন, ভিতরে পরাগরেণুর পাশ দিয়ে লাল লাল অংশটা আরো বেশি চমৎকার লাগে দেখতে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি নয়নতারা ফুলের। এই ফুলটি সবার বাড়িতেই আছে। এই ফুলের উদ্ভিদগুলোও বাড়ির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য লাগানো হয়ে থাকে আবার এই ফুলগুলোও পূজার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো সাধারণত সব ধরণের পরিবেশ বা জলবায়ুর সাথে খাপখাইয়ে বিনা যত্নেও বেড়ে উঠতে পারে। বীজগুলো মোটামুটি যেকোনো জায়গায় পড়লেই বেড়ে ওঠে, আর দ্রুত বর্ধনশীল একটি ফুলের উদ্ভিদ। তবে এই উদ্ভিদটিকে আমি সবসময় পেরিউইঙ্কেল বলে ডাকি, ফুলের এই নামটা আমার অনেক ফেভারিট। এই ফুলগুলো বেশ কিছু কালারের হয়ে থাকে, তবে পিঙ্ক কালারেরটা দেখতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। তবে প্রত্যেকটা কালারের পাপড়ির সাথে সাথে তার মাঝখানের কালারটা অনেকটা ভিন্ন হয়ে থাকে অর্থাৎ পাপড়ি যদি গোলাপি হয় তাহলে মাঝখানে লাল বিন্দুর মতো অবস্থান দেখা যায়। আমার এই ফুলটিতেও কিন্তু সেইরকম একটা কালার আছে, পাপড়িগুলো কিন্তু হালকা পিঙ্ক তবে মাঝখানটা দেখতে পাবেন গাঢ় লাল বর্ণের।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই ফুলের আলোকচিত্রটি অনেক পরিচিত একটি ফুল। এই ফুলগুলো যেকোনো স্থানে দেখা যায়, বিশেষ করে রাস্তার পাশে কিংবা কোনো ঝাড়ে জঙ্গলে আগাছার মতো হয়ে থাকে। তাই এইগুলো সাধারণ অর্থে জঙলি ফুল হিসেবেও পরিচিত। তবে এই ফুলগুলো কিন্তু আবার সৌন্দর্যের দিক থেকে বেশ ভালো, তাই এইগুলো অনেকে উদ্যানে লাগিয়ে থাকে। তবে এই ফুলের উদ্ভিদ লাগাতে তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না, বীজগুলো ফেলে রাখলেই এমনিতে বেড়ে ওঠে। এই ফুলের উদ্ভিদগুলোকে গ্রাম বাংলায় একটা বেশ মজার নাম আছে সেটা হলো পটপটি। এই নামের একটা কারণ আছে, আসলে এর যে লম্বা লম্বা ফলগুলো থাকে, এইগুলো যখন পেকে যায় তখন কিন্তু সবুজ থেকে কালচে বর্ণ ধারণ করে,আর এইগুলো জলে ফেলে দিলে পটপট শব্দে ফেটে যায়, তাই এর নামকরণ এইরকমই। এই ফলগুলো নিয়ে আসলে অনেক খেলেছি, পাকা ফল ছিড়ে ছিড়ে যত ফেলা হবে জলে তত ফাটতে থাকবে। একসঙ্গে অনেকগুলো দিলে বাজির মতো শব্দ হয়।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনচাঁদপুর
তারিখ১১ জুলাই ২০২৩


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

সাদা মালতি ফুলটা আমাদের এলাকায় টগর নামেই বেশি পরিচিত। তবে সাদা এই ফুলের সৌন্দর্যটা সবার কাছেই ভালোলাগা স্বাভাবিক। তাছাড়া ঝাউ গাছ সহ প্রত্যেকটা ফুলের ছবি আমার কাছে ভালো লেগেছে। চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আপনি আজকে আমাদের মাঝে কিছু প্রাকৃতিক ফুলের ছবি তুলে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো । বিশেষ করে নয়নতারা ফুলটি আমার খুব ভালো লেগেছে।

 last year 

প্রকৃতি এমন রূপে সেজে থাকে যে, আপনি এই প্রকৃতির প্রশংসা না করে পারবেন না। আমাদের চারপাশে পাশে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস হয়েছে যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি। দাদা আপনি আজকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

সব চেয়ে কাঠ মালতি আমার কাছে বেশি ভাল লেগেছে কারণ সাদা আমার অনেক পছন্দের। এই ফুলের নাম আমি জানতাম না আজকে জানতে পারলান খুব সুন্দর হয়েছে প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব দারুন গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

প্রাকৃতিক কিছু আলোকচিত্র দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।দাদা আপনি চমৎকার ভাবে প্রকৃতি আর ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।আর বুনো ফুলটির কালার খুব ই দারুন লেগেছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর এই প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

চমৎকার সব ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য

 last year 

দাদা ফুল আর উদ্ভিদের সমন্বয়ে দারুন একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন দেখছি। আজকের ফটোগ্রাফির প্রতিটি ফটোগ্রাফিই কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বেগুনী রং এর কলমী ফুল গুলো তো অসাধারন । দাদা এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

বাহ্! ফটোগ্রাফিগুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ফুলের ফটোগ্রাফি করতে আমিও খুব পছন্দ করি। কাঠ মালতি এবং নয়নতারা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

সবগুলো ফুলের ছবিই অনেক সুন্দর তুলেছেন দাদা, তবে বেশি ভালো লেগেছে ঢেঁড়স ফুলের ছবিটি আর একদম সবশেষের বেগুনি রঙের ফুলের ছবি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58729.26
ETH 2640.67
USDT 1.00
SBD 2.47