একটি তৃষ্ণার্ত কাকের কলসি থেকে জল খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি আর্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের আর্টটি একটু ভিন্ন ধরণের করার চেষ্টা করেছি। এখানে এই আর্টটির প্রচন্ড গ্রীষ্মের তাপদাহকে মনে করে একটা কল্পনার মাধ্যমে আর্টটি প্রকাশিত করার চেষ্টা করেছি। মূলত এখানে যেটা দেখানো বা বোঝানোর চেষ্টা করেছি সেটি হলো এক ঝাঁক কাক ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে এবং সেখানে একটি কাক তৃষ্ণার্ত অবস্থায় নিচে নেমে আসে জলের উদ্দেশ্যে আর সামনে পাওয়া মাটির কলসি থেকে জল খেয়ে তার পিপাসা নিবারণ করছে। এখানে ন্যাচারেলি বিষয়টা সেইভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আর সেই সাথে চারিপাশটা একটু গ্রাম্য গ্রাম্য পরিবেশের মতো বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু সেটা আবার একটু পাহাড়ি এলাকার মতো দেখিয়েছি। যাইহোক, এখানে সবমিলিয়ে বিষয়টাকে অঙ্কনের মাধ্যমে একটা পরিপূর্ণতার রূপ দিতে পেরেছি আশা করি। আর আপনাদের কাছেও আশা করি আজকের অঙ্কনটি ভালো লাগবে। এখন অঙ্কনের প্রধান প্রস্তুতকারী ধাপসমূহের দিকে চলে যাবো।


❂উপকরণ:❂

আর্ট পেপার
বোর্ড
স্কেচ পেন্সিল
বিভিন্ন কালার পেন্সিল
মার্কার পেন
রাবার

✔এখন অঙ্কনের ধাপসমূহ নিচের দিকে তুলে ধরবো----

❖প্রথম ধাপে, একটি কাকের চিত্র পরিপূর্ণভাবে এঁকে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে একটা মাটির কলসির মতো দেখতে এঁকে নিয়েছিলাম।অর্থাৎ এখানে যে কাকটা কলসির থেকে জল খাওয়ার চেষ্টা করছে এইরকম দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম।

❖দ্বিতীয় ধাপে, একটি রাস্তার মতো দেখতে শেপ দিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর রাস্তার একপাশে একটা বাড়ি অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে তার আশেপাশে কিছু গাছগাছালি এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর কিছু উঁচু নিঁচু পাহাড়ের মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম এবং রাস্তার পাশে কিছু পাথর পড়ে আছে এইরকম দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম।

❖তৃতীয় ধাপে, রাস্তার অপজিট পাশেও একই রকম ভাবে কিছু পাথর এঁকে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রাস্তার উপরে ছোট ছোট কিছু নুড়ি পাথরের মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর কলসির পাশ দিয়ে বড়ো কিছু পাথর এঁকে দিয়েছিলাম যেটাতে কলসি বসানো আছে আর কাকটি তার উপর দাঁড়িয়ে আছে।

❖চতুর্থ ধাপে, মার্কার পেন দিয়ে সব বিষয়গুলোকে কালি দিয়ে আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।

❖পঞ্চম ধাপে, নীল কালার দিয়ে আকাশি রং করে আকাশের দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম।

❖ষষ্ঠ ধাপে, অঙ্কিত দুটি গাছের পাতায় সবুজ কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর গাছের বডিতে বাদামি কালার করে দিয়েছিলাম।

❖সপ্তম ধাপে, উঁচু -নিঁচু পাহাড়ের মতো দেখতে যেটা এঁকে দিয়েছিলাম তাতেও বাদামি কালার করেছিলাম এবং পাশে কিছু আগাছার মতো এঁকেছিলাম তাতে সবুজ কালার করে দিয়েছিলাম।

❖অষ্টম ধাপে, বাড়িটিকে সম্পূর্ণ কালার করে দিয়েছিলাম।

❖নবম ধাপে, পুরো রাস্তাটিতে কালার করে সম্পূর্ণ করে দিয়েছিলাম।

❖দশম ধাপে, কাকটিকে ব্ল্যাক আর অ্যাশ কালার দিয়ে পরিপূর্ণভাবে কালার করে দিয়েছিলাম।

❖একাদশ ধাপে, কলসি আর পাথরগুলোতেও একইভাবে কালার করে দিয়েছিলাম।

❖দ্বাদশ ধাপে, রাস্তার আশেপাশে কালার দিয়ে ঘাসের মতো বুঝিয়েছিলাম।

❖ত্রয়োদশ ধাপে, উড়ে যাওয়া আরো কিছু কাকের মতো দেখতে এঁকে অঙ্কনটি সম্পূর্ণ করেছিলাম।

আর্ট বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

দাদা আপনার আর্ট দেখে আমার তো ছোটবেলায় পড়া তৃষ্ণার্ত কাকের গল্পটির কথা মনে পড়ে গিয়েছে। একেবারে সেই দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে আপনার এই আর্টের মাধ্যমে। খুবই নিখুঁতভাবে দৃশ্যটা পেন্সিল দিয়ে অঙ্কন করে রং করেছেন। প্রত্যেকটা কালার খুবই সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে যা দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। কাকটি খুবই তৃষ্ণার্ত ছিল সে পানির খোঁজে এসেছিল এখানে। সে যখন এই কলসিটটি দেখল, তখন সে বুদ্ধি করে কলসিটিতে কিছু নাড়ু ফেলে দিয়েছিল। পানি যখন উপরে উঠে আসলো তখন সে তৃপ্তি সহকারে পানি পান করেছিল। এই দৃশ্যটা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। সত্যি দাদা আপনি দক্ষতা মূলক কাজ করে থাকেন সব সময়। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো কাজ করলে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে দেখলে। চারিপাশে গ্রামের দৃশ্য দেওয়ার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে। এরকম আর্টগুলো আপনার কাছ থেকে আরো পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। আশা করছি পরবর্তীতে শেয়ার করবেন আরো বিভিন্ন রকম আর্ট।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ওয়াও দারুন একটি আর্ট শেয়ার করেছেন দাদা। সম্ভবত ক্লাস থ্রী তে এই গল্প পড়েছিলাম। আজ হঠাৎ আপনার এই আর্ট দেখে সেই গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। আপনার এই আর্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত কঠিন একটি আর্ট আপনি কত সহজে এঁকে নিলেন। এই আর্ট আমাকে দিয়ে কখনো হবে না। দাদা আপনার কাল্পনিক শক্তি খুবই প্রখর। কালার কম্বিনেশন অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা এমন ইউনিক আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দাদা আপনার অংকনগুলো সবসময়ই ব্যাতিক্রমধর্মী হয়ে থাকে।
আজকের অংকনটি জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। একটি তৃষ্ণার্ত কাকের কলসি থেকে জল খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন বেশ নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার ব্যাতিক্রমধর্মী চিন্তা চেতনা আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে দাদা।

 last year 

দাদা, আপনার কল্পনার জোর খুবই প্রখর। আর তাইতো আপনার তীক্ষ্ণ কল্পনা শক্তি দিয়ে এত চমৎকার একটি তৃষ্ণার্ত কাকের কলসি থেকে জল খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। আপনার অংকনটি খুবই আকর্ষণীয় করে ফুটিয়ে তুলেছেন। তৃষ্ণার্ত কাক, কলস, নুরি পাথর, সেই সাথে গ্রামীন পরিবেশ, সব মিলিয়ে আপনার অংকনটি এক কথায় অসাধারণ হয়েছে দাদা। এত সুন্দর একটি অংকন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

দাদা একটি তৃষ্ণার্ত কাকের কলসি থেকে জল খাওয়ার দৃশ্য অংকন খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন। আপনার আর্টগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। অনেক নিখুঁতভাবে, ধৈর্য ধরে, দক্ষতার সাথে এবং সময় ব্যবহার করে এটি অংকন করেছেন আপনি, যা আমি দেখেই বুঝতে পারছি। এরকম একটা গল্প পড়েছিলাম ছোটবেলায়। যেই গল্পে একটা তৃষ্ণার্ত কাক পানির খোঁজে এসেছিল। এবং ছোট ছোট নাড়ুগুলো কলসির মধ্যে পেলে কলসির পানি উপরে উঠেছিল। এবং সে প্রাণ ভরে পান করেছিল। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই দৃশ্যটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আসলেই আপনার আর্ট দেখে একেবারে বাস্তবিক মনে হচ্ছে। ছোটবেলায় পড়া গল্পটার কথা মনে পড়ে গিয়েছে আপনার এই আর্ট দেখে। সত্যি দাদা আপনি সব সময় নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যে কোন কাজ করার চেষ্টা করেন। আপনার দক্ষতার প্রশংসা আজকে আর নতুন করে কি করব। মাঝে মাঝে প্রশংসা করার ভাষা হারিয়ে ফেলি। যাইহোক ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা।

 last year 

আপনার কাল্পনিক আর্ট গুলো অনেক ভালো লাগে আমার দাদা।গ্রীষ্মের তাপদাহের কথা কল্পনা করে আপনি বেশ সুন্দর একটি আর্ট করেছেন।কাকের কলসি থেকে বুদ্ধি করে পানি পান করার ঘটনা আমরা আগে বই থেকে জেনেছিলাম।সেটার অনুকরণে দুর্দান্ত একটি আর্ট করেছেন।অনেক ভালো লেগেছে আপনার করা আর্ট।রং করেছেন খুব সুন্দর করে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দাদা টাইটেলটি খুবই সিম্পল,একটি তৃষ্ণার্ত কাকের কলসি থেকে জল খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন। তবে সেই দৃশ্যটা অঙ্কন করতে কত দিক দিয়ে নজর রাখতে হয়েছে। প্রথমে তো পাথরের উপর কলসির চিত্র অঙ্কন তারপর চারপাশটা খুব সুন্দর ভাবে পাহাড়ি এলাকার মত করে সাজিয়েছেন। কত জাগায় কত কিছু দিতে হয়েছে। কত কালার ব্যবহার করেছেন। সব মিলিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করে দারুন একটি চিত্র উপহার দিয়েছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

দাদা কি সুন্দর করে আপনি আর্ট করলেন।একটি তৃষ্ণার্ত কাকের কলস থেকে পানি খাওয়ার দৃশ্যটি কতো মনোমুগ্ধকর লাগছে।😍 আপনার পেইন্টিংটি দেখে ছেলেবেলার একটি গল্পের কথা মনে পরে গেলো।একটি কাক পানি পিপাসায় পানি খুঁজে পেয়ে কলসি থেকে পানি খেতে পারছিল না।তখন কাকের মাথায় বুদ্ধি খুলে গেলো।কলসির পাশে পরে থাকা পাথরকুচি কাকটি কলসির মধ্যে ফেলতে লাগলো।এরফলে পানি কলসির উপরে উঠে এলো।তখন পরম শান্তিতে কাক পানি পান করে চলে গেল।আপনার এই দৃশ্যটি সেই গল্পটি মনে করিয়ে দিল।আপনার আঁকা চিত্রটি এক কথায় অসাধারন হয়েছে দাদা।👌👌 কালার কম্বিনেশন ও দারুন হয়েছে। কাকটিকে মনে হচ্ছে সত্যিকারেরই যেনো কাক।একটি দৃশ্যকে সুন্দর রুপ দেয়া একজন শিল্পীর দক্ষতা। আপনি সেদিক দিয়ে একজন দারুন দক্ষ শিল্পী।অনেক ভালো লেগেছে দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং গুলো শেয়ার করার জন্য। 🥰

 last year 

প্রিয় দাদা আমি বরাবরই আপনার চিত্র অংকন পোস্ট গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।একটি তৃষ্ণার্ত কাকের কলসি থেকে জল পান করার চিত্র অংকনটি সত্যিই অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। কলসি এবং কাকের চিত্র অঙ্কনটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ সুন্দর একটি চিত্র অংকনের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 63607.88
ETH 2506.13
USDT 1.00
SBD 2.59