লখনউ এর পিচে অসাধারণ বোলিং প্রদর্শন ভারতের
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করবো। গতকালকের ম্যাচটা দারুন খেলা হয়েছে। ইংল্যান্ড এর সাথে ভারতের খেলা ছিল গতকাল আর ভারতের এটি ষষ্ঠতম খেলা ছিল। এক প্রকার বলা যায়, কালকে লখনউ এর পিচ উভয় টিমকে নাচিয়েছে বেশ ব্যাটিং এর সময়ে। এমনিতেও ইংল্যান্ড এর পজিশন খুবই বাজে এই বিশ্বকাপে, আর একটা চ্যাম্পিয়ন টিমের এইরকম অবস্থা খুবই দুঃখজনক বলা যায়। একটা ম্যাচ কোনোমতে জিতেছে, আর বাকি সব ম্যাচ জলে গিয়েছে। তবে এখন রাতের দিকে কুয়াশা পড়লে মাঠের ভিজে ভাবটার জন্য একটা সমস্যা হয়ে যায় লাস্টে ফিল্ডিং করলে যে লেন্থ যেমন কাজ করে না তেমন স্পিনও কাজ করে না। ইংল্যান্ড এই হিসেবে করেই টসে জিতে লাস্টে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু এই পিচের সম্পর্কে ধারণা করে উঠতে পারেনি। লখনউতে লাল মাটির পিচ বোলারদের জন্য একটা সুবিধা আছে দ্রুত উইকেট যেমন নিতে পারবে তেমনি ব্যাটসম্যানদের উপর প্রেসার তৈরি করে রাখতে পারবে।
ভারত প্রথম ব্যাট করতে এসে শুরু মোটামুটি ভালোই করেছিল রোহিত আর গিল, তবে গিল দ্রুতই আউট হয়ে যায়। রোহিত যেভাবে ছয় মারা শুরু করেছিল, তাতে প্রথমেই ভেবেছিলাম রান আজকেও ভালো একটা পজিশন-এ যাবে। তবে এখানে বোলারররা ভালোই প্রেসার দেওয়া শুরু করে। গিল এর পরে কোহলি এসেও জিরো রানে আউট হয়ে যায়, যেটা আরো টিমের জন্য বড়ো চাপের সৃষ্টি করেছিল। মোটামুটি প্রথমেই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে যায় দ্রুত। এই ম্যাচের দায়িত্বটা পুরোপুরি রোহিতের কাঁধে চেপে পড়ে , কারণ মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও বেশিক্ষন টিকতে পারেনি, রাহুল এসে যদিও একটু ভালো খেলছিল, কিন্তু আউট হয়ে যায়। ম্যাচটা মোটামুটি দাঁড়িয়ে ছিল রোহিতের রানের উপরে, তাছাড়া শেষে সূর্য এসে একটু ভালো খেলে দেয়,যার ফলস্বরূপ রান ২৩০ এর কাছাকাছি পৌঁছায়।
তবে আমি ভেবেছিলাম রান মোটামুটি হলেও ২৪৫ এইরকম হবে, কিন্তু উইকেট রাখতে পারেনি, লাস্ট ২ ওভারে রানই তেমন হয়নি। এই পিচে এই ২৩০ রান করতে খুবই হিমশিম খেতে হয়েছে পুরো ব্যাটসম্যানদের। তবে রান কম হলেও এই পিচে ২৩০ রান মানে ৩০০ উপরে রানের সমান ধরা যায়। এই রানের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড ব্যাটিং শুরু করে এবং প্রথমেই ভালোই মারলো, দেখেই ভয় লাগলো, জিতে যায় কিনা এইরকম অবস্থা। সিরাজ ছাড়া আর কারো বলে মার্ খায়নি তেমন, ও একটু খারাপ খেলেছে সব দিকে এই ম্যাচটায় । তবে সামি আর বুমরাহ এর বোলিং ফেস করতে গিয়ে সব ভেঙেচুরে গিয়েছে ওদের ব্যাটিং পজিশন।
সামির যে বলে স্টোকস আউট হয়েছিল সেটা মারাত্মক লেন্থ ছিল আর গতিও ছিল, বোঝার আগেই বোল্ড আউট। তাছাড়া আরো একটি স্পিন যেটা কুলদীপ করেছিল বাটলার এর আউটটা, এমন অফ ব্রেক করলো যে বাইরের বল ভিতরে ঢুকে গেলো। ব্যাটিং এ মজা না পাওয়া গেলেও কালকে ভারতের বোলিংগুলো ভালো উপভোগ করা গিয়েছে। লখনউ এর মতো লো-স্কোরিং পিচে এইরকম বড়ো রানের জিত সচরাচর দেখা যায় না। ১০০ রানে জিত পাওয়া মানে নেট রান রেটে আরেকটু এগিয়ে যাওয়া। ভারত আসলে ম্যাচ জিতলেও নেট রান রেটে একটু পিছিয়ে আছে, ফলে এখন বেশি রানে কয়েকটা জিততে পারলেই সবদিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করবে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ইংল্যান্ড এর সাথে ভারতের ম্যাচ দর্শকরা অনেক উপভোগ করেছে। রোহিত আর গিল বেশ ভালোই খেলছিল। এরপর হঠাৎ করে গিল আউট হওয়াতে একটু সমস্যা হয়ে গিয়েছিল। আর সবদিক থেকে রোহিত কিন্তু বেশ ভালো খেলেছিল। প্রথমদিকে কিন্তু অনেকটা চাপের মধ্যে ছিল বোঝাই যাচ্ছিল। আর কোহলির আউট হয়ে যাওয়া আরও বেশি হতাশার ছিল।পিচে ২৩০ করাটা অনেক মুশকিল ছিল। সবমিলিয়ে বেশ চাপের মধ্যে ছিল প্লেয়াররা ।রোহিতের রানের জন্যই সেটা সম্ভব হয়েছে। না হলে আরো বেশি মুশকিল হয়ে যেত। কিন্তু ইংল্যান্ডের প্লেয়াররা প্রথম দিকে ভালো খেললেও ধীরে ধীরে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলেছিল। ভারতীয় বোলাররা কিন্তু বেশ ভালো খেলেছে। সামির যে বলে স্টোকস আউট হয়েছিল সেটা সত্যি অনেক মারাত্মক ছিল। সব মিলিয়ে ম্যাচটা দুই পক্ষের জন্যই অনেকটা আতঙ্কের ছিল। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে ভালো ফলাফল করাও বেশ মুশকিল। যাইহোক দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে স্পোর্টস রিভিউ শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই পিচে ২২৯ রান অনেক। তবে রোহিত শর্মার ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল ভারতের স্কোর আরো অনেক বড় হবে। এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স দেখে রীতিমতো সবাই বেশ অবাক হয়েছে। শামি,বুমরাহ এবং কুলদীপ এককথায় দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ভারতের বোলিং দারুণ উপভোগ করেছি। এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে, সেটা বাংলাদেশের বিপক্ষে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ সম্পর্কে সবাই জানে। কিন্তু ভারত গতকাল যে শক্তিশালী বোলিং এর প্রদর্শন করেছে সেটার প্রশংসা করতেই হয়। এককথায় অসাধারণ ছিল বোলিং। ভারতের বোলারদের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড। সবমিলিয়ে ভারতের ছয় ম্যাচে ছয় জয়।।
আমারও তাই মনে হয়েছিল দাদা, বোলাররা আলাদা একটা সুবিধা পেয়েছে। ভারত ব্যাটাররাও কয়েকটা ভুল শট খেলে আউট হয়েছে। তবে রোহিত শর্মা আর কিছুক্ষণ থাকলে রান আরও হতো। আমি ভেবেছিলাম একটা ফাইটিং ম্যাচ হবে, কিন্তু ইংল্যান্ড তো দাঁড়াতেই পারলো না।
সত্যি দাদা, সেদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতীয় বোলাররা অসাধারণ বল করেছিল। বিশেষ করে মোঃ সামির কথা না বললেই নয়। মোহাম্মদ সামির প্রত্যেকটি অভারের প্রতিটি বল ছিল অসাধারণ। ভারতীয় বলার দের ভালো বোলিং উপহার দেওয়ার কারণেই সেদিন ভারত অল্প পুজিতেও ১০০ রানে বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
দাদা আমি এমনিতে এই বিশ্বকাপের সব গুলো খেলার প্রতিই নজর রাখি। এই আসরে বাংলাদেশ যেমন বাজে খেলছে তেমনি ইংল্যান্ডের অবস্থাও । কোন রকম বাংলাদেশের সাথে একটি ম্যাচ জিতেছে। আর বাংলাদেশ আফগানিস্তানের সাথে একটি ম্যাচ জিতেছে। দুই দলের পার্ফমেন্সই খুবই বাজে। তবে এই আসরের টপ লেভেলে থাকা ভারত ঐদিন ইংল্যান্ডের সাথে নেমে তেমন ভাল রান তুলতে পারে নি। আমি তখনই বুঝে ছিলাম লখনউ এর পিচটা বোলারদের দখলে। তা নাহলে গিল,বিরাট কোহেলি,লায়ার এমন ভাবে আউট হয়ে যেত না। তারা এত খারাপ খেলোয়ার না যে টপ টপ করে পরে যাবে। সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে রোহিত শর্মা। সে তার পারফমেন্স ঠিকই ধরে রেখেছে। ভারত এমন একটি ম্যান পেয়ে সত্যিই গর্বিত। তার মত খেলোয়ার হয় না। সব মিলিয়ে ভারত মাত্র ২৩০ রান তুলতে পেরেছিলো। ভেবেছিলাম ইংলেন্ড খেলাটা জিতে যাবে। তবে সামি এমন বোলিং শুরু করেছে ইংলেন্ডের খেলোয়াররা মাঠে দাড়াতেই পারেনি। এমন নামি দামি খেলোয়ার রাও কিছু করতে পারেনি। মাত্র ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায়। যেটা কেউ কল্পনাও করেনি। যায়হোক খেলায় হার জিত আছেই। ধন্যবাদ।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে আজকেও খেলা বিষয়ক একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে আপনার লেখা এই পোস্ট অনেক বেশি ভালো লেগেছে করতে। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনার খেলা বিষয়ক পোস্ট গুলো ভালোভাবে পড়ার। ইংল্যান্ডের সাথে ভারতের খেলা হয়েছিল এটা যদিও জানা ছিল না, তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে ভালো লেগেছে। এই ম্যাচটা নিশ্চয়ই দুই দলের দর্শক বেশ ভালোভাবে উপভোগ করে দেখেছিল। ম্যাচটা কিন্তু দুই পক্ষের জন্য অনেক বেশি আতঙ্কের ছিল, যার কারণে ভালো একটা ফলাফল নিশ্চিত করা অনেক বেশি মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভারত দেখছি, নেট রান রেটে পিছিয়ে রয়েছে। ম্যাচ জিতলে ও এই দল নেট রান রেটে পিছিয়ে রয়েছে এটা দেখে খারাপ লেগেছে। আশা করছি বেশি রানে কয়েকটা জিততে পারলে শীর্ষে অবস্থান করতে পারবে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে পুরো ম্যাচটার রিভিউ তুলে ধরেছেন এই বিষয়টা অনেক ভালো লেগেছে। আপনার পরবর্তী খেলা বিষয়ক পোস্ট দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা খেলা আমার অনেক বেশি পছন্দের। আগের থেকে এখন খেলা দেখা হয় না। আগে তো আমি প্রচুর পরিমাণে খেলা দেখে থাকতাম এবং এর জন্য অনেক বকাবকি ও শুনতে হতো। রাত জেগেও প্রচুর খেলা দেখেছি যার কোন হিসাব নেই। তবে এখন ব্যস্ততা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে খেলা দেখা হয় না আমার একেবারেই। কিন্তু আপনার খেলার রিভিউ গুলো পড়ার চেষ্টা করি, যার মাধ্যমে কোন ম্যাচে কি হয়েছে এটা জানতে পারি। ভারতের সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচে ৬ জয় হয়েছে এ বিষয়টা অনেক বেশি আনন্দের ছিল। রোহিত শর্মার ব্যাটিং টা অনেক ভালো লাগে। রোহিত শর্মা যদি আরো কিছুক্ষণ খেলতো তাহলে রান আরো বেশি বৃদ্ধি পেত। রোহিত শর্মা কিন্তু তার পারফরমেন্স অনেক সুন্দর ভাবে ধরে রেখেছিল, আর এটা অনেক ভালো লেগেছিল। পুরো রিভিউ টা সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে দেখে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। ধন্যবাদ পোস্টটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আশা করছি পরবর্তীতেও খেলা বিষয়ক পোস্ট পাবো।