বাঁধা কপি দিয়ে পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি ।। বাঙালি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। গতকাল সন্ধ্যায় আমি পুলি পিঠা তৈরি করেছি। তবে এই পুলি পিঠাটি আমি বাঁধা কপি ভাজা দিয়ে তৈরি করেছি। এইরকম ভাবে আগে আমি কখনো খেয়ে দেখিনি। যদিও পুলি পিঠা নারিকেল দিয়ে করার নিয়ম কিন্তু নারিকেল দিয়ে আমার কাছে কেন জানি ভালো লাগে না, বরং আমি নারিকেল বাদে শুধু পিঠা বানিয়ে খেয়ে ফেলি। সন্ধ্যার সময় কি খাবো খাবো করতে করতে হঠাৎ করে এই বুদ্ধিটা মাথায় আসলো আর ব্যাস লেগে পড়লাম কাজে। তবে একটাই বিরক্ত লাগে আমার কাছে বেলন দিয়ে বেলে নেওয়ার কাজটা, তাই এই কাজটা মা করে দিয়েছিলো। আর বাদবাকি প্রসেসগুলো আমি করে নিয়েছিলাম। তবে নারিকেল দিয়ে এই পুলি পিঠা খেতে যতই ভালো লাগুক না কেন বাঁধা কপি দিয়ে আমার কাছে দারুন লেগেছিলো। শুধু বাঁধাকপি ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন লবন বেশি না পড়ে যায় তাহলে পিঠা দিয়ে খাওয়ার সময়েও লবন লবন মনে হবে। যাইহোক, এখন আমি রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
❦এখন পিঠার রেসিপিটি যেভাবে সম্পন্ন করলাম---
➤বাঁধা কপিটিকে প্রথমে কেটে অর্ধেক করে নিলাম এবং তার অর্ধেক অংশ কেটে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে অল্প করে তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে কিছুটা কালো জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা বাঁধা কপি দিয়ে দেওয়ার পরে স্বাদ মতো লবন, হলুদ আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤বাঁধা কপির সাথে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নেওয়ার পরে একটি পাত্র দিয়ে কিছুক্ষন ঢাকা দিয়ে রেখেছিলাম যাতে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে আসে।
➤ঢাকা দেওয়ার কিছু সময় পরে বাঁধা কপি সিদ্ধ মতো হয়ে আসলে পাত্র তুলে নিয়েছিলাম এবং আরো কিছুক্ষন ধরে ভাজাটা ভালোভাবে তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤একটি পাত্রে জল আর লবন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ময়দা দিয়ে ভালো ভাবে পিষে নিয়েছিলাম। যত ভালো করে পেষা হবে ততো ভালো সফ্ট হবে। যদিও এখানে মাখিয়ে কিছুক্ষন ঢাকা দিয়ে রাখলেও হয় কিন্তু আমি ডাইরেক্ট করেছি।
➤ময়দা ভালোভাবে পিষে সফ্ট মতো হয়ে গেলে আমি ছোট ছোট কিছু লেচি কেটে গোল্লা মতো তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর সেগুলো মা বেলন দিয়ে বেলে দিয়েছিলো।
➤বেলার পরে আমি সাঁচে ফেলে তাতে অল্প করে বাঁধা কপি ভাজা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সাঁচের মুখ বন্ধ করে পাশের থেকে বাড়তি অংশটা কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤সাঁচে ফেলে এইভাবে সবগুলো পুলি পিঠার স্টাইলে তৈরি করে ফেলেছিলাম।
➤কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিয়েছিলাম। তেল গরম হয়ে আসলে তাতে পুলি পিঠাগুলো কয়েকটি করে ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভাজা হয়ে আসলে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম। এই পিঠা তেলে দিয়ে ভাজতে বেশিক্ষন লাগে না, দেওয়ার সাথে সাথে ১ মিনিটের মধ্যে হয়ে যায়।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনি দারুন ভাবে মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি দাদা আপনার বুদ্ধির তারিফ করতেই হয়। মাঝে মাঝে হুটহাট করে কোন কিছু তৈরি করলে ভালোই লাগে। তবে আমি আপনার মত রান্নাতে এতটা পারদর্শী নই। মাঝে মাঝে যখন আমি আপনার রেসিপি গুলো দেখি তখন আমি অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকি। শুধু চিন্তা করি আপনি কি করে এত ভালো রেসিপি তৈরি করেন। আপনার রেসিপিগুলো দেখে দেখে আমিও রেসিপি তৈরি করার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা পাই। আপনি যে রেসিপিগুলো তৈরি করেন সেগুলো সত্যিই অনেক লোভনীয় হয়। যেমন আজ আপনি আপনার ইউনিক একটি আইডিয়া থেকে বাঁধাকপি দিয়ে পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যিই দাদা এরকম ইউনিক আইডিয়া আপনার কাছ থেকেই পাওয়া সম্ভব। আর আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনি এই ইউনিক আইডিয়া আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে যখন দেখি নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝে কেউ হাজির হয়েছে তখন খুবই ভালো লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল লোভনীয় রেসিপি গুলো শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি কিন্তু খেতে পারিনা😋। তবে যাই হোক আপনি আপনার দারুন আইডিয়া থেকে মজার রেসিপি তৈরি করে খেয়েছেন এটা জেনে ভালো লেগেছে। এভাবেই আপনার অবসর সময়ে মজার মজার রেসিপি তৈরি করুন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করুন এই কামনাই করছি দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা ❤️❤️।
শীতকাল আসলেই যেন চারিদিক শুধু পিঠার গন্ধে ভরে যায়। বাড়ির আশপাশ থেকে শুধু এ পিঠা ও পিঠার গন্ধ ভেসে আসে। আর পুলি পিঠা তো কথাই নাই। পুলি পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটা পিঠা। তবে পুলি পিঠার ভিতরে মাংস দিলে অনেক বেশি স্বাদ লাগে। তবে সবজি দিয়ে খেতে ভালো লাগে। আপনাকে আমি ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে এই মজাদার পিঠা শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। পুলি পিঠা সব সময় নারকেল দিয়ে খেয়েছি তবে আজকে আপনার রেসিপির মাধ্যমে জানলাম এভাবেও তৈরি করা যায়। ঝাল ঝাল পুলি পিঠা। সুস্বাদু তো হবেই। আজকের রেসিপি টা আসলেই অনেক ইউনিক ছিল দাদা। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল দাদা।
নারিকেল দিয়ে পুলি পিঠা রেসিপি খেয়েছি এবং তৈরি করেছি। কিন্তু বাঁধাকপি দিয়ে পুলি পিঠার রেসিপি তৈরি করিনি, কখনো খাওয়াও হয়নি। আজকে আপনার রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার রেসিপির উপস্থাপন ভালোভাবে দেখে আমিও শিখে নিলাম। পরবর্তীতে আমি তৈরি করব। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
দাদা, আপনার রেসিপি আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে। আমি বাধা কপি ভাজি করে খেয়েছি কিন্তু কখনো বাঁধা কপি দিয়ে পুলি পিঠা খাই নাই। আপনার তৈরি করা পিঠা দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
দাদা, এভাবে কখনো খেয়ে দেখিনি।তবে আন্দাজ করতে পারি মনে হয়,কিছুটা সিঙ্গারার মতো খেতে হবে।দারুণ স্বাদের হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।তাছাড়া বাঁধাকপি ভাজি আমার খুবই প্রিয়।নারিকেল দিয়ে বেশি ঝামেলা পুলি পিঠা করা।আপনি আপনার মায়ের সাহায্য নিয়ে দারুণভাবে পুলি পিঠা তৈরি করেছেন।আমি ঠিকঠাক রুটি বেলা কাজটি পারি না, তবে কাজ চালানোর মতো হয়েই যায়।এটি আমার কাছে কিছুটা ইউনিক লেগেছে।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।
পুলি পিঠা তো অনেক খেয়েছি কিন্তু এভাবে পুলি পিঠা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি।আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম আজকে। এতো সুস্বাদু রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করতেছে। সব মিলিয়ে পোস্টটি অনেক ভাল ছিল। শুভকামনা আপনার জন্য