ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ২: পর্ব ৭ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির সিজন ২ এর সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "Sneak In, Sneak Out". গত পর্বে দেখেছিলাম যে, পৃথ্বী আর তার বন্ধু সেই সুড়ঙ্গের মাঝপথে দেখা হয়ে যায়। এরপরে ঘটনা কি ঘটে সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❄মূল কাহিনী:❄
মূলত এই পর্বে বিষয়টা একটু অন্যরকম দেখলাম, মানে আমি ভেবেছিলাম যে পৃথ্বী এখনো পর্যন্ত তার পরিচয় লুকিয়ে রাখবে, এমনকি তার বন্ধুর কাছ থেকেও। কিন্তু যখন তারা দুইজন সামনাসামনি হলো, তখন একটু হাতাপাই হলো দুইজনের মধ্যে এবং ওখানে একটা বড়ো খাই ছিল, যেটার মধ্যে পৃথ্বীর বন্ধু পড়ে যাচ্ছিলো। এরপরে পৃথ্বীই তাকে বাঁচালো। আর পরে তার চেহারা তাকে দেখিয়ে দিলো, এটা একমাত্র তার বন্ধুর প্রতি বিশ্বাস থাকার কারণেই হলো। এরপর তার বন্ধুকে বিস্তারিত সবকিছুই খুলে বললো এবং বিষয়টা বুঝে পৃথ্বীকে ছেড়ে তো আপাতত দিলো। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় দিয়েছে সেখান থেকে বেরোনোর। কারণ বাইরে সিচুয়েশন খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে আছে, ফলে তাদের আর বেশিক্ষন কন্ট্রোলে রাখতে পারবে না। তারপরেও সেই সময়টুকু সে ম্যানেজ করে রাখবে বলে জানায়। এরপর পৃথ্বী আবার সেই জায়গায় ফিরে যাওয়ার জন্য সুড়ঙ্গ দিয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়।
কিন্তু এখানে একটা সমস্যা হয়েছে যে, পৃথ্বী যে নার্সকে এতো বিশ্বাস করে ওই সুড়ঙ্গের পথ দেখার জন্য পাঠিয়েছিল। আর সে নিষ্ঠার সাথে পালনও করেছিল, কিন্তু তার দুর্ভাগ্য খারাপ বলতে গেলে। কারণ নিশা নামের একজনের বয়ফ্রেন্ড অর্থাৎ এরা একসাথে একটা গ্যাং এর সাথে জড়িত। তো সে পিছে পিছে ওই সুড়ঙ্গ পর্যন্ত এসেছিলো। এরপর তার বাড়িতেই চলে যায় আবার, এখন পৃথ্বীর বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে না, ফলে তাকেই মেরে ফেলে। এদিকে ভিতরে পিটার অস্থির হয়ে যায়, কারণ সেখানে তার মনে হচ্ছে যে, তাকে মেরে ফেলবে যে কোনো মুহূর্তে। তাই একবার গোপনে দরজা খুলে প্রায় বাইরে বেরিয়েও এসেছিলো। এদিকে আবার বাইরের কিছু কমান্ডারকেও ভিতরে ঢোকার জন্য পারমিশন দিয়ে দেয়। এরপর সেনা চারিদিকে ঘেরাও করার জন্য ছড়িয়ে যায়।
এদিকে ঈশা নামের যে মেয়েটি খুনের তদন্ত করছিলো সে নিশার হোটেলে ঢুকে ল্যাপটপ থেকে একপ্রকার তাদের বিরুদ্ধে সম্ভবত কিছু প্রমাণস্বরূপ একটি ফাইল কপি করে নেয় এবং চালাকির সাথে বেরিয়েও আসে সেখান থেকে। তবে এখানে আরো একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটা হলো পৃথ্বী যেহেতু এখনো এসপি পদে রয়েছে, তাই এটাও একটা তাদের জন্য বিপদ অর্থাৎ নিশা এবং তার বয়ফ্রেন্ড এর জন্য। এখন পৃথ্বী কোথায় আছে সেটা বর্তমানে তার বন্ধু ছাড়া আর সবার কাছেই অজানা। কিন্তু এসপির বাড়িতে ঢুকেই তার মেয়েকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় এবং সেই ছবি আবার পৃথ্বীর ফোনে এসমস এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়ে থাকে। এখন এখানে বিষয়টা দেখার পরে কাহিনী কি হতে চলেছে সেটা আরেকটা চিন্তা। এখন যদি সবকিছু ছেড়েছুড়ে নিজের মতো করে বেরিয়ে যায় তার মেয়েকে বাঁচানোর জন্য, তাহলে আরেক প্রব্লেম ক্রিয়েট হবে।
❄ব্যক্তিগত মতামত:❄
এই পর্বে আসলে বিষয়টা একটু খুনখারাপের দিকে চলে গিয়েছে। এখন বেছে বেছে পৃথ্বীর লোকজন, ফ্যামিলিকেই টার্গেট করছে। এদিকে নিজেদের মধ্যেও একটা ঝামেলা তৈরি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ এই পিটারকে বারবার মানা করা সত্বেও সে দরজা খুলে বাইরে আসার জন্য বেরিয়ে পড়ে, তবে পৃথ্বীর যে শালা ছিল সে তাকে আবার টেনে ভিতরে ঢুকিয়ে নেয়। যদিও ওখানে গুলিগোল্লা চলেছে, তবে কারো গায়ে লাগেনি এটাই ভাগ্য। নাহলে পিটারের সাথে সাথে আরো কয়েকটার মরার চান্স ছিল। তবে এটাকে কেন্দ্র করে আবার পিটারকে উস্কানোর চেষ্টা করছে মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ যেটা এক কোথায় বলা যায় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছে যদি পিটারকে হাত করে নিতে পারে, তাহলে ওদের বিপরীত করে বেরোতে পারবে।
❄ব্যক্তিগত রেটিং:❄
৮.৭/১০
❄ট্রেইলার লিঙ্ক:❄
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পৃথ্বী তো মনে হয় শিখা নামের সেই ইনভেস্টিগেশন অফিসারের সাথে দেখা করার জন্য সুরঙ্গ দিয়ে বের হয়েছে। কিন্তু পৃথ্বীর মেয়েকে যেহেতু কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং সেই ছবি পৃথ্বীর ফোনে এমএমএস এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছে,এখন কি পৃথ্বী তার মেয়েকে বাঁচাতে যাবে, নাকি শিখা নামের সেই অফিসারের সাথে দেখা করবে,সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। তাছাড়া এই পর্বে তো দেখছি আরও অনেক কিছুই ঘটেছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা এই ওয়েব সিরিজের রিভিউগুলো যতই পড়ছি ততই খুব ভালো লাগছে। পৃথ্বী তো দেখছি তার বন্ধুকে নিজের চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে। আর তাকে সবকিছু খুলে বলেও দিয়েছে। কিন্তু এই পর্বে দেখছি খুনের বিষয়ও ছিল। পৃথ্বী তার মেয়েকে বাঁচাতে পারবে কিনা এখন তো ওটাই ভাবছি। পৃথ্বীর বর্তমান ঠিকানা দেখছি শুধুমাত্র তার বন্ধু জানে। এখন এটা নিয়ে কি হবে এটা বুঝতে পারছি না। আশা করছি পরবর্তী পর্বে ভালোভাবে বুঝতে পারবো। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী তো পিটার কে হাত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি নিজের চেষ্টায় সফল হতে পারবেন কি না, এগুলো জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি আপনি অনেক তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্বের রিভিউ টা।
একটা সময় অনেক ওয়েব সিরিজ দেখতাম। এখন আর সময় করে উঠতে পারি না। দাদা আপনার শেয়ার করা এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়ে অন্য রকমের একটা আকর্ষণ খুঁজে পেলাম। সময় পেলে ওয়েব সিরিজটি দেখব দাদা।