বড়ো কাঁকড়ার সাথে মিষ্টি কুমড়োর ঘন্ট রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি বড়ো কাঁকড়া রান্না করেছি আর এটি করেছি মিষ্টি কুমড়োর সাথে। মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে তরকারিটা ঘন্ট মতো করেছি কারণ কাঁকড়ার সাথে মিষ্টি কুমড়োর রান্না এইভাবে খেতে খুবই টেস্টফুল লাগে। এমনকি শুধু কুমড়োও যদি এইভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে তবুও অনেক মজা লাগে খেতে। এই মিষ্টি কুমড়ো কিন্তু কাঁচাও খাওয়া যায়, আমি খেয়েছি। আজকে কুমড়ো কাটার সময় পিচ তুলে তুলে গালে দিয়েছি আর খেতেও দারুন লেগেছিলো। মিষ্টি কুমড়ো শুধু খাওয়া যায় কারণ এই কুমড়ো দিয়েই কিন্তু অনেক কিছুর জুইস করা হয়। যাইহোক কাঁচায় আমার কাছে খাওয়ার সময় মনে হচ্ছিলো না যে কুমড়ো খাচ্ছি, মনে হচ্ছিলো কোনো ফল খাচ্ছি কেটে 😃, ভালোই মিষ্টি লাগছিলো খেতে। এই কাঁকড়াগুলোও খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল কুমড়োর সাথে, সে না খেলে আর বোঝানো যাবে না। এখন এই রেসিপিটির মূল বিষয়গুলোর দিকে চলে যাবো।


☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬

উপকরণ
পরিমাণ
বড়ো কাঁকড়া
৪ টি
মিষ্টি কুমড়ো
৫০০ গ্রাম
আলু
২ টি
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
৫ টি
জিরা
পরিমাণমতো
লঙ্কার গুঁড়ো
১ চামচ
সরিষার তেল
৪ চামচ
লবন
২ চামচ
হলুদ
২ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


বড়ো কাঁকড়া, মিষ্টি কুমড়ো, আলু, পেঁয়াজ


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম--


❆প্রস্তুত প্রণালী:❆


➤কাঁকড়াগুলোর প্রথমে উপরের শক্ত মতো খোলোকটা তুলে নিয়ে কেটে নিতে হবে। এরপর আমি আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম।

➤কুমড়োর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে ছোট ছোট পিচ করে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কুচি করে রেখেছিলাম এবং পরে কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।

➤কাঁকড়ার গায়ে লবন এবং হলুদ দেওয়ার পরে একবারে গায়ে মাখিয়ে নিয়ে ভেজে রেখেছিলাম।

➤কেটে রাখা আলুর ছোট ছোট পিচগুলোকে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর কুমড়োর পিচগুলোও ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে ঠিকমতো তেল দেওয়ার পরে তাতে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়েছিলাম এবং পরে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤লঙ্কার গুঁড়ো পেঁয়াজ কুচির সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে ভেজে নিয়েছিলাম। ভাজা হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচ এবং কুমড়োর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤ভাজা উপাদান দেওয়ার পরে তাতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে টেস্ট অনুযায়ী লবন আর হলুদ দিয়েছিলাম। এরপর ভাজা কাঁকড়া ৪ টি দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤ভাজা কাঁকড়া দেওয়ার পরে সব একসাথে ভালো করে ঘেঁটেঘুঁটে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। তরকারিটা ১২ মিনিট ধরে ভালোভাবে জ্বাল দিয়ে সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।

➤বেশ কিছুক্ষন দেরি করার পরে তৈরি হয়ে গেছিলো আমাদের স্বাদের মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে বড়ো কাঁকড়ার ঘন্ট মতো তরকারিটা। জ্বাল দিয়ে ঝোলটা আজকে একদম পুরোপুরি কমিয়েই দিয়েছিলাম। খেতে দারুন মজাদার হয়েছিল। যাইহোক এখন এই স্বাদের মজাদার রেসিপিটা পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 
কাঁকড়া খাওয়ার অনেক ইচ্ছে ছিলো। সেই ইচ্ছে পূরণ ও করেছি। কাঁকড়া খাওয়ার মাঝে একটা আলাদা মজা আছে। কাঁকড়াতে কামুড় দিতেই একটা আলাদা স্বাদের ফিল পাওয়া যায়। আমি প্রথম কাকড়া খেয়েছিলাম আমাদের একলার মেলাতে। আমি আনকমন খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি।
দাদা আপনি মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে কাঁকড়ার ঘন্ট তৈরি করেছেন। আসলে আমি সবজি দিয়ে কাঁকড়া খাই নাই তবে দাদা আপনার ঘণ্ট তৈরির রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এই রেসিপিটা অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে হবে। কাঁকড়ার পাগুলো বেশি মুচমুচে হয়। আপনার রেসিপির পরিবেশন করা ছবি দেখে যে কারো পছন্দ হবে আপনার রেসিপিটি।
দাদা আপনকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই অসাধারণ কাঁকড়ার রেসিপি আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য। আসলে আপনার রেসিপি সব সময় ইউনিক থাকে। তাই বেশি ভালো লাগে। ভালো থাকবেন দাদা। 💕💕
 2 years ago 

ওয়াও ভাইয়া মিষ্টি কুমড়া আলু দিয়ে বড় কাঁকড়ার সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তাকে আমি কখনো কাঁকড়া খাইনি কাঁকড়া খেতে কেমন তাও জানিনা। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুব লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

 2 years ago 

এই কাঁকড়াগুলোও খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল কুমড়োর সাথে, সে না খেলে আর বোঝানো যাবে না।

একদম ঠিক বলেছেন দাদা।মিষ্টি কুমড়ার সঙ্গে বড়ো কাঁকড়ার খুব ভালো কম্বিনেশন।ওহো, দাদা বড়ো কাঁকড়ার রেসিপি হলে আমার আর কিছুই লাগে না।শুধু মজাই মজা।যারা কাঁকড়া খায় না তারা কখনোই এর স্বাদ সম্পর্কে বুঝতে পারবে না।এটি আমার খুবই প্রিয়,তবে দুঃখের বিষয় হলো😢,আমাদের এখানে তেমন পাওয়াই যায় না বড়ো কাঁকড়া।তাই যখন আমরা আপনাদের ওদিকে যাই তখনই কিনে নিয়ে আসি বেশি করে।কাঁকড়ার দুর্দান্ত স্বাদ ভোলার মতো নয়, ঘিলু কাঁকড়া খেতে খুব ভালো লাগে আমার ।খুবই সুন্দর লোভনীয় ও স্বাদের রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা।কালারটি দারুণ হয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন সবসময় দাদা,শুভকামনা অবিরাম☺️.

 2 years ago 

বড়ো কাঁকড়ার সাথে মিষ্টি কুমড়োর ঘন্ট রেসিপি রেসিপিটা আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। এই রেসিপিটা দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। জানিনা খেতে কতটা সুস্বাদু লাগবে। তবে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে হয়েছে। এই রেসিপি আমি কখনো তৈরি করিনি বা আমি তৈরি করে কাউকে খেতে দেখিনি। তবে আমি কাঁকড়া রেসিপি খেয়েছি ফ্রাই করে। অনেক মজা লাগে, যাই হোক আপনার রেসিপি উপস্থাপনা আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং নতুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

মিষ্টি কুমড়ো শুধু খাওয়া যায় কারণ এই কুমড়ো দিয়েই কিন্তু অনেক কিছুর জুইস করা হয়। যাইহোক কাঁচায় আমার কাছে খাওয়ার সময় মনে হচ্ছিলো না যে কুমড়ো খাচ্ছি, মনে হচ্ছিলো কোনো ফল খাচ্ছি কেটে 😃, ভালোই মিষ্টি লাগছিলো খেতে।

দাদা ভুল করে ফলের বদলে মিষ্টি কুমড়া নিয়ে আবার শ্বশুরবাড়ি চলে যাইয়েন না 😅😅। মিষ্টি কুমড়া কাঁচা খেতে অনেকটা আধা পাকা আমের মতই লাগে। আমি ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। তবে এখন আর খাওয়া হয়না। আপনার লেখাগুলো যখন পড়েছিলাম তখন বারবার আমার ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ছিল। যাই বলুন না কেন দাদা বড়ো কাঁকড়া দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে। কাঁকড়া কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে খাওয়ার খুবই ইচ্ছা করছে। আসলে আমাদের অঞ্চলে কাঁকড়া খুব একটা কিনতে পাওয়া যায় না। আপনার তৈরি করা এই লোভনীয় রেসিপি দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 2 years ago 

এই মিষ্টি কুমড়ো কিন্তু কাঁচাও খাওয়া যায়, আমি খেয়েছি। আজকে কুমড়ো কাটার সময় পিচ তুলে তুলে গালে দিয়েছি আর খেতেও দারুন লেগেছিলো।

মিষ্টি কুমড়ো যে কাঁচা খাওয়া যায় তা আমার জানা ছিল না দাদা। তবে আমার ধারনা ছিল এই মিষ্টি কুমড়ো কাঁচা খেতে হয়তো মিষ্টি লাগবে। কিন্তু কখনো খেয়ে দেখিনি। আজকে আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে একবার খেয়ে দেখতে পারি। আশা করি ভালোই লাগবে। তবে যাইহোক বরাবরের মতোই আজকেও আপনি অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। আপনার রন্ধনশিল্পের প্রক্রিয়া দেখলে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার রন্ধনশিল্পের দক্ষতায় মজার মজার রেসিপি তৈরি করেন। তেমনি আজকেও কুমড়ো দিয়ে ও আলু দিয়ে বড়ো কাঁকড়ার খুবই লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দাদা। লোভনীয় একটি রেসিপি সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আমাদেরকে শেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ❤️❤️❤️❤️

 2 years ago 

দাদা আপনার রেসিপি কিন্তু সবসময় ভালো হয়। আমার কাছে আপনার রেসিপি অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে আজকের রেসিপি আমার অনেক প্রিয়।
কারন একসময় অনেক কাকড়া খেয়েছি। যা ভালো লাগতো। অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

বড় কাঁকড়ার সাথে মিষ্টি কুমড়ার ঘন্ট রেসিপি অনেক সুন্দর করে রান্না করেছেন দাদা। বেশ ভালো লাগলো। আসলে এখনকার সময়ে বেগুনের যে দাম মিষ্টি কুমড়া খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং আপনারা রান্নার ধরন বরাবরই খুবই ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা

 2 years ago 

সব সময় আপনি আমাদের মাঝে নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হন দাদা। আমি আপনার নতুন নতুন রেসিপি পোষ্টের অপেক্ষায় থাকি। কাঁকড়া দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রান্না আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আপনার কাছ থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিলাম। এটার স্বাদ কেমন সেটাও জানি না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা নতুন রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনি সবসময় এমন নতুন নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা।

 2 years ago 

দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। কাকরা দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার ঘন্ট এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আসলে আমরা তো কাকড়া খাই না। একবার ভাজা কাকড়া খেয়েছিলাম, অনেক আগে। আপনার রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। কালারটা দারুন লাগছে দেখতে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.027
BTC 59456.51
ETH 2300.03
USDT 1.00
SBD 2.48