কালী পূজায় ঘোরাঘুরি -পর্ব ৯
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে কালী পূজায় ঘোরাঘুরির আরো কিছু ছবি শেয়ার করে নেবো। আগের তারিখ লাস্ট দেখিয়েছিলাম তরুচ্ছায়া আর জাগৃতি সংঘ ক্লাব এর পূজার ছবি। আজকে 'শতদল' নামে একটি ক্লাব এর পূজার ছবি দেখাবো। এই শতদল ক্লাব এর কালী পূজাও খুব বিখ্যাত হয়ে থাকে। সব বছরই ভালো নাম আছে তাদের, সবসময় তারা নতুনত্বের মাঝে থাকতে চায়। এই বছরও আলাদা একটা চিন্তাধারার মধ্যে দিয়ে তারা থিম তৈরি করেছে। এবারে তাদের থিম ছিল "স্বপ্ন-সুন্দর -প্রকৃতির প্রত্যাশা"। এই থিমটা একদম ইউনিক একটা থিম আর নামটাও বেশ সুন্দর দিয়েছে প্রকৃতির সাথে তাল- মিল রেখে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আমাদের এখানে এই শতদল ক্লাব এর পূজাটা এইবার ৪৪ বছরে পদার্পন করেছে যা অন্যান্য ক্লাব এর থেকে অনেক পুরানো। অনেক বছর আগের থেকে এই ক্লাব এর পূজা শুরু হয়েছিল। এই শতদল ক্লাব এ প্রচুর ভিড় হয় সন্ধ্যাবেলায় আর এইবার পুরো ৪ দিনেই অসম্ভব ভিড় হয়েছিল যেটা শুনেছিলাম। এই ভিড়ের কথা শুনে আমি রাতে ১০ টার পরেই গিয়েছিলাম, কারণ তখন একটু ভিড় কম থাকে। আর আমার এমনিতে যাওয়ারও আর ইচ্ছা ছিল না, তবে বাড়িতে বসেও ভালো লাগছিলো না, তাই ভেবেছিলাম যাই দেখে আসি এতে ভালোও লাগবে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আমাদের বাড়ির থেকে বেশ অনেক দূর আছে এই ক্লাব এর, বাড়ির থেকে টোটো ধরে গেলেও বাড়ি ফিরতে হয় হেঁটে হেঁটে ,কারণ রোডে তখন টোটো, বাইক পুরোপুরি চলাচল ব্লক করে দেয়। যাইহোক আমি মোটামুটি রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গিয়ে পৌঁছিয়েছিলাম এবং তখনও প্রায় ৫০-৬০ জনের মতো লোক লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। ওইসময় আসলে লোকজন বেশি থাকলেও একটা সুবিধা আছে যে লাইনটা দ্রুত টানে, কিন্তু সন্ধ্যার দিকে গেলে একটু একটু করে লাইন টানে তাও অনেক্ষন পরে পরে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
তবে লাইনে দাঁড়িয়েও সেখান থেকে প্যান্ডেলের আলোকসজ্জার সৌন্দর্য বেশ ভালোই উপভোগ করছিলাম, চারিদিকে শুধু সবকিছু যেন একটা অসাধারণ রূপে আলোকের বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে, এইরকমটা আমার কাছে অনুভব হচ্ছিলো। প্যান্ডেলের যেখানে যা তৈরি করেছে তার প্রত্যেকটা অংশে লাইটিং এর ঝলক দিয়ে রেখেছে, ফলে বিষয়গুলো আরো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। সামনের দিকে মস্তকের একটা সুন্দর দৃশ্যের প্রতিফলন ঘটিয়েছে যেটা দেখতে আরো অনেক সৌন্দর্যপূর্ণ লাগছে । প্যান্ডেলটা সাজিয়েছে অনেক কিছু দিয়ে যেমন, এখানে তারা প্যান্ডেলের ভিতরে যাওয়ার পথে উপরের দিকে ঝিনুক ব্যবহার করেছে তারপর আরো কিছু অংশে নারকেলের যে ছোবড়া থাকে সেটা দিয়ে বাইরের দিকে আরো কিছু তৈরি করেছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এছাড়া তারা এই প্যান্ডেলে কাঠের গুড়োটাও ব্যবহার করেছে। তবে রোডের উপর থেকে সম্পূর্ণ প্যান্ডেলটির সম্মুখভাগ দেখতে যেন একটা বাড়ির মতো লাগছিলো, সবকিছু যেন একটা অক্ষয় ধামের আদলে তৈরি করা হয়েছে বিষয়গুলোকে। মণ্ডপের ভিতরে উপরের গোলাকার লাইটিংগুলোও দেখার মতো সাজিয়েছে। যাইহোক এইগুলো দেখার পরে মন্ডপের একদম ভিতরে গিয়ে মায়ের কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম, তবে দূর থেকেই তুলতে হয়েছিল কারণ ভিতরে ছিল অনেক ভিড়, সামনে যেয়ে তোলাও অনেক মুশকিল ছিল। আর এই ছিল শতদল ক্লাব এর পূজার কিছু ছবি। পরের পর্বে আরেকটা ক্লাব এর পূজার কিছু ছবি শেয়ার করবো।
All photos what3words location: https://w3w.co/yell.storybook.wishing
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | বারাসাত, পশ্চিমবঙ্গ |
তারিখ | ২৭.১০.২০২২ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
"স্বপ্ন-সুন্দর -প্রকৃতির প্রত্যাশা" পুজোর থিমটি কিন্তু সত্যি দারুন ছিল দাদা। পুজোর থিমের মতোই পুজো প্যান্ডেলটি খুবই সুন্দর দেখতে হয়েছে। আর লাইটিং গুলো দেখে তো একেবারে চোখ ফেরানোর উপায় নেই। খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। আপনি যেহেতু রাতের বেলায় সেখানে গিয়েছিলেন তাই ভিড় অনেকটা কম ছিল। যেহেতু ৪৪ বছরের পুরনো পুজো তাই ভিড় মনে হয় একটু বেশি হয়। আসার সময় টোটোতে করে এসেছেন কিন্তু বাড়ি যাওয়ার সময় হেঁটে না যেয়ে কোন উপায় নেই। কারণ এত রাত পর্যন্ত গাড়ি পাওয়া সত্যি কঠিন ব্যাপার। আমার কাছে কিন্তু পুজো প্যান্ডেলটি খুবই ভালো লেগেছে। আসলে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর যখন সুন্দর কিছু দেখা যায় তখন সব কষ্টই দূর হয়ে যায়। কালীপূজায় কাটানো মুহূর্তগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
কালী পূজার ঘুরাঘুরির ১৯ তম পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আজকে আপনি শতদল ক্লাব এর ফটোগ্রাপি গুলো শেয়ার করলেন। এই ক্লাবের পুজোর ফটোগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ডেকরেশন এর পরিবেশন অনেক সুন্দর হয়েছে। সত্যিই এত সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছে প্যান্ডেল গুলো মুগ্ধ করার মত, ফটেগ্রাফব গুলো এত সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
শতদল ক্লাব এর কালী পূজার থিম গুলো সত্যিই দাদা চমৎকার কিছু ৷ আসলে দাদা আপনাদের ওদিকে কম বেশি সব থিম-ই অসাধারণ ৷ থিম গুলো থেকে চোখ সরানো যায় নাহ ৷ শতদল ক্লাবের থিমটা আসলেই একদম ইউনিক একটা থিম আর নামটাও বেশ সুন্দর দিয়েছে ৷ অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার কালি পূজার ঘোরাঘুরি নবম পর্বের শতদল ক্লাবের চমৎকার কালি মূর্তির দর্শন করতে পেরে ৷ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
দাদা আসলে কালী পূজার সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা নেই। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এমনকি টিভিতে দেখি খুব জাকজমকপূর্ণভাবে আপনাদের কালীপুজা উদযাপন করা হয়। শতদল নামে একটি ক্লাবের পূজার ছবি দেখিয়েছেন আজ আপনি। স্বপ্ন সুন্দর প্রকৃতির প্রত্যাশা নামে তাদের যেই স্লোগানটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে নামটি শুনেই বোঝা যাচ্ছে কথাটা শান্তি বিরাজমান। ছবিগুলো খুবই আকর্ষণীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।
বারাসাতের শতদল ক্লাব তো অনেক পুরনো। প্রতিবছরই এরা কিছুনা কিছু ভালো চমক রাখে। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। আমি তো মন্ডপের ভিতরে ঢুকেই বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এদের ডেকোরেশন দেখে। আর ঠিকই বলেছ, পুজোর সময় বারাসাতে এত পরিমাণে লোকজন হয়ে যায় যে গাড়ি ঘোড়াই চলতে পারে না। এক জায়গা থেকে টোটো করে অন্য জায়গায় যেতে ঘন্টা অনেক সময় লাগে যেখানে হেঁটে যেতে ১৫ মিনিট লাগার কথা। তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো যেমন সুন্দর হয়েছে তেমনি উপস্থাপনাও অসাধারণ ছিল।
দাদা আপনাদের দুর্গাপূজার থেকে কি কালী পূজার আয়োজন বেশি বড় হয়? দুর্গাপূজায় তো এত প্যান্ডেলের ছবি শেয়ার করেননি। কালী পূজা তো দেখছি অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাছাড়া আগে যতদূর জানতাম যে কালীপূজা একদিনের হয়। এখানে তো দেখছি চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
শতদল ক্লাব ৪৪ বছর পদার্পণ করেছে। এত বছর ধরে তো আবার ঐতিহ্য সুন্দর ধরে রেখেছে। অসম্ভব সুন্দর লাইটিং এবং ডেকোরেশন করেছে। বিশেষ করে উপরের ৮ নম্বর ছবিতে ছোট ছোট গোল গোল ডিজাইন টা দেখা যাচ্ছে এটি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। এটিই কি ঝিনুক দিয়ে তৈরি করেছে? ৫০-৬০জনের লাইন তো আপনার কাছে কিছুই না যেখানে আপনি আগেকার প্যান্ডেলগুলোতে ৪০০-৫০০ জনের লাইনেও দাঁড়িয়েছেন। যাই হোক রাতের দিকে গিয়ে মনে হয় একটু ফাঁকা পেয়েছেন এবং আরামে ছবিও তুলতে পেরেছেন। খুব সুন্দর ডেকোরেশন করেছে এই প্যান্ডেলের। দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।
কালী পুজো আমাদের এখানে বারাসাতে অনেক বড়ো করে হয়। এক একটা পুজো এক এক জায়গায় বিখ্যাত। আমাদের বারাসাতে যেমন কালী পুজো বিখ্যাত তেমনি দুর্গা পুজো কলকাতায় বিখ্যাত। দুর্গা পুজোয় তো একদিন বেরিয়েছিলাম 5 দিনের মধ্যে আর কালী পুজো তো বাড়ির উপরে তাই সব জায়গায় যেতে তেমন সমস্যা হয় না। তারপরেও কালী পুজোয় অনেক কিছুই দেখা হয়নি। এগুলো তো অল্প কিছু, দেখে শেষ নামেনি, হাফ দেখেছি । অনেক বড়ো করে হয়, শেষ করা যায়না দেখে।
আগের দুটো ক্লাবের ছবিগুলোও দেখেছিলাম।শতদল ক্লাব ৪৪ বছর ধরে পূজা করে আসছে,বিষয়টা আসলেই অনেক কিছুর স্বাক্ষী।
ছবিগুলো সুন্দর ছিল,শুভ কামনা রইলো।
শতদলের এই পুরো পূজোর সাজগোজ আমার জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে। এদের মাথায় বুদ্ধি এবং শৈল্পিক চিন্তা চেতনা রয়েছে বোঝাই গেল। কি চমৎকার ঝিনুক এবং নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে কাজ করেছে। আর আলোকসজ্জা তো চোখ ধাঁধানো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ জানাই দাদা এই অপরুপ সৌন্দর্য আমাদের দেখানোর জন্য।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
আপনাদের অনেকগুলো ক্লাবে একেক রকম থিম নিয়ে পুজো হয়।এবারের শতদল ক্লাবের থিমের নামটা আসলেই ইউনিক।স্বপ্ন-সুন্দর -প্রকৃতির প্রত্যাশা" বেশ সুন্দর নাম।৪৪ বছরে পর্দাপন করেছ, তাহলে তো অনেক। যদি ও পুজা আমার কাছ থেকে দেখা হয়নি।তবে লাইনটিং আর সাজানে গুছানো বেশ ভালোই লাগে।আসলে এত এত আলোকসজ্জা লাইনে দাড়িয়ে হলেও উপভোগ করতে ভালোই লাগে।এর আগে দেখেছিলাম কাঁচের টুকরো এখন শতদলে ঝিনুক, নারিকেলের ছোবরা ও কাঠের গুড়া ব্যবহার করে অনেক সুন্দর প্যান্ডেল তৈরি করেছে, ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মণ্ডপের ভিতরে উপরের গোলাকার লাইটিংগুলোও বেশ সুন্দর মতোই সাজিয়েছে।সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর দিন কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ
শতদল ক্লাব এর কালী পূজা দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর ।তাই প্রতিবছর শতদল ক্লাব এর নাম থাকে। চার দিন অসম্ভব বির হওয়ার কারণে আপনি রাত দশটার পরে গিয়েছেন পূজা দেখতে। আসলে এটাই স্বাভাবিক অতিরিক্ত ভিড়ে পূজা দেখতে গেলে পূজা তেমন একটা ভালোভাবে দেখা হয় না ।কালী পূজায় ঘোরাঘুরির মাধ্যমে আপনি অনেক আনন্দ করেছেন যা আপনার কালি পূজার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।