মিষ্টি কুমড়ো এবং চিংড়ির সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি কুমড়োর তরকারি রান্না করেছি। এই কুমড়োটি বেশ মিষ্টি ছিল, ফলে খেতে অসাধারণ লেগেছিলো। কুমড়ো মিষ্টি হলে আমার আর কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না, মনে হয় এটা দিয়েই খেয়ে উঠি পুরোটা। আমি আগে এক তারিখ বলেছিলাম যে কুমড়ো কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায় যেটা আমি মাঝে মাঝে খাই তরকারি কাটার সময়। কুমড়ো কিন্তু একটা সবজি হওয়ার সাথে সাথে অন্যদিক থেকে ফল হিসেবেও বিবেচিত হয়। কারণ হিসেবে বলি আমরা যেসব স্লাইস বা মজা জাতীয় জুইস বাজার থেকে কিনি বা দেখি এইগুলো তৈরি করতেও কিন্তু কুমড়ো ব্যবহার করে থাকে। আর সব থেকে বড়ো কথা কুমড়োতে ভিটামিন A থাকে যা আমাদের রাতকানা রোগের থেকে রক্ষা করে আর এটা আমরা সবাই জানি। এছাড়াও আছে নানান পুষ্টিগুণ। তবে ভিটামিন জাতীয় যেসব খাবার থাকে সেগুলো যদি আমরা প্রতিদিন প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত গ্রহণ করতে থাকি তাহলে আমাদের শরীরে কখনো কখনো অস্বাভাবিক অবস্থাও সৃষ্টি হতে পারে। ফলে বলা হয় যেকোনো জিনিস অতিরিক্ত যেমন ভালো নয়, তেমনি এই বিষয়টাও খাদ্য খাবারের দিক থেকেও একই। যাইহোক এই কুমড়োর রেসিপিটা আমি চিংড়ি দিয়ে করেছিলাম আর খেতেও অনেক টেস্টি হয়েছিল। এইসব খাবারে চিংড়ি না হলে মোটেও জমে না ফলে এইসব খাবার থাকলে চিংড়ি মাস্ট দিতে হবে না হলে কোনো মজা পাওয়া যাবে না খেয়ে। এখন আমি এই রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
❣এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---
➤চিংড়িগুলোকে প্রথমে ভালো করে কেটে নিতে হবে এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি কুমড়োর খোসা ফেলে দিয়ে কেটে নিয়েছিলাম ছোট ছোট করে এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
➤আলু দুটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম। রসুনের খোসা ফেলে দেওয়ার পরে কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলো কেটে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা সব চিংড়িতে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তা গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤চিংড়িগুলোকে ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর আলুর পিচগুলো সব ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে ১ টা শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে একটি তেজ পাতা আর জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জিরাটাও একটু ভাজা মতো হয়ে আসলে তাতে কেটে রাখা কুমড়োর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤আলু দেওয়ার পরে তাতে রসুনের কোয়াগুলো আর কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤মশলা দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা চিংড়িগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি খানিক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম এবং তরকারি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে আসা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।
➤কুমড়ো আর চিংড়ির দারুন সুস্বাদু তরকারি হয়ে গেলে আমি চুলা অফ করে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। কুমড়োর তরকারিতে আমি জল মোটামুটি প্রায় জ্বাল দিয়ে কমিয়ে নিয়েছিলাম, এক প্রকার বলা যায় ঘন্ট হওয়ার কাছাকাছি। কুমড়োতে ঝোল একদম কমিয়ে রান্না করলে খেতে বেশি টেস্টি হয়ে থাকে। যাইহোক আমি এই রেসিপিটা পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এর আগের কোন একটি পোস্টে আপনি বলেছিলেন মিষ্টি কুমড়ো কাঁচা খেতেও আপনার কাছে বেশ ভালো লাগে এবং মিষ্টি লাগে। তবে যাই হোক দাদা চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়ো রান্না করলে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর মিষ্টি কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। আমাদের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে যদি আমরা সামঞ্জস্যতা না আনতে পারি তাহলে অনেক সময় ক্ষতি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত কোন কিছু আবার ভালো নয়। তবে মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাসায় মাঝে মাঝেই এই ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয়। লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।❤️❤️❤️❤️
দাদা আমি ও কিছুদিন আগে ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখে অবাক হয়েছিলাম ,কারণ আমরা বাজার থেকে যেসব ফ্রুটি কিনে খেয়ে থাকি ,ঐগুলো ম্যাংগো নামে চালানো হয়।কিন্তু আসলেই ওটা তৈরি করা হয় মিষ্টি কুমড়া দিয়ে।ব্যবসায়ীরা আমাদের ধোকা দিয়ে বাজারে বিক্রি করে।তবে একটি বিষয় ভেবে ভালো লাগে যে আমরা এটি ভুল নামে কিনে খেলেও এতে ক্ষতিকারক কিছু নেই।মিষ্টি কুমড়া ও শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর।আর মিষ্টি কুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছ অনেক ভালো লাগে খেতে।গতদিনই খেলাম আমাদের বাড়িতে রেসিপিটা।আপনার রেসিপিটা সুন্দর হয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আমি প্রথমেই বলতে চাই আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতায় মুগ্ধ হলাম। অনেকদিন পরে আপনার রেসিপি দেখলাম। যদিও আমি বেশ কিছুদিন আমার কাজ থেকে দূরে ছিলাম। তাই আপনার তৈরি করা মজার মজার রেসিপি গুলো খুব মিস করেছি। আপনাদের সকলের দোয়ায় সুস্থ হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। আশা করছি এখন থেকে আপনার মজার মজার রেসিপি গুলো আবারো দেখতে পাবো। চিংড়ি মাছ ও মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে তৈরি করা রেসিপি দারুণ হয়েছে দাদা। সাথে আবার আলু দিয়েছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ো, আলু ও চিংড়ি মাছের মিশ্রণে দারুন রেসিপি তৈরি হয়েছে। প্রতিটি খাবারের মাঝে যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে মাঝে মাঝে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর রাখা উচিত। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।
আজকে আপনার রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে দাদা। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন। আসলে মিষ্টি কুমড়া খুবই উপকারী, এই মিষ্টি কুমড়াতে ভিটামিন A থাকে যার কারণে রাতকানা রুগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিষ্টিকুমড়া এমন একটি ফল বা সবজি মিষ্টি কুমড়া রান্না করে খাওয়া যায়। আবার মিষ্টি কুমড়া দিয়ে নানা রকম জুস তৈরি করা হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা মিষ্টি কুমড়াতে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই বলে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। কোনকিছুই অতিরিক্ত ভালো না। সবকিছুই পরিমাণমতো করতে হবে। আজকে আপনার মিষ্টি কুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
মিষ্টিকুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।মিষ্টি কুমড়া অনেক গুণে গুণান্বিত।এটি দেখতে যত সুন্দর খেতেও তেমন মিষ্টি।আমার মা খুব সুন্দর করে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে পুঁইশাক চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে যা খেতে অনেক টেস্টি হয়।♥♥
মিষ্টি কুমড়ো এবং চিংড়ির সুস্বাদু রেসিপি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আপনি তুলে ধরেছেন প্রতিটি ধাপ।আর আপনি একদম ঠিক বলেছেন দাদা মিষ্টি কুমড়া চিংড়ি ছাড়া যেন জমে না।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে।এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।♥♥
আপনি চিংড়ি মাছের সব মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেন। আজকে মিষ্টি কুমড়ো এবং চিংড়ি মাছ এর সমন্বয়ে মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আর এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রেসিপি দেখে যতটুকু মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে আর লোভ জাগানো এমন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আসলে ভাইয়া কুমড়ো কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় এই কথা আমি প্রথম শুনলাম। যাই হোক নতুন কিছু তো জানতে পারলাম। আর রাতকানা রোগের জন্য ভিটামিন এ খুবই প্রয়োজন। যা কুমড়োতে উপস্থিত। তাই আমাদের ছোট-বড় সকলের উচিত কুমড়ো খাওয়া। যাই হোক আপনার স্কুল আমার এমনিতে অনেক ভালো লাগে আজকের রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনার পরবর্তী এসিপির অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
ধন্যবাদ একটু শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য😊
দাদা খাওয়া বলতে যেটা বুঝায় কাঁচা মিষ্টি কুমড়া আমি সেভাবে খাই না। তবে মিষ্টি কুমড়া কিনতে গেলে আমি কাঁচা অবস্থায় খেয়ে মিষ্টি লাগলে তারপর কিনে নিয়ে আসি। আর এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই যে মিষ্টি কুমড়া পুষ্টিগুনে ভরপুর বিশেষ করে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A আছে। আমার কাছেও মিষ্টি কুমড়া চিংড়ি মাছ ছাড়া একেবারেই খেতে ভালো লাগে না। যাইহোক দাদা প্রত্যাশা করছি মিষ্টি কুমড়া ও চিংড়ি মাছের রেসিপিটি খেতে সুস্বাদু হয়েছিল। আর ঝোল ভাব না রেখে একটু শুকনো হওয়াতেই খেতে বেশি ভালো লাগবে। মিষ্টি কুমড়া ও চিংড়ি মাছের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মিষ্টি কুমড়া এবং চিংড়ি মাছের কি লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করলেন দাদা। দেখে তো লোভ সামলানোই মুশকিল জিভে জল চলে আসলো ।ইচ্ছে করছে হাতমুখ ধুয়ে খাবার জন্য বসে যাই গরম গরম ভাতে। সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন রন্ধন প্রণালীর শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য 🌹