ওয়েব সিরিজ রিভিউ: পর্ণশবরীর শাপ ( পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'পর্ণশবরীর শাপ' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বটির নাম হলো "কে তুই?"। গত পর্বে দেখেছিলাম অর্না নামক মেয়েটি কাঠের উপর নখ দিয়ে আঁচড়াচ্ছিলো আর অনিন্দিতা সেটা দেখে অনেক ভয় পেয়ে যায়। এরপরে ঘটনা কি ঘটে সেটা দেখবো।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
অনিন্দিতা এই অবস্থা দেখার পরে গৌরব আর তার বন্ধুকে ডাকে। তবে এই বিষয়টাকে তারা বেশি একটা গুরুত্ব দেয়নি, শরীর খারাপের কারণে বিষয়টা হেয়ালিভাবে দেখে। পরে অনিন্দিতা গৌরব আর অর্নাকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়, যাতে আশেপাশের পরিবেশ থেকে ঘুরে আসলে একটু ভালো লাগবে। তবে অনিন্দিতার মনে বিষয়টা সন্দেহ জাগে, কারণ সে একজন ডাক্তার। আর ডাক্তারের কাছে এইসব বিষয় বোঝাও তেমন একটা কঠিন ব্যাপার না। অনিন্দিতা পরে গৌরব এর বন্ধুকে ডেকে দেখায় রাতে যে জানালায় রক্ত লেগে ছিল। গৌরব এর বন্ধু একটু সব বিষয় নিয়ে ইয়ার্কি মেরে থাকে, ফলে এই রক্তের বিষয়টাও নিয়ে অনিন্দিতার সাথে ইয়ার্কি মারে। এখন গৌরব আর অর্না পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যেতে থাকে এবং রাস্তার মাঝখানে অনেক লোকজনের ভিড় দেখে। ওখানে মূলত একটা জন্তুর মৃত দেহ পড়ে ছিল আর এই ঘটনাটাও ঘটনা না এলাকাবাসীর কাছে।
কারণ এলাকাবাসী জানে এখানে জঙ্গলের সাইটে এইরকম ঘটনা ঘটতেই থাকে, হয়তো সেটা কোনো জন্তুর বা কোনো মানুষের হতে পারে। আর গৌরব যেহেতু একজন পুলিশ অফিসার সেই হিসেবে সে সেখানকার লোকজনদের কাছে ঘটনা শুনতে চায়। মূলত এই জন্তুটা মরা নিয়ে তাদের মধ্যে তেমন হালচাল নেই, তবে পাশে যে অদ্ভুত ধরণের পায়ের ছাপ পেয়েছে সেটা দেখে সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পায়ের ছাপটা মূলত অদ্ভুত ধরণের হলেও সেটি মানুষের মতো দেখতে, আর গৌরব ইনভেস্টিগেশন এর জন্য এটি ছবি তুলে নেয়। কিন্তু অর্নাকে যে গাড়িতে বসিয়ে রেখে গিয়েছিলো, পরে দেখে সেখানে আর নেই অর্থাৎ অর্না সেই মৃত জন্তুর ধারে গিয়ে বসে আছে আর সেই জন্তুর শরীর ফেড়ে সবকিছু টেনে টেনে বের করছে আর রক্ত মাখছে। তবে অদ্ভুত বিষয় হলো সে এইসব করছে আর হাসছে অর্থাৎ সে যেন এইসব করে নিজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে। গৌরব এই বিষয়টা দেখে হতবাক হয়ে যায়।
এরপর সেখানে থেকে সেই অবস্থায় বাংলোয় ফিরিয়ে আনে। অর্না একদম পুরো চুপচাপ থাকে সবসময়, কারণ অর্না অন্য একটা জগতের ভিতরে আছে আর সে ওই ভাষায় কথা বলছে আপন মনে। তাছাড়া বাইরে আর কে কি বলছে সেটা তার কানে পৌঁছাচ্ছে না, কখনো কখনো সে নেপালি ভাষায় কথা বলে যাচ্ছে। তাকে যে বাড়িতে নিয়ে আসলো সেই সাথে সাথে রক্তমাখা অবস্থায় রুমে গিয়ে আবারও নখ দিয়ে আঁচড়াতে থাকে। অনিন্দিতা তার কাছে গেলে তার চাহনি দেখে আরো ভয় পেয়ে যায়, কারণ তার চোখ যেন রক্তবর্ণে ঝলমল করছে। এইসব দেখে অনিন্দিতা আর গৌরব আন্দাজ করতে পারে যে, নিশ্চিত কিছু একটা ঘটনা ঘটেছে। এরপর তারা তাদের ভাদুড়ী স্যারকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ এইধরণের কেস সে হ্যান্ডেল করে থাকে সবসময়।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই পর্বে মূলত যেটা তারা সবাই বুঝেছে যে অর্নার শরীরে কোনো কিছু একটা ভর করেছে অর্থাৎ জীন বা আত্মা যেসব বলে আর কি। এখন তার এই অবস্থা দেখে বের করার একমাত্র উপায় কোনো সাইকোলজিক্যাল কন্সাল্ট্যান্ট এর মাধ্যমে। আর এইটা ভালো পারে একমাত্র তাদের ভাদুড়ী নামের একজন স্যার। প্রথমত আশেপাশের কোনো হসপিটালে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কথা বলছিলো, কিন্তু এই সমস্যা হসপিটালে গেলে সমাধান হবে না। আর অনিন্দিতা একজন ডক্টর , তাই সে বিষয়টা বুঝতে পেরেছে। আর অনিন্দিতা যে হসপিটালের ডক্টর সেখানেও এই ঘটনা একবার ঘটেছিলো অর্থাৎ একজন পেসেন্ট ছাদের উপর থেকে কোনো শক্তির সাহায্যে পড়ে যাচ্ছিলো অর্থাৎ নিজেই ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিলো। কিন্তু ভাদুড়ী নামের সেই লোকটা তাকে তার শক্তি দিয়ে বাঁচিয়েছিলো। এখানে অর্নার যে কেস তাতে তিনিই একমাত্র ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবে বলে জানান। এখানে 'কে তুই?' কথাটির অর্থ ওটাই যে, অর্না আসলে কে, তার মধ্যে অন্য্ আরেকজন আছে মানে সে আর অর্না না, অন্য কারো দ্বারা পরিচালিত। এখন এই ভাদুড়ী লোকটা কিভাবে এই কেসটা হ্যান্ডেল করতে পারে সেটা পরে দেখা যাবে।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
সিরিজটি মনে হচ্ছে দাদা বেশ ভৌতিক। আর এমন ভৌতিক সিরিজ গুলো দেখতে কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে। বেশ রহস্যময় সিরিজের প্রতিটি চরিত্র। কিন্তু ভাদুড়ী নামের সেই মানুষটির অদৃশ্য শক্তির কথা শুনে আমার কেমন ভয় ভয় লাগছে। দারুন একটি সিরিজের রিভিউ করেছেন দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দ্বিতীয় পর্ব পড়ে মনে হচ্ছে এটা ভৌতিক এবং রহস্যজনক। আপনার লেখাটা এতো ভালোভাবে লিখেছেন যে ওয়েব সিরিজটা দেখতে ইচ্ছে করছে।
দেখে ফেলো। ভালোই ইন্টারেষ্টিং আছে, তবে মাঝরাতের দিকে দেখলে মজা পাবে😀।
দাদা আপনি আজকে পর্ণশবরীর সাপ ওয়েব সিরিজটার, দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। যেটা সম্পূর্ণ পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর দেখছি এই পর্বটার নাম ছিল 'কে তুই'। আমার কাছে পর্বটার নাম দেখেই অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে দাদা। এরকম ওয়েব সিরিজ গুলো দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই মজা হবে। এই ওয়েব সিরিজটা দেখতে ভালোই লাগবে। এখানে তো দেখছি কে তুই এই কথাটার দ্বারা অর্নার শরীরের ভেতর থাকা ওই আত্মাটাকে বোঝানো হয়েছে। আসলে এরকম বিষয়গুলো ডাক্তাররা হ্যান্ডেল করতে পারে না। এখন ভাদুড়ি লোকটা কিভাবে কেসটা হ্যান্ডেল করবে, এটাই দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। দেখা যাক অর্নার শরীর থেকে সেই আত্মাটাকে দূর করা যায় কিনা এবং আত্মার সম্পর্কে কি জানা যায়। আশা করছি পরবর্তী পর্বে এসব কিছু ক্লিয়ার হবে। দাদা এই ওয়েব সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব পড়েই আমার ওয়েব সিরিজটা দেখতে ইচ্ছে করতেছে। সময় পেলে আমি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব ভাবতেছি।
অর্নার ব্যাপারে অনিন্দিতা আর গৌরব স্বচক্ষে কিছু ঘটনা দেখে আন্দাজ করতে পারে যে, অর্নার কিছু একটা হয়েছে। অর্থাৎ অর্নার উপরে জ্বীন বা আত্না প্রবেশ করেছে। আর সেই দ্বিতীয় ব্যাক্তি তাকে দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছে। অনিন্দিতা আর গৌরব বুঝতো যদি তারা ডাক্তার আর পুলিশ না হতো। এখন ভাদুড়ী নামের স্যার কিভাবে কেসটা হ্যান্ডেল করে সেটাই দেখার বিষয়। আর গৌরব যে মোবাইলে ঐ জন্তুুর ছবিটা তুলেছে সেটা দিয়ে কোন তথ্য বের করতে পারবে। আর অনিন্দিতা তো ডাক্তার সেও অর্নার বিষয়ে অনেক কিছু ভাদুড়ী স্যারকে বলতে পারবে। দুইজনই ভাদুড়ী স্যারের সহযোগী হয়ে কাজ করতে পারবে। এখন দেখা যাক পরের পর্বে কি হয়। ধন্যবাদ দাদা।
ওয়েব সিরিজটি বেশ ভয়ানক লাগছে । যদিও আমি মুভি বা ওয়েব সিরিজ তেমন একটা দেখি না। তবে আপনারে রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছা পোষণ করছি। কারণ এ ধরনের মুভি ড্রামা গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা ওয়েব সিরিজ গুলো আমার খুব ভালোই লাগে। ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়লে প্রত্যেকটা পর্বের সম্পূর্ণ কাহিনী জানা যায়। এই ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্ব থেকেই আমার কিছুটা ভয় লাগতেছে। কারণ এটার মধ্যে ভয়ঙ্কর এবং রহস্যজনক কিছু বিষয় রয়েছে। অর্নার শরীরে মনে হয় কোন আত্মা প্রবেশ করেছে। আর এখন অর্না কিন্তু আর অর্না নয়। অর্নার চোখ দেখে অনিন্দিতা আর গৌরব ভয় পেয়েছিল, এবং এটা আন্দাজ করেছিল যে তার কিছু না কিছু হয়েছে। আর এই জন্যই তো ভাদুড়ী স্যার কে ডাকার সিদ্ধান্তটা তারা নিয়েছিল। আর তিনি তো এই ধরনের কেসগুলো হ্যান্ডেল করে থাকে, তাই ওনাকে ডাকার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ভালোই করেছে। এখন তিনি আসলেই বোঝা যাবে আসলেই অর্নার শরীরে আত্মা রয়েছে কিনা। আমার মনে হচ্ছে তিনি এই কেসটা হ্যান্ডেল করতে পারবেন। এখন এটাই দেখার পালা আসলে কি তিনি কেসটা হ্যান্ডেল করতে পারবে কিনা। দ্বিতীয় পর্বে আশা করছি আরও কিছু বিষয় জানা যাবে। পুরোটা পড়েই খুব ভালো লেগেছে দাদা।