ওয়েব সিরিজ রিভিউ: দুর্গ রহস্য ( পর্ব ৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'দুর্গ রহস্য' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব তথা অন্তিম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "কাওহেন সত্যানেশি"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে কলমচরের অপরাধে মনিলাল বাড়িতে থাকা মাস্টারকে অর্থাৎ রামপ্রতকে চোর সাজিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আজকে অন্তিম পর্বে দেখবো কাহিনীর রহস্য কি বের হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
ওই ঘটনার পরে ব্যোমকেশ আর তার বন্ধু অজিত মিলে জঙ্গলের ভিতরে থাকা সেই সাধু বাবার কাছে আবারও শুনতে যায় যে, ওইদিন যে খুনটা সাপে কেটে হয়েছিল তার সম্পর্কে কিছু জানে কিনা বা কাউকে দেখেছে কিনা সেখানে। সাধু বাবা এইবার সবকিছু বলতে চায় অর্থাৎ তিনি সবকিছুই জানেন এবং কে খুনটা করেছে বা কি কারণে করেছে সবটাই তার কাছে জানকারী আছে। তবে ওই মুহূর্তে তাদের একজন ফ্লো করছিলো, আর ঝাড়ের থেকে একটা শব্দও আসে সেখানে। তবে ব্যোমকেশ হালকা টের পেলেও সাধু বাবা পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল যে, এইটা কে হতে পারে। আর তাই তাদের রাত ১২ টার দিকে আসতে বলে আর তখন সবকিছু বলবে। ব্যোমকেশও বিষয়টা বুঝে কিছু না বলে সেই হিসেবে আসার জন্য রাজি হয়।
এখন ওইদিন রাত ১২ টার দিকে যখন তারা দুইজন ওই জঙ্গলের পথ ধরে যাচ্ছিলো, তখন হঠাৎ রামপ্রতকে তাড়াহুড়ো করে দৌড়াতে দেখে। এরপর সামনে পড়ে গেলে বলে তাকে সেই কলমচরের কারণে অনেক মেরেছে আর তাড়িয়ে দিয়েছে তাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে যদি তাকে পেলে আবার মারে এইজন্য। এখন তার অবস্থা দেখে ব্যোমকেশের মনে হয় যে সকাল থেকে না খেয়েই আছে আর তার জন্য তাকে আবার দুর্গে নিয়ে গিয়ে তাদের রুমে খেতে বসিয়ে দিয়ে আবার যায় সাধু বাবার সাথে দেখা করতে। এখন সেখানে গিয়ে ডাকাডাকি করলে আর সাড়া দেয় না এবং কিছুক্ষন ধরে কোনো সাড়াশব্দ না দিলে গিয়ে দেখে কেউ তাদের আসার আগেই মেরে দিয়েছে আর তার পায়েও একইভাবে সাপের কাটা দাগ দেখতে পায়।
এরপর তারা দুর্গে ফিরে আসে আর বাড়ির সবাইকে পরেরদিন কেল্লায় একত্রিত হতে বলে, কারণ খুনি কে হতে পারে সেটা ধরে ফেলেছে ব্যোমকেশ। এদিকে রামপ্রতকে যে খেতে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছিলো, সে আবার সেখান থেকে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায় আর পুলিশও তার পিছু নেয়। এদিকে পান্ডেও সব হাবিলদার নিয়ে দুর্গে এসে হাজির হয় আর যারা যারা বাড়ি থেকে বাইরে গিয়েছে সবাইকে ধরে নিয়ে আসে, সাথে রামপ্রতকেও। এরপর সব সত্যি ঘটনা এবং রহস্যগুলো এক এক করে তাদের সামনে খুলতে থাকে আর খুনির কাছ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য রামপ্রতকে ব্যবহার করে কিছুক্ষনের জন্য।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই ঘটনার একটা বড়ো রহস্য হলো এখানে যে সাধু বাবাটা জঙ্গলের ভিতরে দিন রাত ২৪ ঘন্টা বসে ধ্যান করতো, সে আসলে রামকিশোর বাবুর বড়ো দাদা ছিল। আসলে এখান থেকে বহু বছর আগে যখন শহরে প্লেগ ছড়িয়েছিলো আর তাতে আমি বলেছিলাম যে একজন মারা গিয়েছিলো তাই জলে ভাসিয়ে দিয়েছিলো। আসলে সে মারা যায়নি, তাকে মৃত ভেবে সেখানে ফেলে রামকিশোর চলে এসেছিলো। আর তার দাদা এই ছদ্দবেশে ধারণ করে বছরের পর বছর ওই জঙ্গলে জীবন অতিবাহিত করে দেয় শুধু তার সম্পত্তির ভাগ আদায় করার জন্য, কারণ এই সম্পত্তির উপর সবারই লালসা ছিল। আর রামকিশোর আগে থেকেই জানতো যে এই সাধু লোকটা তার দাদাই, আর সেটা ব্যোমকেশ আঙ্গুল দিয়ে তাকে বুঝিয়েও দেয় সেখানে। এখন সব থেকে মূল রহস্য হলো, আসল খুনিটা কে? এখানে প্রথমে ব্যোমকেশ গল্পটা রামপ্রতকে খুনি সাজিয়ে শুরু করে আর সব দোষ তার কাঁধেই দেয়।
কিন্তু যখন পাল্টি মেরে আবার বলে বসে মনিলালকে পেন দিতে বলে, কারণ সে একটা কাগজে লিখে বিষয়টা সবাইকে বোঝাতে চায় আর তখনই ওই কলম দেখে মনিলালকে টার্গেট করে বলে যে এই নিপের মাথায় বিষ থাকতে পারে এবং ছিল আর সেটা ল্যাবে টেস্ট করে জানাও গিয়েছে। এরপর মনিলাল ধরা খেয়ে যায়। আসলে এই বিষাক্ত নিপের মাথা দিয়ে সবাইকে ফুটিয়ে খুনগুলো করেছে। এরপর তাকে পুলিশ ধরতে গেলে পালিয়ে দুর্গের উপর থেকে লাফ দিয়ে দেয় আর ধরতে পারে না, কেস ক্লোস করে দেয়। তবে এই গুপ্তধনের রহস্যটাও বের করে দেয়, কারণ সেই সময় রাজারাম অর্থাৎ তাদের পূর্বপুরুষরা সোনা দানা যা ছিল সব গলিয়ে একটা তোপ এর ভিতরে রেখে দিয়েছিলো, যাতে কেউ দেখলেও বুঝতে না পারে এর মধ্যে কি আছে।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৯/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আজকে আপনি আমাদের সবার মাঝে দুর্গ রহস্য ওয়েব সিরিজের ষষ্ঠ পর্ব অর্থাৎ অন্তিম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে, পুরোটা পড়তে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সম্পূর্ণ ওয়েব সিরিজের রিভিউ আপনি খুব সুন্দর করেই লিখেছেন। এখানে তো দেখছি জঙ্গলে যে সাধু বাবা দিনরাত ২৪ ঘন্টা ধ্যান করত সে রামকিশোরের বড় দাদা। ওই লোকটা তো দেখছি মারা যায়নি, যদিও সবাই ভেবেছিল সে মারা গিয়েছে। সম্পত্তির ভাগ আদায় করার জন্য লোকটা এই কাজ করছিল দেখছি। আসলে সম্পত্তির লোভ সব মানুষের মধ্যেই আছে। আবার দেখছি দুর্গের সোনা দানা সবকিছু পূর্বপুরুষেরা গলিয়ে একটা তোপের ভিতর রেখে দিয়েছিল যেন কেউ বুঝতে না পারে। পূর্বপুরুষদের বুদ্ধি তো দেখছি বেশ ভালোই ছিল। এই বিষয়টা কেউ দেখলেও ভালোভাবে বুঝতে পারবে না। দাদা সম্পূর্ণ রিভিউ টা খুব ভালোই লেগেছে। সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দাদা অবশেষে দুর্গ রহস্য' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব তথা অন্তিম পর্ব রিভিউ পড়লাম। যে পর্বের নাম দিয়েছেন "কাওহেন সত্যানেশি। অবশেষে একে একে সব রহস্য সামনে চলে আসলো। আর জঙ্গলে যে সাদু বাবা ছিল,সে তাহলে রামকিশোরের দাদা। মূলত শহরে যখন প্লেগ রোগ ছড়িয়ে গিয়েছিল তখন তাকে মৃত মনে করে জলে ভাসিয়ে দিয়েছিল। মূলত সে মারা যায়নি। মানুষ সম্পদের লোভে নিজের দাদাকেও মৃত বানিয়ে ফেলে দিয়েছে। আর সমস্ত খুনের মূল হোতা হলো মনিলাল। যে নাকি কলমের নিপের মধ্যে বিষ রেখে খুন গুলো করেছে। সে এমন চালাকি করেছে যে কেউ যেন তাকে সন্দেহ করতে না পড়ে। এমনকি কোন মানুষকে পর্যন্ত সন্দেহ করার অবকাশ নেই। আর গুপ্তধনের রহস্যটাও বের হয়ে এসেছে। সেই সময় রাজারাম অর্থাৎ তাদের পূর্বপুরুষরা সোনা দানা যা ছিল সব কিছু গলিয়ে একটা তোপ এর ভিতরে রেখে দিয়েছিলো। যাতে কেউ দেখলেও বুঝতে না পারে এর মধ্যে কি আছে। বড় বড় কড়াই গুলো যে দেখিছিলাম সে গুলোতে এই অলংকার গুলো গলিয়েছিল। যায়হোক অবেশেষে এই সিরিজের অনেক গুলো রহস্য জানতে পারলাম। সেই সাথে সিরিজটাও শেষ হলো। দাদা নতুন সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
দাদা আপনার ওয়েব সিরিজ গুলোর রিভিউ যত পড়ি আমার কাছে ততই খুব ভালো লাগে। প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর করে ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করেন আপনি। দুর্গ রহস্য ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব তথা অন্তিম পর্ব আজকে আপনি সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে, অনেক বেশি ভালো লাগলো দাদা। আর দেখছি এই পর্বের নাম ছিল কাওহেন সত্যানেশি। এই পর্বে সকল রকম রহস্য বেরিয়ে এসেছে, এ বিষয়টা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। নিপের মাথায় বিষ ছিল, আর এটা ল্যাবে টেস্ট করার ফলে জানা গিয়েছে দেখছি। আর দেখছি রামকিশোরের দাদা জঙ্গলে ছদ্মবেশে রয়েছে অনেক বছর ধরে। বিষাক্ত নিপের মাথা দিয়ে ফুটিয়ে খুনগুলো করেছে দেখছি। এত চালাকি করেছে, সত্যি অনেক মাথা খাটিয়ে এসব কিছু করেছে। এরকম পদ্ধতিতে মানুষকে মেরেছে, এটা ভাবতেই একেবারে খারাপ লাগতেছে। ধন্যবাদ দাদা, পুরোটা সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।