শৈশবের স্মৃতিচারণমূলক একটি দৃশ্যের চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি আর্ট পোস্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের এই আর্ট পোস্টটি একটু ব্যতিক্রমধর্মী করেছি। এই আর্টটা গ্রামবাংলার শৈশব স্মৃতিচারণমূলক বিষয় থেকে করার চেষ্টা আর কি। এখানে আসলে শৈশবের স্মৃতিচারণমূলক বিষয়টা হচ্ছে, আমরা শৈশবে কিছু কিছু খেলা খেলতাম যেগুলো খুবই পুরানো আর ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যেও একটি। আপনারা অনেকেই হয়তো ধারণা করতে পারছেন কি খেলা এটা। এই সাইকেল বা বাইকের টায়ার নিয়ে বা রিং নিয়ে লাঠি দিয়ে এইভাবে গ্রামের রাস্তা দিয়ে কে খেলেননি বলুন তো! প্রায় সবাই খেলেছি একসময়, আমিও এই খেলাটা খেলতাম। বিকেল হলেই নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম সাইকেল রিং নিয়ে।
এটা চালাতেও দারুন একটা আনন্দ ফিল হতো মনের ভিতরে। এইভাবে লাঠি ঠেকিয়ে বা টায়ারে বাড়ি মেরে মেরে দৌড়িয়ে চালানোর মধ্যে যে কি মজা, সেটা সেইসময় বুঝতাম। এখন খুবই মনে পড়ে এইসব স্মৃতিগুলো। এই দৃশ্যটাও আমি সেই স্মৃতির ধারাবাহিকতায় এঁকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এখানে যেমন দেখিয়েছি একটি বালক সাইকেলের টায়ার আর হাতে একটি ছোট লাঠি নিয়ে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে গ্রামের মাটির রাস্তা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। মোটামুটি গ্রামের একটি সাধারণ চিত্রের মধ্যে যেটা ফুটে ওঠে সেটাকেই বাস্তবিকতার সাথে মিলিয়ে তুলে ধরেছি। যাইহোক, আশা করি অঙ্কনটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। এখন অঙ্কনের মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
❣উপকরণ:❣
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---
❖প্রথম ধাপে, গ্রামবাংলার যেসব দৃশ্য থাকে-যেমন, একটি মাটির তৈরি ঘরবাড়ি, গ্রামের মাটির মেঠো পথ, আশেপাশে গাছপালা, গ্রাউন্ড পুরোপুরি এঁকে সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। এরপর একটি বালককে এখানে দৃশ্যের প্রধান হিসেবে তুলে ধরেছিলাম, যেখানে বালকটি টায়ার নিয়ে খেলছে।
❖দ্বিতীয় ধাপে, পুরো অঙ্কনের বিষয়বস্তুকে মার্কার পেনের কালী দিয়ে গাঢ় কালী করে দিয়েছিলাম।
❖তৃতীয় ধাপে, মোম রং ব্যবহার করে আকাশের দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম এবং সেই সাথে রাস্তার পাশে একটি গাছের পাতায় কালার করে দিয়েছিলাম।
❖চতুর্থ ধাপে, রাস্তার আশেপাশে সবজায়গায় কালার করে সবুজ ঘাসের মতো দেখতে করে দিয়েছিলাম। এরপর গাছের বডিতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে ঘরের চালে কালার করে দিয়েছিলাম।
❖পঞ্চম ধাপে, ঘরের দেওয়ালে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর টায়ারটিকে কালার করে দিয়েছিলাম।
❖ষষ্ঠ ধাপে, বালকটিকে এবং তার পরনের পোশাকে সম্পূর্ণ ফিনিশিং কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর রাস্তাটিকে কালার করে এবং শূন্যে উড়ে যাওয়া কিছু পাখির দৃশ্য এঁকে অংকণটির এখানেই সমাপ্তি ঘটিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শৈশবের স্মৃতি অপরূপ সুন্দরভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে শৈশবের এই দৃশ্যগুলো এখন খুবই মনে পড়ে। এখন আর শিশুদের মধ্যে এখন আর ছেলে মেয়েদের মধ্যে এই ধরনের খেলা দেখতে পাওয়া যায় না। আগে আমরা সাইকেল ও মোটরসাইকেলের টায়ার দিয়ে খেলাধুলা করতাম বন্ধুদের সাথে, কত আনন্দময় সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছি। দিনগুলো আর ফিরে পাবো না। আমাদের সমাজে এখন মোবাইল গেম নিয়ে যেন ব্যস্ত থাকে ছেলে মেয়েরা, আপনি অপরূপ সৌন্দর্যময় এই দৃশ্যটি অঙ্কন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন,দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা সত্যি বলতে ছোটবেলায় অনেক খেলেছি আবার এই খেলার জন্য আম্মুর হাতে অনেক মারও খেয়েছি কারণ সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে যখন বাড়িতে আসলে আম্মু পিটানি দিত 😆 দারুণভাবে অংকন করেছেন দাদা একদম পুরোপুরি অতীত যেন মনে করিয়ে দিলেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা অবশ্যই মানতে হবে যে আর্ট দক্ষতায় আপনি আমাদের কমিউনিটির সেরা একজন আর্টিস্ট। গ্রামীণ সমাজের ছোটবেলাকার স্মৃতিচারণ দৃশ্যটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। ছোটবেলায় স্কুল থেকে এসেই একটু খাওয়া করেই বেরিয়ে পড়তাম এই টায়ার নিয়ে। সবাই এখানে হয়ে চলতো রেস। আবার দুষ্টুমিও চলতো একজনের টায়া দিয়ে আরেকজনের টায়ারকে ফেলে দিতাম। এই নিয়ে ঝগড়াও বেঁধে যেত। কতইনা মজাদার ছিল সেই সময়গুলি। আপনার আর্টটি দেখে সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। অসম্ভব সুন্দর স্মৃতিচারণ একটি আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
দাদা এত সুন্দর করে শৈশবটাকে আর্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন যে দেখেই মনে হচ্ছে বাস্তবের কোন ছবি। বেশ সুন্দর কালার কম্বিনেশনও করেছেন দেখছি। আপনার শেয়ার করা শৈশবের স্মৃতি বিজরিত আজকের আর্টটি আমার কাছে কিন্তু দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার শৈশবের স্মৃতি স্মরণমূলক পোস্টটি আর্ট করা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। এই খেলাটাকে আমাদের গ্রাম বাংলায় টায়ার খেলা বলা হয়, আপনার এই আর্ট টি করার ক্ষেত্রে প্রথমে গ্রাম বাংলার মেঠো পথ ঘরবাড়ি ও সবুজ প্রকৃতি তৈরি করে নেয়াটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এমন একটি মনোমুগ্ধকর আর্ট আমাদের মাঝে করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের শৈশব গুলো কতই না সুন্দর ছিল। ছোট ছোট জিনিসগুলো পেয়েও আমরা অনেক খুশি হয়ে যেতাম। সামান্য টায়ার পেলেই একেবারে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতাম। আর গাড়ি বানিয়ে খেলার চেষ্টা করতাম। সত্যি দাদা আমাদের শৈশবগুলো হয়তো একই সূত্রে গাথা। তাই তো আমাদের স্মৃতিগুলো প্রায় একই রকমের। চিত্রটি দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। আপনি কিন্তু অনেক ভালো চিত্র অঙ্কন করেন। একেবারে প্রফেশনাল শিল্পীদের মতই ছবি আঁকেন আপনি।
এখনো যখন কাউকে দেখি এভাবে টায়ার নিয়ে খেলতে তখন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো এখনো অনুভব করি দাদা। সেই আনন্দ, সেই খেলার স্মৃতি, বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করা সবকিছুই অতীত হয়ে গেছে। তবে সোনালী সেই স্মৃতিগুলো এখনো মনে পড়ে। আপনার আর্ট দেখে এই আর্টের সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম দাদা। খুবই ভালো লেগেছে আপনার আর্ট।
শৈশবের একটি দৃশ্যের চিত্রাঙ্কন আর্টটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো দাদা।একে তো গ্রামীণ দৃশ্য তার উপরে ছেলেবেলার ঐতিহ্যবাহী একটি খেলার দৃশ্য খুব চমৎকার ভাবে আর্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনি ধাপে ধাপে কালার করছেন আর দৃশ্যটি খুবই সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। সত্যি ই দাদা আপনি চমৎকার আর্ট করেন।আপনার আর্টগুলো দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই।অনুপ্রাণিত হলে কি হবে আর্ট তো করতে পারিনা।তবে চেষ্টা করছি।দোয়া করবেন দাদা।আপনার জন্য রইলো অনেক শুভকামনা।
দাদা এই খেলাটা আমি শৈশবে অনেক খেলেছি। এই খেলাটা শৈশবে খেলতে যে কি ভালো লাগতো,সেটা বলে বুঝানো যাবে না। আপনার এই আর্টটি দেখে কিছুক্ষণের জন্য শৈশবের স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম দাদা। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও দারুণ একটি আর্ট উপহার দিয়েছেন দাদা। আপনার আর্ট গুলো এতটাই নিখুঁত হয় যে, অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। কালার কম্বিনেশনটাও জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সবমিলিয়ে আর্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।