এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ১৭ )

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। তাহলে চলুন এই পর্বে কি কি আলোকচিত্র থাকছে দেখে নেওয়া যাক।

Photo by @winkles

এই ছবিটি তুলেছিলাম সার্ভিস সেন্টার থেকে। এটা আমার বাইক কেনার পরে প্রথম সার্ভিসিং করানোর সময়ে আর কি। প্রথম সার্ভেসিং যদিও ৫০০ কিলোমিটারে লেখা ছিল, কিন্তু বেশি একটা চালানো হয়নি ওইসময়। আর সার্ভেসিং এর ডেটও চলে এসেছিলো, ফলে করিয়ে নিয়েছিলাম। তেমন কোনো সমস্যাও হয়নি, একদম নতুন মাত্র ১ মাস বয়স তখন। তাও ওরা কোম্পানির থেকে ইঞ্জিন অয়েলটা চেঞ্জ করে দিয়েছিলো আর হালকা টুকিটাকি ব্রেক এর সমস্যাগুলো ঠিক করে দিয়েছিলো। নতুন গাড়ি সার্ভেসিং এ দিয়ে আসতেও কেমন যেন মায়া লাগছিলো, একদিন পুরো সার্ভেসিং সেন্টারে ছিল ফেলানো। আমার তো সকালে উঠে আর তর সইছিলো না, এখুনি গিয়ে নিয়ে আসি হা হা। তারপর আবার বৃষ্টি হচ্ছিলো ওইদিন। তাও চলে গিয়েছিলাম আর সার্ভেসিং সেন্টারটা আমাদের বাড়ির কাছাকাছিই ছিল , ফলে সমস্যা হয়নি তেমন। এরপর নিয়ে আসার সময়ে আমার কন্সাল্ট্যান্ট বললো একটা ছবি তুলি, আমি বললাম তোলো, এটাই সেই হিসেবে তোলা হয়েছিল আর কি।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম আমার কলেজ থেকে। প্রায় ৩ বছর বাদে গত সপ্তাহে কলেজে গিয়েছিলাম। আগে আসলে ট্রেন করে যেতাম, ফলে অনেক দূরত্ব আর হেঁটে যেতে ভালোই কষ্ট হতো গরমের ভিতরে। আর এখন বাইকে করে কলকাতার রাস্তা দিয়ে কলেজে যেতে একটা আলাদা ফিলিংস কাজ করে। কলকাতার রাস্তায় চালিয়ে বেশ মজা আছে এই গাড়ি বলতে গেলে। গিয়েছিলাম আসলে সার্টিফিকেট আনতে, ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটিতে আসলে সার্টিফিকেট দিতে অনেক লেট করে। পরীক্ষা দিয়েছি সেই কবে আর দিচ্ছে ৩ বছর বাদে। তাও হয়রানির শেষ নেই, দুইদিন করে যাওয়া লেগেছে, প্রথম দিন আসলে ইচ্ছা করেই দেইনি, ইউনিয়নের পোলাপানগুলো একটু ঝামেলা করে মাঝে মাঝে, নিজেদের পরিচিতদের আগে ঢুকিয়ে নেয় আর বাকিরা পরে যায় বাদ।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৯ এপ্রিল ২০২৪


Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম একটি মাঠের ভিতর থেকে। বিকেলে একদিন মাঠের ভিতরে গিয়েছিলাম এবং সেখানে দেখলাম ছোট বড়ো সবাই একসাথে ফুটবল খেলছিল। খেলাধুলা আজকাল তেমন আসলে দেখা যায় না, অনেকদিন বাদে খেলতে দেখলাম আর দেখেও ভালো লাগে। নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে যায় এইসব দেখলে, আগে এইরকম মাঠে খেলার জন্য প্রায় ছুটে যেতাম বন্ধুরা মিলে, বেশ আনন্দ হতো এইসবে। খেলাধুলা শারীরিক দিক থেকে অনেক ভালো, এতে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে। এখন তো আসলে সবাই ফোনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে, এইসব খেলায় তেমন আসক্ত না আজকালকার ছেলেমেয়েরা।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৬ এপ্রিল ২০২৪


Photo by @winkles

এই ছবিটি তুলেছিলাম একটি গ্রামের দিক থেকে। সন্ধ্যার মুহূর্তে তুলেছিলাম বলতে গেলে। গাছের মাঝখানে হঠাৎ চাঁদের রশ্নি দেখা যাচ্ছিলো আর তাই ভাবলাম এটাকে ক্যামেরায় বন্দি করার চেষ্টা করি। গাছের পাতাগুলোর মাঝখান দিয়ে চাঁদটিকে দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে। যাইহোক, এটা জাস্ট ভালো লাগার থেকে তুলেছিলাম সন্ধ্যার মুহূর্তে আর কি।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২৪ মার্চ ২০২৪


Photo by @winkles

এই ছবিটিও তুলেছিলাম একটি গ্রামের ভিতর থেকে। একদিন বিকেলে গিয়েছিলাম ঘুরতে আর তখন প্রায় শীতের সময়ে। এখানে মাঠ ভর্তি সবজি চাষ করা আছে। এক কোথায় এখানে সব ধরণের সবজি পাওয়া যায়। তবে এদের কাছ থেকে যদি সবজিগুলো কিনে নেওয়া যায় ক্ষেতের থেকে, তাহলে খুব ভালো হয়। যদিও বাজারের দাম আর এদের কাছ থেকে কেনার মধ্যে দামের তেমন একটা পার্থক্য নেই, তবে ভালো হয় যে, একদম টাটকা সবজি পাওয়া যায়। বেগুন, টমেটো এইগুলো এদের কাছ থেকে ওইসময় বললেও দিয়ে দিতো, কিন্তু ব্যাগ নিয়ে যাইনি, নাহলে নিয়ে আসতাম আর কি। যাইহোক, এটা ওই মুহূর্তে গ্রামের প্রকৃতির মাঝে ভালো লাগা থেকে তুলেছিলাম।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

সুন্দর সুন্দর আলোকচিত্র শেয়ার করলেন দাদা আপনি অনেক ভালো লাগলো দেখে। আপনি বাইক সার্ভিসিং থেকে খুব সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি নিলেন। তাছাড়া ও বাইকে করে আপনি কলেজে গেলেন ফিলিংসটা অন্য ধরনের ছিল জানতে পেরে ভালো লাগলো। তাছাড়া ও সুন্দর পরিবেশে খেলাধুলার দৃশ্য দেখে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। আপনার আজকের শেয়ার করা অন্যান্য আলোচিত্র গুলো অসাধারণ হয়েছে দেখতে।

 4 months ago 

দাদা আপনার বাইকটা দেখতে কিন্তু দারুণ লাগে। আসলে রাস্তা ভালো হলে বাইক চালিয়ে খুব মজা পাওয়া যায়। যাইহোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে চমৎকার বর্ণনাও শেয়ার করেছেন। খেলার মাঠ দেখলে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। একসময় প্রায় সারাদিন মাঠে ক্রিকেট খেলতাম। আর এখন তো মাঠ একেবারে নেই বললেই চলে। এখনকার ছেলেমেয়েরা সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ক্ষেত থেকে টাটকা সবজি কিনতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

দাদা,আপনার বাইকের কথা শুনে তো হাসছি। একদিন সেখানে আপনিও থেকে যেতেন তাহলে আর কষ্ট লাগতো না,হাহাহা।তবে ফটোগ্রাফিতে আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো।পরবর্তীতে কলেজের ছবিটিও ভালো লেগেছে খুব।ফুলের ডেকোরেশনটা দেখার মত। আর ৩বছর বাদে সার্টিফিকেট পেলেন,তাহলে তো অনেক লেট করেছে। বিকেলবেলায় সবজি ক্ষেত থেকে ভালোই সবজি নিতে পারতেন,তাজা তাজা।কিন্তু ব্যাগ নেন নি,কি আর করা।সন্ধ্যার চাঁদের ছবিটাও দারুণ লেগেছে।আর মাঠে সবাই খেলা করছে দেখে খুব ভালো লাগছে। একটা সময় আমরাও এরকম খেলা করতাম। বর্তমানে সবাই কিন্তু মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

 4 months ago 

দাদা বিভিন্ন সময়ে সংগ্রহ করা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। এক চাষী ভাইকে দেখলাম জমি থেকে সবজি সংগ্রহ করছে। আবার রাতে গাছের ভিতরে দিয়ে চাঁদের ছবি দেখলাম। প্রাকৃতিক দৃশ গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

 4 months ago 

প্রথম বাইক তারপর মাএ একমাস বয়স। এইজন্যই হয়তো প্রথমে সার্ভিসিং এ দেওয়ার সময় আপনার খারাপ লেগেছিল এটা স্বাভাবিক। ট্রেনে করে এবং পরবর্তীতে বাইকে করে কলেজে যাওয়ার মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্ন ফিলিংস কাজ করে থাকে। বিকেলে খেলার মাঠে গিয়ে অন‍্যদের খেলতে দেখলে ঐ স্মৃতি ঐ মূহূর্তগুলো আমারও মনে পড়ে যায়। সবমিলিয়ে বেশ চমৎকার করেছিলেন ফটোগ্রাফি গুলো দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

 4 months ago 

আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা।কন্সাল্ট্যান্ট বললো একটা ফটোগ্রাফি করার জন্য তাই তুললেন।এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তার জন্য আজ আমাদের প্রিয় দাদাকে কিছুটা হলেও দেখতে পেলাম।সব সময় তো কন্ঠই শুনে আসছি।🤗 কলেজের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করার জন্য সেটাও দেখা হয়ে গেলো।গ্রামের পথে হঠাৎ চাঁদের ফটেগ্রাফিটিও দারুন লেগেছে দাদা।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি আর বর্ননা পড়ে অনেক বেশী ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ দাদা চমৎকার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

প্রথমেই বলবো বাইকে বসে থাকার ছবিটা দারুণ লাগছে ভাই। এটা সত্য নতুন জিনিস সার্ভিস সেন্টারে দিয়ে আসলে, মনের ভিতরে একটু খুঁতখুঁত করে। বেশ ভালো লাগলো জেনে, আপনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। আমাদের এখানেও একই অবস্থা, সার্টিফিকেট তুলতে বেশ ভালই হয়রানির স্বীকার হতে হয়। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম আপনার ছবিগুলো।

শুভেচ্ছা রইল ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59605.49
ETH 2607.69
USDT 1.00
SBD 2.42