দূর্গা পুজো ২০২৩ ( পর্ব ১৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। গত পর্বে দুবাইয়ের মিরাক্কেল হাউস প্যান্ডেলের কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলাম। আজকে বনগাঁর আরেকটি স্থানের আলোকচিত্র শেয়ার করবো। এটি বনগাঁর ১১ নম্বর পল্লী যুব গোষ্ঠীতে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত খুবই ছোটভাবে করে থাকে। তবে এদের এটা কোনো ক্লাব বা বড়ো কোনো মাঠের জায়গাও না, পল্লীতে রাস্তার পাশে একটি কর্নারে করে থাকে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
একদম ছোটোখাটো হলেও থিমটা ভালোই করেছিল অর্থাৎ এইবারের থিম রেখেছিলো "মহাকাল মন্দিরের আদলে"। মণ্ডপটি সাজিয়েছিল একটি মন্দিরের মতো দেখতে আর এখানে মহাকাল মানে সবকিছুই শিবের ত্রিশূল দিয়ে সাজানো হয়েছে। তবে সত্যি বলতে এই পল্লীর লিস্ট ছিল না বরং অন্য আরেকটি পল্লীতে দেখার লিস্ট করেছিলাম আর ওখানে শুনেছি বড়ো করে হয়। কোনো বছর সেভাবে এইসব পল্লীগুলোতে যাওয়া হয় না দেখার জন্য কারণ প্রায় সেই রাতের দিকে বেরিয়ে ভোর হয়ে যায় কিন্তু দেখা আর হয় না এইসব। তবে এই পল্লীটা সামনে পড়ে যায় প্রতাপগড়ের পুজো দেখতে যাওয়ার সময়, যেটা আগের পর্বে বলেছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
তবে এই প্যান্ডেলটিতে ঢোকার আগ্রহ হয়েছিল লাইটিং দেখে, এটি অনেকটা আকর্ষণীয় লাগছিলো। প্রথমত খড় দিয়ে একটা ছাতা বা ছাউনির মতো করেছে আর এখানে সব থেকে বড়ো বিষয় হলো এর ভিতরে কাপড়গুলো এতো ডিপ রেড দিয়েছে আর সাথে লাল লাইটিং, ফলে দেখে কিন্তু বোঝার উপায় নেই এখানে লাইটিং ছাড়া আর অন্য কিছু আছে। এছাড়া মাঝখানে লাইটিং আরো ৩-৪ পদের ব্যবহার করেছে, ফলে রেডের সাথে সাথে সেগুলোও দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। তারপরে সাইট দিয়ে কাঠের যে পাটাতনগুলি করেছে সেগুলোতে ত্রিশূলগুলো সাজিয়েছে যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো, আর এইগুলো অরিজিনাল লোহার তৈরি ত্রিশূল।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এছাড়া মন্দিরে যেমন আমরা বড়ো বড়ো ঘন্টা ঝুলিয়ে রাখতে দেখি, সেইরকম এখানেও বিভিন্ন জায়গায় ঝুলিয়ে রেখেছে। এইগুলো দেখে সত্যিকারের একটি মন্দির দর্শনের মতোই লেগেছিলো, কারণ বাইরের থেকে যেরকম মনে হোক না কেন, ভিতরে সবকিছু ভালো সাজানো গোছানো ছিল। মন্দির বা প্যান্ডেল যেটাই হোক না কেন এখানে সামনের প্রবেশদ্বারটা ত্রিশূল, ঘন্টা, কুলো এইসব দিয়ে ভালো একটা ডিজাইন করেছে গোলগালের মধ্যে। এখানে মায়ের মূর্তিটাও মহাকালের আদলে তৈরি করেছে, একদম সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের একটি ডিজাইন। মায়ের মূর্তির পাশাপাশি বাকি মূর্তিগুলোও সব মহাকালের আদলে ডিজাইনকৃত। যাইহোক, এটার ছোটখাটো কিছু এই আলোকচিত্র ছিল। পরের পর্বে আবার একটি স্থানের আলোকচিত্র নিয়ে হাজির হবো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | বনগাঁ |
তারিখ | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা গত পর্বে দুবাইয়ের মিরাক্কেল হাউস প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করেছিলাম। আজকের ফটোগ্রাফি গুলোও দারুণ হয়েছে। রাস্তার পাশে এক কর্ণারে ছোট জায়গায় তারা চমৎকার আয়োজন করেছে। লাইটিং গুলো দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। দূর্গাপূজায় এবার তাদের থিম, "মহাকাল মন্দিরের আদলে" চমৎকার ভাবে পুরো মন্ডপ সাজিয়েছে। দাদা সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম আপনার এই পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা খুব ভালো লাগলো আপনার এই পর্ব টা দেখে। দুর্গাপুজোর অনেকগুলো পর্ব আমার দেখা হয়নি তবে কয়েকটা পর্ব দেখতেছি এখন। ১৪ নম্বর পর্বে আরও একটা প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখতে পেলাম যেটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। বনগাঁর অনেক স্থানের অনেক প্যান্ডেলের আলোকচিত্র আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। এই প্যান্ডেল সাজানোর থিমটা কিন্তু খুবই ভালো লেগেছে দাদা। এই পর্বের মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু আলোকচিত্র দেখতে পেলাম। যেগুলো দেখতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। এই ধরনের কাজগুলো যত দেখি আমার কাছে ততই অসম্ভব ভালো লাগে। সরাসরি কখনো এরকম দৃশ্য না দেখতে পেলেও আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম দাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা দুর্গাপুজোর ২০২৩ এর ১৪তম পর্বটা সবার মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী পর্ব দেখার জন্যই অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা দেখতে দেখতে দুর্গা পূজা ২০২৩ এর ১৪ তম পর্ব ও শেষ হয়ে গিয়েছে। দুর্গা পূজা ২০২৩ এর ১৪ তম পর্বটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, অন্য গুলোর মত পড়ে এবং আলোকচিত্র গুলো দেখে। এই ১৪ টা পর্বের মাধ্যমে আপনি ভিন্ন ভিন্ন স্থানের প্যান্ডেলের আলোকচিত্র গুলো তুলে ধরলেন দাদা। যার মাধ্যমে এরকম সুন্দর সুন্দর প্যান্ডেল দেখার সুযোগও হয়েছে। আমি দুর্গাপূজা ২০২৩ এর প্রত্যেকটা পর্ব দেখেছি দাদা। গত পর্বে দুবাইয়ের মিরাক্কেল হাউস প্যান্ডেলের সুন্দর কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন যেগুলো খুব ভালো লেগেছিল। আর আজকের এই পর্বে বনগাঁর আরেকটা স্থানের আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। আর দেখছি এটার থিম ছিল 'মহাকাল মন্দিরের আদলে'। ছোটখাটো ভাবে করলেও এটা কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে দাদা। আর এটা দেখতেও সুন্দর লাগতেছে। সরাসরি দেখতে নিশ্চয়ই আরো ভালো লেগেছিল এটা। দাদা ১৫ নম্বর পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি শীঘ্রই পর্বটা শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শিবের ত্রিশূল দিয়ে সাজানো সুন্দর একটি দুর্গো পুজোর প্যান্ডেলের ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দাদা। ছবি গুলো শেয়ার করারা জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কোলকাতার পুজো মানেই জাকজমকে ভরা।পুজো মন্ডপের থিম গুলোও অনেক ভাল হয়ে থাকে। মহাকাল মন্দিরের আদলে থিমটিও অনেক সুন্দর। প্রতিটি ছবি অনেক ভাল হয়েছে। শুভ কামনা আপনার জন্য।
দাদা আপনার পোস্টগুলো আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। আপনি দূর্গা পূজার সময় অনেক জায়গায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে অনেক প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি করেছিলেন, আর পর্বের মাধ্যমে সবগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করতেছেন দেখে ভালোই লাগতেছে। বনগাঁর আরেকটা স্থানের আলোকচিত্র আপনি 14 নম্বর পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লেগেছে। এটা ছোটখাটো ভাবে সাজানো হলেও থিমটা কিন্তু সত্যি খুব সুন্দর ছিল দাদা। মহাকাল মন্দিরের আদলে এই থিমের উপর করা হয়েছে দেখে ভালো লেগেছে। আর লিখছি সবকিছুই ত্রিশূলের সাহায্যে করা হয়েছে। ত্রিশূল দিয়ে করার কারণে আরও সুন্দর হয়েছে। আপনি লাইটিং দেখে এখানে ঢোকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। ভেতরের সবকিছু আসলেই সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে দাদা। যা আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বুঝতে পেরেছি। মূর্তিগুলোকেও সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। সেগুলোর ফটোগ্রাফি ও সুন্দর করে করলেন আপনি। আরো অনেক গুলো পর্ব দেখতে পাব আশা করছি।
মহাকাল মন্দিরের আদলে সবকিছু সাজানো হয়েছে দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়েছি দাদা। আসলে মন্দির কিংবা প্যান্ডেলের লাইটিং গুলো সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়। আর লাইটিংগুলো যখন আকর্ষণীয় হয় তখন মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়। আর খড় দিয়ে ছাতার মতো ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। তবে লাইটিং থেকে শুরু করে কারুকার্য সবকিছুই যদি এত সুন্দর হয় তাহলে সেখানে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। আর সুন্দর প্রতিমা দেখলে তো হৃদয় জুড়িয়ে যায়। সত্যি দাদা ছোটবেলায় যখন পুজো দেখতে যেতাম তখন প্রতিমা গুলো দেখে আমার বেশ ভালো লাগতো। যদিও বাংলাদেশে এত সুন্দর ভাবে সাজানো হয় না তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। পুজো প্যান্ডেলে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং দারুণভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
বনগাঁর এই পুজো প্যান্ডেলটি ছোট হলেও, আলোকসজ্জা কিন্তু মোটামুটি বেশ ভালই ছিল ভাই। বেশ দারুণ উপভোগ করলাম, ছবিগুলো।
শুভেচ্ছা রইল 🙏
দাদা দুর্গাপূজা ২০২৩ এর ১৪ তম পর্বে ছোট একটা প্যান্ডেলের আলোকচিত্র সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। এই প্যান্ডেলটা ছোট হলেও সাজানোটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আজ এই পর্বে এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্র গুলো খুবই উপভোগ করেছি। আলোকসজ্জা এত সুন্দর দেখেই তো আমি মুগ্ধ। মহাকাল মন্দিরের আদলে এই থিমের উপর এটা করা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। সবকিছুই দেখছি ত্রিশূল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ত্রিশূল দিয়ে তৈরি করার কারণে অনেক সুন্দর লাগতেছে কিন্তু। দাদা আমি তো বসে বসে ভাবতেছি দুর্গাপূজার সময় আপনি আর কত জায়গায় গিয়েছিলেন। কারণ প্রত্যেকটা পর্বের মাধ্যমে আলাদা আলাদা স্থানের প্যান্ডেল গুলো শেয়ার করেছেন। এরকম দৃশ্যগুলো সরাসরি দেখতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়েও ভালো লাগলো আমার কাছে। ধন্যবাদ দাদা, এই পর্বটা শেয়ার করার জন্য। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর করে আপনি ভাগ করে নিয়েছেন। পরবর্তী পর্বের মাধ্যমে আরেকটা স্থানের প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
পুজোর পর্ব এখনো চলছেই দাদা? 😀 আরেক পূজো আসার সময় হয়ে এলো তো 😉। সত্যি বলতে আপনাদের ওখানে এত এত পুজোর প্যান্ডেল ,আমার তো মনে হয় এক বছরও শেষ হওয়ার কথা না যদি দিনে একটা করেও পোস্ট করা হয়। অসাধারণ লাগে পুজো প্যান্ডেলের এই থিম গুলো। ছবিগুলো যখন দেখছিলাম একদম চোখের শান্তিটা পাচ্ছিলাম বোধ হয়। খড় দিয়ে এরকম আয়োজন আমি এবারই প্রথম দেখলাম। ভেতরটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন সত্যিকারের মন্দির। চমৎকার লাগলো পুরো পোস্টটা।