মুভি রিভিউ: মনস্টার
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "মনস্টার"। এই মুভিটার কাহিনী একটি থ্রিলার বেস এবং এর কাহিনীটা কিভাবে কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় ভামিনী এবং অনিল তারা সম্পর্ক করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং তারা বেশ ভালো আনন্দে দিন যাপন করতে থাকে। কিন্তু একদিন অনিল এর একটা বিপদজনক এক্সিডেন্ট হয় আর তাতে একটি পা ইনজুরি হওয়ার ফলে ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। এখন সে একটা সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি অফিসে জব করতো, কিন্তু তার এই এক্সিডেন্ট এর ফলে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেয়। এরপর তাদের সংসারে আর্থিক সমস্যা নেমে আসে আর তারপরে তাদের ছোট একটি মেয়েও আছে। এখন অনিল বাড়িতে বসে থাকার ফলে মেয়ের দেখাশুনা করতে থাকে টুকটাক আর একজন কাজের মহিলা রেখে দেয়। আর ভামিনী সংসার এর খরচসহ ফ্লাট ভাড়ার টাকা জোগাড় করার জন্য দিন-রাত একটি ট্যাক্সি ভাড়া হিসেবে চালাতে থাকে। একদিন তার একটা ডিউটি পড়ে অর্থাৎ সেই লোকটাই অফিসে ফোন করে ট্যাক্সি ভাড়া করে আর ভামিনীকেই তারা সেই দায়িত্বটা দেয় যে, তাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করতে হবে এবং তার সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তার সাথে থাকতে হবে।
এদিকে ওইদিন আবার ভামিনী এবং অনিল এর বিবাহ বার্ষিকী ছিল আর লাকি সিং নামের যে লোকটা এসেছিলো সে তার পিছুই ছাড়ছে না অর্থাৎ তাকে ছুটিই দেবে না। শেষমেশ লাকি সিং নামের লোকটা তার সাথে তাদের বাড়িতে যেতে চায়, কারণ তারা যে ফ্ল্যাটে থাকে সেই ফ্ল্যাটের টপ ফ্লোরটা সে বিক্রি করতে চায় আর তার জন্যই সে এসেছে। আর এ নিয়ে উকিল এর এইসবের চক্র আছে, ফলে একভাবে সেখানে ভামিনীকে নিয়ে অর্থাৎ তার গাড়ি যেহেতু তাই তাকেই যেতে হবে সবসময়। এখন বিবাহ বার্ষিকীতে কেক বানায় বাড়িতে আবার লাকি সিংও তাদের জন্য ছোট একটি কেক কিনে নিয়ে আসে। লোকটা আসলে পাঞ্জাবি, আর পাঞ্জাবিরা এইসব নিয়ে বেশ মজা করতেও পারে আর সবার সাথে বেশ ভালো মানিয়ে চলতে পারে। যাইহোক, এরপরে সে কেকটা মজার ছলে লাকি সিং ভেঙে ফেলে আর নোংরা করে ফেলে।
এই নিয়ে সবাই বিরক্ত হলেও অনিল বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে। এরপরে একদিন ভামিনীকে সেই ফ্ল্যাট বিক্রি করার টাকা উকিলকে গিয়ে দিয়ে আসতে বলে এবং লাকি সিং ওইসময় এর মধ্যে অনিলকে গুলি করে মেরে দেয়। এরপর তার লাশটা ভামিনীর গাড়ির পিছনের ডিক্কিতে তুলে দিয়ে সে এয়ারপোর্ট এ চলে যায় এবং পরে ভামিনী বাড়িতে এসে মেয়ে আর তার হাসব্যান্ডকে না পেয়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করতে লাগে। এরপর তার সেই অফিস থেকে ফোন করে ডাকলে পরে দেখে তারই গাড়ির ডিক্কিতে তার লাশ পড়ে আছে আর এই নিয়ে পুলিশ ইন্টারোগেট করতে থাকে আর তাকেই দোষী মানতে থাকে। অনেক ভাবে ভামিনী বোঝায় তাদের যে সে খুন করেনি, কিন্তু তাও সমস্ত প্রমান তার বিপক্ষে। ফলে তাকে কোর্টে পাঠানো ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না, কিন্তু রাস্তার মাঝখান থেকে তাকে কিডন্যাপ করে নেয়। আর এরপর পুলিশ আরো তদন্ত করতে থাকে, কিন্তু এই লাকি সিংকে আর খুঁজে পায় না, কারণ আসলে যে লাকি সিং সে এখানে আসেইনি, বরং তার রূপ নিয়ে অন্য কেউ এসেছিলো।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
আসলে এই কাহিনীতে বড়ো টুইস্ট হলো এই ভামিনীই ছিল প্রধান সন্ত্রাসী। সে একজন ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে আর একটা ইনোসেন্ট ভাব নিয়ে থাকতো সবসময়। মূলত এই লাকি সিং রূপে যে এসেছিলো সে একজন আসলে আন্ডারকোভার আইপিএস অফিসার ছিল আর সে এই গ্যাংটাকে ধরার জন্য এইসব প্ল্যান করেছিল। সে আগে থেকেই জানতো এই ভামিনী তাদের টিমের লিডার এবং তার সাথে বাড়িতে যে কাজের মহিলা হিসেবে থাকতো সেও তাদের সাথে ছিল। এখন অনিল এইসব বিষয়ে তেমন কিছুই জানতো না, পরে এই অফিসার তার সাথে আলাদাভাবে দেখা করে এবং তাকে সবকিছু খুলে বলে আর তার সাথে সহযোগিতা করতে বলে।
কারণ তাদের বিবাহ বার্ষিকীতে যে কেকটা বানিয়েছিলো ওই কেকে ছিল বিষ আর এটা লাকিসিং অনিলকে জানিয়েছিল এবং সে নিজেই সেটাকে কৌশলে নষ্ট করে ফেলে। আর অনিলকে যে গুলি করেছিল এটা জাস্ট একটা অভিনয় ছিল, ভামিনীকে বিশ্বাস দেওয়ানোর জন্য যে তাকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলেছে, কিন্তু সেটা নকল গুলি ছিল। এরপরে ভামিনীকে যে কিডন্যাপ করেছিল ওরা তারই গ্যাংএর লোকজন। এই অফিসার পরে তাদের আড্ডায় গিয়ে গ্যাংটাকে ধরার জন্য অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু সেখান থেকেও পালিয়ে যায় এবং পরে কৌশলে পুরো গ্যাং ধরতে পারে। আর এরপর সবার সামনে আসল ঘটনা চলে আসে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৮/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা চমৎকার একটি মুভির রিভিউ শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। মাঝেমধ্যে থ্রিলার মুভি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। মুভির রিভিউ পড়ে তো প্রথমে ভেবেছিলাম লাকি সিং নামের লোকটা খারাপ এবং সব সমস্যা এই লোকটা সৃষ্টি করেছে। এমনকি ভামিনীর হাসবেন্ড অনিলকেও গুলি করে মেরে ফেলেছে। পরবর্তীতে জানতে পারলাম সবকিছুই অভিনয়। লাকি সিং তাহলে আন্ডারকোভার আইপিএস অফিসার। লাকি সিং যদি অনিলকে সবকিছু খুলে না বলতো, তাহলে তো অনিল কিছুই জানতে পারতো না ভামিনী সম্পর্কে। অনেক মুভিতেই এমনটা দেখা যায় যে,সন্ত্রাসদের গ্যাং ধরার জন্য এমন অভিনয় করা হয়। যাইহোক লাকি সিং শেষ পর্যন্ত প্রধান সন্ত্রাসী ভামিনী সহ পুরো গ্যাংটাকে ধরতে সক্ষম হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো এই মুভির রিভিউ পড়ে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি মুভির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যে রিভিউটা পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি নতুন নতুন মুভির রিভিউ তুলে ধরেন আমাদের মাঝে, যেগুলো আমি পড়ার চেষ্টা করি। এই মুভিটার কাহিনী আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এরকম মুভি গুলো আমি সময় পেলে দেখার চেষ্টা করি। বিবাহ বার্ষিকীর কেকটাতে বিষ ছিল এটা জেনেই আমার কাছে অন্যরকম লেগেছে। তবে তারা এটা জানতে পেরে কৌশলে কেকটা নষ্ট করে দিয়েছিল, এটা জেনে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। এখানে তো দেখছি গ্যাং এর লোকজন ভামিনীকে কিডন্যাপ করেছিল। তারা গ্যাংটকে ধরার চেষ্টা করেছে বলেই কৌশলে গ্যাং টাকে ধরতে পেরেছিল পরবর্তীতে। সবার সামনে আসল ঘটনাটা চলে এসেছিল ওটা দেখে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে সম্পূর্ণ মুভিটার রিভিউ সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার পরবর্তী মুভিটার রিভিউ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা আপনি মাঝে মাঝে মুভি রিভিউ শেয়ার করেন। আমার তো মুভি রিভিউ গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু এক সময় অনেক বেশি মুভি দেখতাম। বাংলা মুভি বলেন কিংবা হিন্দি মুভি বলেন সব গুলোই আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে বিয়ের আগে এবং বিয়ের পরে যখন একা ছিলাম। এখন তবে ব্যস্ততার কারণে মুভি দেখা একদম হয় না। যদি শর্টকাটের মধ্যে মুভি গুলোর রিভিউ দেখতে পায় তাহলে বেশ ভালই লাগে। আপনি মনস্টার মুভির রিভিউ শেয়ার করলেন। রিভিউ দেখে অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছি। অনেক ধন্যবাদ দাদা চমৎকার একটি মুভির রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার শেয়ার করা মুভি গুলোর রিভিউ আমি পড়ার চেষ্টা করি সব সময়। মনস্টার মুভিটা অনেক সুন্দর হয়েছে কিন্তু। বিশেষ করে মুভিটার কাহিনী আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে দাদা। ওই গ্যাংটকে অনেক চেষ্টা করার পর তারা ধরতে পেরেছিল। গ্যাংটা কিন্তু অনেক বেশি চালাকির সাথে কাজ করেছিল। আর তারা ও চালাকির সাথে কাজ করে গ্যাংটকে ধরেছে। লাকি সিং দেখছি ওখানেই আসেনি বরং তার রূপে অন্য কেউ এসেছিল। আর এটাও শেষ পর্যায়ে বুঝতে পেরেছি দাদা। খুবই সুন্দর করে দাদা পুরোটা রিভিউ লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পুরো কাহিনীটা রিভিউর মাধ্যমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাজিয়ে গুছিয়ে লিখে শেয়ার করার জন্য। দাদা সব সময় অপেক্ষায় থাকলাম, আপনার সুন্দর সুন্দর মুভি গুলোর রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা দারুন একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করলেন। মনস্টার মুভি তো আমার এখনো দেখা হয়নি। কাহিনী পড়ে তো মনে হলো গোয়েন্দাগিরী মুভি।অনিল জানেই না যে তার বউ ভামিনী একজন প্রধান সন্ত্রাসী। আর লাকি সিং রুপে যে আন্ডারকোভার আইপিএস অফিসার এসেছিল সেও দুরুন্ত চালাক লোক। সে তো জানে কোন সন্ত্রাসীকে কিভাবে ধরতে হয়। এখন ভামিনীর চালাকি দেখে সবাই অবাক। সে এমন একটি ভাব ধরে থাকে কেউ বুঝতেও পারে না যে, সে একজন সন্ত্রাসী। এখানে অনিল যে এক্সিডেটন্ট করলে এটার সাথে লাকি সিং এর কোন প্লান আছে কি না,সেটা জানা যায়নি। তবে অনিল লাকি সিং কে সহযোগিতার করার কারনেই কৌশলে পুরো গ্যাংটা ধরতে পেরেছে। এই মুভি থেকে আমাদের শিক্ষা হলো কে কেমন কেউ জানে না। তাই সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।
মোহনলালের মুভিগুলো কমই দেখা হয়।তবে কাহিনী পড়ে দারুণ লাগলো।আসলে একবার পালিয়ে যাওয়ার পরও পুরো গ্যাং ধরা পড়েছে এটা বেশ ভালো লেগেছে।আন্ডারকোভার আইপিএস অফিসার পুরো সময়টা অভিনয় করে গিয়েছে গ্যাংকে হাতেনাতে ধরার জন্য, খুব সুন্দর করে রিভিউ করেছেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।