দূর্গা পুজো ২০২৩ ( পর্ব ৪ )

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে দুর্গাপুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। গত তিনটি পর্বে বেশ কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলাম। আজকে চতুর্থ পর্বে কলকাতার আরেকটি স্থানের কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

গত পর্বে একডালিয়া এর ওখানে সবকিছু দেখার পরে আবার চলে গিয়েছিলাম অন্য একটি স্থানে। এই স্থানটির নাম হলো "সিংহী পার্ক"। মোটামুটি সবগুলোই পাশাপাশি থাকে, কিন্তু কলকাতার দিকে এমন এমন এন্ট্রি পথ আর এক্সিট পথ তৈরি করে রাখে, যে একটি দেখার পরে আবারো সেই একই পথ ঘুরে ঘুরে পরেরটায় যেতে হয়। আর এইজন্য কোলকাতায় পুজো দেখতে গেলে পায়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় হাঁটতে হাঁটতে। তো যাইহোক, এই সিংহী পার্কে অনেক পথ ঘুরে ঘুরে গিয়েছিলাম। আর এখানে আমাদের একটু ভুল হয়েছিল যে, ভুল রাস্তায় চলে গিয়েছিলাম, ফলে আবার ব্যাক করে আসতে আসতে বেশ টাইম লেগে গিয়েছিলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

সিংহী পার্কের পুজো প্যান্ডেল বা প্রতিমাও অনেক ভালো করে, আর এইসব পুজো প্যান্ডেলগুলো সেরা তালিকার মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত আছে। এই প্যান্ডেলে পুজো দেখতে অনেক লোকের সমাগমও হয়েছিল, অনেক রাতের দিকে গিয়েছিলাম তাও পায়ে পায়ে লোক ছিল যেন। গেটের মুখের থেকে ঢোকার সাথে সাথে আলোকসজ্জার ঝলকানিতে যেন চারিদিকে মুখোরিত হয়ে থাকে। আসলে লাইটিংগুলো এমনভাবে তারা ফুটিয়ে তোলে বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে যে, না তাকিয়ে থাকা যায় না। এখানে একটি দূর্গা মায়ের মূর্তিকে চারিপাশে লাইটিং দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে, মূলত এটি একটি রথের উপরের ডিজাইনের মতো দেখতে তৈরি করেছে আর সামনে ঘোড়াগুলোকেও লাইটিং দিয়ে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এছাড়া লাইটিংগুলোর মধ্যে একটি ভয়ঙ্কর প্রাণীর মতো দেখতে তৈরি করেছে আর তার পিছনে গাছপালার একটি দৃশ্যও তুলে ধরেছে। এইরকম বিভিন্ন প্রকারের আকর্ষিত ডিজাইন সম্বন্ধিত লাইটিংগুলো মণ্ডপ বা প্যান্ডেলের জায়গায় পৌঁছানো পর্যন্ত সাজানো থাকে। ব্যাসিকালি প্যান্ডেলের থেকে এই লাইটিংগুলো দেখেই মনটা ভরে যায়। বেশি খানিকটা পথ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যেতে যেতে প্যান্ডেলের কাছে চলে গিয়েছিলাম, আর প্যান্ডেলের কারুকার্যও অনেক সুন্দর লেগেছে এইবারের। এইবার তারা মূলত এই প্যান্ডেলের মাধ্যমে রাজস্থানের শিল্পকলার প্রদর্শন ফুটিয়ে তুলেছে। মোটামুটি বাইরের রাজ্যের থিমগুলো এইবার বেশি দেখা গিয়েছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

প্যান্ডেলের এই পাশে কিছু হস্তশিল্পের মতো দেখতে কারুকার্য করেছে। এছাড়া প্যান্ডেলের ভিতরে আপনারা দেখতে পাবেন বিভিন্ন খোপে খোপে পুতুল নাচের মতো দৃশ্য উপস্থাপন করেছে। এইগুলো ভিডিও করলে আরো ভালো দেখানো যেত। যাইহোক, এরপর মায়ের মূর্তির সামনে গিয়েছিলাম এবং মাকে দর্শন করার পরে কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম। মায়ের মূর্তিটা দেখতে অসাধারণ লাগছিলো,মুখমন্ডল খুবই সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে বোঝাই যাচ্ছে। যাইহোক, এই ছিল এই পর্বের কিছু আলোকচিত্র, পরের পর্বে আবার দেখা হবে নতুন কিছু আলোকচিত্র নিয়ে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনকলকাতা
তারিখ২২ অক্টোবর ২০২৩


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

সিংহী পার্কে গিয়ে তাহলে এক অন‍্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার দাদা। সত্যি এদের প্রতিমা টা বেশ সুন্দর। পাশাপাশি পুতুল নাচের ব‍্যাপার টা ইউনিক ছিল। থিমটাও বেশ চমৎকার লাগছে। আসলে দাদা ভালো কিছু দেখতে গেলে এইরকম একটু বেশি হাঁটা লাগবেই। আপনার পুজো পরিক্রমার এই পর্বের পোস্ট টা দারুণ লাগল। এবং বেশ সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি গুলো।।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

দাদা গত ৩ পর্বের মতো এই পর্বেও দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। যেহেতু মোটামুটি সবগুলো স্থান পাশাপাশি, তাহলে শর্টকাট কোনো রাস্তা থাকলে খুব সহজেই বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পূজার আয়োজন উপভোগ করতে পারতেন। তাহলে পা ব্যথা করতো না। ভুল রাস্তায় যাওয়াতে আরো বেশি কষ্ট হয়েছে। যাইহোক এমন প্যান্ডেল,প্রতিমা এবং লাইটিং দেখলে সব কষ্ট দূর হয়ে যাওয়ার কথা দাদা। সিংহী পার্কে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দাদা আজকে আপনি দুর্গা পুজো ২০২৩ পর্ব চার নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন, দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আজকের এই পর্বের মাধ্যমেও অন্য দিনের মতো অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, যেগুলো দেখতে পেয়ে দারুন লাগলো। এর আগের তিনটি পর্বের মধ্যে, বেশ দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়েছিলাম। সিংহী পার্কে পুজোর প্যান্ডেল দেখছি বেশ ভালো ভাবে করা হয়েছে। হয়তো এসব কিছুর ভিডিও করলে আরো সুন্দরভাবে দেখতে পেতাম। তবে আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লেগেছে। এই জায়গাটাতে পুজোর প্যান্ডেল বেশ সুন্দর হয় নিশ্চয়ই প্রত্যেক বছর। আপনি সব কিছুর এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন, এবং বর্ণনার মাধ্যমে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে দাদা।

 last year 

পুজো প্যান্ডেলের যেমন ডেকোরেশন, তেমন আলোকসজ্জা, এক কথায় চোখে লাগার মত। সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফিগুলো ভাই।

শুভেচ্ছা রইল 🙏

 last year 

দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে পুজো প্যান্ডেলগুলো কাছাকাছি থাকলে ও একই রাস্তা দিয়ে যাওয়াতে বেশ কিছু ঘুরতে হয়।আপনি আবার রাস্তা ভুল করলেন তাই মেহনত হলো বেশী।তার পরে ও যখন এতো কষ্টের পর প্রতিমার মুখটি দেখা হয়।তখন কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। কষ্ট সব দূর হয়ে যায়। প্যান্ডেলগুলোতে এতো এতো লাইটিং সত্যি ই খুব ভালো লাগে। এতো আলোর ঝলকানিতেই তো উৎসবের আনন্দ আরো দিগুন হয়ে উঠে।চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

দাদা অনেক বেশি সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই আলোকচিত্র গুলো। আপনি আজকের পর্বের মাধ্যমে কলকাতার আরো কয়েকটি স্থানের আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা প্যান্ডেল অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে দেখতেই ভালো লাগছে। আমার কাছে তো ফটোগ্রাফিতে অনেক বেশি ভালো লাগছে। জানিনা সরাসরি দেখতে কিরকম লেগেছিল আপনার কাছে। দাদা নিশ্চয়ই আপনার কাছে খুব ভালো লেগেছিল সরাসরি এই প্যান্ডেল গুলো দেখতে। লাইটিং গুলো ও অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছে দেখছি। আসলে এরকম ভাবে পথ ঘুরে ঘুরে গেলে ভুল রাস্তায় চলে যাওয়ারই কথা। এটা ঠিক বলেছেন দাদা, মুখমন্ডল অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে যা দেখে বোঝা যাচ্ছে। আর এরকম সুন্দর প্রতিমা দেখলে যে কারো কাছে ভালো লাগবে। দৃশ্যগুলো এই পর্বের মাধ্যমে এত সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা। পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে থাকলাম।

 last year 

দাদা আমি তো আপনার অনেক পোষ্ট পড়ে থাকি। মোটামুটি সব পোষ্টই আমার পড়া হয়। তবে "সিংহী পার্ক সম্পর্কে আগে কোন পোষ্টে ধারনা পায়নি। আজকের পোষ্টে প্রথম শুনলাম। আবার ব্লগ পড়ে জানতে পারলাম যে আপনি সিংহী পার্কে যাওয়ার সময় রাস্তা ভুল করে অন্য রাস্তায় চলে গেছেন। চার পাশে এত পূজা প্যান্ডেল ভুল তো হবেই। আর কোন জাগায় তো আয়োজনের কমতি নেই। সব জাগায় সমান তালে উৎসব পালন করছে। একটা বিষয় খেয়াল করলাম যে সিংহী পার্কের পুজো প্যান্ডেলটা দারুন ভাবে সাজিয়েছে। মূলত তারা প্যান্ডেলের থেকে এই লাইটিংগুলো দেখেই দর্শকদের মন ভরে গেছে। এইবার তারা মূলত এই প্যান্ডেলের মাধ্যমে রাজস্থানের শিল্পকলার প্রদর্শন ফুটিয়ে তুলেছে। মোটামুটি বাইরের রাজ্যের থিমগুলো এইবার বেশি দেখা গিয়েছে। কারুকার্য দেখে বুঝাই যাচ্ছে যে তারা অনেক শ্রম দিয়ে ছিয়ে প্যান্ডেলটা তৈরী করতে। আর মানুষও প্রচুর হয়েছে। অন্যান্য জায়গা থেকে তাদের আয়োজন সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। সব কিছু মধ্যে একটি আধুনিকতা ছোঁয়া ছিল। বিভিন্ন জাগায় কিছু পুতুলকে দেখলাম সাজিয়ে রেখেছে। পুতুল ‍গুলো দেখলে বুঝা যায় তারা আগত মানুষদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে। বাহিরে যতটা না সুন্দর দেখতে লাগে ভিতরে আরো বেশি সুন্দর ছিল। তাদের নামটা যেমন আনকমন তাদের কারুকার্য গুলোও আনকমন ছিল। সব মিলিয়ে দশ থেকে দশ নাম্বার দেওয়া যায়। আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পারছি দাদা। ধন্যবাদ।

 last year 

সিংহী পার্কের পুজো প্যান্ডেল ও প্রতিমা সত্যি দারুন ছিল দাদা। আর এত সুন্দর লাইটিং গুলো পুজো প্যান্ডেল আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। প্রতিমার মুখখানি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে অনেক বড় আয়োজন হলে অনেক সময় ভুল রাস্তায় অনেকেই চলে যায়। তাই তো আপনিও ভুল রাস্তায় চলে গিয়েছিলেন দাদা। যাইহোক আবারো ঠিক রাস্তায় ফিরে এসেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। তবে এত সুন্দর লাইটিং এবং কারুকার্য গুলো দেখে আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে। দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়েছিল দাদা। বিশেষ করে লাইটিংগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। আর পুতুল নাচের মত বিভিন্ন অংশগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। সব মিলিয়ে পুজো প্যান্ডেল একেবারে নতুন ভাবে সেজে উঠেছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 last year 

"সিংহী পার্ক"এইজন্য মনে হয় প্রথমেই সিংহীর সুন্দর কারুকাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।আমার কাছে এই পার্কের নাম নতুন লাগছে।তাছাড়া পুতুল নাচের মতো দৃশ্যগুলো দেখতে সত্যিই বেশ লাগছিল।রাতের দিকে এমনিতেই ভিড় থাকে কলকাতার পূজাগুলোতে তার উপরে এই ভিড়ে আপনি ভুল রাস্তায় চলে গিয়েছিলেন জেনে খারাপ লাগলো।ভিড়ে আসলেই দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একটা অস্বস্থিভাব চলে আসে।মায়ের মুখটি অসাধারণ এবং অনবদ্য।ভালো লাগলো সকাল সকাল দেখে,ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.25
JST 0.038
BTC 96498.09
ETH 3358.85
USDT 1.00
SBD 3.08