পেঁপে দিয়ে দেশি চিকেনের সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করে নেবো। রেসিপিটি গতকাল করেছিলাম। অনেকদিন পরে বলতে গেলে ঠিকঠাক চিকেন রান্না করে খেলাম, কারণ এতদিন ডায়েট এ থাকার কারণে তেমন মশলা খাওয়া হতো না বলে আর সেইভাবে কোনো চিকেন রান্না করা হতো না, নরমালি সেদ্ধ করে করে খেতাম। এখন ওজন জায়গায় চলে এসেছে তাই ভাবলাম এইবার একটু খাই ঠিকঠাক করে না হলে আর পারা যাচ্ছে না হা হা। গতকাল দেশি মুরগির মাংস রান্না করেছিলাম। এখন বৃষ্টি হচ্ছে আর ঠান্ডা ঠান্ডা আছে মাংস খেতেও বেশ মজা লাগে। তবে আমার এই সময়টায় চিকেন খিচুড়ি খেতে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক, এই দেশি মুরগির রেসিপিটা আমি শুধু পেঁপে দিয়ে করেছিলাম। সাধারণত আমি আগে শুধু আলু দিয়েই করতাম, আর ওটাই বরাবরই চলতো, কিন্তু এখন বর্তমানে আমি তেমন আলু খাইনা বললেও চলে, কারণ আলুতে প্রচুর ক্যালোরি। এই ভয়ে আলু এর ধারে কাছে খুব কম যাই, তবে অল্প করে খাই অন্যান্য তরকারিতে। আলু দিয়ে করবো না বলে নরমালি সবজি পেঁপেটাকে বেছে নিয়েছিলাম। আর মাংসের তরকারিতে কিন্তু পেঁপে দিলে ভালোই লাগে, আমি আগে না খেলেও এখন খেয়ে যা বুঝলাম। আর পেঁপে ঠান্ডা জাতীয় তরকারি তাই খেলেও তেমন সমস্যা হয় না বেশি মশলা জাতীয় মাংসের তরকারিতে। যাইহোক, এখন এই সুস্বাদু চিকেন রেসিপির মূল ধাপসমূহের দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
❦এখন রেসিপিটি যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☬প্রস্তুত প্রণালী:☬
➤মাংসগুলো প্রথমে ভালো করে কয়েকবার ধুয়ে নিয়ে রেখেছিলাম। এরপর পেঁপের খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে পিস করে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤পেঁয়াজ দুটির খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে রেখেছিলাম এবং সেই সাথে রসুন দুটির থেকেও কোয়া ছাড়িয়ে নিয়ে তার থেকে খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আদার খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে তাতে পেঁপের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তুলে রেখেছিলাম।
➤অন্য আরেকটি কড়াইতে করে গোটা জিরা, শুকনো লঙ্কা, দারচিনি, এলাচ এবং লবঙ্গ গরম করে নিয়েছিলাম। এরপর মিক্সারের বাটিতে সব ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤মশলার পেস্ট তৈরি করার পরে আবারো একইভাবে আরেকটি মিক্সারের বাটিতে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা একসাথে দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে রেখেছিলাম।
➤সব মশলা পর পর পেস্ট তৈরি করে নেওয়ার পরে আমি আরো একটি পেঁয়াজ কেটে কুচি করে নিয়েছিলাম। এটা না করলেও হয়, আমি এমনি করেছিলাম ভাজা করার জন্য।
➤এইবার কড়াইতে পরিমাণমতো সরিষার তেল দেওয়ার পরে তাতে একটা শুকনো লঙ্কা দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং কিছু সময় ধরে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে ধুয়ে রাখা দেশি চিকেন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন, হলুদ এবং আদা-পেঁয়াজ-রসুনের যে পেস্ট করেছিলাম সেটি দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এইবার তাতে গোটা জিরা, শুকনো লঙ্কা, দারচিনি, এলাচ এবং লবঙ্গ এর তৈরি করে রাখা পেস্ট দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সমস্ত মশলা মাংসের সাথে ভালোভাবে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
➤মেশানোর পরে মাংস কষানোর জন্য বসিয়ে দিয়েছিলাম চুলায়। এরপর বেশ কিছুক্ষন ধরে ভালোভাবে মাংসগুলো কষিয়ে নিয়েছিলাম।
➤মাংস ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে তাতে তেজ পাতা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে মাংসের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤এইবার তাতে ভেজে রাখা পেঁপের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং একইভাবে মাংসের সাথে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
➤মাংসের সাথে সব মোটামুটি মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি বেশ খানিক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে অল্প করে জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন দেরি করেছিলাম তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য।
➤মাংসের তরকারিটা ভালোমতো হয়ে আসলে এবং ঝোলটা কমিয়ে নিয়ে নামিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর মাংসের তরকারিটা কিছুটা একটি পাত্রে পরিবেশনের জন্য তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনি তো দেখছি অনেকদিন পরে ঠিকঠাক ভাবে চিকেন রান্না খেয়েছেন। আসলে আমিও এখন ডায়েট এর মধ্যে রয়েছি। তাই মসলা তেমন খাওয়া হচ্ছে না আমারও। চিকেন যেমন আমার খুবই পছন্দের তেমনি পেঁপে ও আমার খুব ভালো লাগে খেতে। আর প্রিয় দুইটি খাবার যদি একসাথে রান্না করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। আমার তো ইচ্ছে করছে আপনার প্লেট থেকে নিয়ে খেয়ে নিতে দাদা। অনেক লোভনীয় এবং সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। পেঁপে অনেক ঠান্ডা জাতীয় একটা সবজি যার কারণে সবাই কম বেশি এটি খেতে পছন্দ করে। যদিও আমি আগে আলু খেতে অনেক বেশি পছন্দ করতাম, কিন্তু এখন তেমন আলু খাওয়া হয় না। কারণ আলুতে অনেক ক্যালরি রয়েছে, এটা আমারও জানা রয়েছে। উপস্থাপনা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। সব মিলিয়ে আপনার রেসিপিটা বেশ ভালো লেগেছে দেখে।
দাদা আমিও কিছু দিন যাবত ডায়েট করছি আপনার মতো ভালো ভাবে খেতে পারছি না কিছু🥹।যাইহোক দাদা আপনি ডায়েট করে আপনার ওজন আবার ঠিক জায়গাতে নিয়ে এলেন আর ঠিক বলছেন দাদা আলু তে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি তার ভয়ে খাওয়া যায় না।
সবজি হিসেবে পেঁপে আমাদের শরীলের জন্য খুব বেশি উপকারী একটি সবজি।পেঁপে দিয়ে দেশি চিকেন যেই ভাবে রান্না করেছেন দেখেই লোভনীয় লাগছে দাদা।খেতে তো অসম্ভব মজাদার হয়েছে মনে হচ্ছে। দাদা তাহলে অনেক দিন পরে ঠিকঠাক সব মসলা দিয়ে রান্না করে পেট পুড়ে খেয়েছেন হিহি🤭।অনেক ধন্যবাদ দাদা🙏🙏।।
দাদা পেঁপে দিয়েও চিকেন রান্না করা যায় এটা জানতাম কিন্তু আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালোভাবে রান্নার পদ্ধতি শেখা হয়ে গেল। আপনি আগে আলু দিয়ে বেশি চিকেন রান্না করতেন এখন নতুন পদ্ধতিতে পেঁপে দিয়ে রান্না করেছেন বেশ ভালই হয়েছে। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
প্রিয় দাদা, খুবই মজাদার এবং রুচির সম্মত একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আসলে পেঁপে দিয়ে দেশি চিকেন রান্না খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। মনে বলে বারবার এ ধরনের সুস্বাদু খাবার খেতে। আপনার এই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রথমে দেশি চিকেনের মাংসগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে তেজপাতা দেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অত্যন্ত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা আপনার মত আমারও একই অবস্থা। অনেক দিন যাবৎ আমিও ডায়েটে ছিলাম যার কারণে আমার স্বাস্থ্য অনেকটাই ঠিকঠাক জায়গায় চলে এসেছে। আগে অনেকেই স্বাস্থ্যের কারণে নানান রকম কথা শোনাতো, তবে এখন সেই কথার আর কোন চান্স থাকবে না। যাইহোক দাদা, বরাবরই আপনার রেসিপিগুলো খুবই লোভনীয় ও সুস্বাদু হয়ে থাকে। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। আর আপনার রন্ধন প্রণালী নিয়ে তো কোন কথাই হবে না। এক কথায় অসাধারণ ও দুর্দান্ত হয় আপনার রন্ধন প্রণালী। আমি আগে কখনো পেঁপে দিয়ে চিকেনের রেসিপি খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, মজার এই রেসিপিটি শিখিয়ে দেয়ার জন্য।
পেঁপে দিয়ে দেশি চিকেনের সুস্বাদু রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আমার তো ডায়েট করতে গেলেই আরো বেশি খিদা লাগে। আগে যদি দুবার খেতাম ডায়েট করার সময় তিনবার খেতে ইচ্ছে করে 😅😅। কিভাবে ওজন কমালেন এই বিষয়ে পরামর্শ নিতে হবে দাদা। একদিন এই বিষয়ে একটা পোস্ট করে ফেলেন। তাহলে আমরাও একটু ওজন কমাতে পারি আর কি। তবে যাই বলুন না কেন দাদা বাঙালি খাবার মানেই ঝাল মসলায় রান্না। আর যদি বৃষ্টি ভেজা দিন হয় তাহলে তো আরো মজার মজার খাবার খেতে ইচ্ছা করে। দেশি মুরগির মাংস খেতে বেশ মজার হয়। তবে আমি প্রায় সময় খেয়াল করতাম আপনি প্রতিটি রেসিপিতে আলু দিতেন। আলুতে প্রচুর ক্যালোরি। আশা করছি পেঁপে দিয়ে এই দেশি মুরগির মাংস খেতে বেশ মজার হয়েছিল। এখন থেকে আমারও আলু খাওয়া বন্ধ করতে হবে মনে হচ্ছে দাদা🤭। না হলে কয়দিন পর নিজেই আলুর বস্তা হয়ে যাবো। শেষে দরজা দিয়ে বের হতে পারবো না। 🤭🤭
ডায়েট করে শরীর ঠিক আছে জেনে ভালো লাগলো। মসলা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য আমাদের সমস্যা এজন্য কিছুদিন এভোয়েড করেছেন। দাদা আপনি মনে হয় অনেক স্বাস্থ্য সচেতন। সবুজ পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সেই সবুজ পেঁপে দিয়ে দেশি মুরগির অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে দাদা লোভ লেগে গেল। রেসিপির কালার টি দেখে অসাধারণ লাগছে খেতেও মনে হয় খুব সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
দাদা আপনি এতদিন ডায়েট এ ছিলেন তাহলে। এটা কিন্তু সত্যি যে, আলুতে অনেক বেশি ক্যালরি রয়েছে। আর আমিও আলু এখন অনেক কম খাই। যদিও মাঝে মাঝে খাওয়া হয়, তবে কম খাওয়ার চেষ্টা করি। আর এই বৃষ্টির সময় চিকেন খিচুড়ি খেতে আমিও অনেক বেশি পছন্দ করি দাদা। আর বৃষ্টির সময় চেষ্টা করি চিকেন খিচুড়ি অথবা সবজি খিচুড়ি তৈরি করার। আপনি আলু ব্যবহার না করে ঠান্ডা জাতীয় সবজি পেঁপে ব্যবহার করেছেন চিকেন রান্না করার জন্য, এটা দেখে বেশ ভালো লেগেছে। দেখেই বুঝতে পারছি দাদা অনেক বেশি মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছিল আপনার তৈরি এই রেসিপিটা। আমি একবার পেঁপে দিয়ে চিকেন রান্না করেছিলাম, আর খেতে খুব ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে ঠান্ডা জাতীয় সবজি হওয়ার কারণে একটু বেশি ভালো লেগেছিল দাদা। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.