অহেতুক আতঙ্কের ফলে দুর্ঘটনা
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
copyright free image source: pixabay
আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। এই বিষয়টা একটা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ট্রেন দুর্ঘটনা একপ্রকার হতেই থাকে, বিভিন্ন রাজ্যে যখন দূরপাল্লার ট্রেনগুলো যায়, তখন এই ঘটনাগুলো অহরহ হতে শোনা যায়। তবে এই ঘটনাগুলো অনেক সময় ট্রেন চালকের জন্যও হয়ে থাকে, কারণ সত্যি বলতে কিছু কিছু লোকো পাইলট আছে, যারা হয় অনেক সময় মদ্য পান করে, নয়তোবা তারা ঘুমের ঘোরে চালায়। মাঝে মাঝে এমন শোনা যায় যে, ট্রেন চলতে চলতে লাইন বিচ্যুতি হয়ে আরেক লাইনে গিয়ে অন্য ট্রেন বা মাল গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগিয়ে দিয়েছে। আর এটাও হয়ে থাকে যারা সিগন্যাল বা লাইন জুড়ে দেওয়ার দায়িত্বে থাকে। আসলে ওই দিন শেষে এক কথা বলতে গেলে দেখা যায় তদন্ত করে কিছুই তেমন পায় না।
পেলেও ওই একটাই রিপোর্ট পায় নেশা করার। কিন্তু যাই হোক না কেন, এতে হাজারে হাজারে মানুষের প্রাণগুলো ঝুঁকিতে পড়ে যায়। আর অনেক মানুষের মৃত্যুও হয়ে থাকে। কারণ একটা ট্রেন এর প্রতিটা বগিতে অসংখ্য মানুষজন থাকে, বিশেষ করে যদি জেনারেল বগিগুলোর কথা বলি। এক্ষেত্রে বগি উল্টে গেলে সত্যি বলতে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না অর্থাৎ কার কি কোথায় ছিড়ে চলে যাবে তা আর শনাক্ত করা যাবে না। আপনারা হয়তো একটা এইরকম দুর্ঘটনার কথা জেনে থাকবেন, যে দ্রুতগামী একটি ট্রেন লাইন বিচ্যুত হয়ে একটি মাল গাড়ির উপরে তুলে দিয়েছিলো আর এতে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি এবং আহতের সংখ্যা গোনার বাইরে ছিল।
এইরকম একটা ঘটনা একটা খবরে দেখছিলাম, তবে সেটা মারাত্মক কিছু হয়নি অর্থাৎ মানুষ মরার মতো তেমন কোনো দুর্ঘটনা না, অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গিয়েছে বলা যায়। আমাদের এখানে হাওড়া থেকে অনেক দূর পাল্লার ট্রেন যায়, তেমনই এই উত্তরপ্রদেশের দিকে একটি জায়গায় যাওয়ার সময় ট্রেনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই আতঙ্কটা ছিল অহেতুক একটা আতঙ্ক, যেটাকে সহজ ভাবে বলা যায় ইচ্ছাকৃত ভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করে মানুষের মনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা। লোকাল ট্রেন হোক বা দূরপাল্লার যে ট্রেনই হোক না কেন, আমরাতো দেখি প্রত্যেক বগিতে যতগুলো কামড়া থাকে, তাতে একটি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা থাকে, যেটা ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
এই ট্রেনে এখন যেটা মনে হলো যে, তাতে কিছু দুস্কৃতির দল উঠেছিল বা এমনও হতে পারে যে, ছিনতাই কারীর দল। এরাই ছাড়া অহেতুক কোনো যাত্রী আতঙ্ক ছড়ায়নি তার মধ্যে যে, ট্রেনে আগুন লেগেছে। ট্রেনে থাকে বেশিরভাগই সাধারণ যাত্রী, আর তারা একটুতেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এইসব আগুন লাগার বিষয়ে। তবে এটি সব বগিতে হয়নি, একটিতেই এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। এরা এই আতঙ্ক ছড়িয়ে অহেতুক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে স্প্রে শুরু করে দেয় যেটা দেখা গেলো। আর এতেই ট্রেনের চেইন টেনে কয়েকজন লাফ দেয় নিচে। তবে ট্রেনের গতিটা ওই সাথে সাথে কমে গিয়েছিলো বলে রক্ষা, নাহলে অনেকের প্রাণহানি হতো যদি দ্রুত গামী অবস্থায় কেউ লাফ দিতো। তেমন গুরুতর কিছু না হলেও অনেকে আহত হয়েছে। তবে এই বিষয়টা সেখানকার স্থানীয় রেল পুলিশের উপরেই যাবে কি কারণে কিভাবে হলো। আর যারা এখন আহত তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব মনে হয় রেলের পক্ষ থেকে হবে। অহেতুক আতঙ্কের ফলে এইভাবে মানুষের প্রাণগুলো যায় আসলে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ট্রেন দুর্ঘটনা মারাত্মক একটি ঘটনা।যেখানে হাজার হাজার মানুষের জীবনের প্রশ্ন বিদ্যমান থাকে কিন্তু ইদানিং এটাই বেশি শোনা যাচ্ছে।আমিও এটা নিউজে দেখছিলাম ,আপনি সুন্দরভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ দাদা।
সেদিন স্যোশাল মিডিয়ায় দেখেছিলাম ট্রেন দুর্ঘটনার কথা। আমাদের বাংলাদেশেও কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা হয়। কিছু মাস আগের ঘটনায় তো ভৈরবে ট্রেন এক্সিডেন্টে অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। আসলে আতঙ্ক মানুষকে অনেক ভয়ংকর পরিস্থিতিতে নিয়ে যায়, যদি সেটা স্বাভাবিকও হয়। খুব খারাপ লাগলো এই বিষয়গুলো শুনে যে সবাই আতঙ্কে ভুল কথা শুনেই ট্রেন থেকে লাভ দিল। তবে এটাই ভালো দিক যে কারো বেশি কিছু হয়নি।
ব্যাপারটা জেনে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। ভাগ্যিস কেউ মারা যায়নি। এটাই ঠিক যে,কয়েকজন ছিনতাইকারী ট্রেনে উঠে সবার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে ছিনতাই করতে চেয়েছিল। পুলিশের উচিত তাদেরকে ধরে যথাযথ শাস্তি দেওয়া। যাতে পরবর্তীতে এমনটা করার সাহস আর না পায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।