ওল দিয়ে ইলিশের সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি ওলের তরকারি রান্না করেছি। আর এই ওলের তরকারিটা কয়েকটা ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করেছি। ইলিশ মাছগুলো একটু ছোট সাইজ এর ছিল তাই ৩ টা করে দিয়েছিলাম। এই ইলিশ মাছগুলো ছোট হলেও খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল। ইলিশ অনেক সময় ছোট বা বড়ো যাইহোক না কেন অনেকদিন বরফে ঢেকে রাখলে স্বাদ লাগেনা, তবে আমার বাড়িতে ডিফ ফ্রিজে ৪ দিন কি ৫ দিনের এইরকম মাঝামাঝি রাখা ছিল, ভেবেছিলাম স্বাদ মনে হয় নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু মাছটা আসলে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। আর এই ছোট ছোট ইলিশ মাছগুলোকে আমরা সাধারণত ঝাটকা মাছ বলে থাকি। ঝাটকা বা এই ধরণের সাইজ এর ইলিশ মাছগুলো সবসময় ভাজা করে খেলে বেশি স্বাদ লাগে আবার তরকারীতেও স্বাদ লাগে। আমি সাধারণত বেশিরভাগই তরকারি করে থাকি। ওল দিয়ে তরকারি রান্না করলে একটা দারুন স্বাদের হয়ে থাকে মাছের তরকারিগুলো। মাছগুলো একটু বেশি ছিল তাই ওলের তরকারিতে একটু ঝোল বেশি রেখেছিলাম। মাছটাও খেতে যেমন ভালো হয়েছিল, তেমনি ওলের তরকারিটাও খেতে বেশ মজার হয়েছিল। তরকারিতে যেন একটা ইলিশের ফ্লেভার ফ্লেভার মনে হচ্ছিলো খাওয়ার সময়, বেশ সুস্বাদু। যাইহোক এই রেসিপিটার প্রধান উপকরণের দিকে আমি চলে যাবো।
☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬
✦এখন মাছের রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆
❖ইলিশ মাছ তিনটি বাজার থেকেই কেটে এনে ফ্রিজে রাখা ছিল এবং আমি ওটাকে বের করে খানিক্ষন পরে পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আমি ওলটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে ছোটোখাটো পিচ তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
❖রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো সব কেটে নিয়েছিলাম।
❖ইলিশ মাছের সবগুলো পিচে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖ইলিশ মাছের পিচগুলো অল্প অল্প করে একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম এবং ভালোভাবে ভেজে সবগুলো পিচ তুলে নিয়েছিলাম।
❖অন্য একটি কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে তাতে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর জিরাটা হালকা ভাজা হয়ে আসলে তাতে রসুনের কোয়াগুলো ধুয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖রসুনের কোয়াগুলো হালকা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ধুয়ে রাখা ওলের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো ৩ চামচ লবন, ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং ১ চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম আর সাথে কাঁচা লঙ্কাগুলো ধুয়ে দিয়েছিলাম।
❖মশলার সাথে সব উপাদানগুলো ভালোভাবে মিক্স করে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
❖তরকারিটা বেশ খানিক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম এবং ওলের পিচগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ মতো করে নিয়েছিলাম। এরপর ইলিশের ভাজা পিচগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖মাছগুলো দেওয়ার পরে তরকারির থেকে কিছু সিদ্ধ ওল একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে হাতা দিয়ে চেপে চেপে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
❖গলানো ওলের অংশটা পরে ফুটন্ত তরকারিতে দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারির সাথে মিশিয়ে দিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করেছিলাম তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য।
❖তরকারির ঝোলটা বেশ খানিকটা কমে আসার পরে আর তরকারি ঘন মতো হয়ে আসলে জ্বাল নিভিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারির উপরে জিরা গুঁড়ো পরিমাণমতো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সুস্বাদু তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ওল দিয়ে মজাদার ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। দাদা আপনার রেসিপি পরিবেশন খুব ভালো লেগেছে। আসলে এই ইলিশ মাছ আপনি ফ্রিজে রেখে ছিলেন।আর আজকের ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করা দেখেই মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।ফ্রিজে বেশিদিন থাকলে,তেমন সুস্বাদু লাগে না। তবে আপনি ৩/৪ রেখেছিলেন যার কারণে স্বাদ ঠিক ছিলো।তাই খেতে অনেক মজা হয়েছে। আপনার ইলিশ মাছের রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে দাদা।
আসলে দাদা ইলিশ মাছ এমনই অনেক সুস্বাদু এবং স্বাদের মাছ ৷ এই মাছের সাথে ওলের তরকারি মজা না হয়ে যাবে কই ৷ তবে আমার কাছে যে কোনো তরকারিতে মাছ ছেড়ে দিলে তার স্বাদ দ্বিগুণ লাগে ৷ আপনি সত্যিই অনেক লোভনীয় এবং দারুণ স্বাদের রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ তবে এবার এখনো ওল খাওয়া হয়নি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে দারুণ একটি রেসিপি সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য ৷
বাড়িতে মা কে দেখি ওল দিয়ে ইলিশের মাথাটাই করে। এই প্রথম মাছ দিয়ে করতে দেখলাম।খালোই লাগবে নিশ্চয়ই খেতে। ইলিশ তো যাতেই দেওয়া যায় তার স্বাদই দ্বিগুণ হয়ে যায়।তবে আমাদের বাড়িতে ইলিশে পেঁয়াজ বা রসুন দেওয়ার চল নেই।
আপনি খুব সুন্দর করে ওল দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে দাদা আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই অসাধারণ। মাছ আগে বাজি করে নিলে খেতে খুবই ভালো লাগে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
দাদা আপনি ইলিশ মাছ রান্না করেছেন দেখে আমার ভালো লেগেছে। তবে ইলিশ মাছ রান্নাতে যেই আকাশি ঝাল ব্যবহার করেছেন এটা কিন্তু খুবই ধক। তাই বলতে পারি তিনটা মাছে অল্প সংখ্যক ঝাল ব্যবহার করেই রান্না কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওল গুলো খুব সুন্দর ভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছেন এবং কিছু ওল হাতের চাপুন দিয়ে গলিয়ে নিয়ে ইলিশ মাছের মধ্যে দিয়ে রান্না করেছেন, আশা করি এতে মাছের সুস্বাদু বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইলিশ মাছ মানেই স্বাদের মাছ সে ছোট হোক বা বড় তাতে কোন সমস্যা নেই। মাঝে মাঝে কিছু ছোট ইলিশের স্বাদ বড় ইলিশকেও হার মানিয়ে দেয়। ওল দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি টি যে সুস্বাদু হয়েছিল তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে দাদা। আপনি সবসময়ই ভালো রান্না করেন তা আর নুতন করে কিছু বলার নেই। ওল দিয়ে ইলিশ মাছের সুস্বাদু রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আমার মনে হয়না ওল আমার খাওয়া হয়েছে বলে।এই ছোট ইলিশ গুলা আমাদের এখানেও আনা হয়,মজা লাগে অল্প ঝোল দিয়ে রান্না করলে।
দাদা চার পাঁচ দিন ইলিশ মাছ ডিপ ফ্রিজে রেখে বলছেন যে স্বাদ চলে গিয়েছে। আর আমি তো সারা বছরের ইলিশ একবারে কিনে রেখে দেই যখন ইলিশের মৌসুম থাকে। আমার কাছে তো সবসময়ই ভালো লাগে। তাছাড়া ইলিশ মাছ ছোট অথবা বড় যাই হোক না কেন ইলিশের ঘ্রাণ থাকলে সেই ইলিশ খেতে খুবই ভালো লাগে। ছোট সাইজের ইলিশ গুলো আমার মনে হয় যে মুচমুচে করে ভেঁজে খেলে বেশি ভালো লাগে। ওল আমি মনে হয় একবারই খেয়েছি। তাও আবার ভর্তা করে। কখনো মাছের সঙ্গে রান্না করে খাইনি। আপনি ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করাই মনে হচ্ছে যে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। আর মাছগুলো যেভাবে ভেঁজে উঠিয়ে রেখেছেন আমার তো মনে হয়েছিল ওখান থেকে দুই এক পিস নিয়ে খেয়ে ফেলি। দাদা মনে হয় মাছ ভাজা ছাড়া কখনো রান্না করেন না। ভেঁজে রান্না করলে অবশ্য যে কোন মাছের স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায় রেসিপির কালার টা কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে।
এভাবে বললে তো জিভের জল আটকানো মুশকিল হয়ে যায় দাদা। সত্যি দাদা জিভে জল আনার মতই একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ইলিশ মাছ ছোট হোক কিংবা বড় খেতে দারুন লাগে। ওল দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। এছাড়া পাকা চাল কুমড়ো দিয়ে ইলিশ মাছ খেতেও বেশ ভালো লাগে। অনেক সময় ফ্রিজে ইলিশ মাছ রেখে দিলে মাছের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আপনার তৈরি করা এই রেসিপি খেতে ভালো হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো দাদা। আপনার তৈরি করা রেসিপি গুলো দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় আপনার কাছে রান্না শিখতে চলে যাই। আমাদের জন্য একটু পার্সেল করে পাঠিয়ে দেন দাদা।😋😋
ওল কবে খেয়েছি ঠিক মনে নেই। অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। তবে খেতে ভালই লাগে। আর এরকম তরকারি গুলোতে ইলিশ মাছের ফ্লেভার থাকলে একদম জমে যায় খাওয়াটা। যে তরকারিতে ইলিশ মাছ থাকে সেটি এমনিতেই খুব সুস্বাদু হয়। আপনার রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে দাদা। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।